১। মেয়েটির নাম নীলা। বড় চঞ্চল দুরনত্দ। চলনে বলনে চটপটে ভাব। চেহারা সুরত খুব একটা আহামরি না হলেও আর দু চারটা মুখের ভিরে সহজেই নজর কাড়ে এ কচি মুখটা। কত আর বয়স। বড়ো জোড় ১২ কি ১৩ । প্রকৃতির লালিত্যে বেড়ে ওঠা কিশোরী নীলা এরই মধ্যে নজর কাড়ে সতের আঠার বছরের এক তরম্ননের। ওর নাম তারিক আদনান।
২। সহজাত প্রগলভতা আর দুরনত্দপনার মাত্রা ছাড়িয়ে একসময় নীলার হৃদয়াকাশে উদিত হয় সি্নগ্ধ সৌম্য ভাললাগার এক রক্তিম সূর্য। চোখে চোখ রাখা, ছলে বলে গা ছুয়ে দেয়া, ফুল গুজে দেয়া হাতে। এভাবেই চলছে সদ্য ফোটা গোলাপের প্রেম। দিন যায়, মাস যায়, বছর ঘুরে ফিরে আসে ঈদ উৎসবে আর পূজা পার্বণে। শুভেচ্ছা কার্ডের স্তুপ হয়ে যায় বইয়ের সেলফ, লিপস্টিকে ভরপুর পুতুলের ঘর।
৩। এখন আর পুতুল খেলে না নীলা। ভাল লাগে না কিছুই ওর। বড় কষ্টে আছে নীলা। তারিক হারিয়ে গেছে নীলার জীবন থেকে, দুরে অনেক দুরে। ভাইয়ার হাতে নির্মম ভাবে খুন হয়ে গেছে নীলার প্রেম, ভালবাসা সব কিছু। না নীলা ক্ষমা করবে না । না, না কিছুতেই না।
৪। পাঁচ বছর পরেও আজ নীলার হৃদয়াকাশে জমে আছে সেই কালো মেঘ। সেই যে কৈশোরে প্রেম প্রদীপ নিভে গেছে। কেউ আর আসেনি সে প্রদীপ জ্বেলে দিতে। ইদানীং নীলা প্রায়ই দোতলার ব্যালকনিতে বসে থাকে। পড়াশুনায় মন নেই একদম। নষ্টাল জিয়ায় পেয়ে বসে ওকে সময়ে অসময়ে। বসে আর ভাবে। আসুক না কেউ নতুন করে। ৰতি কি যদি আবার ভালোবেসে দুহাত ধরে। কিন্তু জীবনের প্রতি একটা তীব্র অনীহা সর্বদা অনুভব করে নীলা। কেবলই মুক্তি চায় এ অসহ্য ভালোবাসার শৃঙ্খল থেকে, কিন্তু পারেনা । সে উড়তে পারেনা। সমাজ বাসত্দবতা তাকে মুক্তি দেয় না। একের পর এক অদৃশ্য শিকল এস পায়ে বেড়ি পরিয়ে দেয় নীলার। আর যাওয়া হয়না ওর।
৫। অনার্স সেকেন্ড ইয়ারের ফাইনাল পরীক্ষা সবে শেষ হল। এরই মধ্যে হঠাৎ একদিন নীলা নিজেকে আবিষ্কার করে বিয়ের সাজে। নীলা বিয়ে ফেরানোর জন্য কম চেষ্টা করেনি। মা বাবার সম্মানের দিকে তাকিয়ে অগ্যতা দ্বিতীয় বার গলায় ছুরি দিতে রাজি হয়েছে ও।
৬। বাসর রাত। ভয়, উৎকন্ঠা আর লজ্জায় কাতর নীলা হাটুমুড়ে বসে আছে মোহনীয় ভঙ্গিতে। পদশব্দে চমকে ফিরে তাকায় নীলা। ভূত দেখার মত চমকে ওঠে যেন। গায়ে চিমটি কেটে দেখে সজাগ আছে কিনা ও। এযে বিশ্বাসের অতীত বাসত্দব হয়েছে অবশেষে। আজ বড় সুখী নীলা। এখন আর প্রতিশোধ গ্রহনের কথা ভাবেনা ও। বরং সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতায় মাথাটা নুয়ে আসে নীলার।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
আহমেদ সাবের
"ভাইয়ার হাতে নির্মম ভাবে খুন হয়ে গেছে নীলার প্রেম" - নীলার প্রেম খুন হয়েছে, তারিক আদনান নয়। "এযে বিশ্বাসের অতীত বাসত্দব (বাস্তব) হয়েছে অবশেষে।" - মনে হয় তারিক আদনানকেই আবার বাসর ঘরে ফিরে পেয়েছে নীলা। কিছু কল্পনা শক্তি কাজে লাগাতে হল। খোন্দকার শাহিদুল হক ভাই 'এর সাথে গলা মিলিয়ে বলি - "গল্পটার প্লট বেশ ভাল। তবে ছোটগল্পের ফরমেট অনুযায়ী যথাযথভাবে বিকশিত না। এ ছাড়া ক্রমিক সংখ্যা দিয়ে গল্পটাকে বর্ধিত করাতে লেখার সৌন্দর্য বিনষ্ট হয়েছে বলে আমার কাছে প্রতীয়মান হল।"।
খন্দকার আনিসুর রহমান জ্যোতি
Plot khub valo tobe numberingta na korle aro valo lagto......R..Yousuf Vai....Amar kobita pore montobbo korechhen...se jonno dhonnobad...tobe kobitar sob tuku printe ase nai....baki kobita tuku niche amar montobbo te likha achhe...kosto kore pore nile asha kori apnar bujhte kosto hobe na.....apner golpoer jonno suvo kamona.....ভালবাসা খুন হবার জন্য মানুষ খুন না হলেও চলে তাই নয় কি ? R ...montobber jonno..Dhonnobad ....Dilam........
খোন্দকার শাহিদুল হক
গল্পটার প্লট বেশ ভাল। তবে ছোটগল্পের ফরমেট অনুযায়ী যথাযথভাবে বিকাশিত না। এ ছাড়া ক্রমিক সংখ্যা দিয়ে গল্পটাকে বর্দ্ধিত করাতে লেখার সুন্দর্য্য বিনষ্ট হয়েছে বলে আমার কাছে প্রতীয়মান হলো। শেষে এসে এতদ্রুত শেষ করেছেন যে যা বোঝাতে চেয়েছেন তা আপনিই নিজেই বুঝেছেন। আমাদের মত দুর্বল পাঠক এখানে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছি। আশার করি আগামীতে যে কোন গল্প পাঠকের জন্য তুলে ধরার চেষ্টা করবেন নিজের জন্য না।আপনার হাত দিয়েই আরো সুন্দর সুন্দর গল্প সৃষ্টি হোক এই প্রত্যাশাটুকু রইল। শুভ কামনা সতত।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।