দায়রা জজের আদালতে
বন্ধু আমার কেস ঠুকেছে
টেনশনে কইলজা শুকায় যায়, যায় রে
চোখের ঘুম হারাম হইয়া যায়।
জায়গা জমিন নয় রে বিষয়
বিষয় দুইটি মনেরই
মনঘরে ঢুকে নাকি, করছি আমি রাহাজানি
জড়াইলো সাজানো মামলায় রে বন্ধু
নাওয়া খাওয়া বন্ধ হইয়া যায়।
উকিল মোক্তার আছেন সবাই
চলছে কোর্টে শুনানি,
কি যে রায় হবে শেষে, জানেন অন্তর্যামী।
তোমার আমার জানার সাধ্য নাই বন্ধু
এমন বন্ধু কেমনে জুইটা যায়............."
********
আজকে (৩১-১২-২০১০)এ মুহুর্তে আব্বা-আম্মা কেউ বাসায় নেই। তাই আরাম করে ঘরে বসে, ফার্ষ্ট Class এক কাপ চা বানালাম, দুধ- চিনি বেশী দিয়ে,সিগারেট ধরালাম আয়েশ করে। আর ক্যাসেট বাজিয়ে শুনছিলাম অন্যতম প্রিয় শিল্পী পপসম্রাট আজম খানের একটি গান....। সেই সাথে জীবনের চৎবারড়ঁং গড়সবহঃ এর অন্যতম এক (২০০৭-২০১০ সেশন) মাহেন্দ্রক্ষণের সুখানুভূতি রোমন্থন করছিলাম, কাগজের সাদা পাতায় লিখে লিখে ...................!
***********
ওর সাথে যখন আমার প্রথম প্রথম কথা হতো, তখন প্রায়ই ওকে দেখতে যেতাম আমার এক আন্টির বাসায়। কোন না কোন একটা ছুতো দেখিয়ে আন্টির সাথে গুরুত্বপূর্ণ কথা বলার ওসিলায় যেতাম। আর ভিতরে ভিতরে অস্থির হয়ে যেতাম ও'কে আমার বুকে জড়িয়ে ধরার জন্যে। কিন্তু ইচ্ছে থাকলেও উপায় হয় না। কেননা, শয়তান পারিপাশ্বর্িকতাটা ছিলো রুদ্র, একেবারে শ্বাপদ সঙ্কুল। আর ঐ-ও আমাকে অনেক, অনেক এ্যাভোয়েট করেছিলো দূরত্ব রাখার জন্যে, মাতাপিতাদের ভয়ে। ও সেখানে আসতো, ঐ আন্টির ছোট্ট সোনামনিদেরকে পড়াতে, আর আমি সেখানে যেতাম, বিভিন্ন রকম ধান্দা করতে।
*********
অবস্থা অনুযায়ী ব্যবস্থা। দিনদিন প্রতিদিনই ফোন করেও যখন ওর কাছ থেকে ভালবাসার কথা জানতে পারিনি সরাসরি, তখন ছোট্ট একটা এস.এম.এস.করে, তারপর ফোন করে, ওর ভিতরের সুপ্ত বাসনা বহু সাধানার পরে জানতে পেরেছিলাম।
অন্তরঙ্গ মুহুর্তের মত গল্প করে তখন মোবাইলে বিল উঠে যেত প্রতিদিন প্রায় দু'তিনশ টাকা (FNF সহ)। যদিও ল্যাঞ্চুন-এ যাওয়া হয়ে ওঠেনি কখনও (ওকে বলতাম "বাইরে না বেড়িয়ে, বাসায় এসো! রাস্তায় অনে-ক জ্যাম! আর প্রচূ-র ধূলা!) ভিতরে ভিতরে তখন আন্দাজ করে নিলাম, আমার হৃদয়টা ফাঁকা নয়...! হৃদয় নামক জিনিষটা আমি দেখিনি, কিন্তু পুলক উপলব্ধি করতে পারছি.... আমার পরবর্তী সময়ের পরিপূর্ণতার!
মনে হয়,প্রাগৈতিহাসিক কোন যুগে বলা হতো, ' কার মনের ভিতরে কি আছে ........... বলা যায়না..........!সবার সাথেই মেশামেশি কোরোনা বাবা...........!'- এটা তখন মনে মনে, মনে হতো, আর মিটি মিটি হাসতাম!
***********
এস.এম.এস. এ ও'কে উল্লেখ করেছিলাম "........সামনে মাসের ছয় তারিখে আমার বিয়ে, মেয়ের নাম মেরিন, সম্পূর্ণ নাম জানিনা। মেয়ের বাবা মার্কিনিজ, মা বাঙালী। আমার আম্মার ছোট বেলার বান্ধুবী মেরিনের আম্মা। বিয়ের সৌজন্যে ওর আম্মা আমাকে ছয়লক্ষ টাকা দিয়েছেন! Just 4 Enjoy! not 4 otherwise ! আমাদের মধুচন্দ্রকে স্মরনীয় করে বরনীয় করে তোলার জন্যে!"(ঈশ্!)
ঝগঝ পাঠানোর কিছুক্ষণ পর ও'কে ফোন দিলাম।দেখি, ও' কাঁপাকাঁপা কন্ঠে, কেমন যেন হালকা অনুভূতি নিয়ে কথা বলছে। আর আমি ভান্ করলাম, আমি বিয়ের খুশিতে বগল বাজাচ্ছি, তাই হেসে হেসে কথা বলছি। (ওকে আরেকটু উস্কে দেয়ার জন্যে অভিনয় করছিলাম...!)
হঠাৎ ও আমাকে জিগেশ করল, "আচ্ছা, আপনার নাকি বিয়ে?"
ওর কথা শুনে আমি ভঙ ধরলাম...(বিয়ের জন্য খুশির ঠেলায়) প্রফুল্ল কন্ঠে আমি বললাম, "ও ! হ্যাঁ!
এস.এম.এস. পেয়েছো তাহলে! ভেরী নাইস! আমার বিয়েতে এসো, আমি এখন হোটেল র্যাডিসনে যাচ্ছি বিয়ের এ্যারেঞ্জমেন্ট করতে । হলরুম বুকিং দিতে!(আহ্!)সামনের দিনগুলোয়তো আরও ব্যস্ত থাকবো....! তোমাকে সেই কবে থেকে বলছি, চলো কোথাও বেড়িয়ে আসি, তুমি আমাকে চান্সই দাওনি! অথচ সেই তিন বছর ধরে তোমাকে দেখি...... আমার বিয়ের তো আর মাত্র ৬/৭ দিন বাকি, চলো না! এই ফাঁকে একটু বেড়িয়ে আসি! বিয়ের পর তো আর তোমার সাথে বেড়াতে পারব না, তখন তো মধুচন্দ্র দেখতে যাবো অ্যামেরিকায়, প্লীজ! কালকেই চলোনা একটু সময় করে, আমার প্রিয় শাহবাগের শিশুপার্কে....!"
এই কথা শুনার সাথে সাথে একেবারে কান্নাভরা মিষ্টি কন্ঠে ও বলেছিলো,
"মাপ চাই! মাপ চাই! মাপ চাই!"; ওর ভারী নিঃশ্বাসের উত্থান-পতন শুনা যাচ্ছিলো (ওহ!) আর চোখের সামনে আমার, ওর মায়াবী গোলাপী মুখটা ভেসে উঠছিল....( তখন আমার যা মজা লাগছিল না...!)
আমি মনে মনে বললাম, 'ফ্যানটাসটিক!'
আমি আবার কোন কিছুতে খুব বেশী খুশী হলে, বা মজা পেলে, মুদ্রাদোষ হিসেবে 'ফ্যান্টাস্টিক' চালিয়ে দেই।
যাই হোক, 'মাপ চাই মাপ চাই' করার সাথে সাথে দেখলাম, লাইনটা হঠাৎ কেটে গেলো। তখন আমি পুনঃ রিং দিলাম কিন্তু ওর মোবাইলটা টোটালী বন্ধ হয়ে গেলো। আমি তখন আমার বাসার সামনে, চাঙ্গা মামুর চায়ের দোকানে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিলাম, আর খুশীতে হুক্কা হুয়া করতে করতে বগল বাজাতে বাজাতে একেবারে, আই এ্যাম ও ডিসকো ড্যান্সার গান জুড়ে দিলাম। এ সময় দেখি, লেজ নাড়তে নাড়তে দু'টো কুকুর আসছে আমার সামনে, আমি ওদেরকে টোষ্ট বিস্কুট খাওয়ালাম। পরবর্তীতে বেশ কয়েকদিন ওকে ফোন করলে আর রিসিভি করতো না। পরে সম্ভবত ঐ আন্টিকে আমার বিয়ের কথা জিগেশ করেছিল, এবং সত্যটা জেনেছিলো যে, আমার বিয়েটিয়ের জন্যে কোথাও কোন সার্কুলার দেয়া হয়নি।তবুও হয়তো সন্দেহ ছিলো।
***********
প্রায় দেড় দু মাস পর ফোন যখন রিসিভ করলো, তখন ওকে বোঝাতে চাইলাম যে, "দেখো, এটা আমার লিখা একটা গল্পের কয়েকটা লাইন, আমি ভাবলাম তোমাকে শুনিয়ে, একটু জিগেশ করে জেনে নিবো যে, গল্পের ডায়ালগগুলো কেমন হয়েছে, আর তুমি ভেবেছো সত্যি সত্যিই আমার বিয়ে হচ্ছে! বাহ! রোদের মাঝে বৃষ্টি ঝড়ছে আর খেঁকশিয়ালের বিয়ে হচ্ছে!"
ও' তখন হালকা ঝাঁঝের সাথে বললো, 'আপনার বিয়ে হলে আমার কী?"
আমি ওর চেয়ে অনে-ক বড়! চার বছরের সিনিয়র! তাই ও' আমাকে সম্মানসূচক 'আপনি' উপাধি দিয়ে সম্বোধন করতো।(ওহ্!)
ও' আমাকে 'আপনে' করে বললে আমার খুব রাগ উঠতো। তখন আমি ওকে 'তুই' করে বলতাম, ও খুব মজা পেতো। অবশ্য, অন্য কেউ ওকে 'তুই' করে বললে ভীষন রাগ করতো। আর আমি বললে ও বুঝতো কেন তুই করে বলেছি, যাতে 'ও আমাকে 'আপনে' করে না বলে, 'তুমি' করে যেনো বলে। এটা বুঝে ও' আরও বেশি করে 'আপনে' 'আপনে' করতো। আর বলতো "যাদেরকে খুব কাছের মনে করি, তাদেরকে 'তুমি' করে বলি, আর যাদেরকে দূরের লোক মনে করি, তাদেরকে 'আপনে' করে বলি!
ও যখন বুঝলো, আমি ওর হৃদয়ের ফিলিংসকে ফোকাস এর জন্যই অভিনয় করে কথা গুলো বলেছি, তখন, ও' কৃত্রিম রাগান্বিত হয়ে বলল,
"তিন বছর ধরে আপনার সাথে কথা হয়, কিন্তু আপনের কোনটা যে সত্য আর কোনটা মিথ্যা, আল্লাহই জানে"!
***********
পরবর্তীতে , ঐ-ও এর শোধ তুলেছিলো আমার উপর, একবারে সত্যি সত্যিই আমাকে কাঁদিয়ে।
ওর কোন এক মামার সাথে যাচ্ছিল ইউনিভার্সিটিতে। ঐ সময় আমি মোবাইল করেছিলাম, রাস্তার আওয়াজ পাচ্ছিলাম। সাথে পুরুষালি কন্ঠও পাচ্ছিলাম। সেই সাথে আবার হাসাহাসির আওয়াজ!মানে, আমি মোবাইলে কল দেয়ার সাথে সাথেই ও' রিসিভ করেছিল এবং তারপর, "হ্যালো, কী খবর?" এটুকু বলেই ও' পুরুষালি কন্ঠের সাথে কথা বলা শুরু করল, কিন্তু ফোন কাটে নাই, কানে দিয়েই ধরেছিল।
আমিও ফোন কানে দিয়ে ধরেছিলাম। এবং এটুকু শুনেই কেঁদেছিলাম। তবে কথা বলার চেষ্টা করছিলাম স্বাভাবিক কন্ঠে।
জিগেশ করলাম, " তুমি এখন কোথায় আছো? তোমার সাথে কে ? হাসিমুখে ও বলল, "ইউনিভার্সিটি থেকে বাসায় যাচ্ছি , সাথে নড়ু ঋৎরবহফ! শাহবাগের মোড়ে আছি!"
এমনিতেই আমার হার্ট দুর্বল, এটা শুনে সত্যিই কান্না আর ধরে রাখতে পারিনি। কারণ, আমি জানতাম, একেবারে প্রতি ইঞ্চি অনুভূতি দিয়ে ওকে জানতাম যে, ও' কি রকম।
নড়ু ঋৎরবহফ? তার সাথে আবার হাসাহাসি করে রাস্তা দিয়ে পথচলা ? সূর্যটা দক্ষিনদিকে উঠে, দক্ষিনাবাতাস যদি পূবদিক থেকে বইতে শুরু করে, তাহলেই একমাত্র সম্ভব।
**************
কিন্তু তখন সিকুয়েন্সটাকে কেমন যেনো সত্যি মনে হচ্ছিলো। মোবাইলে আমার কন্ঠ আর নিঃশ্বাসের শব্দেই ও বুঝতে পেরেছিলো, আমি কানছি। সম্ভবত এটা বুঝেই ও'
আরও হাসতে লাগলো। তারপর আমায় বললো, "কেনো ? বিশ্বাস হয় না ? আমার বয়ফ্রেন্ড থাকতে পারে!" আমি বললাম, " দাও তো দেখি........ কে তোমার বয়ফ্রেন্ড ?"
তখন, লোকটা আমার সাথে কথা বললো। কন্ঠটা অত্যন্ত বয়স্ক, পঞ্চাশ এর কম হবেনা বয়স, বেশ ভরাট, অমার্জিত কন্ঠ। তখন আমার ইচ্ছা হচ্ছিলো, লোকটাকে এখনি যেয়ে খুন করে আসি....! কেননা, যদিও কন্ঠটা বয়ষ্ক, অনেকটা গার্জেন টাইপ বাচন ভঙ্গি, তবুও ভাবলাম, 'আমার নিজেরও তো ওরকম কন্ঠস্বর, আমাকেও তো লোকে দেখলে মনে করে চলি্লশ/৫০ এর মত বয়স, তাই ঐ চ্যামড়াটাও ওরকম হতে পারে!
যাই হোক, ও' পরে খুব মজা পেয়েছিলো....! আমায় কথায় কথায় ইনডাইরেক্টলি বুঝিয়ে দিয়েছিলো, 'এখন কেমন মজা লাগলো.... !?'
এরপর থেকে ও' খুব মজা পেতো, আমায় কথায় কথায় কাঁদিয়ে ছাড়তে। এমনভাবে এক একটা কথা বলতো, আমি তো ভাবতাম সত্যি সত্যিই বুঝি ওর অন্য কোথাও বিয়ে হয়ে যাচ্ছে, অথবা ও' অন্য কাউকে ভালোবাসে!(বাহ্)
**********
এরপর একদিন। বিকেল পাঁচটার দিকে ওকে ফোন দিলাম।
দেখি ওর বাসার অন্য কেউ, সম্ভবত ওর মামী, মোবাইল রিসিভ করেছে। বলল, "ও' তো এখন খুব ব্যস্ত, ঘরে মেহমান আসছে, আপনে একটু পরে রিং দেন....!"
কীসের একটু পরে.....! আমি তো আর লাইন কাটি নাই, অপর প্রান্তেও মোবাইল বন্ধ করে নাই, সম্ভবত লাইন কাটতে ভুলে গেছে। মোবাইলে বারবার শুধু ওর নাম ধরে ডাক ভেসে আসছে। বিভিন্ন কাজের জন্য ওকে ডাকাডাকি করছে। মেহমান বাসায় আসলে যা হয়।
আর চোরের মনতো র্যাব-র্যাব, তাই আমি ওদিকে ভাবছি, 'নিশ্চই! ওকে বিয়ের জন্য দেখতে আসছে স্পেশাল গেষ্ট!' আমি তো কানতে কানতে শেষ! আর সমানে সিগারেট খাচ্ছি।(ওহ্হো রে!)
২০/২৫ মিনিট যাবৎ আমি ফোন ধরেই রেখেছিলাম অপর প্রান্তের শব্দ শোনার জন্যে। শুধু এটুকু বুঝা যাচ্ছিল, ওর বাসায় অনেক মেহমান।
হঠাৎ ও'র কন্ঠ ভেসে এল মোবাইলে....
"কী ব্যাপার ? আপনে এতক্ষণ ধরে ফোন নিয়ে বসে আছেন, রাখেন নাই ?"
আমি ওর নাম ধরে বললাম, " তোমাদের বাসায় কী খুব গুরুত্বপূর্ণ কোনো মেহমান এসছে....? তুমি এতো ব্যস্ত কোনো... ?"
খুব উৎফুল্ল দ্রুতকন্ঠে ও' বলল, "হঁ্যা আমার বিয়ে! আমাকে দেখতে আসছে, কী ! আর কিছু বলবেন?"
কম্পমান শীতল কন্ঠে আমি বললাম, 'না.....!'
"তাহালে রাখেন"! খুশীকন্ঠে ও-ই লাইন কেটে দিলো।(যাহ্...!)
**********
আমি তো ওদিকে বাসার ছাদের সিঁড়ি ঘরে বসে কানতে কানতে প্রায় ১ প্যাকেট স্বর্ণের পাতা জ্বালিয়ে দিলাম। তারপর দেখি, প্রচন্ড মাথা ঘুরাচ্ছে আর বমি বমি লাগছে।
পেটেও মনে হয় হালকা একটু শির শির করে মোচড় দিলো। আর ঐ অবস্থাতেই সিঁড়িতে বসে দেয়ালে হেলান দিয়ে কখন যে ঘুমিয়ে পড়লাম হিরোঞ্চির মত ঝিমাতে ঝিমাতে, তা হয় তো বুঝতেই পারতাম না, একবারে অনুভূতিশূন্য, আত্মহারা, পাগল হয়ে, উম্মাদ হয়ে যাচ্ছিলাম প্রায়, যদি না দু'ঘন্টা পর ও'র রিং ব্যাক হতো।
"কী ব্যাপার? কতক্ষণ ধরে রিং দিচ্ছি ধরেন না কেন......!? ছেলেদের একটা কিছু হইলেই ছেলেরা সিগারেট খায়, আসলে সবছেলেই এক! খুব ভালমতই তো বুজতেছেন যে, মানুষের বাসায় মেহমান আসতেই পারে, আর মেহমান আসলে ব্যস্ত থাকতে হয়, তাহালে এতো ঢং দেখাচ্ছেন কীসের জন্য? হুঁহ্!"
আসলে, আমি সত্যি সত্যিই ভেবেছিলাম ওর বিয়ে!(আহারে!)
ও' এমনভাবেই প্রথমে কথাগুলো বলছিলো। পরে যখন বুঝলাম আমার অভিনয়ের ট্রিটমেন্টই ও' আমার ওপর প্রয়োগ করছে, তখন খুব রাগ উঠল ।বললাম, "তুমি একটা শয়তান! এমনিতেই উত্তেজনাকর এসব কথা শুনলে আমার প্রচন্ডভাবে বুক কাঁপতে থাকে আর মাথাঘুরায়........তুমি একটা শয়তান....!"
"ও.......আমি শয়তান! ঠিক আছে! তাহলে আর আমার সাথে কোনো কথা বলার দরকার নাই, আপনে তো খুব ভাল...........রাখি......!" ও' বলল।
"প্লীজ ! প্লীজ! জান্ রাইখো না..............! তুমি আমার লক্ষ্মীদেবী! তুমি খুব ভালো.......! তুমি আমার জানের জান্......!" আমি মিনতি ভরা কাতর কন্ঠে উত্তেজিতভাবে বললাম...! (বা...বাহ্!)
ও' সুরেলা মিষ্টিকন্ঠে মোলায়েমভাবে বলল, "হুঁহ্!"
এরপর....এমনি করেই সময়টা চাকার মত গড়িয়ে চললো..... যেন রওশন চৌকী।
পুনশ্চ ১) বর্তমানে 'গল্প' লিখার সময়কে খুঁজে পাচ্ছি না! তাই বহুদিন পূর্বে লিখিত ১টি গল্প নিবেদন করলাম;'সুখী ভালবাসা দিবস', এবং 'একলা ফাল্গুন স্মরনে'। ঘটনাটা গল্প হিসেবে কেমন হয়েছে, অনুগ্রহ করে জানালে, কৃতজ্ঞ হবো/
পুনশ্চ ২) ঘটনাটি ঈশৎ সংক্ষিপ্ত।