“নক্ষত্রদেরও মরে যেতে হয় ! হয় নাকি ? এই বলে সে তাকাল তার সঙ্গিনীর দিকে । “
আমার ঘুরে ফিরে এই লাইন কয়টিই মাথায় আসছে। এবার কথা বলার চেষ্টা করলাম। অসাড় হয়ে যাওয়া জিভটিকে আমি কামড়ে ধরে আছি কতক্ষন ধরে । এরই মাঝে জন্ম নেবার পুরো প্রক্রিয়া আমি পার হয়ে এসেছি। তীব্র আলোর ঝল্কানির সাথে নিজেকে আমি আবিষ্কার করেছি আর সব দেব শিশুদের সাথে একটা স্লিপিং রাইডে। সাদা পোশাক পড়া সব ছোট্ট শিশু।পুতুলের মত। আমিও তাদের একজন হয়ে দূর থেকে নিজেকে লক্ষ্য করলাম। একবার অবশ্য মনে হয়েছিল আমি বুঝি মৃত্যু পরবর্তী জীবনে প্রবেশ করেছি। ভয় পাবার বদলে অনন্ত এক জিজ্ঞাসা আমাকে আছন্ন করেছিল। আমি কে? কোথায়? কোন স্মৃতি বা পরিচয় মনে পড়ছিলনা।অদ্ভুত এক চেতনাহীন জীবনে আমি অবস্থান করেছি।কারা যেন দূর থেকে কি কথা বলছিল। তাদের ভাষা আমি অনেক চেষ্টা করেও বুঝতে পারিনি। হঠাৎ প্রচন্ড শীতে আছন্ন আমি পেথিড্রিনের প্রতিক্রিয়া শেষ হবার আগেই জেগে উঠলাম । লাবন্যপ্রভা ভোর হতে দাঁড়িয়ে আছে মনে হতেই একটা অপরাধবোধ জাগল ।নিশ্চয় এতক্ষনে সব নিকট আত্মীয়রা জেনে গেছে । কেউ কেউ দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে আছে । এরই মাঝে ঝম ঝম বৃষ্টি পড়ার শব্দ আমার উৎকণ্ঠা বাড়িয়ে দিল। কেন কে জানে লাবন্য একবার কপালে হাত রাখলেই আমার উত্তাপ কমে যাবে মনে হতে লাগল। সিনেমার শুটিং ফেলে উঠতি এক অভিনেত্রী অক্ষম স্বামীর জন্য অপেক্ষায় আছে সারাদিন ধরে ।এর বেশি সে কি আশা করতে পারে !নক্ষত্রদের মৃত্যু আছে ভালবাসার কি নেই ! ।পৈতৃক সূত্রে সম্পদ পাইনি কিছুই । লাইফ ইন্সুরেন্সের এজেন্ট হয়ে এক হাজার আরব্য রজনী ঘুরে বেড়িয়েছি ।একহাজার টাকার পলিসিও করাতে পারিনি । ব্যবসার মারপ্যাঁচ বুঝিনি কখনো । তবে অনির্বচনীয় সুন্দর কভারে মোড়ানো কবিতার বই আমার বেরোয় প্রতি বছর। আর পয়সা ! সেটা উপন্যাস লিখলে পাওয়া যায়। কবিতার বই কয়জন কিনে! কিন্তু কবিকেও যে বাজারে যেতে হয় !
[কবি জীবনানন্দ দাশ স্মরণে। যার কবিতা না পড়লে আমার জীবন অপূর্ণই থেকে যেত।]
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
রোদের ছায়া
যত টুকু পড়লাম মনে হচ্ছিল কোন কাহিনির শুরু । আরও কিছু পড়ার ইচ্ছা নিয়েই যেতে ইচ্ছে তবে অল্প পরিসরে একটা ঘটনার ( কবির জীবনের ) যে চিত্র এঁকেছেন টা বেশ মনকে নাড়িয়ে দিল । কথায় আছে অভাব দয়জায় দাঁড়ালে ভালবাসা জানালা দিয়ে পালায় ......কথাটি হয়তো সত্যি ।
রওশন জাহান
আমি রীতিমত মুগ্ধ এবং কৃতজ্ঞ পাঠকদের কাছে আমার এই অর্ধেক লেখা গল্প পড়ে মন্তব্য করার জন্য। ভবিষ্যতে লেখার সময় নিশ্চিত আমি মনে রাখব পাঠকদের ভালবাসা।
মনতোষ চন্দ্র দাশ
নক্ষত্রদের মৃত্যু আছে ভালবাসার কি নেই ! ।পৈতৃক সূত্রে সম্পদ পাইনি কিছুই । লাইফ ইন্সুরেন্সের এজেন্ট হয়ে এক হাজার আরব্য রজনী ঘুরে বেড়িয়েছি ।একহাজার টাকার পলিসিও করাতে পারিনি । ব্যবসার মারপ্যাঁচ বুঝিনি কখনো । তবে অনির্বচনীয় সুন্দর কভারে মোড়ানো কবিতার বই আমার বেরোয় প্রতি বছর।লেখাটি পড়ে খুবই ভাল লাগল।ভাল থাকবেন ।
সূর্য
"কবিতার বই কয়জন কিনে! কিন্তু কবিকেও যে বাজারে যেতে হয় !" প্রয়োজন সব সময়ই জোগানের চেয়ে বেশি এগিয়ে থাকে। চাহিদাতো আর কাব্য বোঝে না। সব ছাড়িয়ে তবু কবিতার জয় হোক। দারুন একটা আবহ তৈরি করেছো
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
বিজ্ঞপ্তি
“জানুয়ারী ২০২৫” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ জানুয়ারী, ২০২৫ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।