সাগর পারের অন্ধকার

অন্ধকার (জুন ২০১৩)

খোরশেদুল আলম
  • ১০
অনেক লোকের সমাগম । সূর্যডোবার দৃশ্যে তীরের দর্শনার্থীরা উত্তর পশ্চিম কোণে চোখ রেখে আকাশ আর সমুদ্দুরের বুকের মিলন স্থলে তাকিয়ে আছে। ঘাড় ঘুরিয়ে বাঁকা চোখে সাগর তাকিয়ে আছে বাম দিকে। সাগর থেকে আসা নির্মল বাতাশ তুলির ছাড়া চুল গুলো পিছন দিকে উড়িয়ে দিচ্ছে বার বার। ওড়না ছাড়া থ্রীপিচের জামাটাও শরীরের সাথে ঠাসা লাগিয়ে নরম শরীর ভেদ করে উড়িয়ে নিতে চায় পিছন দিকে। ঝোড়ো বাতাস নাড়কেল গাছের ডালগুলো যেমন বাঁকিয়ে পিচন দিকে নিয়ে যায়। মাথায় চুপচুপে তেল দিয়ে পিছনে সিঁথি করলে যেমন চুল লেপটে যায়। তেমনি চুল আর জামা লেপটে আছে তুলির শরীরে। চোখ আটকে যাচেছ তুলির বুকে। একজন যুবকের বেহায়াপনা ভাবে ড্যাবড্যাব করে অন্যায় চোখে তাকিয়ে থাকা। তুলিও আজ নিজেকে সাগরের চোখে তুলে ধরেছে। প্রজাপতির মতো দুহাত তুলে উড়ছে। সমুদ্রের তীরে সাগরের ঢেউয়ের ফেনায় মালা গাঁথতে। উড়ন্ত চুল আর ঠাসা জামার ভিতরের মেয়ে মানুষের উঁচানিচা ঢেউ খেলানো নরম বাঁকা শরীরটা সাগরের কছে অমাবশ্যার কালো মৌচাকের ভিতর ফরফরে সাদা তুলতুলে কুঠুরি ভরা মধুর চাকের মতো মনে হয়। যাকে পাওয়ার তৃষ্ণা। যাকে জয় করার ইচ্ছা। যেখানে ভয়। যেখানে অমৃত সুধা। তাই এ ভাবে তাকিয়ে থাকা।

লোক সংখ্যা বেশি হলেও কেউ কারো চেনা নয়। এটা কে ? উনি কে, কি হয় ? এসব প্রশ্নের কোন বালাই নেই। স্বাধীন ভাবে হাত ধরে ঘুরে বেড়ায় সাগর থেকে ছুটে আসা ঢেউ ছুঁই ছুঁই করে। ঢেউ চলে গেলে আরো একটু নিচে নেমে হাটে ঢেউ চলে যাওয়ার পর মসৃণ ভাবে লেপ্টে থাকা বালির উপর দিয়ে তারা নির্ভয়ে হাটতে থাকে লাবনী পয়েন্টের দিকে। ভয়টা দূর করেছে একটু আগে। হোটেলে উঠার সময়। ম্যানেজার যখন জানতে চায় আপনার নাম: গ্রাম: ঠিকানা: মোবাইল নাম্বার: - জোড়ে জোড়ে নিঃশ্বাস টেনে বুকের পাটা ফুলিয়ে সাগর সৎসাহসের সাথে সব ঠিক ঠাক মতো সত্যি কথা বলে যায়। হাতের লেখা শেষ করে ম্যানেজার আবার চোখতুলে জিজ্ঞেস করে উনি আপনার কে - আমার স্ত্রী। - নাম: - তুলি। স্ত্রী হলে আর ঠিকানা জানার প্রয়োজন নেই। স্ত্রী বলার পর ধুকধুক করা বুকের ভিতর বইছিল ভয়মেশানো চিনচিন সুখ। চলছিল সাহস ধরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা। এডভাঞ্চের টাকাটা টেবিলের উপর রেখে কাপানো হাত ভয়ে দ্রুত পেন্টের পকেটে ভরে ফেলে। বাম হাতে মোবাইল টিপার ভানে ব্যস্ততা দেখাতে দেখাতে হোটেল বয়ের পিছনে পিছনে রুমের দিকে হাটে।

আটতলায় উঠতে লিফটের দুলুনিতে নতুন আবেশে ভরে উঠে। তিন বছরের ধৈর্যের ফল। আজ অপেক্ষার শেষ। কতদিন ভেবেছে এমন একটি দিন আসবে। যেদিন হবে মধুময় রাতের মতো। অমাবশ্যার রাতে আলোয় আলোয় ভরে উঠবে চোখ মন শরীর। গতকাল সন্ধায় তুলির গ্রীন সিগনাল পেয়ে শরীর কাঁপতে শুরু করে। সাগর তুমি কি ফ্রি ? কেন জানতে চায় সাগর। আমি চার পাঁচদিনের জন্য ফ্রি - ও তাহলে তো ভালই হল। সারা দিন ইচ্ছে মতো ঘুরা যাবে। শুধু দেখা নয় এবার আরো কিছু হবে - মানে - মানে, তুমিনা বলেছিলে কোথাও বেড়াতে যাবে - হাঁ বলেছিলাম - তাহলে চলো - আশ্চার্য হয়ে সাগর বলে সত্যি যাবে ? তুলি শান্ত ভাবে নিশ্চিত করে - তাহলে চলো চলো কাল যাই - না না কাল নয় আজ - আজই যাবে - হাঁ আজকে না হলে আর যাওয়া হবেনা। আমার এক বান্ধবী দেশের বাড়ীতে যাচ্ছে ওরসাথে আমিও যাব বাড়িতে তাই বলেছি। বাবা মা রাজি হয়েছে। আজ রাতের গাড়ি ধরবে। সেই সুযোগটাই আমি কাজে লাগাতে চাই - আচ্ছা তাহলে ঠিক আছে। তিন বছরের সম্পর্ক। এতদিন অনেক প্লান করেও কোন ভাল হয়নি সময় সুযোগের অভাবে। আজ পূর্ণ হবে। সেই থেকে এখনো সুখের কাঁপুনিতে কাপছে। লিফটের ঝাকুনি ম্রিয়মান। ঢাক থেকে গাড়ী ছাড়ে রাত ৮.৪৫মিনিটে। ঠিকঠাক মতো গাড়ী চললে ভোরেই পৌঁছে যেত কক্সবাজার। যাতায়াত সুব্যবস্থা না থাকায় । বিকাল হয়ে গেছে। এত গাড়ীর চাপ, ওয়ান ওয়ে ব্রিজ। নো ওভারটেক । দশ ঘন্টা দেরি। তানাহলে একচোট কাঁপুনিতে সব কাপুনি এতক্ষণ শেষ হয়ে যেত। সুধার পাত্র হাতে সময়ের কাঁপুনির ধকল এখনো বয়ে চলেছে সাগর। সুধার পাত্র হাতে সময়ের চাপে বারবার ভেঙ্গে যাচ্ছে।

অনেক প্রতিক্ষার পর আজ তুলিকে একান্তে কাছে পায়। তুলির শরীরের দিকে তাকাতেই নিঃশ্বাস ঘণ থেকে ঘণতর হয় নিরিবিলি একান্তে কাছে পেয়ে। অন্য কাপুনি আর ভয় এক হয়ে দ্বিগুণ কেঁপে উঠে সাগরের শরীর। ক্ষিণ কণ্ঠে তুলির বাড়নে ইচ্ছা একটু নিস্তেজ হয়। সারাদিন সারারাতের না খাওয়া মুখের দিকে তাকিয়ে আর একটু দমে যায়। গাড়িতে তুলির বমি হয় তাই কিছু খায়নি। তুলির জন্য সাগরও না খোয়ে থাকে। মায়া হয়। গতরাত থেকে তুলি গভীর দৃষ্টে দেখেছে বুকের কাছ ঘেঁসে দাড়ানো এই শুকনো মুখো সাগরকে। এই মুহূর্তে আবারো দৃষ্টি বিনিময়ে মাথা আর চোখের ক্লান্তির ছাপের ইশারায় না করেছিল।

সূর্য পশ্চিম আকাশে ঢলে পড়ে বিকাল হয়ে গেছে। নীচে নামে খাবার হোটেলের সন্ধানে। খাওয়া শেষ করে গ্লাসের শেষ পানির ঢোক গিলে তুলি বলে - একটু পরে সূর্য ডুববে। কক্সবাজারের সূর্য ডুবার দৃশ্যটা কি মিস হবে ? সাগরের ঢেউয়ের তোড়জোড় করা জিহ্বার ছোবল থামিয়ে বলে। - নাহ্‌ এখন গেলে মিস হবে না । বীচে যেতে পাঁচ মিনিট লাগবে।

একটু ছুঁতে একটু আদর করতে কতদিন অপেক্ষা করতে হয়েছে। একটু বুকে জড়িয়ে নিতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। একটু পুরুষালী হতে অনেক ভয়ের সময় পার করতে হয়েছে। কিন্তু যে সময়ের অপেক্ষায় এত ত্যাগ এত ধৈর্য। সে সময় আরো দূরে সরে যাচ্ছে। মরিচিকার মতো চোখের সামনে দিয়ে চলে যাচ্ছে মরুভূমির দিগন্তে। ছায়ার মতো হাতের তালু বেয়ে ফসকে যাচ্ছে আরো দূরে। নাহ্‌ এত ধৈর্য কি ধরা যায়। এমন তুলতুলে শরীরের উত্তাপ নিতে। এক ধ্যানে তাকিয়ে থাকে মৌচাকের দিকে। ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে খাবলে দিতে মন চায় সাগর পারের এত মানুষের ভিড়ে। সূর্যতো প্রতিদিন ডোবে। গত কালও ডুবেছে। আগামী কালও ঠিক এমনি ভাবেই ডুববে। কিন্তু এমন করে কি আর পাওয়া হবে। সারারাত কাঁধের উপর তুলির মাথা রেখে ঘুমিয়ে এসেছে। উত্তাপে দুতিন বার বৃষ্টিতে ভিজেছে সাগর।

সমুদ্রে এখনো ভাটা পড়েনি। ঢেউয়ের তোড়ে তীর তোলপাড়। দূরের ইউ আকৃতির আগাপাছা উঁচা নৌকা গুলো ঢেউয়ের ভিতর থেকে বারবার বেরিয়ে আসছে। স্পিডবোর্ট ওয়ালারা জোড়া জোড়া সঙ্গীদের নিয়ে এখনো লাবণী পয়েনটে দৌড়ে বেড়াচ্ছে। সমুদ্রের পারে সাগর ব্যকুল। সমুদ্রের নীল পানি দেখে তুলির আনন্দের বাঁধ ভাঙে। ছোট মাছের মতো খলখল করে নামে পানিতে। ঢেউ এলে নিজের পায়ের দিকে তাকিয়ে থাকে। পানিগুলো কিভাবে এসে পায়ে লুটে পড়ে। ফেনায় ফেনায় ভরে দিয়ে আবার চলে যায়। পাজামাটা দু হাতে টেনে উপড়ে উঠিয়ে ছলাত ছলাত পানিতে গোড়ালী ডুবিয়ে হাটে। সুন্দর গোড়ালীর দিকে শিকারীর চোখের মতো তাকিয়ে থাকে সাগর। ঢেউ পা ছুলে পাজামাটা আরো উপরে টেনে ধরে। যত উপরে উঠায় ততই আগুন জ্বলতে থাকে সাগরের বুকে। বালিরা বিড়বিড় করে হাটে পায়ের পতার উপর। তুরতুর করে বালি সরে যায় পায়ের তলা থেকে তুলির অসম্ভব ভাল লাগে মনের আনন্দে দৌড়াতে থাকে। সদ্য যৌবন প্রাপ্ত কুমারী চিত্রা হরিণের মতো লাফায়। ছলাৎছলাৎ শব্দ করে ফর্সা পা ফালায় নরম বালিতে একের পর এক ঢেউয়ের আগায়। ভেজা মেয়েলী শরীরের গন্ধ ছড়ায়। চুলের ভিতরে আঙুল গুজে শক্তমাথাটা টেনে ধরে চেপে রাখতে চায় নরম বুকে। কারো শক্ত হাতের মুঠোয় বন্দি করতে চায় নিজেকে।উপরের ফর্সা পায়ের দিকে তাকাতে পারেনা সাগর। সাদা ক্যানভাসে তুলির আচড়ে আচড়ে চোখ ঝাপসা হয়ে আসে কামনার আগুনে। সাগরের তুলির রং বাতাসে শুখায় আঁচড় বিহীন।
ছবি তুলতে তুলতে সাগরের শুকনো গলায় বলে এই আরো একটু উপরে উঠাও না - কি করছ তুমি - ছবি তুলছি। তোমার পাদুটোতে চুমু ক্ষেতে মন চাচ্ছে। - কি আজে বাজে কথা বলছ। - আরো একটু নামোনা পানিতে - না আজ না, সন্ধায় আর ভিজবো না। কাল সকালে এসে দুজনে গোসল করব - আচ্ছা। তখনো পা আর বুকের ছবি তুলছে সাগরের অতৃপ্ত চোখ।

কেন যে সূর্য ডুবে না। এতক্ষণ লাগে সূর্য ডুবতে। আনমনে বিড়বিড় করে সাগর বলে উঠে। তুলি দূরের দৃষ্টি ফিরিয়ে বলে - কি বলছ ? দেখ সূর্যটা আকাশের মধ্যেই ডুবে যাচ্ছে। পানিতে ডুবছে না। এতদিন তো শুনেছি পানিতে ডুবে। আবার পানি থেকে উদয় হয়। সাগর স্বজ্ঞনে ফিরে আসে। - এমনইতো। এটা দেখতেই তো মানুষ শুধু শুধু ভিড় করে। তুলি এবার সাগরের লাল চোখের দিকে তাকিয়ে মনে করে বাসের সিটে এলিয়ে পড়ার দৃশ্য। অনুভব করে তার বুকে এখনো আঙ্গুলের আদরের ব্যথা।

তুলিকে বাম হাতে পেঁচিয়ে ধরে লাবনী পয়েন্টের দক্ষিণে হাটতে থাকে সাগর। সূর্য ডুবার পরের ক্ষিণ আলোতে। লোকজন কিছুটা কমেগেছে। সন্ধায় ভাটা পড়েছে। বিকালে যেখানে দাঁড়িয়ে তুলি পা ভিজিয়ে ছিল। সেখানে আর ঢেউ আসে না। অনেক নীচে থেকে ঢেউ গুলো আবার চলে যায়। নিচে তাকালে অনেক গভীর মনে হয়। শোশো বাতাসের শব্দ শরীর ঠান্ডা হয়ে আসে। দর্শনার্থী কমে গেছে বাড়ছে অন্ধকার। ঢেউয়ের গর্জনে ভয়ে আরো জোড়ে ঝাপটে ধরে দুজন।

এখনো ভাটা চলছে একটু পরেই শুরু হবে জোয়ার। শুরুহবে গর্জন। সাপের ফনার মতো তরতর করে বেড়িয়ে আসবে ঢেউয়ের অগ্রজ সাদা সাদা ফেনা। ফেনায় ফেনায় ভরে উঠবে সাগর তট। মনের জোয়ার ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গেছে। বাড়ছে অন্ধকার। মনের আলোয় ঝলঝম করছে বুকের ভিতর। সাগরের ঢেউয়ে হাত রাখে তুলি। সাগরের চোখে চোখ রেখে ডুবদেয় সাগরের বুকে। সূর্যবিহীন পৃথিবী যতই ঘনকাল অন্ধকার হচ্ছে ততই বাড়ছে সাগরের জোয়ার। অন্ধকারের অতল তলে ডুবে যায় দুজন।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মিলন বনিক দারুন রোমাঞ্চ...সুখকর কাহিনী...সুন্দর গল্প...খুব ভালো লাগলো...শুভ কামনা....
এফ, আই , জুয়েল # খোনশেদ ভাই----অনেকদিন থেকেই দেখা নাই । গল্পটা ভাল । এর রোমাঞ্চ আর প্রেমের মধুময় দিকটা বেশ মারাত্মক ।
এশরার লতিফ গল্পের বর্ণনাভঙ্গি ভালো লাগলো।
তাপসকিরণ রায় আপনার গল্পটি খুব ভালো লেগেছে,ভাই!বর্ণনা সুন্দর গল্পটির ভাব ভাষা ধারাবহ ভাল লেগেছে।সাগরের সঙ্গে তুলনা করে লেখা লেখার উপসংহার বেশ কাব্যিক ও প্রেমময় হয়ে উঠেছে।
সূর্য দারুন, দারুন জোয়ার এলে কাঁপা কাঁপি সব থেমে যাবে। রোমান্টিকতাপূর্ণ গল্প। শেষ দৃশ্যের বর্ণনাটা অনেক অনেক পাকা হইছে।
Lutful Bari Panna দারুণ গল্প। শেষের রূপক অংশটুকু তো নিদারুণ...
শিউলী আক্তার রোমান্টিক জুটির সলিল সমাধি ----- গল্পের থিম দারুণ হয়েছে ।
মোঃ আক্তারুজ্জামান বাহ বেশ তো চুপিসারে- অভিসারে!
জাকিয়া জেসমিন যূথী সুন্দর প্রেমিক প্রেমিকার অন্ধকারে তলিয়ে যাওয়ার গল্প। শেষ্পর্যন্ত 'কি হয় কি হয়' ভাব ধরে ছিলো পুরো গল্পটা পড়তে গিয়ে।
সিয়াম সোহানূর সাগর মন্থনের অসাধারণ গল্প ----- শব্দের দারুণ ব্যবহারে মুগ্ধ হয়েছি ।

২২ জানুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৪৩ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "অবহেলা”
কবিতার বিষয় "অবহেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল,২০২৪