কুয়াশার ফাঁক-ফোকড় দিয়ে এবাড়ি ওবাড়ি ছুটে চলে রসওয়ালা; কাঁধে দুই টিন তাজা রস, মাফলারে নাক-মুখ ঢাকা। বউ-ঝিরা হাতে জগ-পাতিল নিয়ে দর কষাকষি করে; এই ফাঁকে পুরো বাড়ি-ঘরে ছড়িয়ে পড়ে তাজা রসের মিষ্টি গন্ধ। ঘন কুয়াশা ঠেলে রস বেচে ফিরে যায় রসওয়ালা; তখনও সূর্য ওঠে না।
সমবয়সী ক'জন কিশোর-কিশোরী গল্প জুড়ে দেয়। শীত এলেই সবার গর্ভে আগুন আসে - নাক-মুখ দিয়ে জন্ম নেয় উষ্ণ ধোঁয়া। তীব্র শীতের সকালেও বড় কয়েকজনকে গোসল করতে দেখে অবাক হয় তারা। দস্যি কেউ একজন শালের নিচ থেকে কাঁপতে কাঁপতে বলে - "এইডা আর এমন কি?"
অধিকাংশ ঘরেই পিঠা তৈরী হয়। পিঠার উষ্ণ সুবাস বেড়ার ফাঁক গলে পৌঁছে যায় নিভন্ত চুলো-ওয়ালা ঘরেও।
* * * * * * * * * * * * * * *
শীতের বয়েস বেড়েছে। খেজুড়-রসের সেই মিষ্টি গন্ধ বদলে গেছে, রসওয়ালার আসা-যাওয়া অনিয়মিত। আগের কিশোর-কিশোরীরা এখন ভোরে গোসল করে। কেন গোসল করে তা জানে বলেই এখনকার কিশোর-কিশোরীরা অবাক হয় না - হাসে। তারা অনেকটা আগেই জেনেছে, কারণ খুব দ্রুতই উন্নত (!) হচ্ছে সভ্যতা।
অধিকাংশ ঘরেই এখন পিঠা তৈরী হয় না। কয়েকটা ঘর থেকে ইংরেজী খাবারের গন্ধ ভেসে আসে; নাক হয়ে মস্তিষ্কে যায় - ঐ পর্যন্তই। বুকে রয়ে যায় পুরনো সেই উষ্ণ সুবাস - তাজা রস আর ধূমায়িত পিঠার!
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
তানি হক
অধিকাংশ ঘরেই এখন পিঠা তৈরী হয় না।
কয়েকটা ঘর থেকে ইংরেজী খাবারের
গন্ধ ভেসে আসে;
নাক হয়ে মস্তিষ্কে যায় - ঐ পর্যন্তই।
বুকে রয়ে যায় পুরনো সেই উষ্ণ সুবাস -
তাজা রস আর ধূমায়িত পিঠার! ..............:)
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।