কাচের গ্লাসটা ভেঙে গেলে ঝনঝন করে, ভয় পেয়ে চমকে উঠেছিল অনু। তারপর ও ব্যতিব্যস্থ হয়ে কুড়াতে লাগলো ভাঙা কাচের টুকরাগুলি- সেখানেও করলো ভূল,কেটে গেল আঙুল। আহা কৃষ্ণচুরার মত টকটকে লাল রক্তের ফোটা- গড়িয়ে পড়লো ধূলি ধূসরিত মেঝেতে।
কেন এত ভয় পাও অনু? আমি কি তোমাকে কখনো বলেছি কিছু? কেন এমন ভাবে নিজেকে করো আড়াল? তোমার মনের কথা যদি আমি জেনে যাই, এই ভয়? তাতো আমি অনেকদিন আগেই জানি, রঞ্জু নামের একটি ছেলেকে প্রথম ভালোবেসেছিলে তুমি বলাই বাহুল্য, ছেলেটি বড়ই ভাগ্যবান অনন্ত বিস্তৃত এই বিশ্ব চরাচরের মাঝে কৃতার্থ এক প্রাণ তোমার মত এমন অর্পূব রমনীর ভালোবাসা পাওয়া- মোটেই সহজ কোন কথা নয়। তুমি কি হেলেন অফ ট্রয়ের নাম শুনেছো? একটি রমনীর জন্য ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল সমগ্র ট্রয় নগরী । তুমিতো হেলেন অফ ট্রয় কিংবা দান্তের বিয়াত্রিসের চেয়েও রুপবতী।
জানো অনু, মাঝমধ্যে বড় ইচ্ছে হয় আমার, ছেলেটাকে একটা ঝলক দেখতে যাবার। ঈর্ষার লেলিহান অগ্নিকুণ্ডে অঙ্গার হয়ে যাব আমি! তুমি কি জানো সূর্যের জীবন? হাইড্রোজেন আর হিলিয়ামের ফিউশান বিক্রিয়ায় অবিরাম তার দহন। তা না হয় নাই জানলে, এটাতো জানো শীতার্ত পৃথিবীকে দেয় সে উত্তাপ, বৃক্ষকে ফুলে ফলে করে তোলে শোভিত। একদিন আমি তোমার চোখে চোখ রেখে বলব : আমার সাথে ভালোবাসার অভিনয় করো না অনু, আমি সব সহ্য করতে পারি, মিথ্যা ভালোবাসার অভিনয় সহ্য করতে পারি না। তোমাকে আমি ভালোবাসি এটা সত্যি কিন্তু জেনে রেখো অনুরিমা, ছলনার জালে ঢাকা চিরদিনের লাস্যময়ী, তোমার ভালোবাসার কাঙাল কখনো নই আমি।
দিন যায়, বছর পেরোয়, সে কথা বলে হয়ে ওঠেনা আর। দেয়ালে টানানো আমার ছবিটার ওপর, ধীরে ধীরে গাঢ় হয় ধুলির আবরণ। ফিরে দেখি একদিন, ছবিটা ঝকঝকে রঙিন। তোমার সঘন পল্লব চোখে জমে আছে টলমল জল, আজ এতদিন পর জেনেছো তবে একজন দগ্ধ মানুষের নির্বাসিত জীবন।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মোঃ নুরেআলম সিদ্দিকী
লেখার ভিতরে আলাদা ভাব দরকার। এভাবে খোলামেলা না বলে আরো গভীরে নেওয়া যেত। সামান্য একটা উপমার দ্বারা আপনি হাজারটি রহস্য তুলে আনতে পারতেন। কারণ আধুনিক কবিতার এক একটি উপমা হাজারটি বাক্যের সমান কথা তুলে আনবে। তবুও চেষ্টা করেছেন, এতে ভালো লেগেছে। চেষ্টা অব্যাহত থাকুক। শুভ কামনা।।
নাজমুল হুসাইন
ভাঙা কাঁচের গ্লাস কুড়াতে গিয়ে ভুলে কারো হাত কাটে?না অসতর্কতায়?কবিতার শুরুর লাইনের সাথে দ্বিতীয় লাইনের মানান হয়েছে কি?তাতো আবার কেমন সাহিত্যের ভাষা?তুমি কি হেলেন অফ ট্রয়ের নাম শুনেছো?
একটি রমনীর জন্য ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল সমগ্র ট্রয় নগরী।এই লাইন দুটোর প্রয়োগ ভ্রান্ত ভাবনায় এসেছে।ট্রয় নগরীর ঘটনা অধিকাংশ মানুষ জানে,সুতরাং বক্তব্যটা প্রেমিকের সামনে ভীন্ন রুপে উপস্থাপনের দরকার ছিল।সূর্যের জ্বলার বিজ্ঞানিক ব্যখ্যা প্রেমিকার জেনে কি লাভ?নাহ আর পড়লাম না।শুধু বলব কবিতা লিখাটা ভালোভাবে আয়াত্ত করুন।
লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা
ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য
বিবাহিতা একটি মেয়ে কিছুতেই তার পুরনো স্মৃতির বলয় থেকে বের হতে পারছিল। এই নিয়ে সে সদা ভীত শঙ্কিত থাকতো। যদি তার স্বামী বিষয়টা জেনে যায়? কিন্তু তার স্বামী ব্যাপারটা জানে। এ জন্য তার স্ত্রীর ভয়, তার মনে জাগিয়ে তোলে অন্য এক বিরহ ব্যাকুলতা।
২০ আগষ্ট - ২০১৮
গল্প/কবিতা:
৯ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।