আরভিন – এক সাহসী তরুণ যোদ্ধা, যার হৃদয়ে রয়েছে সত্যের জন্য লড়াই করার জেদ। নাম তার আরভিন।
লিনা – এক গোপন জাদুকরী, যার অতীত রহস্যে মোড়া। তাকে আমরা লিনা বলে জানি।
ডাম্বি হলো এক হালকা মেজাজের দৈত্য, ভালোবাসে খাওয়া আর গান গাওয়া, কিন্তু বিপদের সময় হয় ভয়ানক সাহসী।
মিষ্টি পরী মরিা, যে বাতাস ও আলোর শক্তি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
নক্সিল – এক প্রাচীন অন্ধকার রাজার আত্মা, যিনি “রুপকথার রত্ন” পেতে চায় পৃথিবীকে দাস করে রাখার জন্য।
অনেক দূরে, “এলুমিয়া” নামের এক জাদুতে মোড়ানো পৃথিবী ছিল, যেখানে প্রতিটি পাহাড়, নদী আর বন নিজেরা কথা বলত। এই জগতে এক গোপন রত্ন ছিল — “রুপকথার রত্ন”, যা ধারণ করত আলো ও অন্ধকারের চূড়ান্ত শক্তি।
একদিন, নক্সিলের আত্মা শত বছর পর মুক্ত হয়ে যায় একটি ভুল সিদ্ধন্তের কারণে। সে ঘোষণা দেয়: “আমি রত্নের অধিকারী হব, আর এলুমিয়া হবে আমার ছায়ার রাজ্য!”
এরপর, আরভিন, এক গ্রাম্য তরুণ, তার গ্রামে আগুন লাগিয়ে দেওয়া দেখে প্রতিজ্ঞা করে সে রত্নকে রক্ষা করবে। পথে তার সঙ্গে যোগ দেয় লিনা, যে নিজের জাদু ব্যবহার করে তাকে মৃত্যু থেকে বাঁচায়। যদিও লিনা নিজের অতীত আড়াল করে রাখে, তবুও আরভিন তার সাহস দেখে মুগ্ধ হয়।
তারা পথে পায় ডাম্বি, এক দানব যার দাড়ি বরফে তৈরি, আর মুখে সবসময় গান
থাকে। তার গান শুনে সে নিজেই হেসে হা হা হা................তার সেই বিকট হাসি শুনে বনের পশু পাখি হঠাৎ ভয়ে থমকে যায়।
ডাম্বি একসময়ে নক্সিলের বাহিনীতে ছিল, কিন্তু সে আর অন্ধকার চায় না। সে এখন সত্যের পথে চলতে চায়।
তাদের চতুর্থ সঙ্গী হয় মিরা নামক পরী যার ডানা ঝিকিমিকি আলোয় মোড়া। মিরা জানায় যে, রত্ন এখন “ভ্রমের গুহা”-য় লুকিয়ে আছে, যেখানে কেউ প্রবেশ করলেই নিজের ভয় আর লোভের মুখোমুখি হয়।
চার বন্ধু মিলেই “ভ্রমের গুহা”য় প্রবেশ করে। লিনা সেখানে নিজের পুরোনো পরিচয় দেখে—সে একসময় নক্সিলের সঙ্গি ছিল, কিন্তু ভালোবাসা তাকে বদলে দেয়। আরভিন তার ভয় দেখে — সে চিরকাল ব্যর্থ হবে। ডাম্বি দেখে, সে তার সব বন্ধু হারিয়ে ফেলেছে।
কিন্তু তারা একে অপরকে সাহস দেয়, একে অপরের হাতে হাত রাখে। অবশেষে, তারা রত্নের কাছে পৌঁছায়—কিন্তু ঠিক তখনই আসে নক্সিল।
মিরা তার আলোর শক্তি দিয়ে নক্সিলকে ব্যস্ত রাখে, আর লিনা নিজের সব জাদু দিয়ে রত্ন ঘিরে রাখে। ডাম্বি তার পাথরের মুষ্টিতে নক্সিলকে একবারেই মাটিতে ফেলে দেয়।
আরভিন রত্ন হাতে নিয়ে বলে, “আমি আলোকে বেছে নিচ্ছি।”
রত্ন আলোকিত হয়ে যায়, নক্সিলের আত্মা আবার বন্ধ হয় সময়ের চক্রে। এলুমিয়া মুক্ত হয়।
চার বন্ধু ফিরে যায় এক নতুন ভোরের আলোতে। তারা জানে, তাদের বন্ধুত্বই সত্যিকারের রত্ন। যা কল্পলোকের রত্নকেও হার মানায়।
লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা
ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য
একটি কল্পলোকের গল্প।
২৪ আগষ্ট - ২০২০
গল্প/কবিতা:
১০৮ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ জুন,২০২৫