ভূমিকা
[৩০ জুন ২০১৮, রাত সাড়ে ১২টা]
মৎস ভবন থেকে শাহবাগ হয়ে শুক্রাবাদ। চলমান আন্দোলনে দিনের বেলায় সরগরম রাস্তাটা এখন কত শুনশান!
‘বাংলার পাঁচ’ মুখের তরুণ দ্রুতপায়ে হেঁটে চলেছে মেসের দিকে। হঠাৎ লাঠিসোঁটা হকিস্টিক রাম দাঁ নিয়ে তার ওপর চড়াও হলো অচেনা কয়েক তরুণ।
ছেলেটা জ্ঞান হারানোর আগমুহূর্তে দেখল তাকে বাঁচাতে ছুটে আসছে তার দলের ছেলেপুলেরা
১.
[২৭ জুলাই ২০২৪]
-জান, কী করো?
-এডিট করতেসি
-কোনটা? সাজেকেরটা?
-হুম
একটুখানি মিথ্যার আশ্রয় নিতে হলো। রুমেল এই মুহূর্তে ছাত্র আন্দোলনের একটা লেটেস্ট ভিডিও সেকেন্ডারি চ্যানেলে আপ করছে। এসময় এধরণের ভিডিওর চরম কাটতি। তবে কাজটা খুব রিস্কি, জানাজানি হলে বিপদ। বিদ্যুৎ না থাকায় ড্রাইভে ভিডিও ক্লিপ আদানপ্রদান করা যাচ্ছে না। ওদের সাথে ফিজিকেলি মিট করে ক্লিপগুলো নিয়েছে।
-কী বলো! ওইটা এখনো শেষ হয় নাই! কাল না আপ করবা?
-কী করব বলো! তিনদিন ধরে কারেন্ট নাই, আইপিএসের ব্যাটারিও ডাউন খায়া গেল। সেই সকালে ওইটা নিয়া শহরে গেসি, আর এই সন্ধ্যায় ফিরলাম
-শহর মানে, ফরিদপুর?
-হুম! মতিউর ভাইরে চিনো না? ওনার দোকান। সারাদিন বইসা থাইকা আইপিএস সারাই কইরা এই সন্ধ্যার পর ফিরলাম
-কিন্তু গেলা ক্যামনে? তোমাদের ওইদিকে আন্দোলন হইতেছে না?
-হইতেছে তো! এই জন্যেই তো আইতে যাইতে এত সময় লাগল
-সাবধানে থাইকো, এমনিতেই তোমার চেহারা ‘বাংলার পাঁ…’ আরে এটা… রুমেল, তুমি?
-কী হইছে?
-টিভির সামনে?
-না
-তাড়াতাড়ি টিভি ছাড়ো.. জিটিভি নিউজ
জিটিভি ধরতে ধরতে নিউজের ওই অংশ শেষ। তানিয়া ঘটনা যা বলল তা রুমেল হেসে উড়িয়ে দিল
…চলমান ছাত্র আন্দোলনে এক আন্দোলনকারীর ছোঁড়া গুলিতে পুলিশ নিহত। বন্দুকধারীকে খুঁজছে পুলিশ…
নিউজে চেহারা স্পষ্ট দেখা গেছে- রুমেল!
-প্র্যাংক করতেছ? আজ কিন্তু পয়লা এপ্রিল না…
রুমেল হাসতে হাসতে চ্যানেল বদলাল। এসএ নিউজ। তানিয়ার বলা নিউজ এখানেও। রুমেল দুইশ ভোল্টেজের শক খেলো। রিমোট কন্ট্রোলার পরে গেল হাত থেকে। ঠিক তখনই দরজায় ধুপধাপ শব্দ… পুলিশ!
ভিডিওতে রুমেলের চেহারা এত স্পষ্ট এসেছে যে ওকে খুঁজে পেতে কষ্ট হয় নি। মহল্লাভর্তি মানুষের সামনে মায়ের শত কাকুতিমিনতি অগ্রাহ্য করে পুলিশ রুমেলকে পিছমোড়া করে জীপে তুলে নিল।
২.
সমন্বয়কদের তরফ থেকে স্পষ্ট নির্দেশনা ছিল কোনো ধরণের সহিংসতায় যাওয়া যাবে না। এই আন্দোলনে সাধারণ মানুষের সমর্থন আছে প্লাস সরকার হার্ডলাইনে যেতে পারছে না এই একটা কারণে। কিন্তু রুমেলের একটামাত্র ভুল কাজ সবকিছু ভেস্তে দিয়েছে। সুযোগ পেয়ে পুলিশ ব্যাপক দমনপীড়ন শুরু করেছে।
কিন্তু রুমেল কেন এটা করল? কে সে?
সমন্বয়করা বলছে এ তাদের কেউ না।
সরকার বলছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে সরকার পতনের চক্রান্তকারীরা মিশে গেছে।
বিরোধী দল বলছে সরকার নিজে কাজটা করে দায় ওদের ঘাড়ে চাপাচ্ছে।
কার বক্তব্য সঠিক?
গুলি চালিয়ে ছেলেটা উধাও কী করে হলো?
গুলি করেছিল হেলমেট পড়ে; হেলমেট খুলে সিসি ক্যামেরার সামনে পোজ দিলো কেন?
গোলমেলে ব্যাপার!
রুমেল যেমন ছেলে তাতে ও এমন কিছু করতেই পারে না- সবাই বলছে। একদম সহজ-সরল নিরীহ, সাত চড়েও রা করে না। এই ছেলে করবে খুন!
কিন্তু পুলিশি তদন্তে বেরিয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য। রুমেল মোটেই সভ্যশান্ত না! ওর নামে পুলিশ কমপ্লেইন্ট অতীতেও ছিল। ৬ বছর আগে যখন কলেজে পড়ত, ছাত্ররাজনীতির সাথে জড়িত ছিল। হেব্বি ডেয়ারিং! ওর নামে কলেজের ছেলেপুলেরা কাঁপত।
একদিন দ্বন্দ্বের জেরে প্রতিপক্ষের কয়েকজনকে বেধড়ক পিটিয়েছিল। জখম চারজনের একজন ছিল কাইল্লা রাজনের ছেলে। মার খেয়ে আধমরা অবস্থা। রাতে মায়ের কাছে ফোন আসে রুমেলকে জানে মেরে ফেলার চক্রান্ত করা হচ্ছে।
মা আর দেরি করে নি, রুমেলকে নিয়ে পালিয়ে আসে এদ্দূর। নিজের মাথা ছুঁয়ে শপথ করায় কখনো কারো সাথে বিবাদে যাবে না। গেলে মায়ের মরা মুখ দেখবে!
রুমেল কথা রেখেছে। লেখাপড়া এগোয় নি। তিন বছর ধরে ইউটিউব-ফেসবুকে ট্রাভেল ভ্লগ করছে।
মা নিশ্চিত, ছেলে তাকে এত বড় ধোঁকা দেবে না। কিন্তু টিভি নিউজ, পত্রপত্রিকায় যার ছবি এসেছে সে রুমেল ছাড়া আর কে!
পাড়ার কেউ না জানুক, মা জানে রুমেল সেই সকালে বেরিয়ে ফিরেছে সন্ধ্যায়। ঘটনা ঘটেছে বিকেলে। বাইকে ঢাকা এক ঘন্টার রাস্তা। তাহলে কি…?
মায়ের বিশ্বাসের ভিত নড়বড়ে হয়ে আসে।
৩.
রিমান্ডে আন্দোলনের সাথে রুমেলের যোগসাজশ বের করা যায় নি। আর পুলিশের তথ্যপ্রযুক্তি সেল থেকে এমন একটা ফাইন্ডিংস এসেছে যা দেখে মামলার আইও ওসি মকবুল পুরোপুরি বিভ্রান্ত। এ কীভাবে সম্ভব!
রুমেল বলছে ও সকাল থেকে সন্ধ্যা অব্দি মতিউরের দোকানে ছিল। মতিউর আর আশপাশের দোকানীরা কনফার্ম করেছে। তাহলে বিকেলে ঢাকায় ছিল কে?
রুমেলের কলরেকর্ড বলছে বিকেলে তার লম্বা সময় আলাপ হয় ঢাকায় তানিয়ার সাথে। ফোন লোকেশন অন ছিল। তাই ওর মুভমেন্ট ট্র্যাক করতে অসুবিধা হয় নি। পুরো সময় ও ফরিদপুরে। আর এই ফাইন্ডিংসই মকবুলকে ফেলে দিয়েছে চরম বিভ্রান্তিতে।
রুমেল যদি ঢাকায় না গিয়ে থাকে তাহলে পল্টন মোড়ে যে ছেলেটা পুলিশকে গুলি করেছে সে কে? মেলায় হারিয়ে যাওয়া ভাই? কিন্তু ওর তো এমন কোনো ভাই নেই! থাকলে আর কেউ না জানুক, মা তো জানবে।
জন্মের সময় রুমেলরা যেখানে ছিল সেখানকার সবাই বলেছে রুমেলের আর কোনো ভাইবোন নেই, কখনো ছিল না।
৪.
ওয়াদুদ ফকির একটু পর পর পানি খাচ্ছে। দীর্ঘ দশ বছর পর দেশে ফিরছে; আনন্দ নিয়ে ফিরছে না অবশ্য।
রোমেলা বেগম জানে না স্বামীর দেশে ফেরার কথা। ইচ্ছে করেই জানায় নি। কী বলবে সে? তার বলার মুখ নেই তো! ছেলেকে বাঁচাতে যে সত্যটা তাকে প্রকাশ করতে হবে সেটা জানার পর স্ত্রী পারবে তাকে ক্ষমা করতে?
এতকিছু ভাবার সময় নেই। ছেলেকে বাঁচাতে হবে। এয়ারপোর্ট থেকে রাস্তা উলটে গেল। ফরিদপুরের বদলে দিনাজপুর। চিত্ত স্যারকে খুঁজে বের করতে হবে। যে প্রশ্ন ওয়াদুদের মনে ঘুরছে তার উত্তর দিতে পারবে একমাত্র চিত্ত স্যার।
দুই যুগ আগের একটা বাড়ি শুধু স্মৃতি থেকে খুঁজে বের করা কঠিন। আশেপাশে কত নতুন নতুন বহুতল ভবন! দুই যুগ আগে একতলা পাকা বাড়ি ছিল অত্র এলাকার সম্ভ্রান্ত পরিবারের নিদর্শন; অজস্র বহুতল ভবনের ভিড়ে পুরনো সেই বাড়িই এখন অর্থনৈতিক দুরবস্থার স্বাক্ষ্যবাহী।
কাঙ্ক্ষিত বাড়ি মিললেও কাঙ্ক্ষিত মানুষটিকে পাওয়া গেল না। বারো বছর আগেই বাড়িটা বিক্রি করে দিয়ে গ্রামের বাড়ি চলে গেছে।
৫.
-অই, জলদি আয়
ফাঁসির আসামীকে নিয়ে জেলার রজব আলী বিক্ষুব্ধ, বিরক্ত। বিস্মিতও। কে বলবে বাংলার পাঁচমুখো এই ছেলের আজ জীবনের শেষ দিন! ফাঁসির ওয়াক্তে মানুষ এত স্বাভাবিক থাকে কী করে?
রজব ঊনিশ বছর ধরে এই দায়িত্ব পালন করছে। আজ অব্দি সে এমন কেস দেখে নি। এর মাথা ঠিক আছে তো?
মাথা ঠিক আছে! ঠিক না থাকলে এত নিখুঁত প্ল্যান করে কেউ মার্ডার করতে পারে? পুলিশ হত্যার কারণেই তার ওপর এদের এত ক্ষোভ; কিন্তু কেন কাজটা করেছে জানলে কি একটুও সহানুভূতি হবে না ওর প্রতি?
মাথা ঠিক থাকলেও ঠিক নেই মনটা। গেল ৬ বছর ধরে। যখন সে জানতে পারে তার জীবনের সবচেয়ে বড় সত্য। ৬ বছর আগে কলেজের মারামারির ঘটনাটা তার জীবনটাকেও ওলটপালট করে দিয়েছে।
ছয়টা বছর ধরে ভেবেছে কীভাবে প্রতিশোধ নেবে। গ্রহ-নক্ষত্র মিলছিল না, বাপ ছিল বিদেশ। চলতি ছাত্র আন্দোলন এনে দিয়েছে মোক্ষম সুযোগ। প্ল্যান বদলে গেছে, রক্ত ঝরার সাথে সাথে ক্লিন ইমেজেও একটা কালির দাগ- মন্দ না!
জল্লাদ কালো কাপড়ে তার মুখটা যখন ঢেকে দিচ্ছিল তখন ভয়ের বদলে আফসোস হচ্ছিল- গুলিটা যদি সঠিক মানুষকে করতে পারত!
৬.
পুরো দুই দিন গরুখোঁজা খোঁজার পর অবশেষে চিত্ত স্যারের খোঁজ মিলল। পুলিশের সাবেক ইন্সপেক্টর চিত্তরঞ্জন দাস। তেইশ বছর আগে যে ওয়াদুদকে গ্রেফতার করতে গেছিল হাসপাতালে। ডাকাতি কেস, নির্ঘাৎ দশ বছরের জেল! পোয়াতি বউ হাসপাতালে, বাচ্চা হবে।
চিত্ত ওকে শুধু ছেড়েই দেয় নি, আরো কিছু টাকা গছিয়ে দিয়েছে। শর্ত- বৌ-বাচ্চা নিয়ে এলাকা ছাড়তে হবে। এত দূরে চলে যেতে হবে যাতে জীবনে কোনোদিনই সামনে না পড়ে। সত্যটা চাপা রইল ওয়াদুদ, চিত্ত আর নার্স সীমার মধ্যে।
সেদিন রোমেলা বেগম কোনো মৃত সন্তান প্রসব করে নি। জমজ ছেলে দুজনই বেঁচে ছিল। টাকা আর দায়মুক্তির বিনিময়ে ওয়াদুদ একজনকে তুলে দেয় নিঃসন্তান চিত্তের কোলে। রোমেলা কোনদিনই জানতে পারে নি তার দ্বিতীয় সন্তানের কথা। কিন্তু এখন জানবে। রুমেলকে বাঁচাতে হলে সত্যটাকে সামনে আনতেই হবে।
সেদিন চিত্ত তার স্ত্রীর কোল ভরিয়ে দিয়েছিল বটে, কিন্তু তার কপালে সুখ বেশিদিন সয় নি। নিত্যানন্দ দেবী মা হওয়ার এক সপ্তাহের মাথায় কালাজ্বরে ভুগে মারা যায়।
যাকে সুখী করবে বলে অফিসে এত কায়দা কসরত, এত পয়সা খরচ করে আরেকজনের সন্তানকে নিয়ে আসা সেই যদি না থাকে তাহলে সন্তান দিয়ে কী লাভ! শেষমেশ এই সন্তানের স্থান হলো এতিমখানায়।
সেদিন ক্যামেরায় ধরা পড়া ঘাতক ছেলেটার কপালের কালো তিল দেখে ওয়াদুদ বুঝেছিল এ রুমেল নয়, তার হারানো ছেলে সোহেল!
৭.
আসল সত্য বেরিয়ে এসেছে। সোহেল গ্রেফতার হয়েছে। রুমেল ছাড়া পেয়েছে। ছাত্র আন্দোলনের পর দেশকে নতুন করে আন্দোলিত করেছে এই ঘটনা।
রোমেলা বেগম শোকে পাগলপ্রায়। স্বামীকে সহ্যই করতে পারছে না। সেদিন যদি এই ছেলেটাকে আরেকজনের হাতে তুলে না দিত তাহলে সে এভাবে নষ্ট হতো না।
রুমেল নীরব হয়ে গেছে। তানিয়ার ফোনও তুলছে না। নিঃস্পন্দ হয়ে গেছে ওর তিল তিল করে গড়ে তোলা ইউটিউব চ্যানেল।
ওয়াদুদেরর দেশে আর ভালো লাগছে না। দেশ ছাড়ছে দুদিন বাদে। হয়ত আর কোনোদিনই ফিরবে না।
এতগুলো মানুষের মনোকষ্টের মাঝে আলাদা করে সোহেলের কথা কেউ ভাবে নি। ওর মনে যে কষ্টের পাহাড়, তার কী হবে?
বাবা মা থাকতেও তাকে সারাটাজীবন অনাথ হয়ে কাটাতে হয়েছে। এতিমখানায় খেয়ে না খেয়ে কাটিয়েছে। প্রায়ই তাকে বলাৎকারের শিকার হতে হতো। এতিমখানা থেকে পালিয়ে পড়ল এক প্রতারকের হাতে। তাকে নামানো হয় পকেটমারির কাজ। পুলিশ ধরেছিল, প্যাঁদানির সাথে সাথে মাসখানেক জেলও খাটতে হয়। সেখান থেকে মজনু ভাইয়ের সাথে পরিচয়। কুখ্যাত সন্ত্রাসী মজনু শাহ।
ছয় বছর আগে তার ওপর হামলা হয়। ওদে লাঠিসোঁটা আর হকিস্টিক দিয়ে আচ্ছামতো পেটালো, চাপাতির দুটো কোপও দিল। মেরেই ফেলত যদি না তার গ্যাংএর ছেলেপুলেরা আসত।
সোহেল সুস্থ হওয়ার পর খোঁজ লাগাল কেন ওরা ওকে বিনা কারণে মেরেছিল। তখনই সামনে এলো টুইস্ট- সোহেল না, ওদের টার্গেট ছিল রুমেল! হামলাকারীরা ছিল কাইল্লা রাজনের ছেলেপুলে, যার ছেলেকে রুমেল কলেজে পিটিয়েছিল।
রুমেলের ছবি দেখে সোহেল ধাক্কা খেলো। এ তো তার কার্বন কপি! কাইল্লা রাজনের ছেলেদের ভুলটা তাহলে দোষণীয় নয়!
শেকড়ের খোঁজ করতে করতে সোহেল পৌঁছে গেল জন্মমুহূর্তে। কী ভীষণ অন্যায় করা হয়েছে তার সাথে! বাবা-মা থাকতেও এতটাকাল তাকে অনাথ হয়ে থাকতে হয়েছে।
পরিবারে ফিরে যাওয়ার বদলে সোহেল বেঁছে নিল প্রতিশোধের পথ। বাকি যা হয়েছে তা খুব ঠান্ডা মাথায়। নইলে কেউ মানুষ খুন করে ক্যামেরায় পোজ দেয়!
৮.
সোহেলের মৃত্যুদণ্ডের রায় হয়েছে। খবর পেয়ে রোমেলা বেগম রুমেলকে নিয়ে কারাগারে ছুটে এসেছিল। সোহেল সামনে আসে নি। আগেও না, এখনও না। বুকভরা অভিমান আর ঘৃণা।
জন্মের পর যাদের সান্নিধ্য তার ‘হক’ ছিল তাদের থেকে এতগুলো বছর দূরে থাকা কি স্রেফ নিয়তি? মানুষের কোনো হাত নেই?
ফাঁসির মঞ্চে আলোআঁধারি। সোহেলের ‘বাংলার পাঁচ’ মুখ কালো কাপড়ে ঢাকা।
জল্লাদ যখন কালো কাপড়ে মুখ ঢেকে দেয় তখন নাকি প্রচণ্ড ভয় লাগে। সোহেলের ভয় লাগছে না! এই ‘অন্ধকার’ পৃথিবীর আলো অসহ্য লাগছে। শেষবারের মতো এই অন্ধকারকে বরণ করে নিতে ভয় কীসের?
লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা
ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য
মৎস ভবন থেকে শাহবাগ হয়ে শুক্রাবাদ।
৩০ সেপ্টেম্বর - ২০২৩
গল্প/কবিতা:
২৩ টি
সমন্বিত স্কোর
৫.২৯
বিচারক স্কোরঃ ২.৫৯ / ৭.০
পাঠক স্কোরঃ ২.৭ / ৩.০
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪