ধন্যবাদ হে বিশ্বকাপ

বিশ্বকাপ ক্রিকেট / নববর্ষ (এপ্রিল ২০১১)

শুহানা রাহমান
  • ৩০
  • 0
  • ৩০
অনেক কষ্টে পাওয়া সোনার হরিণ নামক টিকেট নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি মাঠে ঢুকবো,খেলা দেখবো বাংলাদেশ বনাম ভারতের ।ঠেলাঠেলি আর মানুষের ধাক্কায় এক সময় খুঁজে পেলাম নিজের আসনটি।যেদিকে চোখ যায় কেবল মানুষ আর মানুষ।আমার সামনের আসনগুলোতে কয়েকটি মেয়ে বসা।আমার সাথে আসাটি বন্ধুটি খুব খুশি।আমায় বলল,দোস্ত জটিল একটি জায়গায় বসলাম মাঠে তামিম আর সামনে আসমানের পরী ।
সাকিব যখন টস জিতল,আমরা আনন্দে ফেটে পড়লাম কিন্তু পণ্ডিত যখন বলল,বল করবে খুব কষ্ট পেলাম।যাই হোক খেলা শুরু হল।ভারতীয়দের ব্যাটিং দেখতে ভাল লাগছিল না।সামনে বসা একটি মেয়ের দিকে চোখ আটকে গেল।তাকে দেখে কেবলই বনলতা কবিতাটি মনে পড়ছিল।শেবাগ চার মারছে আর সবার মতো মেয়েটি ও কষ্ট পাচ্ছে। শেবাগ-কোহলীদের ব্যাটিং যতটা না আমাকে কষ্ট দিল তার চেয়ে বেশি কষ্ট দিল মেয়েটির মলিন মুখ।
একসময় শেষ হল ভারতের কষ্টদায়ক ব্যাটিং। বাংলার টাইগাররা প্রথমেই গর্জে উঠল।চারিদিকে সেকি আনন্দ!মেয়েটির হাতে কোন প্লে কার্ড ছিল না আর তাই আমার হাতের চার লিখা প্ল্যাকার্ডটি সামনের মেয়েটির দিকে বাড়িয়ে দিলাম।মেয়েটি কার্ডটি হাতে নিল,ধন্যবাদ দিল কিনা মানুষের চিৎকারে তা আর শুনতে পেলাম না।কার্ডটিতে আমার মোবাইল নাম্বার লিখে দিয়েছিলাম।বাংলাদেশ হারল নাকি সাকিব আমাদের হারালো সেই হিসাব মিলাতে মিলাতে কখন যে সামনে বসা মেয়েগুলো বেরিয়ে গেল টের ও পেলাম না।
দল হারার কষ্ট নিয়ে বাসায় এলাম কিন্তু রাতে ঘুম আসলো না ।কেবলই মনে হচ্ছিল সেই অচেনা মেয়েটির কথা।শেষ রাতে যখন নিদ্রা দেবী এসে চোখে ভর করল তখন বুঝতে পারলাম নিজেরই অজান্তে মেয়েটিকে ভালবেসে ফেলেছি।দিনগুলি কাটছিল এক অচেনা কষ্ট নিয়ে আর কেবলই মনে হচ্ছিল আহ যদি মেয়েটি ফোন দিত।
মাঝ রাতে অচেনা নাম্বারের ফোন।রাগ আর মনে মনে কিছু গালি সাজিয়ে ফোনটা রিসিভ করলাম।আগামীকালের খেলা কি মাঠে দেখবেন ? মিষ্টি কণ্ঠের এরকম প্রশ্ন শুনে গালি দিব তো অনেক দূরের কথা প্রশ্নের উত্তর ই দিতে পারি নি।কণ্ঠটি আবার বলল,"আমার এক বান্ধবীর বাবা হাসপাতালে তাই সে আগামীকাল খেলা দেখতে পারবে না।আপনি কি যাবেন নাকি আপনার অন্য কোন কাজ আছে ? আমার নাম স্বর্ণা,আপনি আমাকে প্ল্যাকার্ড দিয়েছিলেন।"কত সময় পর তার উত্তর দিয়েছিলাম মনে নেই।শুধু মাত্র যাব বলেই আলাপ শেষ করলাম।
আজ সকালের সূর্যটার রং কি গাঢ় সোনালী ছিল কিনা জানি না।কেবল জানি আমার জীবনের সবগুলো রং আজ সোনালী।একসময় তার সাথে দেখা হল,পাশাপাশি বসে দেখলাম বাংলা টাইগারদের বিজয় গাঁথা।জানি বিশ্বকাপ একসময় শেষ হবে,হারিয়ে যাবে স্মৃতির আড়ালে।কেবল রয়ে যাবে আমাদের ভালবাসা আর এক সাথে দুজনার পথ চলা ।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
শিশির সিক্ত পল্লব অসাধারনেই দিলাম আপু।ভাল লিখেছেন.................
শুহানা রাহমান ধন্যবাদ সবাইকে যারা আমাকে ভোট দিয়েছেন বলে মনে করি৷আর যারা মূল্যবান মতামত দিলেন.......................................
শুহানা রাহমান মৎস্য কন্য..গল্প তো গল্পই..নারীরা এখন অনেক এগিয়ে৷আর প্রথম দর্শনে ভালবাসা বলে একটা কথা আছে৷আর ভালবাসা গনিতের মতো হিসেব করে হয়?ধন্যবাদ.......
ফাতেমা প্রমি গল্পটা দেখে বুঝলাম লেখার হাত খারাপ না...তবে শেষে কি হলো বুঝলাম না.. 1ta ছেলে প্লাকার্ড দিলেই কেউ কৃতজ্ঞতা/ভালবাসা যাই হোক..কোনো কারণেই ফোন কি আসলেই করে মানুষ এতটুকুতে??? ভালবাসা এতই কি সহজে হয়ে যায়?? আপনার লেখার হাত ভালো-আরো লিখবেন আপু..
মেহেদী আল মাহমুদ বাংলাদেশ হেরেছে, তবে শান্তনা- আপনারা তো জিতেছেন।
শুহানা রাহমান দেবব্রতওজহুরূল ভাই ধন্যবাদ৷আগামীতে আর বড় গল্প হবে আশা করি৷
দেবব্রত দত্ত আরো লম্বা দরকার
মুহাম্মদ জহুরূল ইসলাম যেমন রূপ তেমন গল্প. অপূর্ব.
শুহানা রাহমান সবাইেক মন থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি....আশা করি আগামীতে আর ও ভাল লিখবো...সবাই দোয়া করবেন...ভাল থাকুন........
মাহমুদা rahman শুহানা অনুগল্প কিন্তু সুন্দর..প্রাঞ্জল....ভাল লেগেছে..আরো লিখবেন,,,,,

০৭ মার্চ - ২০১১ গল্প/কবিতা: ২ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪