না-ই বা দিলাম তোমার বুক পকেটে শহরের ঝরে পড়া শিউলী
না-ই বা দিলাম ভরা বর্ষার একগুচ্ছ কদম
পাথরের শহরে থেকে মন আমার পাথর, চোখের রঙ ফিকে-পিউলি
এখানে কুহেলী রাস্তার খানাখন্দে ফেলতে হয় বুঝে কদম...
তোমার হাতে না-ই বা তুলে দিলাম ফেলে আসা বসন্তের রঙ
না-ই বা দিলাম ঝরে পরা কৃষ্ণচূড়ার একটি দুপুর
ইটের শহুরে মন আমার জরাজীর্ণতায় আক্রান্ত, ধরেছে জং;
রূপার নূপুরে রিনিঝিনি সুর,
পা ফেললেই শুনি বাজে শুকনো পাতার নুপূর!
তোমাকে আর না-ই বা দিলাম একটি গোধূলীর বিকেল বেলা
তুলে রাখলাম পুরাতন সিকেয়, আমার যত অভিমান
কিছুই আর দেয়ার নেই তোমায়, বুক জমিনে বসেছে ক্লান্তির মেলা
যন্ত্র শহরে থেকে থেকে নিভে গেছে আশার অর্চিষ্মান।
আমাকেও এসো না আর রঙধনু রঙে সাজাতে, বুকে সুখ বাজাতে
দিতে এসো না একমুঠো শুদ্ধ প্রেম কিংবা ভালোবাসা
বিনিময়ে কী বা দিতে পারি তোমায়, কেবল বিরহ ছাড়া,
না-ই বা ধরলে আর এ হাতে...
উচ্চস্বরে ভেঁপু বাজানো শহরে থেকে থেকে
বুকে জমেছে রাজ্যের নৈরাশা।
দিয়ো না আমায় তুমি আর, রাখালিয়া বাঁশির সুর, হাতভর্তি কাঁচচুড়ি
দিয়ো না লাল ফিতে, পায়ের আলতা আর রিনিঝিনি হাসি;
আমি বেলাশেষের খেয়ায় পা রেখেছি, এখন নই আর সেই ইচ্ছেঘুড়ি
সময় এঁটে দিয়েছে গলায় নীল কাছির ফাঁসি;
দিতে এসো না আর শুভ্র পায়রার পায়ে বেঁধে, কলমের লেখা চিঠি
টাচ্ কী বোর্ডের শব্দরা মুহুমুর্হু বাজায় পানসে সুর
রেখো না পথের বাঁকে আমার অপেক্ষায় তোমার নির্নিমিখ দিঠি
ফেলে আসা মেয়েবেলা গোগ্রাসে গিলে ফেলেছে এ শহর
তোমার সীমানা ছেড়ে ছুটে গেছি বহুদূর।
তাই বলে ভেবো না, বুকের বামে যত আবেগ জমা গিয়েছে মরে
ভেবো না অন্তরের জমিতে বারোমাসি চৈত্র খরা
তাই বলে ভেবো না ভালোবাসারা আমায় ছেড়ে পালিয়েছে,
মুগ্ধতারা অবেলায় পড়ছে ঝরে..
ভেবে নিয়ো না আমার মন এখন শুধু পাথর দিয়ে গড়া।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা
ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য
অভিমানে ভরা কবিতা, পড়লেই অনুভব করা যাবে
০১ মার্চ - ২০১১
গল্প/কবিতা:
১৫৮ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।