আল্লাহর পরেই মায়ের স্থান

মা (মে ২০১১)

avai slam
  • ১৮
  • 0
  • ৩৩
‘মা’ ডাকটি অনেক মধুর কিন্তু তা কখনও উপলব্ধি করিনি। আমার মা আমার কাছে একটু অপ্রিয় ছিল। যাই কিছু করতে চাইলে সবকিছুতেই তিনি না ছাড়া অন্য কিছু মুখ থেকে বের করতে চাইতো না। আমার মনের ইচ্ছাগুলো কখনও পূরণ হতো না, সর্বক্ষণ অপূর্ণতা রয়ে যেত।
মা একটু রাগি, কেন এমন করতেন আমার মা! এতো দূরত্ব কেন আমার আর আমার মায়ের মধ্যে। দিশা আমার প্রিয় বান্ধবী। সর্বক্ষণ দিশার উপর আমার একটু অভিমান থাকতই। ওর মা ওকে মুখে তুলে খাইয়ে দেয়, টিফিন দিয়ে দেয়। দিশা যে খানেই যেতে চায় সেখানেই যেতে পারে নিশ্চিতে কোন বাধা নেই। আহ! কি শান্তি, দিশার ইচ্ছাগুল খুব সহজেই পূরণ হয়ে যেত।
আর আমি! দিশার দিকে তাকিয়ে নিজের মনের দুঃখগুলোকে ভুলে যেতাম।
কখনও প্রশ্ন করেনি মাকে, কেন এমন করতেন। কিসের এতো কষ্ট আমার মায়ের? কিছু বলতে গেলেই ভয়ে কাঁপতো; কেন এতো জড়তা। এতো প্রশ্ন নিজের মাঝে আসে কিন্তু মাকেই কখনও বলা হয়নি আমার।
মাঝে মধ্যে মনে হয় মাকে জড়িয়ে ধরে বলি মা তোমার কোন কষ্ট থাকলে আমাকে বল সব কষ্ট তোমার কমে যাবে।
মা, ও... মা আমায় একটু জড়িয়ে ধরো না! একটু ভাত মাখিয়ে খাইয়ে দেওনা; কতনা স্বপ্ন দেখি মা কে নিয়ে কিন্তু কখনই আমার বলা হয়ে ওঠে না।
আমার রুমের ঠিক উল্টো দিকে বারান্দা। আমি সিঁড়ি দিয়ে উঠছি। ঠিক দেখি, আমার বারান্দায় মা দাড়িয়ে; পার্শে মামার কথার শব্দ খুব জোড়ে জোরে ভেসে আসছে। বোঝা যাচ্ছে না কিছুই স্পষ্ট ভাবে। আমি একটু কাছে ঘেঁষে আড়াল করে শোনার চেষ্টা করলাম। শুনলাম আমার মায়ের কষ্টের কথা। আমার মায়ের চোখ ভেসে পরে যাচ্ছে পানি। আমিও আড়াল করে রাখতে পারলাম না আমার চোখের পানিকে।
শুনলাম আমার মায়ের দুঃখে ভরা কথাগুলো। আমার মা ভালবেসে যাকে বিয়ে করেছিলেন, যে নাকি আমার বাবা; সেই ব্যক্তি বিদেশ যেয়ে আরেকটি বিয়ে করে সংসার পেতেছেন citizenship পাবার জন্য। আমার মা আর আমাকে ফেলে। এছাড়া আরও একটি problem; মায়ের কিডনির problem, তখনও আমার জানা ছিল না আমার মায়ের কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে; সে আর বেশি দিন বাঁচবে না। তাই আমাকে ভালো না বেসে দূরে দূরে রাখে। যাতে, আমি কোন কষ্ট না পাই মায়ের কথা ভেবে।
মা, ও... মা মাগো তুমি কই? আকাশের তারা হয়ে কি তুমি আমায় দেখছ, বল না। মা! মা বলে ডাকার কেউ নেই আমার। বড় অসহায় আমি। পৃথিবীর বুকে নিজেকে খুব একা মনে হয় মাকে ছাড়া।
এখন উপলব্ধি করি মা কি! কারণ আমার সন্তান আমার গর্ভে আমি বুঝতে পারি উপলব্ধি করতে পারি, আসলেই মা এর তুলনা হয় না।
“আল্লাহর পরেই মায়ের স্থান; মা, মা...ই”
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
হোসেন মোশাররফ কিছু ভুল বাদ দিলে আপনি লিখেছেন ভালো / ধন্যবাদ আপনাকে ///
ojhor dhara আমাদের জীবনটা আসলে এমনই যখন যা পাই তখন তার কদর দিতে পারি না আর যখন তা হারিয়ে ফেলি তখন তার গুরুত্ব অনুভব করি । তবে মায়েরা যদি সন্তানের সাথে বন্ধুত্ব পূর্ণ সম্পর্ক রাখে তাহলে মা এবং সন্তানের কষ্ট অনেক কম হয় । আপনি মাকে ভুল বুঝে যে কষ্ট পেয়েছিলেন আপনার মা যদি তার কষ্টগুলো আপনার সাথে শেয়ার করত তাহলে তিনি যে কয়দিন বেচে ছিলেন প্রতিটা দিন সুন্দর হত আর সেই সুন্দর স্ম্রতিগুলো আপনার জীবনের সব চেয়ে মধুর হত নিঃসন্দেহে । আপনার ও আপনার অনাগত সন্তানের জন্য রইল অনেক অনেক শুভ কামনা । ধন্যবাদ
প্রজ্ঞা মৌসুমী মায়েরা স্রষ্টার সৃষ্টিকে রূপ দেন। সৃষ্টার ভালবাসা আর মমতার আভাসও পাই মায়ের মধ্যে। ভালো না বেসে দূরে দূরে রাখে- কথাটা বোধহয় উল্টোটা হবে। 'প্রচণ্ড ভালো বেসেছিল বলেই মা সন্তানকে দূরে দূরে রেখেছিল।' আপনার লেখা ভাল লাগল। পাঠককে ধরে রাখার ক্ষমতা লেখায় আছে। ধৈর্য নিয়ে লেখার যত্ন করবেন তা হলেই হলো। শুভ কামনা
আহমেদ সাবের আপনার মায়ের গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
সূর্য গল্পটা খুব সুন্দর, বর্ণনা আর একটু বিস্তৃত হলে পরিপূর্ণ হতো তবে শেষটা ভাল হয়েছে (এখন উপলব্ধি করি মা কি! কারণ আমার সন্তান আমার গর্ভে আমি বুঝতে পারি উপলব্ধি করতে পারি, আসলেই মা এর তুলনা হয় না)
এস, এম, ফজলুল হাসান ভালো লাগলো গল্পটি , ধন্যবাদ
বিন আরফান. আল্লাহর পরেই রাসূলের (সাঃ) স্থান. তার পরেই মা. আবেগ আর বাস্তবতার আলোকে সাজিয়েছেন আপন মনে. ভালো লাগলো. চালিয়ে যান. শুভ কামনা রইল.

১৭ জানুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৫ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“ডিসেম্বর ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ ডিসেম্বর, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী