বিনোদিনীর কপালটা বড় বেশি চওড়া একেবারে আকাশের মত ! মা-জ্যেঠীরা বলতো,প্রশস্ত কপালের অধিকারিণীরা নাকি বড় কপালী,ভাগ্যবতী!
অথচ বিনোদিনী এই এত বড় কপালটা ঢাকতে চুলগুলি সামনে ছড়িয়ে দিত, যাতে কুশ্রী না দেখায় । পূর্ণিমার চাঁদের মতো কপালের মাঝে এত্তোবড় গোল একটা টিপ পরতো, যাতে কপালটা ছোট হয়ে আসে । বড় কপালী মেয়েদের ভালো দেখায় না তাই সাজসজ্জাতে বড় যত্ন !
আকাশের মত উদার হয়েও বিনোদিনীর ঐ চওড়া কপালে সুখ জোটেনি ! পূর্ণিমার চাঁদ টিপ পরার পরও তার জীবন আকাশে সব সময় কষ্ট দুঃখের অমাবস্যাই খেলা করেছে । ঝকঝকে মেঘহীন সুনির্মল আকাশের মত জীবনের সাথে,বিনোদিনীর কখনো দেখা হয়নি !
মা-জ্যেঠীদের কথা ভুল প্রমাণিত করে বিনোদিনী একদিন তার চওড়া কপালে, পশ্চিম আকাশে সূর্যাস্তের পূর্ব মুহূর্তের লাল বৃত্ত সূর্যটির মতো বিশাল সিঁদুর টিপটি নিয়েই সাত সাতটা অবুঝ বাচ্চার সামনে অকর্মণ্য স্বামীর কোলে মাথা রেখে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলো !
পাড়ায় ধন্য ধন্য পড়ে গেল! এমন বড় কপাল ক’জনের হয়? এঁয়োতির চিহ্ন কপালে নিয়ে লাল পাড় গরদ শাড়ি আর গলায় মালা পরে চিতায় উঠলো মাত্র পঁয়ত্রিশ বছরের বিনোদিনী, আকাশের মত চওড়া বড় কপালী বিনোদিনী !
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
ফাতেমা প্রমি
ধুর.. এত্ত কষ্টের একটা কবিতা আপনাকে কে লিখতে বলল??? অনেক অনেক অনেক কষ্ট লাগলো...''লাল পাড় গরদ শাড়ি আর
গলায় মালা পরে চিতায় উঠলো
মাত্র পঁয়ত্রিশ বছরের বিনোদিনী,
আকাশের মত চওড়া বড় কপালী বিনোদিনী !''....চমত্কার!!!!
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।