হারুর নববর্ষ

বিশ্বকাপ ক্রিকেট / নববর্ষ (এপ্রিল ২০১১)

জাবেদ ভূঁইয়া
  • ২০
  • 0
  • ৫৭
এক ।
আজ নববর্ষ ।তাই শুকতারা গ্রামটায় নতুন বাতাস বইছে ।বছরের সব কষ্ট যন্ত্রণা কান্না হাসি কঠোর জীবন সংগ্রাম ভুলার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে যেন ।

ভোর হতেই ঘুম থেকে দ্রুত উঠে পড়া হারু ।আজ যে নববর্ষ ।নববর্ষের দিনটাকে সে বেশি উপভোগ করতে চাই ।তাঁতের ঘর থেকে বাবার ঠকর ঠকর তাঁত বুনার শব্দ আসছে ।হারু এগিয়ে যায় বাবার তাঁত ঘরের দিকে ।অন্যদের মত তাদের অনেকগুলো তাঁত নেই ।তাদের ঘরে শুধু একটা তাঁত আর তা হারুর বাবায় চালায় ।
হারু বাবার পাশে গিয়ে বসে ।কিছুক্ষণ নিঃশব্দ বাবার তাঁত বুনা দেখে তারপর বলে , বাজান মেলায় যাবা ?
হারুর বাবা রহিম তাঁত বুনতে বুনতেই উচ্চ স্বরে বলে ,বিকালে তয় যুদি সময় হয় ।
রহিমের গলা তাঁত বুনার শব্দ ছাপিয়ে হারুর কানে প্রবেশ করে ।হারু কিছু চিন্তা কিছুটা আনন্দ আর কিছুটা ক্ষোভ নিয়ে বলে ,আইচ্ছা ।তারপর সেখান থেকে উঠে রান্না ঘরের দিকে এগোতে থাকে সে ।রান্নাঘরের দরজায় গিয়ে দাড়ায় হারু ।ভিতরে হারুর সালেহা কাজ করছে ।হারু ঝাঁঝাল স্বরে বলে ,বাজান না গেলেও কিন্তুক আমি মেলায় যামু !সালেহা ভাতের মাড় ছাঁকছিলেন ।মুখ ঘুড়িয়ে একবার হারুকে দেখে নিলেন ।তারপর বললেন ,তোর কাছে টাহা থাকলে যাবি !
হারু ভেবে পায়না ওর মা কেন এত বোকা ।আট বছরে বালক ক্লাস থ্রিতে পড়া হারুর কাছে কোথা থেকে টাকা আসবে ।মায়ের বোকামিতে হারুর কিছুটা হাসিও পায় আবার হাসি মিলিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে হারু ,আমি কইত্যে টাহা পামু !তুই কিন্তু দিবি টাহা !শেষের কথাটা কিছুটা নরম ভাবে বলে হারু ।
মা বলেন ,আইচ্ছা যা দুই টাহা দিমুনে !
মায়ের কথায় কিছুটা উল্লাসিত হয়ে পড়ে হারু ।তারপর বলে ,দুই টাহা না পাঁচ টাহা দিওন লাগবো !
দারিদ্র মা সালেহা বানু আজ ছেলের হাসি মুখ দেখতে চান ।বছরের এই একটা দিনে অন্তত ছেলের কিছু আবদার মেটাতে চান ।তাই তিনি সম্মতি দিয়ে বললেন ,আচ্ছা দিমুনে !
হারু উল্লাসে লাফিয়ে উঠে ।সে আজ পাঁচ টাকা নিয়ে মেলায় যাবে ।ব্যাপারটা বন্ধুদের জানানো দরকার ।দুই
বিকেলে বাবাকে ছারাই কাশেপ পুর মেলায় যেতে হয় হারুর ।বাবার হঠাত্‍ ভীষণ কাজ পড়ে গেছে ।এতে অবশ্য অখুশি নয় হারু ।মায়ের পাঁচ টাকা আর বোনাস হিসেব পাওয়া বাবা দুটাকা নিয়ে মেলায় চলে যায় সে ।ভীষণ ভীর মেলায় গেটে ।কোনমতে ঠেলঠুলে মেলায় প্রবেশ করে হারু ।কি চমৎকার ।আর অন্যরকম একটা ভাল লাগা ছেপে ধরে হারুকে ।কত জিনিসপত্র চারদিকে ।কোনটা রেখে কোনটা কিনবে ভাবে সে ।একটা মাটির গরুর উপর দৃষ্টি পড়ে তার ।চমৎকার কালো রঙ করা মোটাতাজা গরু ।হারু এগিয়ে গিয়ে মাটির গরুটার দাম জিজ্ঞেস করে ,কত ইডা ।
দোকানির বেচাকেনা ভাল দেখে মন উত্ফইল্ল ।দুটা আঙুল দ্বার করিযে বলে ,দুই টাহা দিও দশহাজার টেহার গরুডার দাম ।
হারুর পকেটে এখন সাতটাকা আছে ।তাই সে গরুটা মুড়িয়ে দিতে বলে ।দোকানী গরুটা মুড়িয়ে হারুর হাতে দেয় ।হারু পকেট হাত দেয় টাকা বের করার জন্য ।কিন্তু একি !টাকা কোথায় গেল ।হাফপ্যান্টের প্রত্যেক পকেট তন্ন করে খুঁজতে থাকে হারু ।ততক্ষণে তার চোখে অশ্রুর ফোয়ারা নেমেছে ।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
জাবেদ ভূঁইয়া মির্জা আজিজ মির্জা আজিজ আসলেই কি তোমার বয়স ১৪/১৫ ? নাকি ইচ্ছে করে ভুল দিয়েছ.?যাই হোক লেখা খুব ভাল হয়েছে. চালিয়ে যাও. গল্পটা আরেকটু বড় হলে ভাল হত. সোম at ১২:২১ অপরাহ্ণ আজিজ ভাইয়া বয়স নিয়ে আপনার কোন সন্দেহ থাকলে 01828644020 এই নাম্বারে ফোন দিতে পারেন
এস, এম, ফজলুল হাসান অনেক ভাল লিখেছেন... , অনেক ধন্যবাদ
সম্পা খুব ভালো হয়েছে
সৌরভ শুভ (কৌশিক ) জাবেদ ভুঁইয়া,লিখেছ বেশ /চালিয়ে যাও ,করনাকো শেষ /
মাহমুদা rahman অনেক ছেট তুমি..লেখাটাও ছেটাদের উপযোগী ভাল লেগেছে
খোরশেদুল আলম বয়স নিয়ে আমি আর কি বলবো তোমার লিখার হাত ভাল খুব ভালো।
মেহেদী আল মাহমুদ সাত টাকাও মারিং হয়ে গেল? আফসোস
মোঃ শামছুল আরেফিন ভাল লেগেছে ।তবে আর ও অনেক বড় করা যেত ।আশা করি ভবিষ্যতে তুমি অনেক অনেক ভাল করতে পারবে।অনেক অনেক শুভ কামনা রইল
মাহাতাব রশীদ (অতুল) জাবেদ ভাইয়া ভাল লিখেছ।মকে নিয়ে আরো ভাল করে লিখ।শুভকামনা রইল।৫ এ ৪

২০ ফেব্রুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ১৫ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪