আহা কত সুন্দর ছিলাম আমি.......

দাম্ভিক (জুলাই ২০১৮)

এই মেঘ এই রোদ্দুর
  • ১৮৮
আহা! কি স্নিগ্ধই না ছিলাম একদা,
আয়নায় তাকিয়ে মুগ্ধ হওয়ার ক্ষণগুলো সেই
হারিয়ে খুঁজি ফের!

চোখের তারায় উচ্ছ্বাস প্রহর
উল্লাসে ফেটে পড়া মুখশ্রীর ছবি সেঁটে আছে এলবামে!
মুগ্ধ আমি মুগ্ধ-আহা!কত সুন্দরই না ছিলাম;
আমায় দেখে আমি ঈর্ষায় মরি
আমায় দেখে আমি হিংসা মনে ধরি।

ছবি উল্টে দেখি-পিছনে সত্যিই দুটো ডানা ছিল
আহা! পিঠে হাত বুলিয়ে ডানা পাই না, খুঁজে পাই না!
আচ্ছা কোথায় কোথায় উড়েছিলাম!
নদী পাড়ি দিয়েছিলাম? পাহাড়? সমুদ্দুর?
না, না, না, তবুও ডানা মেলা পাখি ছিলাম;
খসে পড়ে পালক, সময়ের স্রোতে,
ডানা ভাঙ্গা পাখি আমি-গালে হাত দিয়ে বসে ভাবি!
আহা! কত সুন্দর স্নিগ্ধ ছিলাম আমি!

কে নিয়ে গেলো কেড়ে রূপ মাধূর্য্য আমার?
ফুটফুটে লাল জামায়, আমায় পরীই লাগছিল বটে!
এক চিলতে হাসি-আহা কি মোহনীয়-সেকি দম্ভের ছিলো?

না-কী ভেবেছিলেম, আমি এখানেই পড়ে থাকবো
যত উচ্ছ্বাস, যত উল্লাস সব আমার!আমারই থাকবে/থাকুক!
আহা কি মায়াময় দাঁত কেলানো হাসিগুলো সেই
ছবির উপরে হাত বুলিয়ে অনুভব করছি,
সেই হাসিগুলো কী অতি প্রাকৃত? নাকি মেকি ছিল!
না এখন নিত্য যাচ্ছি হেসে-হ্যাঁ মেকি-অভিনয়-অভিনয়।

হাসিগুলো হলো উধাও, দাঁতে শিরশির যন্ত্রণা,
ঠোঁটের গায়ে কে মেখে দিয়ে ব্যথার প্রলেপ;
হাসি নেই এখানে আর উচ্ছ্বাসের।

আহা কি মনোহারী লাগছে আমায়-যেনো প্রজাপতি,
কতই না মিষ্টি ছিলাম! কোথায় খুলে পড়লো মুগ্ধতা!
খসে পড়লো স্নিগ্ধ পলগুলো-কোথায় হারালো?

ঐ যে ছবিটায় আমি ছিলাম যেনো আমাতেই মত্ত
নিজেকে নিয়ে কত-ই না গর্ব আহা-চোখ ফেরানো যায় না।
আজ এখানে আমার আমি'টাকে খুঁজে মরছি!
হারিয়ে ফেলেছি সেই চেনা সুর-চেনা গল্প, চেনা মুখোচ্ছবি’টি।
বেলাশেষে-অচেনা এই আমি-সেই আমি’র কাছে।
সুন্দর সে-তো ক্ষণিকের, তবু মন বুঝে না হায়!
রূপের দম্ভ, মনের সব অহংকার একদিন মিশে যাবে ধূলোয়
আমি আর চিনবো এই আমাকেই-
কী কঠিন মানুষের জীবনাবসান!

আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
Shipra Kirtunia আহা !! কি কঠিন মানুষের জীবনাবসান! এক কথায় “অসাধারন” ।
ওয়াহিদ মামুন লাভলু নিজের মুখশ্রীর ছবি দেখে নিজেই মুগ্ধ, নিজেকে নিজের কাছে সুন্দর মনে হওয়া, এগুলো সত্যিই মনের মধ্যে ঈর্ষা ও হিংসা নিয়ে আসে। ---- সত্যিই, রূপের দম্ভ, মনের অহংকার একদিন ধুলায় মিশে যাবে, তাই রূপ নিয়ে দম্ভ করা বোধহয় উচিৎ নয়। অনেক ভাল লাগলো। আমার শ্রদ্ধা গ্রহণ করবেন। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইলো।
নাজমুছ - ছায়াদাত ( সবুজ ) যৌবন কাল মানুষের জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়। এসময় মানুষ তার সেরা সময় পার করে। অহঙ্কার । দম্ভ কাজ করে সে সময় । কিন্তু এই যৌবন অহঙ্কার এক সময় বয়সের ভারে নুয়ে পড়ে ।চমৎকার লেখা আপি ।
বিশ্বরঞ্জন দত্তগুপ্ত মুগ্ধতা নিয়ে পড়লাম । শুভকামনা রইল ।
মোঃ নুরেআলম সিদ্দিকী নিজের দাম্বিকতা এবং তাকে নিয়ে স্মৃতি। অতঃপর কবিতা। চমৎকার লাগলো। অনেক শুভকামনা রইল।
Jamal Uddin Ahmed ভাল লাগল আপনার স্মৃতিময় ছবিগুলো দেখে। অনেক অনেক শুভেচ্ছা।

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

মানুষ নিজেকে নিয়ে অহংকার করে, মানুষ যখন যৌবনে পদাপর্ণ করে তখন দুনিয়ার সব ভুলে নিজেকে নিয়ে, নিজের রূপ বিত্ত বৈভব ইত্যাদি নিয়ে খুব দম্ভ করে। অথচ এই অহংকার এই দম্ভ সময়ের সাথে ফিকে হয়ে যায় বয়সের ভারে। বার্ধক্যে এসে অনুশোচনায় কেউ কেউ নিজেকে অতীতের আয়নায় দেখে নেয় বারবার আর ভাবে এই দুনিয়ায় নিজেকে নিয়ে অহংকার করার কিছুই নেই। সব ধুয়ে মুছে যায় বয়সের শেষ প্রান্তে এসে-এক একটি জীবনাবসানের মাধ্যমে ।

০১ মার্চ - ২০১১ গল্প/কবিতা: ১৫২ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“এপ্রিল ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ এপ্রিল, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী