শেষ চিঠি

প্লেন ক্র্যাশ (সেপ্টেম্বর ২০২৫)

মোঃ মাইদুল সরকার
  • ১৪
  • 0
  • ১৪০
সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহর। চারদিকে বরফে ঢাকা পাহাড় আর নীলচে হ্রদে শান্ত এক সকাল। ২০২৩ সালের ১১ ডিসেম্বর। নিউ ইয়র্কগামী ফ্লাইট GA-712 তে উঠলেন ক্যাথরিন লেভিসন—একজন সাহিত্যিক, যিনি তার শেষ বইটি শেষ করে ঘরে ফিরছিলেন। বই শেষ করতে পেরে তিনি বেশ ফরফুরে মেজাজে ছিলেন।
বিমানে উঠেই ক্যাথরিন জানালার পাশে বসে পড়লেন। সঙ্গে ছিল তার চিরচেনা ডায়েরি, যেখানে প্রতিটি যাত্রার কথা লিখে রাখেন। হঠাৎ তার পাশে এসে বসলো একটি কিশোর—জ্যাক। বয়স হয়তো চৌদ্দ কি পনেরো হবে। মুখে হালকা হাসি, চোখে কৌতূহল।
ক্যাথরিন হাসিমুখে জিজ্ঞেস করলেন, "তুমি একা যাচ্ছো?"
জ্যাক বলল, "হ্যাঁ। নিউ ইয়র্কে আমার মা থাকেন। বাবা মারা যাওয়ার পর প্রথমবার যাচ্ছি তার কাছে।"
ক্যাথরিন তার কাঁধে হাত রাখলেন, "তোমার সাহস দেখে আমি অভিভূত।"
জ্যাক তাকে একের পর এক প্রশ্ন করতে লাগলো। আর ক্যাথরিন হাসিমুখে উত্তর দিয়ে চললেন। মনে মনে ভাবলেন ইস্ তার যদি জ্যাকের মত একটি ছেলে থাকতো।
দুজনের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে উঠলো। আকাশে উঠে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই হঠাৎ বিমানে অস্বাভাবিক কাঁপুনি শুরু হলো। ককপিট থেকে ঘোষণা এলো, "বিমানটির একটি ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা জরুরি অবতরণ করতে যাচ্ছি।"
ভেতরে হাহাকার শুরু হলো। জ্যাক ক্যাথরিনের হাত চেপে ধরলো, "আপনি কি ভয় পাচ্ছেন?"
না জ্যাক । তুমিও ভয় পেওনা আমি আছি তোমার পাশে।
ক্যাথরিন চুপচাপ তার ডায়েরি খুলে একটি পৃষ্ঠা ছিঁড়ে নিলেন এবং কলম দিয়ে কিছু লিখতে শুরু করলেন। তারপর কাগজটি ভাঁজ করে জ্যাকের হাতের মুঠোয় দিয়ে বললেন, "যদি আমি না বাঁচি, এটা পৌঁছে দিও নিউ ইয়র্ক পাবলিক লাইব্রেরিতে। বলবে—এই ছিল এক লেখিকার শেষ চিঠি পৃথিবীর প্রতি।"
কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিমানটি আল্পস পর্বতের পাদদেশে আছড়ে পড়ে। ভয়াবহ দুর্ঘটনা।
দুই দিন পর উদ্ধারকারীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। কেবল ৭ জন যাত্রী বেঁচে ছিলেন। তাদের মধ্যে একজন—জ্যাক।
তিন সপ্তাহ পর, নিউ ইয়র্ক পাবলিক লাইব্রেরির পোস্টবক্সে একটি চিঠি জমা পড়ে। তার উপরে লেখা—
"যদি শব্দরা বেঁচে থাকে, তবে আমিও বেঁচে থাকবো।" – ক্যাথরিন লেভিসন
চিঠিটি পড়ে লাইব্রেরির প্রধান কাঁদলেন। সেই চিঠিতে ক্যাথরিন লিখেছিলেন—
“আমার নাম ক্যাথরিন লেভিসন। আমি একজন লেখক। এই মুহূর্তে, আমার জীবনের শেষ যাত্রায় আছি। যদি আমি না বাঁচি, তবে এই চিঠি প্রমাণ হোক যে ভালোবাসা, সাহস আর শব্দের শক্তি কোনোদিন মরেনা।”
চিঠিটি পরবর্তীতে “The Last Letter” নামে একটি বইয়ের রূপ নেয়। জ্যাক বড় হয়ে সেই বইয়ের সহলেখক হয়।


একটি দুর্ঘটনা সব শেষ করে না। কিছু কিছু গল্প, কিছু কিছু শব্দ—দুনিয়ার সমস্ত কষ্টকে ছাপিয়ে অমর হয়ে ওঠে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
রূপক সাধু সুন্দর হয়েছে।
ভালো লাগেনি ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
ধন্যবাদ দাদা।
ভালো লাগেনি ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
Ahad Adnan সুন্দর গল্প। শুভকামনা রইল
ভালো লাগেনি ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
ধন্যবাদ।
ভালো লাগেনি ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
ফয়জুল মহী চমৎকার একটা কবিতা উপহার দিলেন অসাধারণ
ভালো লাগেনি ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
ধন্যবাদ।
ভালো লাগেনি ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
আল আমিন সুন্দর লেখনি
ভালো লাগেনি ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
আল আমিন অসাধারণ লেখনি
ভালো লাগেনি ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
মেহেদী মারুফ বাহ! চমৎকার একটা গল্প লিখেছেন। অল্প সময় নিয়ে পড়েছি। তৃষ্ণাটা যেন রয়েই গেছে। শুভ কামনা লেখক আপনার জন্য!!
ভালো লাগেনি ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
ধন্যবাদ মারুফ ভাই।
ভালো লাগেনি ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
doel paki গল্পটা ছোট কিন্তু গল্পের বার্তাটা বিশাল।
ভালো লাগেনি ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
ধন্যবাদ আপনাকে।
ভালো লাগেনি ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

বিমান দুর্ঘটনা কেবলে পড়া এক লেখিকার শেষ সমযের চিত্র।

২৪ আগষ্ট - ২০২০ গল্প/কবিতা: ১১৭ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "মুক্তিযুদ্ধ”
কবিতার বিষয় "মুক্তিযুদ্ধ”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৫