একমুঠো আলোর আকাঙ্খায়

বাংলাদেশ (ডিসেম্বর ২০১৯)

নাহিদ জাকী
  • ১৪৮
সবুজের বুকে টকটকে রক্তজবা - আমার বাংলাদেশ!
এখানে নীলাকাশের নিচে আছে বিস্তীর্ণ দেশপ্রেম।
এখানে আছে বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর, মুক্তিযোদ্ধা আবরার।
এখানে কেউ কেউ কাল কেউটে, কেউ অনিক সরকার।
আমাদেরও ইচ্ছে করে, বাংলাদেশের কোলে বসে বাংলাদেশের কথা বলি। প্রতি ইঞ্চি জমিনের কথা বলি। প্রতি কিউসেক নদীর কথা বলি।
আমাদের ভাষা সরল- সুপারিগাছে তরতরিয়ে উঠা কাঠবিড়ালি!
আবরারের মত রাত-বিরাতে ডানা ঝাপটায় আহত পাখি। হঠাৎ ঝড়ে উড়ে যায় ছাউনি, তছনছ উদ্যান।
দেশপ্রেমের ঢেউগুলোতে কত পিতার কান্নার প্রতিধ্বনি। বড্ড দুঃসময়ে লেখা জীবনের গল্পগুলো!
মানুষের মুক্তির প্রয়োজনে যুদ্ধ এখনো হয় নি শেষ।
কালো সংস্কৃতির কালো থাবায় চেতনা নিরুদ্দেশ। বিশ্বাসের গাঢ় আলিঙ্গনও করে প্রতারণা।
বিবশ অন্ধকারে হাতে হাতে ঘুরে বাইজীবাড়ির পায়েল।
আকাশ থেকে চলে যায় নীল, ঘাস থেকে সব সবুজ আর পৃথিবী থেকে সব মূল্যবোধ।
আমরা একাত্তর দেখিনি। দেখেছি নরখাদকদের বিভীষিকা। একই চিত্র নিয়ে সারিবদ্ধ কত মানচিত্র।
বাঁচার জন্য স্বদেশ ছেড়েছে লাখো রোহিঙ্গা।
তাদের ভীত চোখে এখনো লেগে জন্মভূমির মায়া।
তারা রেখে এসেছে সহস্র মাইলের স্মৃতি,
অনেকগুলি খিড়কিসহ বাড়ি, পদ্ম-ফোঁটা পুকুর।
তাদেরও একদিন ছিলো মাথার উপর পুর্ণিমার চাঁদ,
শালিকডাকা ভোর, আঙ্গিনায় লাউয়ের মাঁচা।
একদিন তাদের ছিলো নিজস্ব মতামত, পিতা-মাতা, বন্ধু, গল্প, প্রগলভতা।
দাঁতাল শুয়োর ছিনিয়ে নিলো সব, জমির শেষ অংশ।
স্বামীর সম্মুখে ধর্ষিতা স্ত্রী, বাবার কাধে সন্তানের লাশ।
পুকুরগুলো ভরে গেলো রক্তের ফিনকিতে।
সময়ের ঘূর্ণিতে ঘুরে ঘুরে আসে একাত্তর। ঘুরে ঘুরে আসে বাংলাদেশ।
নগর থেকে নগরে রক্তক্ষরণ, কষ্টের বহতা নদী।
নিষ্পেষণের কাল যেনো এক দীর্ঘ গ্রীষ্ম, ব্যথাগুলো রোদে পোড়া দুঃসহ পাতা।
একদিন তবু ঠিকই শিশির-ভোরে জেগে উঠি।
নগ্ন পায়ে মেখে নেই বাংলাদেশের মাটি।
সব ভুলে গহন মুগ্ধতায় ঘর বাঁধে সবুজ টিয়া।
ভাঙ্গা-গড়ার ঘ্রাণ বুকে নিয়ে পালকে ঘসে ঠোঁট।
আবারো স্বপ্ন দেখে গভীর অরণ্যের, শিরায় শিরায় ভালোবাসার স্বরলিপি।
গহিন গুহায় আবারো আসবে বুঝি এক মুঠো আলোর  স্ফুরণ!
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
ফয়জুল মহী অনন্য লিখনী । শুভেচ্ছা সতত ।
ভালো লাগেনি ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
অনেক ধন্যবাদ
ভালো লাগেনি ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
কাজী জাহাঙ্গীর ভাল লেগেছে নাহিদ ভাই, অনেক শুভকামনা রইল, এগিয়ে যান।
ভালো লাগেনি ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৯
অনেক ধন্যবাদ
ভালো লাগেনি ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
সাইদ খোকন নাজিরী বেশ ভাল ।অনেক যত্ন করেছেন।
ভালো লাগেনি ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৯
অনেক ধন্যবাদ
ভালো লাগেনি ২২ ডিসেম্বর, ২০১৯
সেলিনা ইসলাম কবিতাটা ভালো লাগলো। তবে রহিঙ্গা প্রসঙ্গটা মনে হল জোর করেই টেনে আনা হয়েছে। না হলে আরও বেশি ভালো হত। ভোটিং নিয়ে কর্তৃপক্ষকে মেইল দিয়ে অবগত করতে পারেন। শুভ কামনা রইল।
ভালো লাগেনি ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৯
অনেক ধন্যবাদ
ভালো লাগেনি ২২ ডিসেম্বর, ২০১৯
আসাদ ইসলাম ভোট দিতে পারলাম না বন্ধ থাকায়।
আসাদ ইসলাম এত বেশি ভাল লেগেছে যে ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। বিদ্রোহী ভাবনায় জন্মিভূমির প্রতি ভালবাসার এক অসাধারণ নজীর সৃষ্টি করে গেলেন প্রিয় কবি। এমন লেখা আরো আশা করছি। শুভ কামনা আর ভোট রেখে গেলাম।।
অনেক ধন্যবাদ, আসাদ ভাই
ভোটিং অপশন বন্ধ কেন, বুঝতে পারছি না।
MD. MOHIDUR RAHMAN লেখা চালিয়ে যাবেন আশা করি....
ইনশাআল্লাহ

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

বাংলাদেশি হিসেবে কিছু অনুভূতি......

২২ আগষ্ট - ২০১৮ গল্প/কবিতা: ৯ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“এপ্রিল ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ এপ্রিল, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী