ভালোবাসার মানুষ

ভালবাসা (ফেব্রুয়ারী ২০১১)

pinzira khanom
  • ১৫
  • 0
  • ১১২০
সাদিয়া এবার এইচ.এস.সি পার্শ করে মেডিকেল কোচিং করছে। কিন্তু মেডিকেলে সুযোগ না হওয়ায় সে খুলনা বি.এল. কলেজে ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হয়েছে। সাদিয়ার গ্রামের বাড়ী সাতক্ষীরা। সে হোস্টেল না পাওয়ায় একটি বাসায় সাবলেট উঠলো। বাসাটিতে তিনটি বেড, একটিতে থাকতো সাদিয়া অন্য দুটিতে অপরিচিত এক দম্পত্তি ও তাদের দুটি ছেলে। বাথরুমটি ছিলো সাদিয়ার রুমের সামনে কয়েক দিনের মধ্যে ওদের সাথে সাদিয়ার ভালো সম্পর্ক হয়ে গেল। ভাড়া সাদিয়া তিনভাগের একভাগ দিত। সাদিয়া দেখলো আংকেল আন্টি ও তাদের দুটি ছেলে খুবই ভালো। বড় ছেলে সুমন বয়সে সাদিয়ার চেয়ে দুবছরের বড় কিন্তু পড়াশোনা করে না। তবে দেখতে খুব সুন্দর। আর ছোট ছেলে ইমন পঞ্চম শ্রেনীতে পড়ে। সুমন সাদিয়াকে প্রথম দিন থেকে পছন্দ করে ফেলে আর মনে মনে ভাবে ও যদি আমাকে ভালো বাসতো। এদিকে সাদিয়ার ও সুমনকে ভালো লাগে। ভালোলাগা থেকে একদিন সাদিয়া সুমনের কাছে জানতে চায়-সে কেন পড়াশুনা করে না। তখন সুমন বলে- সে সাথী নামের একটি মেয়েক ভালোবাসতো। সাথী তার জীবন থেকে চলে যাওয়ার পর সে পড়াশুনা ছেড়ে দিয়েছে। তখন সাদিয়া সুমনের হাতে হাত রেখে বলে- ‘সুমন আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি। আমি চাই তুমি আবারো পড়াশুনা করো।’ সুমনও সাদিয়াকে অনেক ভালোবাসে। সাদিয়ার অনুপ্রেরনায় সুমন পড়াশুনা করে। সাদিয়া সুমনকে ভালোবেসে টম বলে ডাকে। আর সুমন সাদিয়াকে কবিতা বলে ডাকে। সুমন নিজে না খেয়ে অনেক খাবার বাথরুমে আসার নাম করে সাদিয়কে দেয়। এদিকে সাদিয়া কখনো সুমনের মুখ না দেখ থাকতে পারে না। এভাবে সুখেই কাটছিল দিন। সুমনের এস.এস.সি পরীক্ষা হলো। সে এ+ পেয়ে পাশ করে সুন্দরবন কলেজে ভর্তি হলো। হঠাৎ সুমনের মন পরিবর্তন হলো। সে একদিন ডেকে বললো- ‘কবিতা আমার পক্ষে তোমাকে ভালোবাসা আর সম্ভব নয়। তোমাকে আর ভালো লাগে না। এ কথা শোনার পর সাদিয়া পাগলের মতো চিৎকার ককরতে লাগলো। সে কান্না করতে করতে রুমে গিয়ে বাসা পরিবর্তন করে মেয়েদের মেসে উঠলো। রাতে ঘুমের ঔষুধ খেয়ে ঘুমাতো তবুও একিট বারো সুমনের কাছে কোন রকম কান্নাকাটি করলো না। নিজের কষ্ট হহ্য করেত না পেরে একদিন বিষ খেল। বান্ধবীরা তাকে হাসপাতালে নিল। ওয়াশ করার পর ডাক্তারগণ ওকে খুব বকা দিল। সে সারা দিন হাসপাতালে শুয়ে সুমনের প্রতিক্ষার করলো। তিনদিন পর বাসায় ফিরে সাদিয়া আবারো কান্নাকাটি শুরু করলো। কখন সুমন আসবে এ প্রতিক্ষয় থাকতে থাকতে এক সময় নিজ বদলে গেল।
সাদিয়ার জীবনে সুমন ফিরে এসেছিলো। কিন্তু সে আরগ্রহণ করনি। বলেছে যে ভালো বাসার মানুষকে এক বার কষ্ট দিতে পারে সে বার বার পারে।। তাছাড়া- ভালোবেসে একটি ছেলে বা মেয়ের জন্য জীবন দেয়া যত সহজ তার সঙ্গে ঘর করা ততো সহজ নয়।। তাই আজ ভালোবাসা দিবসে আমার হৃদয়ের সবটুকু ভালোবাসা সেই অসহায় দরিদ্র, বৃদ্ধ, নারী আর বঞ্চিত শিশুদের জন্য। যাদের ভালোবেসে জীবনকে স্বার্থক, সুখি ও সুন্দর করে তুলতে পারি।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
শিশির সিক্ত পল্লব ভাই শুধু না লিখে সাহিত্যের রস নিতে আগে চেষ্টা করুন.................
Dubba অনেক সুন্দর হইছে
ভালো লাগেনি ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১১
বিষণ্ন সুমন অনেক ভালো লাগলো
ভালো লাগেনি ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১১
খালিদ ফারহান motamoti hoise...
ভালো লাগেনি ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০১১
মাহমুদা rahman wellcome everyone....golpo kobita......
ভালো লাগেনি ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১১
সুমন অনেক ভালো
ভালো লাগেনি ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১১
বিষণ্ন সুমন শুভকামনা রইলো
ভালো লাগেনি ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১১

২৬ জানুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৪ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "অবহেলা”
কবিতার বিষয় "অবহেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল,২০২৪