বিশ্বকাপ ২০৯০

বিশ্বকাপ ক্রিকেট / নববর্ষ (এপ্রিল ২০১১)

জাবেদ ভূঁইয়া
  • ২২
  • 0
  • ৫৪
এক .
¤ভাল লাগছেনা মামুনি ?উড়ন্ত গাড়ি দিয়ে উড়ন্ত ক্রিকেট স্টেডিয়াম যেতে তাঁর পাঁচ বছরের মেয়ে রিমিকে জিজ্ঞাসা করলেন আফরান সাহেব ।
¤হু বাবা !আনন্দ ভরা কণ্ঠ্যে বলল রিমি ।
¤আজকার কার খেলা বাবা ? এবার প্রশ্ন করল রিমি ।
¤আজ বাংলাদেশ আর পাকিস্তানের খেলা !ফাইনাল !যদি জিততে পারে তব ঐ যে ১০০ ফুট উঁচু স্বর্ণের কাপটা পাবে বাংলাদেশ ।
¤ওয়াও ! ঝনঝন কণ্ঠে আনন্দ প্রকাশ করে রিমি ।
ওদের গাড়িটা দুটো উঁচু দেয়ানের মাঝখান দিয়ে চলে গেল ।তারপর গাড়িটা ক্রমশ উপরে উঠতে শুরু করল ।গন্তব্য শূন্যে ভাসমান স্টেডিয়াম যাও ।এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে আধুনিক স্টেডিয়াম ।এবং ২০৯০ সালের মহাবিশ্ব স্টেডিয়াম গণনায় তৃতীয় স্থানে আছে ।এবং বিশ্ব স্টেডিয়াম গণনায় প্রথম ।স্টেডিয়ামটিকে কয়েকটা শক্তিশালী লেজার রোশনি শূন্যে ভাসিয়ে রেখেছে ।স্টেডিয়ামটির বিশেষত্ব হল এটি প্রায় ১০০০টি রূপ ধারণ করতে পারে ।এটি কখনো পাখির মত আবার কখন বাংলাদেশের মানচিত্রের মত দেখায় ।এটি বিভিন্ন রূপ ধারণ করার সময় মাঠের কোন পরিবর্তন হয়না ।শুধুমাত্র দর্শক গ্যালারী নড়েচড়ে বিভিন্ন রূপ ধারণ করে।
দুই .
রিমিও তার বাবা উড়ন্ত গাড়ি থেকে নেমে স্টেডিয়াম পা রাখলেন ।তখনি স্টেডিয়ামে রাখা স্বয়ং ক্রিয় কম্পিউটার তাদের চেকিং করতে শুরু করল ।বিশেষ কিছু পেলনা তাদের কাছ থেকে কম্পিউটারটা তবে রিমির বাবার ওয়াকি টকি টা জমা দিয়ে যেতে ।

তিন .
রিমির ও তার বাবা দুটো চেয়ার সামন দাড়াতেই চেয়ার দুটো বলে উঠল আপনার এখানে বসুন ভাল খেলা দেখতে পাবেন ।
তারা দুজনে চেয়ারে বসে পড়ল ।খেলায় টস চলছে ।কিছুক্ষণ পর মাঠের মনিটরে লেখা উঠল টসে বাংলাদেশ জয়ী আর তার ব্যাটিং নিয়েছে ।
কিছুক্ষণের মধ্যেই বাংলাদেশ ব্যাটিং হাতে নামল । রোবট অ্যাম্পিয়ার ও যথাস্থানে দাঁড়াল ।খেলা শুরু হয়ে গেল । প্রথম বল মারলেন বাংলাদেশ ব্যাটসম্যান ওটাকে ছক্কা হাকালো পুরো মাঠ জোরে একটা আনন্দের হৈ চৈ এর সারা পড়ে গেল ।কিন্তু একি রোবট অ্যাম্পিয়ার ওটাকে চার ঘোষণা করল ।যেহেতু ২০৯০সালের নিয়ম অনুযায়ী অ্যাম্পিয়ারের সিদ্ধান্তই শেষ সিদ্ধান্ত তাই সবাই বাধ্য হল ওটাকে চার মানতে ।এরপরের বল আবার ছয় ।কিন্তু অ্যাম্পিয়ার আবার চার ঘোষণা করল ।দর্শকদের থেকে হাজার হাজার মানুষ নিকটাসে অনুরোধ করল রোবট টা পাল্টে দিতে ।কিন্তু কর্তৃপক্ষ কিছু শুনলই না ।উল্টো বলে দিল ওটা বাংলাদেশের তৈরি রোবট তাই তারা ওটা সরাতে পারছেনা ।ঠিক তখনই রিমি খেয়াল করল রোবটটার পায়ের দিকে ।রোবটটার পায়ে হলুদ আর নীল সংমিশ্রণের জুতা ।কিন্তু বাংলাদেশের রোবট হলে তো লাল আর সবুজ থাকার কথা ।অথচ উপর হ্যানোরিও সিল সহ লেখা আছে মেড ইন বাংলাদেশের ।রিমি ব্যাপারটা নিয়ে ভাবছিল এমন সময় আরেকটা বল মারল বলার ।বলটা বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানের পায়ে লেখে উপরে উঠল এবং ওটাকে লুফে নিল বিপক্ষদলের একজন ।আশ্চর্য রোবট অ্যাম্পিয়ারটা কট আউট ঘোষণা করে বসল ।
এবার আর চুপ থাকতে পারলনা পাঁচ বছরে এক্সটা ব্রেন সমৃদ্ধ রিমি ।
ওর সন্দেহের কথা খুলে বলল আরফান সাহেব কে । শুনে তিনি কিছুক্ষণ চুপ করে বসে কি যেন চিন্তা করতে লাগলেন ।ততক্ষণে অ্যাম্পিয়ারে ভুল ডিসিশনে একের পর এক করে পাঁচ উইকেট চলে গেল বাংলাদেশে মাত্র বিশ রানে ।
¤বাবা জলদী একটা উপায় বের কর প্লিজ !অধৈর্য হয়ে বলল রিমি ।
¤একটা উপায় আছে কিন্তু সেটা বেশ কঠিন !
¤তাড়াতাড়ি বল বাবা কি উপায় ?
¤মাইগ্রেট করতে হবে রোবটটাকে যাতে ওটা নির্দলীয় হয়ে যায় ।এটা খুব কঠিন আবার খুব সহজ ।
¤আমি পারব বাবা !দৃঢ় কণ্ঠে বলল রিমি ।
¤কি করতে হবে বল ?
¤তোকে হাওয়াল রুমের সুরক্ষা এড়িয়ে রোবোটিক প্রজন্ম রুমে প্রবেশ করতে হবে তারপর মাইগ্রেট বাটনে চেপে আসতে হবে ।কিন্তু যদি তুই কোন লেজার রোশনির কবলে পড়ে যাস তাহলে কিন নির্ঘাত মৃত্যু ।
বাবার কথা শুনে ২ সেকেন্ড চুপ করে রইল রিমি তারপর উঠে দাঁড়াল বলল , আমি যাব বাবা আমার দেশের জন্য আমি যাব ।

রিমি এগিয়ে চলল হাওয়াল ঘরের দিকে ।যাবার আগে একবার স্কোর বোর্ডর দিকে তাকাল ।ওখানে ছয় উইকেটে পঞ্চাশ রান ।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
জাবেদ ভূঁইয়া আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ ।
এস, এম, ফজলুল হাসান ভালোই লেখেন, ধন্যবাদ আপনাকে
সম্পা খুব ভালো লিখেছ.সবাই এত ভালো সায়েন্সফিকশন লিখতে পারেনা. চালিয়ে যাও .একদিন অনেক বড় হবে.
মাহমুদা rahman তোমার লেখা ভাল
বিষণ্ন সুমন অনেক ভালো লিখেছ পিচ্ছি সোনা. আমার মত চল্লিশে এসে তুমি আর আমাকে চিনবে না জানি. কিন্তু তদ্দিন আমি বেচে থাকলে তোমায় চিনতাম বলে গর্ববোধ করব. অনেক অনেক শুভকামনা রইলো তোমার জন্য.
ঝরা পুচকিসোনা তুমিতো দেখছি সবাইকে ছাড়িয়া যাবে l লিখতে থাকলে অবশ্যই তুমি অনেক বড় হবে l
শাহেদুজ্জামান লিংকন সাবাস বাবু। চমৎকার লিখেছো
মিনহাজ ভুঁইয়া অসারাধণ গল্প ।এমনটাই তো চাই ।তবে জুতায় পতাকার রং এটা ভাল লাগল না ।তবু অসাধারণ ।
ফাতেমা প্রমি অনেক অনেক সুন্দর হয়েছে...বাংলাদেশ-ই তো জিতল,,না??? এত choto মানুষের এত ভালো লেখার হাত??এগিয়ে যাও...

২০ ফেব্রুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ১৫ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪