বেঁচে থাকার গল্প

নতুন (এপ্রিল ২০১২)

নীলকণ্ঠ অরণি
  • ২২
  • ৬৭
১.
চৈত্রের ঝকঝকে একটা সকাল। সূর্যটা বেশ হেসেই উঠেছে আজকে। শেষ রাতের দিকে হাল্কা বৃষ্টি ছিল। তাই দিনের গায়ে পরশ বুলাচ্ছে সতেজ একটা হাওয়া। শহরের মাঝে ছোট্ট একটা পার্ক। সেখানে আমের বোলগুলো এরইমধ্যে ডাগর হতে শুরু করেছে। ছোট ছোট কড়া আমে গাছগুলো নুয়ে আছে। শীতের মলীন পোশাক খুলে গাছগুলো নতুন সবুজ পাতায় ছেয়ে গেছে আবার। পাখিদের কিচিরমিচিরে মুখর চারপাশ। এদের মধ্যে বড় একটা শিশু গাছ ডালপালা মেলে দিয়ে বসে আছে যার ছোট গোল গোল পাতার ফাঁক দিয়ে সূর্যটা উঁকি মারছে। আজকে ওর মেজাজ অনেক ফুরফুরে কারণ একে তো এমন সুন্দর দিন, তার ওপর জম্পেশ রান্নাবান্না হচ্ছে পাতায় পাতায়। সকালের খাওয়া শেষে মনের সুখে দোয়েল আর চড়ুইদের সাথে গল্প করছিল সে। গল্পের অবশ্য কোনও নিদৃষ্ট বিষয়বস্তু নেই; চারপাশের প্রকৃতি, বিভিন্ন পাখিদের ঘরসংসার, বাচ্চাকাচ্চার খবরা-খবর নিচ্ছিল চড়ুইদের কাছ থেকে। চড়ুইরা আবার অন্যের হাঁড়ির খবর জানতে আর জানাতে বেশ পটু,একদমে বকবক করেই যাচ্ছে। আর ওর পাশেই একটা শুকনো হাড় জিরজিরে বেল গাছ বিরক্তি নিয়ে পাখিদের বকর বকর শুনছে । বেল গাছটাতেও নতুন পাতা আর বেল ধরেছে বটে, তবে ওর স্বাস্থ্যের অবস্থা খুব খারাপ। দেখেই বোঝা যায় নিজের শরীরের দিকে একদম মন দেয়না, তাই মেজাজ বিগড়ে থাকে বেশিরভাগ সময়। আর এই বেলগাছটার ওপর নিজেদের সংসার পেতেছে ওরা দুজন। পার্কের এত গাছ রেখে এই মেজাজ খারাপ করা বেল গাছেই বাসা বানিয়েছে কারণ অন্যান্য দিকের চেয়ে এদিকটা খানিক নিরিবিলি আর অন্য কারও বাসা নেই এই গাছে, দুজনের নিজেদের মত করে থাকতে পারে ।
গতরাতের বৃষ্টির কারণে তেমন ঘুম হয়নি মেয়েটার। তাই সারারাত না ঘুমিয়ে ক্লান্ত মেয়েটার চোখে যখনি একটু তন্দ্রা নেমে এসেছে, তখনি কানে এসে ধাক্কা দিল জোরে জোরে চিৎকার- চেঁচামেচির আওয়াজ। ধড়মড়িয়ে চোখ খুলতেই সে দেখতে পেল পাশের সঙ্গিটি নেই, যার সাথে সে বাসা বেঁধেছে। “ওমা! ও তো একটু আগেও এখানেই ছিল, এখনই কোথায় গেল?” অবাক হয়ে ভাবল সে। বাসা থেকে উঁকি দিয়ে দেখতে পেল ওর পুরুষ সঙ্গিটা পাশের শিশু গাছের মগডালে বসে অন্যদের সাথে তারস্বরে চেঁচাচ্ছে।
“ওহ! ওকে নিয়ে আর পারিনা! সময় নেই, অসময় নেই শুধু চিল্লাচিল্লি, এত উদ্ভট একটা লোকের সাথে কী ভেবে যে ঘর বেঁধেছিলাম! সারাদিন শুধু ফুর্তি, চিল্লাচিল্লি আর আড্ডাবাজি” এই ভাবতে ভাবতে বিরক্তি মুখে নিয়ে আবার যখন একটু চোখ বুজে এসেছে মেয়েটার, ঠিক তখনি ওর পাশে এসে ছেলেটা জোরে জোরে বলতে শুরু করল “ এই এখন ঘুমাচ্ছ কেন? ওঠ,জলদি ওঠ। সকালে তো কিছু খাওনি, খেয়ে নাও” “আহ! তুমি সকালবেলাতেই এমন চেঁচানো শুরু করলে কেন? একটু চুপ থাকা যায়না? আমাকে একটু চোখ বন্ধ করতে দিচ্ছনা” “হুম, তুমি আছ তোমার ঘুম নিয়ে, সারাদিন কোনও কাজ নেই, দুনিয়া দারির খবরতো তোমার মাথায় কিচ্ছু রাখনা, কত ঘটনা ঘটে যাচ্ছে” “আসলেই দরকার নেই। আমার যে কাজ ওটা আগে শেষ করতে দাও, তারপর আমি তোমাকে রেখে দুনিয়া ভ্রমণে বের হব,ঠিক আছে? এখন বল সকালে কী হয়েছিল?” “আর বলনা, আমার বন্ধুরা সকালে এসে জানাল আশে পাশে কোথায় যেন একটা হ্যোঁতকা বাঁদর ঘুরে বেড়াচ্ছে। বলল, তোমাকে নিয়ে যেন একটু সাবধানে থাকি। ওই ব্যাটার স্বভাব নাকি ভালোনা। একথা বলতে না বলতেই দেখি ব্যটা বুড়ো বাঁদরটা উত্তরের দিকের বড় আমগাছটায় বসে মুখ ভ্যাংচাচ্ছে আমাদের দিকে। ওটাকে দেখেই আমার মাথায় রক্ত উঠে গেল। তোমার মনে নেই, গতবার ওই শয়তানটাই তো আমাদের সর্বনাশ করেছিল!এবার কি আমি সেটা আর হতে দেই? তাই সবাইকে নিয়ে জোরে জোরে চেঁচিয়ে ওটাকে তাড়িয়ে দিলাম!”
“বাহ!বাহ! বেশ করেছ, তোমার মাথায় যে ঘিলু, তোমার কি ধারণা তোমার ধমকে ভয় পেয়ে ও ল্যাজ গুটিয়ে পালাবে? সুযোগ বুঝে আবার আসবে। ওরা পৃথিবীতে না আসা পর্যন্ত আমাদের অনেক সাবধান থাকতে হবে। শোনো, তুমি কিন্তু আমাকে রেখে আর কোথাও যেওনা, আমার খুব ভয় করেগো!” “না সোনা, আমি কোথাও যাব না, আছি তোমার পাশে। তুমি আরাম কর”
সকালের সূর্যটা তখন আড়মোড়া ভেঙ্গে মাঝ আকাশের দিকে যাত্রা শুরু করেছে। বেল গাছের ছোট্ট খড়-কুটোর বাসায় এক জোড়া কাক দম্পতি তাদের ৪টি ডিমের সাথে তখন একটু মধুর সময় কাটাচ্ছে।
২.
সেদিন সারাদিন ওরা বাসাতেই কাটাল। দুপুরে পুরুষ কাকটি স্ত্রীর জন্য খাবার নিয়ে এল। পার্কের এদিকটায় খাবারের অভাব হয়না। মানুষজন ঘুরতে আসে, এটা সেটা কিনে খাওয়ার জন্য, আর যতটানা খায়, তার চেয়ে বেশি নষ্ট করে। সেটা অবশ্য কাকদের জন্য ভালোই, কষ্ট করে দূরে যেতে হয়না, বাসাটার দিকেও নজর রাখা যায় সব সময়। শালিক আর চড়ুই এর দল এসে প্রায়ই ওদের খবর নিয়ে যায়। অন্য পাখিরা ওদের মত মিশুক না, টিয়াদের তো ভাবে পা মাটিতেই পড়েনা। কাক এর খবর নেয়াতো দূরে থাক, নিজেদের সাথে ছাড়া অন্য কারও সাথে মিশেনা তেমন। বসন্তকাল বলে বহু কোকিল এসেও জুটেছে এখানে। সারাদিন ওদের মধুর ডাক শুনে মানুষজন একেবারে গলে যায়। আসলেতো এরা এক একটা পাজির হাড্ডি! কাকের কষ্ট করে বানানো বাসায় চুরি করে ডিম পেড়ে যায়, আর সারাদিন ফুরফুরে মেজাজে ঘুরে বেড়ায়। ওদের কথা ভাবলেই কাক দম্পতির মাথা গরম হয়ে যায়। তবে ওরা পারত পক্ষে কারও ধার ধারেনা। সারা পার্কে বলতে গেলে কাকদেরই আধিপত্য। অন্য কাক বন্ধুরাতো সারাক্ষণই ওদের সাথে আছেই। বিকেলে এই বেল গাছেই ওদের সাথে জম্পেশ আড্ডা চলল কাক দম্পতির। কিন্তু আড্ডার ফাঁকে চোখে শঙ্কা দেখা দিল স্ত্রী কাকটার। উত্তর-পশ্চিম আকাশের মেঘগুলো কেমন যেন ঘন অন্ধকার হয়ে আসছিল, ওদের হাবভাব খারাপ; ঝড় আসার সম্ভাবনা প্রবল। শুধু বৃষ্টি হলে আকাশ এমন রূপ নেয়না।
বিকেলের শেষে সবাই যখন যারযার ঘরে ফিরে গেল স্ত্রী কাকটা ওর সঙ্গিকে বলল “ঝড় আসবে মনে হচ্ছে, বাতাস কেমন পাগলাটে বইছে। ডিমগুলোর কী হবে গো!” “হুম,আমিও মোটামুটি নিশ্চিত, আজ রাতে ভালো একটা ঝড় হবে। কিন্তু তুমি চিন্তা করোনা,বাসা বেশ শক্ত করেই বানিয়েছি, ঈশ্বরের কৃপায় আমাদের কিছুই হবেনা” “বাচ্চারা আসতে বেশি দেরি নেই। এখন যদি ঝড়ে সব শেষ হয়ে যায়! আমাদের কি হবে! হায় ঈশ্বর, আমাদের রক্ষা কর” এই বলে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠল মা কাকটা, আর ওকে জড়িয়ে ধরে রইল বাবা কাক, ওরা দু’জনে একে অন্যের গায়ের সাথে লেপটে রইল। পশিম আকাশের মেঘগুলো তখন প্রায় শেষ প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে।
৩.
ঠিক মাঝরাতের দিকে শুরু হল ঝড়টা। বছরের প্রথম কালবৈশাখী ঝড়। প্রচণ্ড উন্মত্ততা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ল গাছগুলোর ওপর। ক্রুব্ধ মেঘের দল একে অন্যের সাথে মল্লযুদ্ধে নেমে অবিরাম বৃষ্টি বর্ষণ করতে থাকল। সেই সাথে ক্ষণে ক্ষণে বিজলি চমক আর বজ্রপাত। বাতাসের প্রবল বেগে ডালপালা গুলো যেন তাণ্ডব নৃত্য করছিল। বড় বড় গাছগুলো যেন এক একটা রূপকথার দানব; পাগলের মত হেলছে দুলছে। রাস্তা থেকে বিভিন্ন জিনিসকে উড়িয়ে আনছিল ঝরো বাতাস। এর মাঝখানে রোগা বেলগাছটাতে কাক দম্পতি প্রাণপণে আগলে রাখছিল নিজেদের অনাগত ছানাদের। বৃষ্টিতে ভিজে চুপচুপ দুজনেই। শোঁ শোঁ হাওয়ার সাথে ওদের বাসার ডালটা এমনভাবে দুলছিল, কাকমা টার মনে হল যেন এখনই তাদের হাল্কা বাসাটা ভেঙ্গে পড়বে। ডানা মেলে ডিমগুলোকে বৃষ্টির ফোঁটা আর উড়ে আসা ডালের টুকরোর কাছ থেকে বাঁচাবার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল সে। এই ঝড় বুঝি আজীবনেও শেষ হবেনা...তাদের আদরের ছানাদের কচি মুখ আর কোনদিন দেখা হবেনা...ওদের মুখে ‘কা’ ‘কা’ বলে ডাক শোনা হবেনা... ছোট ছোট ঠোঁট বাকিয়ে মায়ের কাছে ওরা খাবার চাইবেনা। ওদের এতদিনের ত্যাগ, প্রতিক্ষা আর স্বপ্ন এই কাল ঝড়ের সাথেই শেষ হয়ে যাবে। সব বৃষ্টির সাথে মুছে যাবে। বেঁচে থাকা আর বাঁচিয়ে রাখার অনন্তকালের এই লড়াইয়ে ঈশ্বর কি প্রতি একটু সদয় হবেন না?
৪.
চৈত্রের ঝকঝকে আর একটি সকাল। চারপাশটা সতেজ হাওয়ার ভরপুর। সূর্যটার মন আজকেও বেশ ফুরফুরে। ঘুম থেকে হেসেই উঠেছে সে। গতরাতের ঝড়ের কারণে আজকের দৃশ্যগুলো অবশ্য একটু আলাদা। মাটিতে অসংখ্য ঝরা পাতাদের নিষ্প্রাণ দেহ। সারারাত ঝড়ের পাল্লায় পড়ে গাছগুলোও খানিকটা ক্লান্ত, তবে মলিন নয়। অবশ্য আম গাছেদের মন ভীষণ খারাপ। প্রচুর কচি আম হারিয়েছে তারা। মাটি থেকে ওগুলো উৎসাহের সাথে কুড়িয়ে নিয়েছে ছোট ছোট ছেলেমেয়ে। কোন গাছ কত পাতা খুইয়েছে, কার কয়টা ডাল ভেঙেছে, কোন গাছের গুঁড়ি উপড়েছে সেই হিসাব আপাতত কেও নিতে চাচ্ছে না। চড়ুই এর দল সকালে উঠেই কিচিরমিচির শুরু করেছে। দোয়েলরাও চুপ মেরে নেই। কাকেরা আরও একটা কর্মব্যস্ত দিন শুরু করেছে। যারা এখনো বাসা বানায়নি, তারা ঝড়ে উড়ে আসা খড়কুটো সংগ্রহে ব্যস্ত হয়ে গেছে। কাল রাতে যদিও সবার ওপর ব্যাপক ধকল গেছে।
বিরাট শিশু গাছটাও প্রচুর পাতা আর ডাল হারিয়েছে। তারপরও পাখিদের সাথে খোশগল্প করার প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে সে। আর ওর পাশেই শুকনো হাড়জিরজিরে যে বেল গাছটা ছিল তার উপরের দিকে একটা ডালে নিজেদের বাসায় বসে কাক দম্পতি অপলক তাকিয়ে আছে দুজোড়া নতুন অতিথির দিকে। সবগুলো ছানাই ফুটফুটে হয়েছে। কি সুন্দর গোলগোল চোখ মেলে তাকিয়ে আছে! বড় বড় দুটো ঠোঁট! ডানাগুলো এখনও তেমনভাবে গজায়নি, লাল লাল শরীর দেখা যায়। চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে ওরা মা-বাবা কে ডাকছে। ক্ষুধা পেয়েছে ওদের। কাক মার বুকের সাথে লেপটে থাকতে চাচ্ছে ওরা। সন্তানদের দিকে অনেকক্ষণ তাকিয়ে থেকে বাবাটা খাবার আনার জন্য উড়াল দিল। উড়তে উড়তে ভাবল কত ঝর-ঝঞ্ঝার মধ্য দিয়ে জন্ম হল ওদের! কত অপেক্ষার পর কতগুলো নতুন মুখ দেখতে পেল! মনে মনে তাড়া অনুভব করল, সবাইকে আনন্দের সংবাদটা দিতে হবে জলদি; জানাতে হবে, অবশেষে পৃথিবীতে জীবনের কিছু তাজা স্পন্দন নিয়ে এসেছে ওদের প্রতিনিধি। নতুন সদস্যদের স্বাগত জানিয়ে সূর্যটা ধীরে ধীরে এগিয়ে চলল মধ্য আকাশের দিকে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মোঃ নজরুল ইসলাম প্রথাগত লিখন রিতীর বাইরে ভিন্ন মাত্রার লিখনি.........
সালেহ মাহমুদ অরনী, আমার কিন্তু ভালো লেগেছে। পরপর আরো কয়েকটা গল্প লিখে ফেলো ঝটপট, দেখবে হাতটা ঠিক হয়ে যাবে। অনেক অনেক শুভ কামনা।
মোঃ শামছুল আরেফিন গল্পটার প্রেক্ষাপট ব্যতিক্রমী ছিল। গল্পের আবেদন বাড়িয়েছে সেটিই। অনেক ভাল লেগেছে গল্পটি। তবে অনেক জায়গায় গল্পের বর্ণনা একটু বেশি বিস্তৃত মনে হয়েছে। আবার কিছু জায়গায় গল্প যেমন হওয়া উচিত তার চেয়ে বেশি কাব্যিক হয়ে গেছে, তোমার হাত ভাল। প্রথম গল্প যেহেতু এর চেয়ে ভাল হবার কথা নয়। যা হয়েছে তাকে শুভ সুচনাই বলা চলে। চর্চা করে যাও। দেখবে কবিতার মত গল্পেও তুমি অনেক অনেক ভাল করবে।
শাহ্‌নাজ আক্তার পশু-পাখি দের নিয়ে গল্প লিখেছ ,, পড়ে ভীষন শ্বাদ পেলাম , ভালো , লিখতে থাক ...............
নিলাঞ্জনা নীল তোর লেখা দিন দিন আমাকে মোহগ্রস্ত করে দিচ্ছে........ এটা ঠিক না......... তবুও ঠিক....... এভাবেই আমাকে মোহগ্রস্ত করতে থাক বুড়ি........ :)
রোদের ছায়া পাখিদের জীবন এত সুন্দর করে তুলে ধরেছেন আমার খুব ভালো লাগলো.......ছানাদের নিয়ে কাক দম্পতির ভাবনাগুলো মন কাড়া .শুভকামনা /
piash বেশ লিখেছেন ।
আহমেদ সাবের প্রিয় কবির গল্প এবং গল্পের অভিনবত্ব মুগ্ধ করল। কিছু বানান ভুল এবং দুর্বল বাক্য আছে। আশা করি কবি দু একবার গল্পে চোখ বুলালে সেগুলো শুধরে নিতে পারবেন। গল্পের শেষে একটা চমক আশা করেছিলাম, কিন্তু পাইনি। কিছু কিছু যায়গায় কাব্যিক বর্ণনা বেশ মন ছুঁয়েছে। গল্পের ভুবনে কবিকে স্বাগতম।
বানান ভুলকে আমি ব্যক্তিগত ভাবে মারাত্মক অপরাধ ভাবি। পরবর্তীতে বানান ভুলের ব্যাপারে অবশ্যই সচেতন থাকবো আর নিজের দুর্বলতাগুলোকে কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করব। ধন্যবাদ দাদা
amar ami জীবনের যাত্রা পথের কিছু সুন্দর সময় অসাধারণ লাগলো কোন কারণে তা জানিনা, বাক্য গঠনে পরিপক্কতার অভাব থাকলেও......ভালবাসা বেচে থাক ওদের ভাঙ্গা কুটিরেই !!!
ধন্যবাদ আপুঃ)
রনীল বিষয়ের বৈচিত্র আর উপস্থাপনার ভিন্নতার জন্য গল্পটিতে ভিন্ন একটা স্বাদ পেলাম... লেখনীর কাব্যভাব পাঠককে স্পর্শ করবে নিশ্চিত ভাবে... নতুন টপিকটা প্রেজেন্ট করেছেন দুর্দান্তভাবে... আশা করছি গল্প কবিতায় নিয়মিত গল্প লিখবেন... শুভেচ্ছা.
ভাই,আপনার মত একজন দক্ষ লেখক আমার এই আনাড়ি গল্প পড়ে এত সুন্দর মন্তব্য করেছে! ওয়াও!

০৩ মার্চ - ২০১১ গল্প/কবিতা: ১৪ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪