হাসানের মনটা আজ ভীষন খারাপ৷জীবনের এই প্রথম তাকে তার মাকে ছাড়া,বোনকে ছাড়া থাকতে হবে৷এর আগে সে পরিবার ছাড়া থাকেনি এমন নয় তবে তা ২-৩ দিন কিন্তু এবারের ব্যপার অন্য৷এবার সে জীবনের প্রয়োজনে চাকরী করতে যাচ্ছে,তাও আবার ঢাকাতে! হাসান বরাবরই কিছুটা লাজুক আর ভাবুক ধরনের৷হালকা-পাতলা দেহটা নিয়ে তার না যতটা মাথাব্যথা তার থেকে অধিক চিন্তা তার বোনের৷ঝড়ের সময় সে কিছুতেই হাসানকে বাইরে যেতে দেবে না৷তার নাকি কেবলি মনে হয় প্রবল বাতাস হাসানকে উড়িয়ে নিয়ে যাবে৷এ নিয়ে তাদের মাঝে অনেক সময় মান-অভিমান হয়,ঝগড়া হয়৷আর ঝগড়া হলে হাসান ছুটে যায় মার কাছে কিন্তু মা কোন সমাধান দেয় না বলে সে ধরে নেয় এবার ও তার বোন বিজয়ী৷ আজ সকালটা কেন হল?কি দোষ হত যদি সকালটা না আসতো৷আজ হাসান ঢাকা যাবে৷সেই ঢাকাতে যেখানে নাকি দেশের সব কোটি টাকার মালিকরা বাস করে৷বড়বড় অট্টালিকা নাকি দাঁড়িয়ে আছে আকাশ ছোঁবার অপেক্ষাতে৷কিন্তু অট্টালিকা বড় হলে ও নাকি মানুষের মনগুলো বড় নয়৷সেখানে কেউ কার ও নয়,খোলা আকাশের নীচে পড়ে থাকে মানবের লাশ৷পাশ দিয়ে যাওয়া পথচারি ফিরেও তাকায় না লাশের পানে৷এসবই হাসানের শোনা কথা কারন এর আগে সে কোনদিন ঢাকা যায়নি৷ মার সাথে আজ তার অনেক কথা৷যাবার আগে হাসান গিয়ে বসল মায়ের কাছে৷আমি আজ ঢাকা যাব মা,জানি তোমার কষ্ট হচ্ছে কিন্তু কি করবো জীবন যুদ্ধে তো যেতে হবে৷নিজের প্রতি নজর রেখ তোমার মেয়ে তোমার খেয়াল রাখবে৷আর যদি খেয়াল না নেয় আমায় বলবে৷মা,আমি ঢাকা যাচ্ছি৷সেখানে নাকি তোমার মত মা নেই যে কিনা অপরের ছেলেকে জড়িয়ে ধরবে আপন মমতায়৷ভাল থাক বাবা,খেয়াল রাখবি নিজের প্রতি৷রাত করে ঘুমাবি না৷সময় মত খাবার খাবি আর শোন প্রবল বাতাসে বের হবি না৷হাসান বুঝতে পারে তার মায়ের কথা৷ কুলাউড়া হতে সকালের ট্রেনে হাসান চড়ে বসল ঢাকা যাবার জন্য৷এক সময় আস্তে আস্তে যান্এিক জীবটি ছুটে চলল ঢাকার দিকে৷হাসানের বোনের কথা মায়ের কথা মনে পড়ছে৷বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে আসার পর হাসান কেবলি অবাক হচ্ছে!কি বড় বড় অট্টালিকা,রাস্তায় কত সুন্দর সুন্দর গাড়ী৷বনানী পাড় হবার পর সে আরও অবাক হল৷রেল লাইনের দুপাশে মুরগির আতাল ঘরের মত ছোট ছোট ঘর দেখে৷তারই পাশে আবার মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে বিশাল দালান৷সে ভাবে এ ছোট ঘরগুলোতে মানুষ বাস করে,কোন এক নারী বধু হয়ে আসে এ ঘরে৷এক সময় বস্তি কাঁপিয়ে খোলা আকাশের নীচে wPrKvi করে ঘোষনা করে কোন মানব সন্তান তার আগমন বার্তা৷তার ক্ষুদিত কান্না হয়তবা ঈশ্বরের কানে আঘাত করে কেবল আঘাত করতে পারে না পাশে দাঁড়ানো অট্টালিকায় বাস করা যন্এ মানুষগুলোর মনে৷ চারমাস পর..হাসান দাঁড়িয়ে আছে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ১৫তলায়৷তার এক সহকর্মীর মাকে দেখতে আর রক্ত দিতে৷ সহকর্মীর মাকে দেখে নিজের মায়ের কথা মনে পড়ল৷রক্ত দেবার জন্য চলে এল সেখানে,যেখানে রক্ত নেওয়া হয়৷রক্ত দিয়ে আসার পথে সে মাথা ঘুরে পড়ে যায়৷তারপর আর মনে নেই৷ছেলেটা মনে হয় সকালের নাস্তা করে নি৷এই ছেলে চোঁখ খুলো তোমার কিছু হয়নি আর এ শরীরে কে বলেছে রক্ত দিতে৷নিজের কথা আগে ভাবতে হয়৷মহিলাটি এসব বলছেন আর হাসানের চোঁখে-মুখে পানির ছিটা দিচ্ছেন৷কিছুটা শক্তি আসার পর সে চোঁখ মেলে তাকালো এবং দেখতে পেল পরম মমতা নিয়ে মাঝ বয়সী এক মহিলা তার দিকে তাকিয়ে আছে৷সে মিষ্টি করে হাসার চেষ্টা করল৷কিছু উপদেশ দিয়ে মহিলাটি চলে গেল জীবনের পথে৷ আজ অনেকদিন পর সে মায়ের পাশে এসে বসল৷মাকে বলল তার এতদিনের জমানো কথা৷সেই মমতাময়ী মহিলার কথা৷প্রতিবারের মত এবার ও তার মা কথা বলে না৷হাসান আর নিজেকে ধরে রাখতে পারে না সে কাঁদতে থাকে প্রচন্ড শব্দে৷কান্নাশুনে তার বোন ছুটে এল কবরের পাশে৷বোনকে দেখে হাসানের কান্না আর ও বেড়ে যায়,তার বোন ও কাঁদতে থাকে কারন তাকে জন্ম দেবার সময় যে তাদের মা মারা যায়৷
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মামুন ম. আজিজ
সূর্য ঠিক বলেছনে।
তাড়াহুড়া না করে ভাষাকে মনের মধ্যে নিয়ে ধীরে ধীরে লিখে ফেলো....তোমার মধ্যে লেখার ইচ্ছে প্রকাশিত হয়েছে এই গল্পেই। আর সাথে গল্পের কাহিনী বৈচিত্র্য আরও বেশী হলে চমক বাড়বে।
তোমার জন্য শুভকামনা।
সূর্য
গল্পের ব্যপ্তির তুলনায় ভাষা সল্পতা লক্ষনীয়, এতে গল্পটা খুব স্পিডি হয়ে গেছে। ভবিষ্যত লেখায় এটা খেয়াল রাখার অনুরোধ থাকলো। এমনিতে ভাল বলা যায়...............
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।