একটি প্রকারান্তরের গল্প

অন্ধকার (জুন ২০১৩)

মোঃ আক্তারুজ্জামান
  • ১৮
  • ২৩
মানুষের একার দুঃখ কষ্টগুলি অনেক সময় শুধু একার থাকে না। এক জন দুঃখী মানুষের দুঃখ তার চারপাশের সবাইকে না হলেও কিছু মানুষকে ব্যথিত করে। মাসুদ সাহেব তার এক ভাড়াটিয়া দম্পতির প্রতি খুব বিরক্ত হয়ে অনেকবার তাদেরকে তাড়াতে চেয়েও গিন্নীর জন্যে তা পারেননি। সে প্রতিবারই খুব অসহায় চেহারা নিয়ে স্বামীর সামনে দাঁড়িয়েছে- থাকুক না! মেয়েটাকে অন্য কোথাও নিয়ে গেলে একেবারে প্রাণেই মেরে ফেলবে!

তাই বলে মেয়েটাকে তো তুমি সারা জীবন কোলে তুলেও রাখতে পারবে না। তাছাড়া ঐ বদমাশটাও তো নিজেও বাসা ছেড়ে দিতে পারে। তখন তুমি কি জোর করে ওদেরকে আটকে রাখতে পারবে?- মাসুদ সাহেবের গলা থেকে চরম বিরক্তি ঝরে পড়ে।

স্বামীর কথার কোন প্রতি উত্তর খুঁজে পায় না মাসুদ-গিন্নী। কথা সত্য। ভাড়াটিয়া আজ আছে তো কাল নেই। সে খুব অসহায়ভাবে স্বামীর চোখের দিকে তাঁকিয়ে থাকে।

অন্যের দুঃখে কাতর মানুষকে কিছু বলা যায় না। ব্যপারটায় নিঃস্বার্থ, মহানুভবতার মত অনেক কিছু জড়িত থাকে। গিন্নীর চোখে জল না এলেও তার লাল হয়ে উঠা চোখের দিকে তাঁকিয়ে মাসুদ সাহেবও খানিকটা কষ্ট পান।

সরকারী ছোটো খাটো একটা চাকুরী থেকে অবসর নিয়েছেন। তারপর সারাজীবনের অর্জিত টাকায় ঢাকা শহরের একেবারে এক পাশে একটু জমি কিনে কোন মতে মাথা গোঁজার ঠাঁই করেছেন। এই টাকায় গ্রামের বাড়ীতে অনেক কিছু করা যেত কিন্তু ছেলেমেয়ের উন্নত ভবিষ্যতের কথা ভেবে সবাই যেমন ঢাকা শহরেই থাকতে চায় মাসুদ সাহেবও তেমনটাই করলেন।

টিনশেড বাড়ী, বেশ কয়েকটা রুম ভাড়াও দিয়েছেন। গার্মেন্টেস ফ্যাক্টরীর চাকুরীজীবি এক দম্পতিকে একটা রুম ভাড়া দিয়ে মাসুদ সাহেব বেশ খুশি হয়েছিলেন। কোন বাড়তি ঝামেলা নেই। বলতে গেলে গার্মেন্টেস ফ্যাক্টরীর লোকজন এক রাতে বেরোয় আর এক রাতে ঘরে ফেরে।

দিন কয়েক যেতেই গিন্নী একদিন মাসুদ সাহেবকে বললো- জানো, ছফুরা মেয়েটা আজ খুব কান্নাকাটি করলো। ওর কষ্ট দেখে আমিও চোখে পানি ধরে রাখতে পারিনি।

ছফুরাটা আবার কে?- মাসুদ সাহেব একটু অবাকই হলেন। অপরিচিত নামের মানুষটার দিকেই গুরুত্ব দিলেন।

-আরে ঐ যে সেদিন নতুন একটা ভাড়াটিয়া এলো না! জামাই বৌ দুজন- ঐ মেয়েটার নামই তো ছফুরা। আহারে, মেয়েটা এক বছরের একটা বাচ্চা গ্রামের বাড়ীতে রেখে চাকুরি করতে এসেছে। মানুষের কতো কষ্ট!

এক বছরের একটা বাচ্চার মুখ কল্পনায় ভেসে উঠে মাসুদ সাহেবের মনে। এক বছরের বাচ্চাতো মায়ের বুকের দুধ খায়। এরকম একটা শিশুর মা থেকে দূরে থাকাটা কত কষ্টের তা ভেবে মাসুদ সাহেবর মনটাও নিঃস্প্রভ হয়ে উঠে।

শিশুটা নিশ্চয়ই মাঝরাতে মায়ের বুকে মুখ দিতে ব্যর্থ হয়ে ঘুমের মধ্যেই কেঁদে উঠে। কিংবা ভরদুপুরে মায়ের শরীরের ঘ্রাণ নিতে নিতে ঘুমিয়ে পড়ার জন্যে ব্যাকূল হয়ে আর্তনাদ করে।

বয়স হয়েছে হৃদপিন্ড আগের মত আর দৃঢ় নেই তাই হয়তো আবেগটুকু খুব তাড়াতাড়ি মনকে প্রভাবিত করে ফেলে। বাচ্চাটার জন্য একটা কষ্টবোধ মাসুদ সাহেবের মনকে বিবশ করে তোলে।

নজু- ছফুরার স্বামীর নাম। ওর আরও একটা ভালো নাম আছে নজরুল ইসলাম। সবাই নজু বলেই তাকে ডাকে। সে মানুষ হিসেবে একেবারেই নিষ্কর্মা। তার আরও দু ভাই আছে। এক ভাই ওর বড় আর এক ভাই ছোট। একটা বোন তার বিয়ে হয়ে গেছে। বাবা বেঁচে নেই, মা আছেন।

বিয়ের তিন চার দিন পরেই ছফুরা দেখলো বাড়ীর সব কিছু তিন ভাই মিলে ভাগভাটোয়ারা করে নিচ্ছে। ব্যপারটা তার একেবারেই ভালো লাগেনি। কিন্তু তখন তো আর সে জানতো না যে তার স্বামী নিস্কর্মা দেখেই তার ভাইয়েরা যার যার পথ দেখছে। সব ভাগ হয়ে গেলো। শ্বাশুড়িও তার ছোট ছেলের সাথে আলাদা সংসারে চলে গেলেন।

নজুর ভাগে যেটুকু জমি জিরাত, গাছপালা ছিল তা নিয়েও মানুষ খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকে। কিন্তু সে সব রেখে খেতে পারলো না। বিয়ের বছর দুয়েকের মাথায় সব শেষ হয়ে গেলো। একান্নবতী সংসারে সে যা করার সুযোগ পেতো না সে আলাদা হয়ে নিজের স্বাধীন মতো সব করে সংসারটা একেবারে বিনাশ করে দিলো। জুয়ার নেশায় সব যেন কর্পুরের মতো বাতাসে মিলিয়ে গেলো।

নিঃস্ব পরিবারের বুকে নেমে এলো ঘোর অন্ধকার সময়। অনাহারে অর্ধাহারে মানুষ আর কতো থাকতে পারে? তাই বাধ্য হয়ে ছফুরাই বেঁচে থাকার লড়াইয়ে গ্রাম ছেড়েছে। ততোদিনে তারা দু’জন থেকে তিন জন হয়েছে। গ্রামে কিছু করার সুযোগ নেই তাই শহরে যাওয়ার বিকল্প কোন পথ তাদের সামনে খোলা রইলো না।

বাধ্য হয়ে ছফুরা তার বাচ্চাটাকে নিজ মায়ের কাছে রেখে স্বামীকে নিয়ে ছুটে এলো শহরে। নানা হিসেব নিকেশের স্বপ্ন- দু’জন মিলে রোজগার করলে অভাব থাকবে না।

সেই হিসেবেই ছফুরার শহর বাস শুরু হয়েছিল। দু’জনের একটা ফ্যাক্টরীতে চাকুরীও হয়েছিল। শুরুটা খুব ভালই ছিল। কিন্তু নজু খুব বেশিদিন মন দিয়ে কাজ করলো না। ফলে যা দাঁড়ালো ছফুরার একার আয়ের উপর নির্ভরশীল হয়ে সংসার চলতে লাগলো খুব কষ্টে সৃষ্টেই। তাও মাঝে মধ্যেই বাচ্চাটার জন্য মায়ের কাছে তার টাকা পাঠানো সম্ভব হয়ে উঠে না।

নজু বেশ কয়েকবার ফ্যাক্টরি বদল করলো। কিন্তু কিছুতেই কিছু হলো না। ঐকান্তিক ইচ্ছা ছাড়া মানুষের উন্নতি কোনদিন হয় না। কাজেই ফ্যাক্টরি বদলালে তো আর শুধু শুধুই ভাগ্য বদল হয়ে যাবে না। মাঝখান থেকে নানা অসুবিধা অশান্তি নিয়ে তাদের বেশ কয়েকবার বাসা বদল করতে হলো।

এই দম্পতির কাছেই মাসুদ সাহেব একটা ঘর ভাড়া যেন নিশ্চিন্ত হয়েছিলেন। কিন্তু নিশ্চিন্ত থাকার নিশ্চয়তাটুকু সত্যি খুবই নাতি দীর্ঘ হলো। দেখা গেলো দিনে দিনে মাসুদ সাহেবের ঐ ঘরটা নিজের পরিবার বা অন্যান্য ভাড়াটিয়াদের চরম বিরক্তির কারণ হয়ে উঠছে। সময় অসময়ে মারামারি চিৎকার চেঁচামেচি কারই বা আর ভালো লাগে।

মাসুদ সাহেবের ছেলেমেয়েরা কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। ওরা এসব একেবারেই পছন্দ করে না। মাসুদ সাহেবও চান না বাড়ীর পরিবেশটা এমন থাকুক যা ছেলেমেয়েদের পছন্দ নয়। মানুষের মন সত্যি বড় বিচিত্র- মাসুদ গিন্নির মনের কোথায় জানি ছফুরা একটা স্থান করে নিয়েছে!

ছফুরা ফাঁক পেলেই মাসুদ সাহেবের গিন্নীর কাছে ছুটে আসে, গল্পগুজব করে। সময়ে হাসে আবার সময়ে কাঁদে। হাজারটা নিষেধ উপো করে ছোটোখাটো কাজে হাত লাগায়।

একজনের কামাই অন্যজনের কর্তাগীরি! সংসারে শান্তি থাকে কীভাবে? তবু ছফুরা প্রতিমাসেই বেতনের পুরা টাকাটাই স্বামীর হাতে তুলে দেয়। মাসের শুরুর দিকটা ওদের হাসাহাসিতে কাটলেও শেষের দিকটা মারামারি কান্নাকাটি দিয়ে শেষ হয়। ছফুরার কিছু সঞ্চয়ের বাসনা ছিল তা বাস্তবতা পাওয়াতো দূরের কথা মাস শেষে নিজেদের পেট চালানোই দায় হয়ে পড়ে।

ছফুরা প্রায়ই মার খেয়ে যখন বিলাপ করে। মাসুদ গিন্নী রাগে ফেঁটে পড়েন- অমন স্বামীর ঘর করে তোর কি লাভ? যে বউয়ের কামাই খেয়ে বেঁচে থাকে তার ঘর করাই লাগবে কেন শুনি! তোর কপালে অনেক দুঃখ আছে, দেখিস!

একদিন সকাল বেলা ছফুরা ছুটে এসে মাসুদ সাহেবের ঘরে আছঁড়ে পড়লো, হাঁউ মাঁউ করে কাঁদতে কাঁদতে বললো- খালাম্মাগো, আমার শাড়ীডা পাইতাছি না। আমার বিয়ার শাড়ী!

ওর একটাই শাড়ী তাও আবার বিয়ের। খুব যতœ করে তা একটা টিনের স্যূটকেসে ভরে রেখেছিল। বিশেষ বিশেষ দিনে সে ওই শাড়ীটা পরে। ফ্যাক্টরীতে অনুষ্ঠান- সকালে উঠে তৈরি হতে গিয়ে ছফুরা দেখলো শাড়ীটাই নেই।

মাসুদ-গিন্নী অনেক করে বললো তার অনেকগুলি শাড়ী আছে তা থেকে যেটা মন চায় সেটাই ছফুরা নিতে পারে। কিন্তু ছফুরা নিলো না। অফিসের অনুষ্ঠানেও গেলো না। বাসায় বসে কেঁদে কেঁদে সারাটা দিন কাটিয়ে দিলো।

মাসুদ সাহেব সবই শুনলেন। মনে মনে একটা হিসেব করে নিশ্চিত হলেন যে নজুই এই কাজটা করেছে। সে জুয়াড়ী, মাদকাসক্ত! নিশ্চয়ই সে শাড়ীটা চুরি করে নিয়ে বিক্রি করে দিয়েছে। যে কয়টা টাকা পেয়েছে তা দিয়ে হয় জুয়া খেলেছে নয় নেশা করতে খরচ করেছে।

দিন কয়েক পরে মাসুদ সাহেব যা শুনলেন তাতে তার ধারণা আংশিক ভূল প্রমাণিত হলো। শাড়ীটা নজুই চুরি করেছে সত্য। তবে তা সে বিক্রী করে জুয়াও খেলেনি বা নেশাও করেনি। শাড়ীটা নাকি সে কোন একটা মেয়েকে দিয়ে দিয়েছে! অর্থাৎ সে পরকীয়ায় মজেছে। ছফুরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঐ মেয়েকে একবারে শাড়ীসহ হাতে নাতে ধরে ফেলেছে।

সবাইকে অবাক করে দিয়ে ছফুরা সেদিন আর একটু কাঁদলো না। কিন্তু রাতে নজু যখন ঘরে ফিরলো তখন সে অকল্পনীয় একটা কান্ড ঘটিয়ে ফেললো। দরজার বাইরে রাখা একটা শলার ঝাড়ু তুলে নিয়ে ছফুরা নজুকে বেদম পিটাতে শুরু করলো।

আশে পাশের ঘরের লোকেরা বেরিয়ে এসে মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে তা দেখতে লাগলো। ধুমধাম মার পিটের শব্দে মাসুদ সাহেবও স্বস্ত্রীক ঘর থেকে বেরিয়ে এসে যা দেখলেন তাতে তাদের দুজনার মুখেও কোন শব্দ এলো না। ছফুরা একেবারে রণরঙ্গিণী হয়ে নজুকে দুহাতে পিটিয়ে যাচ্ছে আবার উত্তেজনার আতিশয্যে মাঝে মধ্যেই কষিয়ে দু’একটা লাথিও মেরে যাচ্ছে। এক পর্যায়ে নজু এক রকম পালিয়েই গেলো।

ঝড় থেমে গেলে যেমন শুনশান নীরবতা নেমে আসে তেমনি এক সময় দু’জনই প্রচন্ড কাহিল হয়ে পড়ায় বাড়ীময় তেমনি একটা নীরবতা নেমে এলো।

কিছুণ পর নজু নিজেকে গুছিয়ে নিতে নিতে বললো- মাগী, তোরে আমি রাখলাম না।
ছফুরা উত্তেজনায় হিসহিস করতে বললো- মাঞ্জা ভাঙ্গা কুত্তা, আমি তোরে রাখলে তো তুই আমারে রাখবিরে! তোর মুখে থু থু দেওনের রুচিও নাই আমার।

তোর মায়রে- নজু মুখের কথা শেষ করার আগেই ছফুরার হাত ইস্পাতের মতো তার গলায় চেপে বসে গেলো।

তুই আমার মায়রে তুইলা গালি দিবি? তোর শ্বাসনালীডা আমি টাইনা ছিঁড়া ফালামু না! দুই চক্ষে হাত দিয়া ক দেখি তোর মায়রে আমি কোনদিন গালি দিছিনি? তোর মা তিনটা মাস থাইকা গেলো আমি তারে জান প্রাণ দিয়া সেবা কইরা দিছি। আর আমার মায় একবার আইসা তিনডা দিনও শান্তিতে থাকতে পারে নাই। তোর অপমানে অপদস্ত অইয়া বেচারি চোখের পানি ফালাইয়া চইলা গেছে- ছফুরা ঝর ঝর করে কেঁদে ফেলে।

নজু চলে গেলো। যাওয়ার আগে সে ছফুরাকে অনেক গালাগাল করে গেলো। ছফুরাও ছাড়লো না। প্রত্যেকটা কথার পিছনে সে কথা বললো, গালির পিছনে দিলো গালি। তামাশা দেখতে থাকা লোকগুলির অনেকেই মাঝে মধ্যে মুখ টিপে হাসছিলো যেন ছফুরার লিঙ্গান্তর ঘটেছে। মাসুদ সাহেব চুপচাপ দাঁড়িয়ে থেকে গভীরভাবে দেখলেন একটা অসহায় অবলা নারীর প্রকারান্তর ঘটেছে! আমাদের দেশের অনেক নারীই দুঃখ কষ্টের অন্ধকারে ডুবে থেকে জীবন শেষ করে দেয় ছফুরা তা থেকে যেন নিজেকে মুক্ত করেছে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
নিলাঞ্জনা নীল সবার ছফুরার মত হয়া উচিত
এফ, আই , জুয়েল # অনেক সুন্দর---চমৎকার----বেদনাদায়ক ও চেতনা জাগানিয়া । এটাই সমাজের বাস্তব অবস্থা । এর মাত্রা দিনদিন বেড়েই চলেছে । বিভিন্ন ঘটনার প্রভাবে দিনদিন এতিম আর বিধবার সংখ্যা বেড়েই চলছে । আত্মীয়-স্বজন আর সমাজ কোনো দায়িত্ব নিতে চাচ্ছে না । বরং---দায়িত্ব এড়িয়ে যাবার একটা প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেছে । আপনি সমাজের গভীর স্তরের দুঃখ-কষ্ট গুলোর মর্মন্তিক আর্তনাদের করুন সুরকে------, গল্পের আকার উপস্থাপন করেছেন । আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ।।
স্বাধীন দেয়াল স্পর্শ করে ফেলার পর পিছানোর আর কোন জায়গা নেই। ছফুরার এছাড়া করার ছিল মরে যাওয়া। প্রতিবাদী ছফুরা বেশ ভাল ভাবেই পাঠকের হৃদয় স্পর্শ করেছে।
নাবিল জাওয়াদ খুব ভালো লাগলো গল্পটি। ছফুরার জেগে ওঠা দারুন হয়েছে।
তানি হক এক কথায় অসাধারণ একটি গল্প ...ছফুরার এই প্রাণ শক্তি ...এবং সাহস ..সফুরাকে এই চরম অশান্তির জেলখানা থেকে মুক্ত করলো ..যা আমাদের সমাজের হাজার ও ছফুরার বুকের শিকল হিসেবে আটকে থাকে ... হয়ত জীবনটাও শেষ হয়ে যায় ..এই জালা সইতে সইতে এক সময় ..সেই ক্ষেত্রে ছফুরা যেন আধার পুরিতে এক নতুন সূর্যের আলো ফোটালো ... গল্পটি পড়া শেষ করে শুধু এই কামনা করি .. যেন সকল ছফুরার জীবন থেকে আধার দূর হয়ে যায় ... আগামী ভবিস্যত আলোয় উদ্ভাসিত হয় ... ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা ভাইয়া
মিলন বনিক এভাবেই জেগে উঠতে হবে...খুব সুন্দর একটা গল্প...ধারাবাহিকভাবে গল্পকার তার সুনিপুন দক্ষতায় প্রতিটা ধাপ এগিয়ে এসেছেন...খুব ভালো লাগলো দাদা...অনেক শুভ কামনা....
রীতা রায় মিঠু মাথা খারাপ করা ভাল গল্প লিখেছেন, দারুণ!
সৈয়দ আহমেদ হাবিব সুন্দর সাবলীল জড়তাহীন গল্পটা বেশ ভাল লাগল
মোহাম্মদ ওয়াহিদ হুসাইন গল্পটাকে রূপক হিসাবে নিতে ইচ্ছা করছে। ছফুরা- নজু ে দেশের সাধারণ-বিশেষ মানুষ। শুধু মাসুদ-গিন্নীই প্রয়োজন। দারুণ লিখেছেন। শুভচ্ছা রইল।
সূর্য ছফুরারা যদি বাস্তবে সবাই এমন হতে পারতো! আফসোস এই নজুর সাথেও আরেকটা মেয়েমানুষ জড়াতে চিন্তা করে না। দোষটা কি মনুষত্বের না সময়ের ঠিক বুঝি না। ভালো গল্পকারের হাতে পড়লে যে নিত্যনৈমত্যিক ঘটনাও জমজমাট গল্প হয়ে ওঠে আপনার " একটি প্রকারান্তরের গল্প" তারই প্রমান। একটা পরিপূর্ণ গল্প অনেক ভালো লাগলো।

২২ জানুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৩২ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "ছোটবেলা”
কবিতার বিষয় "ছোটবেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪