রাজগঞ্জ, ময়মনসিংহ জেলার সদর উপজেলার ছোট্ট একটি গ্রাম। এই গ্রামেই আমার জন্ম ও বেড়ে উঠা। গ্রামের প্রতিটি মাঠ ঘাট প্রতিটি প্রান্তর একসময় আমার উচ্ছ্বাসে মুখরিত ছিল। প্রতিটি দিন কাটত আমার বন্ধুদের সাথে খেলাধুলা করে। প্রতিটি রাত কাটত চাঁদের আলোয় নিজেকে ভাসিয়ে। তারার পানে চেয়ে তাকিয়ে দিতাম সবটুকু সন্ধ্যা। সেই গ্রামেই আমার পরিচয় এমন একজনের সাথে যিনি সব সময় আমাকে সকল বিপদ থেকে দুরে রাখতেন। কোন কষ্ট আমাকে আঘাত করার আগেই তিনি সেই কষ্টকে সুখের চাদর দিয়ে ঢেকে দিতেন। আমাকে প্রতিনিয়ত পরামর্শ, আদেশ ও উপদেশ দিয়ে মানুষের মত মানুষ করতে চাইতেন। যিনি আমাকে গুরুজনদের সম্মান ও ছোটদের শ্নেহ করতে শিখাতেন। তিনি আর কেউ নন, তিনি ছিলেন আমার সম্মানিত পিতা, আমাকে এই পৃথিবীর আলো দেখানো আমার জন্মদাতা, আমার বাবা।
আমার বাবাকে কখনোই আমি বাবা বলে ডাকিনী। উনাকে আব্বা বলে ডাকতাম। সম্বোধনের আগে যোগ করতাম আপনি। যদিও বড় হওয়ার পর সম্বোধনটা নেমে আসে তুমিতে। আব্বাকে কখনো ভয় পেতাম না, কারণ ছোটবেলায় ভয় শব্দটির সাথে পরিচিত ছিলাম না। উনাকে সম্মান করতাম যথেষ্ট পরিমাণে, সব সময় নজর রাখতাম যেন উনার সম্মানে কোন ব্যাঘাত সৃষ্টি না হয়। যখন ভয় শব্দটির সাথে পরিচিত হলাম তখন তিনিই আমাকে প্রথম ভয় উপহার দিলেন।
আমার বাবা একজন স্কুল শিক্ষক। শিক্ষাগত যোগ্যতা এম এ বি এড। গ্রাম থেকে অনেকদূর কখনো হেটে আবার কখনো সাইকেলের পিঠে চড়ে স্কুল কলেজ পেড়িয়ে লেখাপড়ার সমাপ্তি ঘোষণা করেন। লেখাপড়া শেষ করে সবাই যখন ছুটে টাকার সন্ধানে তেমনিভাবে আমার বাবা টাকার সন্ধানে না ছুটে নিজ গ্রামেই স্থায়ী হয়ে এলাকার একটি ভাঙা স্কুলকে নতুন করে সাজানোর দায়িত্ব নেন। নিজ উদ্যোগে সেই ভাঙা স্কুলটিকে আজ ঐ এলাকায় একটি প্রতিষ্ঠিত স্কুল হিসেবে গড়ে তুলেছেন। তিনি শিক্ষিত করতে চেয়েছেন এলাকার প্রতিটি লোককেই। তিনি চেয়েছেন সবার মাঝে আলো ছড়াতে।
সবার মত আমার বাবাও চাইতেন আমি শিক্ষিত হই। তাই তিনি আমাকে বই নিয়ে শিখাতেন কিভাবে পড়াশুনা করতে হয় । বর্ণমালা চেনাতেন, সংখ্যা চেনাতেন। তারপর একদিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়ে গেলেন ভর্তি করানোর আশায়। আমাকে ভর্তি করানো হলও ক্লাস ওয়ান বা প্রথম শ্রেণীতে। কিন্তু দেখা গেল প্রথম শ্রেণীর সকল বিদ্যা আমার আগে থেকেই আয়ত্তে রয়েছে তাই আমাকে ২য় শ্রেণীতে স্থানান্তর করা হলও। তখন আমি ছিলাম তুখোড় বোকা তাই অন্যের কথা কান দিয়ে শুনে মনের মাঝে গেঁথে ফেলতাম। তেমনি ভাবে শুনেছিলাম স্কুলের এক শিক্ষক সবাইকে প্রচণ্ড রকমের মারধর করেন। সেই কথা শুনে আমি বন্ধ ঘোষণা করলাম স্কুলে যাওয়া। স্কুল কামাইয়ের খাতায় যখন আমার নাম লেখা হলও তখন ঐ টিচার আমাকে না মারলেও আমার বাবা ঠিকই আমাকে মারধরের সংজ্ঞা শেখালেন প্রথম ও শেষবারের মত। তারপর আবার স্কুলে যাওয়া শুরু হলও আমার। এখনো অবাক হই যখন ভাবি ঐ টিচার কোনদিন আমার গায়ে হাত তোলেননি। অবশ্য তিনি তাদেরই মারতেন যারা পড়াশোনায় মনোযোগী ছিল না।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠ শেষ করে আমি ভর্তি হই আমার বাবার হাতে গড়া সেই স্কুলে যে স্কুলের প্রধান শিক্ষক তিনি। ৬ষ্ট শ্রেণী থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত আমি উনার বিদ্যালয়েই ছিলাম। আমার বাবা খুব বেশী ক্লাস নিতেন না। তিনি দশম শ্রেণীর বাংলা পড়াতেন আর অন্য কোন ক্লাসের টিচার অনুপস্থিত থাকলে সেই ক্লাসটি তিনি পরিচালনা করতেন। আমার বাবা যখন ক্লাসে এসে রোল কল করতেন তখন আমার সহপাঠীদের মাঝে গুঞ্জন উঠত আমি কি বলে আমার উপস্থিতি জানান দেই তা শোনার জন্য। আমার রোল নম্বরটি ডাকার সাথে সাথে সবার গুঞ্জন স্তব্ধ করে “উস্তিত স্যার' বলে নিজের উপস্থিতি জানান দিতাম আর আমার সহপাঠীদের হতাশায় পুড়িয়ে মজা লুটতাম। যেকোনো পরীক্ষা শুরুর আগেই তিনি আমাকে উপহার দিতেন কালো রঙের রেডলিফ কলম আর উপদেশ দিতেন যেন ঠাণ্ডা মাথায় পরীক্ষা শেষ করি ও সব লেখা শেষ হলে পুনরায় তা পড়ি।
আমার বাবা হলেন জন-দরদি। সবসময় দেখতাম কেউ উনার কাছে আসলে কাউকে তিনি খালি হাতে ফেরাতেন না। স্কুলের অনেক গরীব ছাত্রকে তিনি নিজের টাকায় পড়াশুনো করিয়েছেন। এলাকার সবার কাছ থেকেই তিনি সম্মান পেতেন। তিনি কোন কথা বললে এলাকার সবাই তা মেনে চলতো। এলাকার যেকোনো বিচার সালিসে উনাকে ডাকা হতো আর তিনিও ন্যায্য বিচার করতেন। একারণে উনি সম্মান পেলেও আড়ালে উনার অনেক শত্রু তৈরি হয়ে যায়।
আমার বাবা একজন প্রতিবাদী মানুষ। যেকোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন সোচ্চার। তাই অনেকেই আমার বাবাকে সহ্য করতে পারতেন না। সব সময় তারা চাইতেন আমার বাবা’র ও স্কুলের সর্বনাশ করতে। কিন্তু বাবার বিচক্ষণতায় তারা বারবার পরাস্ত হতো। বাবা আমাদের এসব কখনো বুঝতে দেননি। তিনি চাননি উনাকে নিয়ে দুশ্চিন্তা করে আমরা আমাদের লেখাপড়া নষ্ট করি।
আমরা ভাই বোন মিলে মোট পাঁচ জন। আমার বড় তিনবোন তারপর আমি ও আমার ছোট এক ভাই। আমার বোনেরা এস এস সি পাশ করার পর ময়মনসিংহে এসে হোস্টেলে থেকে লেখাপড়া করতেন। কিন্তু আমি এস এস সি পাশ করার পর বাবা আমাদের সবাইকে নিয়ে ময়মনসিংহ শহরে এসে বসবাস শুরু করেন। শহরে চলে আসার পিছনে আমার কলেজে ভর্তি হওয়াটা যতটুকু গুরুত্বপূর্ণ ছিল তার চেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ ছিল বাবার বিরুদ্ধে উনার শত্রুদের আচরণ। উনার শত্রুরা যেন ক্রমেই মারমুখী হতে লাগল। তারপর বাবা শহর থেকেই গ্রামের স্কুলে যাওয়া শুরু করেন।
শহরে এসে পড়ালেখা করলেও আমার মন পরে থাকত সেই গ্রামেই। আমি শহরে এসে নিজেকে চার-দেয়ালের আড়ালে বন্ধী করে ফেলি। কোন বন্ধুবান্ধব জুটাতে পারিনি সেখানে আজও। আমার এইচ এস সি পরীক্ষার ফলাফল খুব ভাল হয়নি। কিন্তু তাতে আমার বাবা অসন্তুষ্ট হলেও আমাকে তা বুঝতে দেননি। তিনি দোকান থেকে মিষ্টি কিনে এনে পাড়া প্রতিবেশী সবার মাঝে বিতরণ করেন। আমি এই ফলাফলে অসন্তুষ্ট হয়ে লেখাপড়া ছেড়ে দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু আমার বাবাই আমাকে ফিরিয়ে এনেছেন সেই পথ থেকে। উনার উৎসাহে আমি ভর্তি হই ঢাকায় একটি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে।
ঢাকায় আসার আগে আমি কোনদিন বাবা মা’কে ছাড়া থাকিনি। তাই প্রতিদিনই ছুটে যেতে চাইতাম ও যেতাম আমার প্রিয় মানুষগুলোর কাছে। তারপর আস্তে আস্তে নিজেকে মানিয়ে নিই ঢাকা শহরের ব্যস্ত আবহাওয়ার সাথে। ঢাকায় আসার পর প্রতিদিন বাবার সাথে মোবাইলে কথা বলতাম। আমি উনাকে নিয়ে প্রতিদিন চিন্তিত থাকতাম যা উনাকে বলিনি কখনো।
২০০৮ সাল, আমি মাত্রই গ্রাজুয়েশন শেষ করে হন্যে হয়ে একটি চাকরি খুঁজছিলাম। রমজানের ঈদ ঘনিয়ে আসছে, চাইছিলাম এই ঈদের আগে কোন চাকরি জুটিয়ে নিজের উপার্জনের টাকায় বাবা মা’কে ঈদের উপহার কিনে দেব। কিন্তু চাকরি আমার হাতে ধরা দেয়নি তখন। ঈদের বাকি আর মাত্র তিন দিন। আমি ঢাকা থেকে চলে গেলাম ময়মনসিংহে সবাই মিলে বরাবরের মত এবারও একসাথে ঈদ করব সেই আশায়। ২৭শে রমজানের রাতে আমাদের গ্রামের বাড়িতে প্রতিবছর অনেক জন মুসল্লিদের সেহরি করানো হয়। তাই বাবা সেই রাতে গ্রামের বাড়িতে ছিলেন সবার সাথে সেহরি করবেন সবার খোঁজ খবর নিবেন সেই আশায়। ঐ রাতটুকু কাটানোর পর পরদিন যখন তিনি রিক্সা নিয়ে এলাকার সবার খোঁজ খবর দিতে বের হন তখন বাবার সেই পুরনো শত্রুরা উনার রিক্সা গতিরোধ করে উনাকে রিক্সা থেকে নামিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নির্মমভাবে আহত করে রাস্তার পাশে ফেলে পালিয়ে যায়। বাবার হাতে গড়া কিছু কুছাত্রও সেই শত্রুদের সাথে মিশে বাবার শরীর থেকে রক্ত ঝরায়। তারপর এলাকার অনেকে বাবাকে রাস্তা থেকে তুলে এনে ময়মনসিংহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। যখন আমি এটা জানতে পারি তখন আমিও ছুটে যাই হাসপাতালে, গিয়ে দেখি উনার আশেপাশের সবাই কান্নাকাটিতে ব্যস্ত আর তিনি সবাইকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন সবাইকে আশা দিচ্ছেন এই বলে যে উনার কিছুই হয়নি। আমি আজো অবাক হয় উনার মনের জোর দেখে। ঐ শত্রুদের হামলায় উনার এক হাত ও এক পা মারাত্মক ভাবে ভেঙে যায়। এক পা থেকে গল গল করে রক্ত বের হচ্ছে দেখেও তিনি বলছেন উনার কিচ্ছু হয়নি। এলাকার অনেকেই চেয়েছিল ঐ শত্রুদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে তাদেরকে এলাকা-ছাড়া করতে কিন্তু আমার বাবা তাদের শান্ত করে বলেছেন “সব একদিন ঠিক হয়ে যাবে, ওরা ওদের ভুল বুঝতে পারবে”। আমি তখন ভাবতাম কবে সেই দিন আসবে? আমার মনে অনেক ক্ষোভ থাকলেও তা বাবার সামনে দেখানোর মত সাহস আমার ছিলনা কোনদিন। ঐ ঘটনা নিয়ে থানা পুলিশ হলও, মামলা হলও, একুশে টেলিভিশনে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হলও আমার বাবাকে নিয়ে কিন্তু অপরাধীরা থেকে গেল ধরাছোঁয়ার বাইরে। আইনের রক্ষক পুলিশ টাকার পূজায় মত্ত হয়ে অপরাধীদের কাছে আপস করে বড় মামলাটিকেও বানিয়ে দিল মামুলি ঘটনায়। বাবার ইচ্ছা ছিল ঐ বছর হজ্জে যাওয়ার, প্রস্তুত ছিল সব কিছুই ছিল উনার প্রস্তুতিও কিন্তু উনার আর যাওয়া হয়নি। পুরোপুরি সুস্থ হতে উনার সময় লেগে যায় দু বছর। কিন্তু সেই ক্ষত আজো রয়ে গেছে। যেমন-ভাবে ক্ষত রয়েছে উনার দেহে তেমনিভাবে আমার মনেও রয়েছে গভীর ক্ষত যা প্রকাশ করা যায় না।
আল্লাহ’র অশেষ রহমতে আমার বাবা এখন সুস্থ। আমার বাবা মা আশায় আছেন এবার দুজন একসাথে হজ্জে যাবেন। সেই ঘটনার অপরাধীরা অন্য একটি খুনের অপরাধে এখন যাবজ্জীবন সাজায় কারাগারে বন্ধী। বাবা’র স্কুলে চাকরির মেয়াদ শেষ হয়েছে দু’বছর আগে কিন্তু স্কুল কমিটির সবাই জোর করেই উনাকে চাকরিতে রেখে দিয়েছেন। যদিও উনার এখনো স্কুলে যাওয়া আমার পছন্দ নয়।
বর্তমান বাস্তবতা হলও আমার সাথে আমার বাবার আমার আগের মত আর কথা হয়না। প্রতিদিন মায়ের সাথে যখন কথা হয় তখন শুধু জিজ্ঞাস করি “আব্বা কই?” যখন শুনি তিনি বাসায় আছেন তখন শান্তি পাই। আর যদি শুনি তিনি বাহিরে আছেন তখন মনের মাঝে উনার জন্য চিন্তা আনাগোনা করে। বাবা যেমন উনার কষ্টগুলো আমাদের বুঝতে দেননি তেমনি আমিও উনার জন্য আমার বুকে জমে থাকা কষ্টগুলো কখনো উনাকে বুঝতে দিই না। উনার সাথে কথা বলতে গেলে আমি কথা হারিয়ে ফেলি। ময়মনসিংহে যাওয়া হয় মাসে একবার তখন একদিনই শুধু উনার সাথে আমার কথা হয়। আমি আমার বাবার জন্য কিছুই করতে পারিনি আমি নিজেকে একজন ব্যর্থ সন্তান দাবি করি। আমি আমার বাবার মতো হতে পারিনি। কেন পারিনি তা আমার অজানা। আমি বাবা মা’কে কখনো বলতে পারিনি তাদের আমি ভালবাসি। কিন্তু আমি উনাদের জন্য ত্যাগ করতে পারি আমার সব। বাবা মায়ের কোন চাহিদা আমি পূরণ করতে পারিনি আজো জানিনা কখনো পারব কিনা। যদিও বাবা মা সব সময় বলেন আমাদের প্রতি উনাদের কোন চাহিদা নেই আমরা যেন সুখে থাকি তারা শুধু তাই চান। কিন্তু আমি কিভাবে সুখে থাকব? আমার সবটুকু সুখতো তাদের কাছেই। তারা সুখে থাকা মানেই আমি সুখে থাকা। যেদিন আমি উনাদের মুখে ফুটাতে পারব একটু হাসি, যেদিন আমি উনাদের চোখের জল মুছে বলতে পারব আমি পাশেই আছি, সেদিনই আমি নিজেকে একজন সফল সন্তান দাবি করব।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
শাহ আকরাম রিয়াদ
মনটা খারাপ হয়ে গেল লেখাটা পড়ে। একই অবস্থানে হয়ত অনেকেই আছেন। বাবা মার জন্য কিছু করতে না পারার যন্ত্রনা যে কি তা সন্তান জানে। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।