এক অভিশপ্ত দুপুরের গল্প

প্লেন ক্র্যাশ (সেপ্টেম্বর ২০২৫)

মাহাবুব হাসান
  • ১০
  • 0
  • ৮৩
১.
ওয়াশরুমের বেসিনের ওপর বিশাল বিশাল থাই গ্লাস। ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাহমুদুর রহমান সৈকত আয়নায় নিজের চেহারাটা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছে। সুন্দর চেহারাটা আজ একটু বেশিই চকচক করছে! বাঁধভাঙা খুশির আভা ছড়িয়ে আছে সৌম্য চেহারাজুড়ে। বহুদিনের স্বপ্ন আজ পূরণ হতে চলেছে। আজই সে প্রথমবারের মতো একাকী এয়ারফোর্সের একটা যুদ্ধবিমান ফ্লাই করবে।

সৈকতদের বাড়িতে এখন উৎসবের আমেজ। নিম্নমধ্যবিত্ত এই পরিবারে এখন অব্দি কেউ বিমানে চড়তে পারে নি। অথচ এই পরিবারেরই একজন আস্ত একটা বিমান একা উড়িয়ে নিয়ে যাবে! এই আনন্দে সৈকতের বাবা দেড় কেজি সাইজের একটা ইলিশ কিনে এনেছেন। মা প্রস্তুতি নিচ্ছেন রান্নার। শর্ষে ইলিশ সৈকতের খুব পছন্দ।

সৈকত ট্রেনিংয়ের প্র্যাকটিকেল অংশে বেশ কয়েকবারই প্লেনে উঠেছে। তবে গত পরশু পর্যন্ত একজন সিনিয়র সাথে থাকতেন; প্লেন তিনি ফ্লাই করতেন। সৈকত তার কাছ থেকে প্লেন চালানোর টেকনিকেল জিনিসগুলো বুঝে নিত। তিনি সৈকতকে সবকিছু শিখিয়ে-পড়িয়ে ম্যানেজমেন্টকে গ্রিন সিগন্যাল দেয়ার পরই সৈকত সুযোগ পেয়েছে প্লেন ওড়ানোর।

সময় ঘনিয়ে এসেছে। সৈকত শেষবারের মতো ড্রেস-আপ ঠিকঠাক করে বেসিনের পাশ থেকে পাইলট হ্যাট তুলে মাথায় চাপিয়ে বেরিয়ে এলো। কিন্তু কিছুদূর যেতেই থমকে দাঁড়াল ইনকামিং ফোনকলের রিংটোনে। সীমার ফোন।

“কেমন আছ?”
“ভালো”
“শুনলাম আজ তুমি একা প্লেন চালাবা!”
“হুম”
“কনগ্রাচুলেশনস! তোমার অনেকদিনের স্বপ্ন…”

সৈকত কিছু বলল না। ওপাশে ক্ষণিকের নীরবতা

“এখনো রেগে আছ?”

সৈকত কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর বলল
“না!”
“তাহলে আসো, আমাকে নিয়ে যাও”
“একাই চলে আসো”
“আমার একা আসা ভালো দেখাবে না”
“কেন, একা একা যদি যেতে পারো তাহলে একা আসতে অসুবিধা কোথায়?”
“কারণ আছে”
“কী কারণ?”
“ফোনে বলা যাবে না! সামনাসামনি বলব”
“ঠিক আছে, রাতে আসছি”

সৈকত ফোন রেখে দিলো। সীমা ভালো সময়েই কল করেছে, সৈকত এখনই ফোনটা লকারে রেখে বেরিয়ে পড়ত।

ফোন লকারে রাখতে গিয়ে মনে হলো, এত বড় একটা অকেশন, সেটার স্মৃতি রাখবে না? চটজলদি ব্যাচমেট এনায়েতকে দিয়ে প্লেনের সাথে কয়েকটা ছবি তোলালো। তারপর সেগুলো সীমাকে হোয়াটসঅ্যাপে সেন্ড করে উঠে বসল বিমানে।

আজকের দিনের টাস্ক হচ্ছে ১ কিলোমিটার রেডিয়াসের মধ্যে ফ্লাই করে আবার বিমান ঘাঁটিতে ফিরে আসা। প্রথম দিন বলে কথা!

টেক অফের পর প্লেন যখন নীল নবঘনে ডানা মেলল তখন সৈকতের বার বার মনে হতে লাগল, এই মুহূর্তে ভূমি থেকে এত উঁচুতে শুধু ও আর এই প্লেন! একটা বল্গাহারা স্বাধীনতা- এই দিনটার জন্যে ওর কত দিনের অপেক্ষা! এই ভাবনাগুলো ওর মনটা ভরিয়ে দিলো এক অনির্বচনীয় আনন্দে। কিন্তু সেই আনন্দ বাতাসে মিলিয়ে গেল মুহূর্তকাল পরই।

উড্ডয়নের এক মিনিটও পার হয় নি; হঠাৎ প্লেনের কন্ট্রোল প্যানেল রেড এলার্ট বিপ দিতে লাগল। কোনো মেকানিকেল এরর হয়েছে, কিন্তু কী সেটা সৈকত বুঝতে পারছে না। অনতিবিলম্বে কন্ট্রোল রুমের সাথে যোগাযোগ করল। কন্ট্রোল রুম থেকে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে ওয়ার্নিং দেয়া হলো পরিস্থিতি আর তাদের কন্ট্রোলে নেই। এই মুহূর্তে সৈকতের একটাই করণীয়- ইজেক্ট করা। প্লেন ক্র্যাশ করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হলে পাইলটরা এটাই করেন। রেডিও কমিউনিকেশনে তিনবার Mayday বলে সিটের সাথে থাকা ইজেকশন হ্যান্ডেল টেনে ধরেন। মুহূর্তের মধ্যে প্লেনের উইন্ডশিল্ড খুলে পাইলটসহ সিট তীব্রবেগে উপরে উঠে যায়। অনেকটা রকেট উৎক্ষেপণের মতো। এরপর পাইলট প্যারাশুট ওপেন করে আস্তেধীরে মাটিতে নেমে আসেন।

একজন বৈমানিকের জন্যে ফার্স্ট অ্যান্ড ফরমোস্ট লেসন- সকল পরিস্থিতিতে মাথা ঠান্ডা রাখা। সৈকত প্রাণপণ চেষ্টা করছে, কিন্তু নার্ভের ওপর পুরো নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারছে না। কপাল বেয়ে ঘাম গড়াচ্ছে। প্লেনের কী হবে বা তার কী হবে- এসবের চেয়ে বেশি ভাবাচ্ছে পাবলিক সেফটি। এই মুহূর্তে সৈকত যে আকাশসীমায় আছে তার নিচে ঘনবসতি। এখানে ইজেক্ট করলে প্লেন ক্র্যাশ করে শত শত মানুষের প্রাণনাশ হতে পারে। সামনেই বাচ্চাদের স্কুল। এটুকু পার হলেই একটা ওপেন স্পেস।

শত শত জীবন বাঁচবে কি বাঁচবে না তা নির্ভর করছে এই মুহূর্তের একটি ডিসিশনের ওপর- সৈকত কি ইজেক্ট করবে? নাকি মানুষের জীবন বাঁচাতে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ফাঁকা জায়গাটায় ইমার্জেন্সি ল্যান্ডিংয়ের চেষ্টা করবে?

সীমার সুন্দর মুখটা সৈকতের চোখের সামনে ভাসছে। সৈকত কথা দিয়েছে রাতে গিয়ে নিয়ে আসার। কথা রাখতে পারবে তো?

এই মুহূর্তে ইমোশনাল হলে চলবে না। নিজের জান যায় যাক, এতগুলো মানুষের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলবে না কোনোমতেই। কন্ট্রোল রুমের পুনঃ পুনঃ ইজেকশনের নির্দেশনা অমান্য করে ইমার্জেন্সি ল্যান্ডিংয়ের চেষ্টাতে ফোকাস করল সৈকত।

ক্রমশই প্লেনের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে, ইতিমধ্যে ওটা অনেকখানি নিচে নেমে এসেছে। মাত্র দু’শ গজ দূরেই লিটল অ্যাঞ্জেল কিডস স্কুল; তারপরই ফাঁকা জায়গাটা… কিন্তু এটুকু পথ পেরোনোও এখন অসম্ভব মনে হচ্ছে।

২.
যোহরের আজান মাত্রই পড়েছে। লিটল অ্যাঞ্জেল স্কুলের শেষ ক্লাসটা শেষের পথে। মিনিটখানেক পরই বেল বাজবে।

সহকারী শিক্ষক হাবিবুর রহমান ভেতরে ভেতরে অস্থির। একটু আগে গ্রামের বাড়ি থেকে খবর এসেছে, মায়ের অবস্থা খারাপ; জ্বরের ঘোরে বারবার ছেলেকে ডাকছে। সেই থেকে মনটা আনচান করছে ওর। ছুটির ঘণ্টা বাজলেই এখান থেকে সোজা রেলস্টেশন। হাবিব ক্লাসরুমে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে ছুটির ঘণ্টা বাজার। প্রতিদিন আজান পড়তেই ক্লাস ছুটি হয়। আজ দপ্তরি ঘড়ির টাইম রিসেট করতে গিয়ে নির্ঘাৎ এক মিনিট স্লো করে ফেলেছে!

একই ক্লাসের লাস্ট বেঞ্চে বসা অনিতার মনটা আনন্দে ব্যাকুল। দীর্ঘ এক মাস পর মা আর পিচ্চি ভাইটাকে দেখতে পাবে! বাবা-মায়ের বনিবনা হচ্ছিল না অনেকদিন, ছাড়াছাড়ি হয়েই যাচ্ছিল। শেষমেশ সন্তানদের কথা ভেবে তারা নিজেদের আরেকটা সুযোগ দিতে রাজি হয়েছে। মা হয়ত এতক্ষণে হৃদয়কে নিয়ে বাড়িতে চলেও এসেছে। কিন্তু ছুটির ঘণ্টা বাজবে কখন? অনিতার তর সইছে না।

স্কুল ভবনের নিচে অভিভাবকেরা জটলা করে ক্লাস শেষের অপেক্ষায়। ইয়াসমিন অস্থির পায়চারী করছে। ৭ দিন জ্বরে ভোগার পর মেয়েটা আজ প্রথম স্কুলে এসেছে। কে জানে এখন কী অবস্থা!

স্বামী মারা যাওয়ার পর রুমানাই ইয়াসমিনের পৃথিবী। নরম স্বভাবের মেয়ে, মায়ের কাছে তেমন একটা আবদার করে না। আজ মুখ ফুটে মাল্টার কথা বলেছে। এক কেজি মাল্টা হাতে নিয়ে ইয়াসমিন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। প্রতিদিন যোহরের আজান পড়তেই স্কুল ছুটি হয়; আজ কেন হচ্ছে না?

এমদাদ হোসেনের শরীরটা আজ বেশ খারাপ। অফিস থেকে আর্লি লিভ নিয়ে বেরিয়েছে। এরমধ্যেই জ্বর অনেক বেড়েছে, এমদাদ দাঁড়িয়ে থাকতে পারছে না। মেয়েকে নিয়ে বাসায় গিয়েই বিছানায় গা এলিয়ে দেবে। স্কুল ছুটির ঘণ্টা তার কাছে এই মুহূর্তে পরম আরাধ্য। এই তো আর তিরিশ সেকেন্ড…

ঠিক সেই মুহূর্তে ক্লাসরুমে দাঁড়ানো হাবিবুর রহমান, লাস্ট বেঞ্চের অনিতা, স্কুল চত্বরে অস্থির পায়চারীরত ইয়াসমিন আর গাছের সাথে হেলান দিয়ে বসা এমদাদ খেয়াল করল বেশ নিচ দিয়ে একটা যুদ্ধবিমান তীব্রবেগে স্কুলের দিকেই ছুটে আসছে…

৩.
“ও বৌ! মোর হাবিব আইলো নি?”
“এইতো আসলো বলে! আপনি একটু ঘুমান মা, আপনার ছেলে আসলে আমি আপনাকে ডেকে দেবো নে”

শাশুড়িকে আশ্বস্ত করে সাইমা আড়ালে গিয়ে চোখ মুছল। প্লেন ক্র্যাশের সংবাদ শোনার পর থেকে দফায় দফায় স্বামীর নম্বরে ফোন দিচ্ছে, কিন্তু নম্বর বন্ধ। সাইমার শ্বাস বন্ধ হয়ে আসতে চায়। কিন্তু অসুস্থ শাশুড়ির সামনে স্বাভাবিক থাকার প্রাণপণ চেষ্টা করছে সে।

কে জানে, ঘটনাস্থলে এখন কী অবস্থা! অনেক মানুষ নাকি মারা গেছে। সোহেলের বাবা বেঁচে আছে তো?

স্বামীর ছবিতে হাত বোলাতে বোলাতে কান্নায় ভেঙে পড়ল সাইমা।

আজ কান্না দিবস; তিনশ’ মাইল দূরে শাজাহানপুরে নিজ কামরায় বসে কাঁদছে আরেক নারী- সীমা। হোয়াটসঅ্যাপে সৈকতের জীবনের শেষ ছবি খোলা। মাত্র আধঘণ্টা আগে ছবিগুলো পাঠিয়েছিল জলজ্যান্ত মানুষটা। বাবা হতে চলেছিল সে, এতবড় সুসংবাদ না জেনেই চলে গেল!

৪.
সৈকত শেষ পর্যন্ত পারে নি, ফাঁকা জায়গাটায় যাওয়ার আগেই প্লেন ক্র্যাশ করে স্কুলের ওপর। প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠেছিল স্কুল প্রাঙ্গণ। আগুনের লেলিহান শিখা গ্রাস করে স্কুলের দক্ষিণপাশ। শাপলা শাখার বাচ্চাগুলো চিৎকার করার সময়টুকুও পায় নি। ঘটনার আকস্মিকতায় হতবুদ্ধ জনতা ঘোর কাটতেই ছুটে গেছে স্কুল প্রাঙ্গণে। কিন্তু আগুনের আঁচ আর বিষাক্ত কালো ধোঁয়ায় স্কুল ভবনের ভেতরে ঢোকার সাধ্য নেই।

বাচ্চাদের সী-স’র সামনে মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছে এক হালি মাল্টা। প্লেন ক্র্যাশের প্রাইমারি শক কাটতেই ইয়াসমিন সব ফেলে ছুটে গেছিল ভবনের দিকে।

তিনতলায় রুমানাদের ক্লাসরুমের ওপর পড়েছে বিমানটা। ছেলেমেয়েরা সিড়ি বেয়ে হুড়মুড় করে নামছে। ইয়াসমিন উপরে উঠতে মরীয়া, কিন্তু উলটো স্রোতে ভেতরে যাওয়া অসম্ভব।

হঠাৎ ইয়াসমিনের নজর গেল কোনার ঝোপটার দিকে। রুমানার বয়সী একটা মেয়ে ঝলসানো শরীর নিয়ে উপুড় হয়ে পড়ে আছে। ইয়াসমিন ছুটে গেল মেয়েটার কাছে। ওকে বুকে জড়িয়ে প্রাণপণে ছুটল অ্যাম্বুলেন্সের দিকে। কোত্থেকে এমদাদ ছুটে এসে ইয়াসমিনের গতিরোধ করল। মেয়ের আধপোড়া দেহটা ছিনিয়ে নিয়ে নিজেই দৌঁড়ে গেল অ্যাম্বুলেন্সের দিকে।

ইয়াসমিন মেয়েটাকে চিনতে পারল- রিয়া, রুমানার বেস্ট ফ্রেন্ড। রিয়া এখনো বেঁচে আছে, আর রুমানা…?

পেছন ফিরতেই ইয়াসমিন দেখল স্ট্রেচারে করে একটা শিশুর পোড়া দেহ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে; সাদা কাপড়ে শরীর ঢাকা, শুধু এক পা বেরিয়ে আছে। সেই পায়ে রূপার নূপুর গলে পোড়া মাংসের ভেতর ঢুকে গেছে। এই নূপুরটা আজ সকালে রুমানার পায়ে পড়িয়ে দিয়েছিল ইয়াসমিনই।

পুড়ে কালো হয়ে যাওয়া চেহারাটা ইয়াসমিন আর দেখতে পারল না; তার আগেই অন্ধকার হয়ে গেল ওর সামনের দুনিয়া।

৫.
এখন অব্দি ৩২টা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রায় সবই শিশু। প্লেনটা আর তিরিশ সেকেন্ড আকাশে থাকলেই ওরা বেঁচে যেত! দেশজুড়ে শোকের মাতম উঠেছে। গণমাধ্যম-সংবাদমাধ্যম উপচে পড়ছে প্লেন ক্র্যাশের নিউজে। সেই নিউজ শেয়ার হয়ে হয়ে পৌঁছে গেছে অনিতার বাবার নিউজফিডেও।

অনিতাকে নিতে আসতে ওনার আজ দেরি হয়েছে ট্রাফিক জ্যামের কারণে। প্লেন ক্র্যাশের নিউজ শোনামাত্রই অটো থেকে নামতে গিয়ে বেমক্কা পড়ে পা মচকে গেছে তার। মচকানো পা নিয়েই খোঁড়াতে খোঁড়াতে তিনি পৌঁছে গেছেন স্কুলে। প্লেনটা অনিতাদের ক্লাসরুমের ওপর পড়েছে শুনে “অনিতা! মা রে…” বলে আর্তনাদ করে উঠলেন তিনি।

ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ সমুদ্রে বেমালুম আস্ত জাহাজ হারিয়ে যাওয়ার মতো সেই আর্তনাদ হারিয়ে গেল আরো অজস্র সন্তানহারা বাবা-মায়ের বুকফাটা আর্তনাদের ভিড়ে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
রুমানা নাসরীন শরীর শিউরে উঠলো লেখাটি পড়ে। শুভকামনা রইল, ভাই।
ধন্যবাদ নাসরিন আপা। আপনি খুব সুন্দর মানবিক গল্প লিখতে পারেন। এই সংখ্যায় লিখলে নি:সন্দেহে সেটা হৃদয়স্পর্শী হতো।
আমি চেষ্টা করবো নিয়মিত হওয়ার।
ধন্যবাদ আপু। আপনার জন্যে শুভকামনা রইল।
মেহেদী মারুফ গল্পটা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বেশ আগ্রহ নিয়ে পড়লাম। সৈকত হলো তৌকিরের রূপক চরিত্র। এছাড়াও আপনি বেশ কিছু চরিত্র আলাদা আলাদা ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। যেটা বাস্তবতার সাথে খাপ খেয়ে যায়। হয়তো মাইলস্টোনের ধ্বংসের আগ মুহুর্তে এমন কিছুই চলছিলো সবার মনে। সবচেয়ে বেশি কষ্ট পেলাম সীমার কথাটা ভেবে। পেটে থাকা বাচ্চাটা জন্মের আগেই এতিম হয়ে গেলো। চমৎকার উপস্থাপনা। শুভ কামনা ও ভালোবাসা রইলো মাহাবুব ভাই!
ধন্যবাদ ভাই। আগ্রহ নিয়ে গল্পটি পড়েছেন, মন্তব্যের মাধ্যমে অনুপ্রাণিত করেছেন। সবকিছুর জন্য কৃতজ্ঞতা।
ফয়জুল মহী অসম্ভব সুন্দর অনুভূতি প্রকাশ

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

এটি ২১ জুলাই ২০২৫-এর প্লেন ক্র্যাশের পটভূমিতে লেখা গল্প, যেখানে কাল্পনিক কিছু চরিত্রের মধ্য দিয়ে তুলে ধরা হয়েছে মর্মান্তিক সেই দুর্ঘটনায় সন্তান-হারা, স্বজন-হারা মানুষগুলোর অন্তরের প্রতিধ্বনি।

৩০ সেপ্টেম্বর - ২০২৩ গল্প/কবিতা: ৪১ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "হতাশা”
কবিতার বিষয় "হতাশা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর,২০২৫