ত্রয়ী ক্ষুধায় যুগপৎ পথ চলা

ক্ষুধা (সেপ্টেম্বর ২০১১)

niazniaz
  • ১৬
  • 0
ক্ষুধা কত প্রকার? জিজ্ঞেস করাতে বন্ধুবর উত্তর করল ৩ প্রকার। আমার চিন্তাতেও ‘৩’ সংখ্যাটিই এসেছে, তফাৎ শুধু ব্যপ্তিতে। তবে তা মোটেও সমস্যা নয় ৩-ই অগ্রগণ্য। যা হোক আমার মতে এই তিন প্রকার ক্ষুধা হলো পেটের ক্ষুধা, শরীরের ক্ষুধা এবং আত্মার ক্ষুধা।
ক্ষুধা লাগল - খেতে হবে প্রাকৃতিক একটা ব্যাপার। কিন্তু প্রশ্নটা হলো খেয়ে আমরা তৃপ্ত কিনা। উত্তরটা হচ্ছে ‘না’ কেননা তা না হলে এত খাই খাই কেন। পেটে খিধে-চাই হরেক রকম খাবার, কত খরচ, সারা দুনিয়াটাই আমরা খেতে পারি। তারপর যেই পেটের ক্ষুধা মিটে গেল জেগে উঠল শরীরের ক্ষুধা বা কাম। আপনি বিবাহিত বা বিবাহিতা তাঁর শরীরে আপনার মন ভরে না, অন্য কোথাও দৃষ্টি যায়, আহা তাঁরে পেতাম। প্রেমিকরা একই সাথে একাধিক প্রেম করে, এক এ তৃপ্ত নয়। ইত্যাদি ইত্যাদি...।
কেন এমনটা হচ্ছে, তবে সমস্যা কোথাতে?
বাকি এক প্রকারের ক্ষুধা থাকে। হাঁ তৃতীয়টি বা আত্মার ক্ষুধা। মন, মেধা, মনন, বিচার, বুদ্ধি, প্রজ্ঞা যায় ই বলিনা কেন, আরও যা আছে সব কিছু মিলে এর প্রকাশ। অর্থাৎ এর ব্যপ্তি অনেক বেশি এবং অন্য দুই প্রকার এর সাথে এর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিরাজমান। মন যদি ভাল না থাকে তা হলে যতই ভাল খাবার হোক না কেন মুখে রুচবে না, পাশের নগ্ন তাকে দেখেও শরীর গরম হবে না- সরো ভাল লাগছে না।
ধরা যাক একটা গাছ দেখতে পাচ্ছি, এখন ওখানে কি শুধু গাছ-ই আছে না আরো কিছু। যদি আপনি শুধু গাছ দেখেই দৃষ্টি ফিরিয়ে নেন তা হলে আপনার আত্তা তৃপ্ত হলো না, আবার দৃষ্টি ফেরান, দেখুন কি বাদ গেল।
ওখানে আলো আছে, আরও সূক্ষ্ম ভাবে বললে আছে আলোর সাতটি রঙ। তাই সেখানে একাধিক রঙ এর উপস্থাপনা। আলোর ফাঁকে ফাঁকে ছায়া আছে। সেই ছায়াও সব স্থির নয়, কিছু নড়ছে, কেন, তাহলে আরও আছে, কি তারা, হাঁ সেখানে বাতাস আছে, উপরে আকাশে মেঘ আছে, আছে অন্য কোন গাছের উপচ্ছায়া, প্রচ্ছায়া। ঐতো লাল কালো কি যেন হাঁটছে, কি যেন উড়ছে, একটা গুন গুন সুর, পাখি গাইছে, মচ করে একটা শব্দ হল, পায়ের তলে শুখনো পাতা পরেছে.....................। আরও কত কি। এবার আপনার আত্মা তৃপ্ত। রবীন্দ্র গতিতত্ত্ব বিশেষ করে বলাকা কাব্য পড়লে এর ভাল উদাহরণ পাবেন। অন্য সব গ্রন্থ বাদ।

মূলত এই তৃতীয় ক্ষুধাটিই সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। যেদিন কোন লোক এই জগতকে উন্মুক্ত করতে শিখবে তখন হতেই তার মাঝে সত্তিকার তৃপ্ততা আসবে। তখন বাকি দুটো সামান্য বা নগণ্য হলেও কোন সমস্যা নেই।
এই ক্ষুধাত্রয়ী এর যুগপৎ আসা এবং তা যুগপৎ মেটানোর মাঝেই এক জন ভাল মানুষের সৃষ্টি হয়ে থাকে। তৃতীয় খুধাটিকে তীব্র মাত্রায় বাড়াতে থাকুন, তা পূরণের জন্য পাগল প্রায় হয়ে খুজুন কি আছে কি আছে, এই একটি প্রশ্ন। জেনে রাখুন এর উত্তরের শেষ নেই, তবে যার কাছে যত বিস্তৃত উত্তর, সে তত বড় মহামানব।সমস্যাটা হল প্রথম দুই খুধার কারণে ওখানে যাবার মানুষ এখন খুব একটা পাওয়া যায় না।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
সূর্য ক্ষুধার বিশ্লেষন ভাল হয়েছে, ঠিক গল্পের আদলে নয়, অনেকটা প্রশ্নের উত্তরের আদলে হয়েছে। বেষ্ট অফ লাক ফর ফিউচার আরটিক্যালস্......
ভালো লাগেনি ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১১
M.A.HALIM দর্শণ আছে তাই ভালো লাগলো। শুব কামনা রইলো।
ভালো লাগেনি ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১১
এফ, আই , জুয়েল # অতি উচ্চ ভাবনার সুন্দর একটি লেখা । = good
ভালো লাগেনি ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১১
sakil প্রবন্ধের মত হয়েছে . নিয়মিত লিখেন আশা করি সুন্দর গল্প লিখতে পারবেন
ভালো লাগেনি ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১১
অপদেবতা সুন্দর ভাবনা । আমারা সবাই তবু চেষ্টা করি প্রথম দুটো ভেংঙ্গ সামনে যেতে। সফল হইত হই না । চেষ্টা তো করি। শুভ কামনা থাকল।
ভালো লাগেনি ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১১
খন্দকার নাহিদ হোসেন ক্ষুধার দর্শন বেশ লাগলো। তবে গল্প দিয়েও কিন্তু সেটা প্রকাশ করা যেতো।
ভালো লাগেনি ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১১
মোঃ আক্তারুজ্জামান আপনার ক্ষুধা দর্শন আমার ভালো লেগেছে|
ভালো লাগেনি ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১১
প্রজাপতি মন ক্ষুধার বিশ্লেসন ভালই লাগলো.
ভালো লাগেনি ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১১
চৌধুরী ফাহাদ লেখাটা কিন্তু অনেক ভালো লেগেছে। চিন্তা করতে শিখিয়েছে ক্ষুধার রকমফের। তবে তা গল্প হয়নি আদৌ।
ভালো লাগেনি ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১১

০২ মার্চ - ২০১১ গল্প/কবিতা: ১ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "অবহেলা”
কবিতার বিষয় "অবহেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল,২০২৪