ঋতু রঙ্গময়ী রূপসী বাংলা

বাংলার রূপ (এপ্রিল ২০১৪)

এই মেঘ এই রোদ্দুর
  • ১৯
  • ৬৪
ঋতু রঙ্গময়ী রূপসী বাংলা; রূপ বিস্তারে, ঋতুরঙ্গে ছন্দময় বঙ্গ প্রকৃতি
পরিবর্তনে ঋতু বর্ণ বৈচিত্র্যে উদ্ভাসিত প্রকৃতিতে অন্তহীন রূপ, রঙ্গ, সুরের খেলা;
ঋতু যায় ঋতু আসে স্নিগ্ধতায়, বৈচিত্রতায়-বিলসিত স্বাতন্ত্র্যের রূপসজ্জায়।
ঐশ্বর্য্যমন্ডিত বাংলার পথ প্রান্তর রূপে কানায় কানায় পূর্ণ
অনুপম সবুজ শ্যামলিমা পাহাড় টিলা, বনবনানী, পল্লীর গাছ গাছালী,
অপূর্ব সমারোহে অনাবিল সৌন্দর্য্যে ছড়ানো ধন টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া।
নায়ক গ্রীষ্ম ক্রুদ্ধ চোখে তীক্ষ্ণ বহ্নিজ্বালা নিয়ে উদয় পূব আকাশে;
খরতপ্ত অগ্নিবানে জীবধাত্রী ধরিত্রির বক্ষ বিদির্ণ, চৌচির তৃষ্ণার্থ প্রান্তর,
কালবৈশাখীর আগমণে ধুরু ধুরু বুক
অঝর ধারায় নামে বরষা; দুর দিগন্তে ধূসর আকাশে স্তরে স্তরে সাজানো মেঘের স্তুপ;
বজ্রনিনাদে নিবিড় কালো মেঘরাজিরা ভেসে বেড়ায় আকাশে;
দগ্ধ পৃথিবীতে শান্তির পরশ আনে শ্যামল, সুন্দর, নয়নাভিরাম বর্ষা;
মাটির কঠিন শাসন ভেদ করে জন্মে শস্যের দল, সবুজে সবুজ বনবনানি,
প্রকৃতির বুকে মেঘমেদুর ছায়া বিস্তারে জাগে মহোল্লাস, মুখরিত চারপাশ।
বর্ষণ ক্ষ্যন্ত মেঘেরা অলস; মন্থর ছন্দে ভেসে যায় চলে নিরুদ্দেশ;
কালো মেঘমুক্ত আকাশের অপূর্ব রূপ মনোহর, মন হারায় অজানায়;
আলোছায়ার লুকোচুরি; জোছনা ঝরানো রূপালি চাঁদ,
পুলকিত রাত্রি কবিদের কবিতার খাতায় উঠে আসে হাজার কবিতা;
জোছনায় ভেসে বেড়ায় যেন প্রেয়সির মুখ।
কাশবন শন শন শুভ্র কাশফুলে ফুটা ফুটা স্নিগ্ধতা ঝরে শিশিরের ছোঁয়া।
উদাসীন, পৌঢ় আর বিষন্নতা নিয়ে আসে হেমন্ত,নেই রূপ জৌলস;
ধূসর কুয়াশায় দুর দুরান্ত ঢেকে নতুন ফসল ফলানোর সাধনায় থাকে নিমগ্ন.....
হেমন্ত নি:শব্দে ঘর সোনার ধানে ভরে দিয়ে বিদায় নেয় শিশিরের মতই।
বিবর্ণ তরু লতা, রিক্ততায় পূর্ণ ডালপালা হাহাকারে কাঁদে যেন শীতলগ্নে;
সীমাহীন শূণ্যতায়ও প্রকৃতি দেয় অনাবিল প্রশান্তি, স্বস্তির নি:শ্বাস;
খেজুর রস, তরিতরকারী; ঘরে ঘরে পিঠা পুলির উৎসবে মুখর গ্রাম বাংলা।
মাঘের সূর্য ডুবে যেয়ে আসে চলে ঋতুরাজ বসন্ত;
মৃদুমন্দ দখিনা বাতাস আহা; মন প্রাণ ছুঁয়ে যায় অনন্ত সুখে
পলাশ কৃষ্ণচূড়ায় আগুন ঝরে...গাছে গাছে রক্তিম আভায় সাজে শিমুল অশোক,
লাল হলুদ কমলার সাজে বসন্ত আসে রঙ্গিন বিহবলতায় প্রাণে প্রাণে অফুরন্ত উল্লাস....
কবির ভাষায় তাই গেয়ে উঠি আনমনে
"এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি
সকল দেশের রাণী সে যে আমার জন্মভুমি"

আমার দেশ আমার বাংলা আমার গর্ব আমার অহংকার।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এফ, আই , জুয়েল # সুন্দর কবিতা ।।
ওসমান সজীব যেন উপমার ঝড় তুলেন কবিতা প্রকৃতির কোন রুপ বাদ যায় নি অনবদ্য কবিতা
নাজমুছ - ছায়াদাত ( সবুজ ) একে একে তুলে ধরলেন বাংলা প্রকৃতির অপূর্ব রূপ সৌন্দর্য ।চমৎকার ।
সৈয়দ আহমেদ হাবিব বাব্বা আমি কমেন্ট করলামনা, ভোট দিযে পালাচ্ছি
বশির আহমেদ ষড়র্তুর বর্ননার মাধ্যমে বাংলার রূপ বেশ ফুটে উঠেছে কবিতায় ।শুভকামনা রইল---
অনেক ধন্যবাদ কষ্ট করে পড়ার জন্য
আলমগীর সরকার লিটন বেশ হয়েছে কবিতা আপা শুভ কামনা রইল---------
ঈশান মাহমুদ দেশ প্রকৃতির কোন অনুষঙ্গই বাদ পড়েনি আপনার কবিতায়, বেশ সুন্দর। :)
ওয়াহিদ মামুন লাভলু সীমাহীন শূণ্যতায়ও প্রকৃতি দেয় অনাবিল প্রশান্তি, স্বস্তির নি:শ্বাস; খেজুর রস, তরিতরকারী; ঘরে ঘরে পিঠা পুলির উৎসবে মুখর গ্রাম বাংলা। চমৎকার লিখেছেন। শ্রদ্ধা জানবেন।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ :)
সেলিনা ইসলাম বাংলার প্রকৃতি প্রদত্ত সৌন্দর্য শব্দের ঝংকারে বেশ পরিপাটিভাবেই তুলে ধরেছেন ! শুভকামনা রইল
সুগত সরকার ভীষণ ভাল ।চালিয়ে যাও ।

০১ মার্চ - ২০১১ গল্প/কবিতা: ১৫২ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“মে ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ মে, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী