ছোট্ট একটা রুমে ফিরোজ মিয়া থাকে। সাথে থাকে তার হোটেলের কর্মচারী পরাণ। পরাণের বয়স বেশি নয়, মাত্র নয়ে পড়েছে। পরাণ ছোট হলে কি হবে বেশ চালু। বলা যায় একাই হোটেলটা সামলায়। ফিরোজ মিয়া বিয়ে করেনি। পঁচিশের মতো বয়স। ফিরোজ মিয়া গরীব হলে কি হবে মনটা তার অনেক বড়। মা মারা গেছে। দুইটা ভাই আছে পড়াশুনা করে। বাবার পঞ্চাশের বেশি বয়স। গ্রামে তার একটা ছোট মুদির দোকান আছে। এটা দিয়েই সংসার চলে যায়। ফিরোজ মিয়া চায় তার ভাইয়েরা পড়াশুনা করে মানুষের মতো মানুষ হয়ে দেশ দশের কাজে লাগুক। গ্রামে থাকতে নিজেদের কিছু জমি জায়গা চাষবাস করতো। পরে দেখে একা একা কুলাতে পারে না। তাই বাবাকে বলে জমিগুলো আদি দিয়ে শহরে চলে এসেছে আরেকটু ভালো থাকার আশায়। সে পড়াশুনা না জানলে কি হবে ছোটবেলায় মা হারিয়ে হাড়ে হাড়ে জীবনের মানে বুঝেছে, যাকে বলে পোড় খাওয়া মানুষ। বয়সটা বেশি না হলেও অভিজ্ঞতাটা তার বেশি।
ফিরোজ মিয়ার ছোট একটা বোন আছে। ওকে বিয়ে দিয়েছে গত বছর। খুব আদরের বোন। তিন ভাইয়ের একটা বোন। আদরটা তাই অনেক বেশি। ফিরোজ মিয়ার একটাই দুঃখ তার মা বোনটার বিয়ে দেখে যেতে পারলো না। বিয়ের সময় শহর থেকে দুই ভাই একসাথে মিলে বিয়ের বাজার করে বাড়িতে থাকা ছোট ভাইটাকে মোবাইল করে বলল পারিজাকে কিছুই বলবি না কি রঙের শাড়ি কিনেছি। ছোট ভাইটা বোনটাকে জিজ্ঞেস করে আগেভাগেই শাড়ির রঙ কি হবে বড় ভাইদের জানিয়ে দিয়েছিলো। বড় ভাইদের নিজের পছন্দের কথা জানাতে পারিজার আপত্তি ছিল। শেষমেশ বলতে বাধ্য হয়েছিলো ছোট ভাইয়ের জোরাজুরিতে। ফিরোজ মিয়াকে বলা হয়েছিলো হালকা একরঙা নীল শাড়ির কথা। ফিরোজ মিয়া তার চেয়েও বেশি সুন্দর একটা শাড়ি কিনেছিলো। হালকা নীলের সাথে হালকা সবুজের শেডের কাজ করা শাড়িটা খুব সুন্দর মানিয়েছিলো পারিজাকে ওর বিয়ের দিনে। পারিজা সব দেখে খুশিতে মুখ টিপে হাসছিলো। পারিজার বর একটা ছোটখাটো এনজিওর কর্মী। পারিজা বেশ সুখেই আছে। সবার ছোট নিজাম স্কুলে পড়ে। মেজো ভাই ফরিদ কলেজে পড়ে। তিনটা টিউশানি করে থাকাখাওয়ার খরচটা সে জোগাড় করে ফেলে। ছাত্র ভালো। পড়ে ভালো একটা সরকারি কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে। ওর ইচ্ছা ডাক্তারি পড়বে। ফিরোজ মিয়ারও একই ইচ্ছা। মা উন্নত চিকিৎসার অভাবে মারা যায়। টাকাপয়সা জোগাড় করতে পারেনি।
যার মা নেই তার যেন একটা চোখ নেই। বাবা বেঁচে থাকলে বাবার মাঝেও যেন মায়ের ছায়া খুঁজে ফিরে মানুষ। কারও কাছে বাবা প্রিয়। কারও কাছে মা প্রিয়। এমনটা লাগে ছোটবেলায়। কিন্তু যখন মা থাকে না চোখের সামনে তখন বুঝা যায় মা হল সবচেয়ে আপন সবচেয়ে প্রিয়। সন্তানের জন্য মা হলো স্বর্গ। মা রাগ করে অভিশাপ দিলেও সন্তানের জন্য তা অনন্ত আশীর্বাদ হয়ে আসে। মা এমনই ধরিত্রী।
ঘুম থেকে উঠে হাই তুলতে তুলতে ফিরোজ মিয়া দেখে পরাণ এখনো ঘুমাচ্ছে। দুই হাত দু’দিকে ছড়িয়ে ঘুমাতে থাকা পরাণের এই ঘুমের দৃশ্যটা ফিরোজ মিয়ার খুব ভালো লাগলো। নিষ্পাপ ঘুম। ঘুমের মাঝে সবাইকে নিষ্পাপ লাগে। খুব সুন্দর করে তোলা নিজের ঘুমরত ছবি দেখলে যে কারও ভালো লাগবেই। “ওই পরাণ, বেলা হইছে। ওঠ। তোরে নিয়া রাইতে গল্পগুজব করলেই ঝামেলা। তুই দেরীতে উডস। ওই বেটা, সাতটা বাজে। এখনি হোটেল খুলতে অইবো। গতকাইল উটছছ ছয়ডায়। নাহ! তোর লগে আর গল্প করন যাইবোনা।“ ডাক শুনে পরাণ ধরফরিয়ে উঠে বসলো। “কি কন, সাতটা বাইজা গেছে! রাইতে আপনে গীত করেন, কতো কিসিমের গল্প করেন, ঘুমাইতে দেরী হইয়া যায় খানিক। অখন থাইকা আরেকটু আগে শুইবার দরকার, কি কন?” “পরাণ, পণ্ডিতের মতো কথা কইছ না। রাইতে কি আমরা একটার বেশি জাগি। একটার ভিতরেই তো ঘুমাই। শুই এগারোটায়। আমার শুইলে লগে লগে ঘুম আহে না। হের লাইগাই তো গীত গাই, তোর লগে সুখ-দুঃখের গল্পগুজব করি। তোর তো কেউ নাই। এইহানে হেইহানে ঘুরতি। বাপ-মা গেছে এক্সিডেন্টে মইরা। তোর ভাগ্য ভালো তুই হেইদিন ওগো লগে যাছ নাই। নাইলে তুইও মরতি। আল্লাহ্ তোরে বাঁচাইয়া দিছে। যেদিন দেখলাম তুই টোকাইগো লগে থাকতি, ঘুরতি, খাইলে খাইতি না খাইলে নাই, হের পর থাইকা ভাবলাম এই এতিম পোলাডারে নিজের লগে রাখলে কেমন অয়। যেই কথা হেই কাম, কইতেই তুই রাজি হইয়া গেলি। তোরে আমার কাছে নিয়া আইলাম। হোটেলে কাম দিলাম। ঘরে আমি একলা একলা থাকি, তোরে পাইয়া আমার তো একটা সাথী হইলো। তোরে দেখলে আমার ছোট ভাইডার কথা খুব মনে পড়ে রে। যা, তাড়াতাড়ি গিয়া কাম সাইরা মুখ ধুইয়া নে রেডি হ। হোটেলে গিয়া নাস্তা করুমনে।“
পরাণ খুব দ্রুত কাজ করতে পারে। পরাণের মাঝে সবচেয়ে ভালো যে দিকটি সেটি হলো দায়িত্বসচেতন খুব। যে কাজটাই দেয়া হয় মনপ্রাণ দিয়ে করার চেষ্টা করে। বয়সে ছোট কিন্তু অন্তরে সাহস আছে। কাস্টমারদের সাথে খুব ভালো ব্যবহার করে। কয়েকজন কাস্টমার তাকে খুব পছন্দ করে। পরাণের স্বাস্থ্য ভালো। পরিপাটি থাকে। দেখতেও খুব আদরণীয়। হোটেলটাতে অনেকেই পরাণের খাতিরেই আসে। বেশ হাশিখুশি সে। মাঝে মাঝে একটুআধটু দুষ্টামিও করে। ছোট মানুষ। এখন তো ওর খেলাধুলার বয়স। বেচারা পেটের দায়ে কাজ করে। সাথে ফিরোজ মিয়াকে দিনান্তে সঙ্গ দেয়।
বয়সে ছোট একজনও যে ভালো সাথী হতে পারে পরাণ হলো এর উপযুক্ত প্রমাণ। রাতে যখন ফিরোজ মিয়া গলা ছেড়ে গান গায় পরাণের তখন খুব ভালো লাগে। ফিরোজ মিয়া ভাটিয়ালি গান খুব ভালো পারে। মাঝে মাঝে ভুলভাল হিন্দি গান গায়। পরাণ হিন্দি গান খুব পছন্দ করে। মন দিয়ে শুনে। ফিরোজ মিয়ার পছন্দের খাবার হলো চ্যাপা ভর্তা। সাথে রাঁধে মসুরির ডাল। দুইটা মিলিয়ে খায়। একদিন বেশি খেয়ে এমন পাতলা পায়খানা হলো যে দুইদিন আর হোটেল খুলতে পারেনি।
যে রুমটাতে ফিরোজ মিয়া আর পরাণ থাকে এর ভাড়া হচ্ছে দুই হাজার টাকা। ফিরোজ মিয়ার আয় রোজগার খুব ভালোও না আবার খুব খারাপও না। হোটেলে কাস্টমার আসে আল্লাহ’র ইচ্ছায়। জোর করে কি কেউ কাস্টমার আনতে পারবে? অনেক হোটেল কর্মচারী তাও জোরে জোরে কাস্টমার ডাকতে থাকে। এটা তো করবেই। সবাই চায় তাদের ব্যবসা ভালো হোক। পৃথিবীতে সবাই সুখে থাকতে চায়। সুখের ধরণ একেকজনের কাছে একেকরকম। কেউ অল্পতেই খুশি আর কেউবা বেশিতে খুশি। সুখের সংজ্ঞা মনের উপর নির্ভরশীল। ফিরোজ মিয়া একদিন পরাণকে ডেকে বলে, “ পরাণ রে আমি যদি মইরা টইরা যাই, তুই আমার হোটেলডা চালাইবি। কি, পারতেনা?” “কি কন? আফনে মরতাইন কেরে। আল্লাহ্ আফনেরে হায়াত দেউক। আমি তো অহনো ছোড। আল্লায় দিলে চালানি যাইবনে। আমারে তো সবাই চিনেই। আফনে আরেকটু ট্রেনিং দিয়া লইনযে। আফনেরে আমি অনেক ভালাবাসি।“ বলেই পরাণ হাউমাউ করে কেঁদে দিলো।
“পরাণ বাসনডি ধুইয়া লা। আমি মাইজবেলা আমুনে। তুই একটু একলা সামলা। টেহা গুনানি তো শিখাইছিই। আমি একটু বাসাত যাই। গোসলডা কইরা আই। সমস্যা অইলে লগের দোহান আছে, হেইনে যাইবি।“ “আফনে গেলেগা আমার ভাল্লাগেনা। খালি খালি লাগে। আইচ্ছা যাইন। আফনে আইলে ফরে আমি গোসল কইরা আমু। কি করন যাইব, আমরা মাত্র দুইজন।“ “পরাণ রে, তোরে আমি না জানি কোনদিন আরায়ালাই! তুই আমারে ছাইরা কোনোদিন যাইছ না।“ “আল্লাহ’র ইচ্ছা না অইলে আমি আফনের লগেই থাহুম।“
দুপুরে ফিরোজ মিয়া হোটেলে এসে দেখে পরাণ টেবিলে মাথা রেখে ঘুমাচ্ছে। তার রাগ হলো। পরাণকে ধমক দিয়ে ঘুম থেকে জাগালো সে। পরাণ আঁতকে উঠলো।
“হোটেলডা এম্নে রাইখা তুই ঘুমাইতাছছ? কেউ যদি ক্যাশ থাইকা ট্যাহা-পয়সা লইয়া যায়গা তুই কইতে পারবি?” “আমি কোনোদিন ঘুমাইনা। আইজ যে ক্যান ঘুমে ধরল! জানইন, আমি একটা স্বপ্নে দেখছি। দেহি, আমি সমুদ্রের ফাড়ে সহাল বেলা একলা একলা বইয়া রইছি। পরে দেহি হডাৎ কইরা সব আন্ধাইর অইয়া গেছে আর আমার চোহের সামনে সূর্যডা আস্তে আস্তে ডুইব্বা গেলো।“ “স্বপ্নডা খুব মারাত্মক রে। আল্লাহ্ই জানে কি অয়। কিছু স্বপ্ন আগেভাগেই ফইলা যায়। আর কিছু স্বপ্ন পরে ফলে। থাউক চিন্তা করিছ না। আল্লাহ্ আল্লাহ্ কর। আল্লাহ’র খেলা বুঝা বড় দায়।“
রাত নয়টায় ফিরোজ মিয়ার হোটেলের পাশের এক দোকানদার আসলো। নাম জীবন। পান খেতে খেতে ফিরোজ মিয়াকে কুশলাদি জিজ্ঞেস করছে। এক ফাঁকে হঠাৎ বললো, “ফিরোজ, অহন তো বৃষ্টিবাদলের সময়। হাওড়ে জোয়ার আছে রে। যাইবি নাকি হাওড় দেখতে? চল যাই। আমার মনডা তো আকুপাকু করতাছে। ল, এক শুক্রবারে তুই, আমি আর পরাণ মিইলা ঘুইরা আহি।“ ফিরোজ মিয়া বলে, ”আসলে মেলাদিন অয় গেরামে যাইনা। এই ডাহা শহরে খালি মানুষ আর গাড়ি। গাছ কম, ফানিও কম। মনডা তো লয়ই ঘুইরা আইতে। আইচ্ছা, তুমি যহন আবার কইলা তহন তো আর না করতে ফারি না। আরও একদিন কইছিলা। হেইবেলা যাইতে ফারিনাই। আগামী শুক্রবারদিনই যাই লও।“ “আইচ্ছা, আমি তাইলে বাড়িত জানায়া দেই। হাওড় পাড় অইয়াই আমাগো বাড়িত যাওন লাগে। হাওড় দেখুম, খামুদামু আর ঘুরমু। তুই কিছু ট্যাহা ল, বাদবাহি আমি দিমুনে। পরাণরে কিন্তু কইছ যাওনের লাইজ্ঞা।“
ঢাকা থেকে ট্রেনে করে তিনজনই গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। ট্রেন গিয়ে থামে ভোরে। সেখানে কিছু চা নাস্তা খেয়ে বাড়ির পথে হাওড়ের দিকে যাত্রা করে সবাই।
মাথা নিচু করে গ্রামের কাঁচা রাস্তায় হাঁটছে পরাণ। মাঝেমাঝে ঘাসে লাথি মারছে। রাস্তার পাশের বুনোফুল ছিঁড়ছে। ছোট তো, তাই খোলা জায়গা পেয়ে কিছুটা দুষ্টামিতে মেতে উঠলো। সামনেই ট্রলারঘাট। ভটভটি মেশিনের ট্রলার। আরও অনেকের সাথে তারাও উঠে বসলো। তিনজনই ছাদে গিয়ে বসলো। হাওড়ে সকালের বাতাসে বেশ বড় বড় ঢেউ। “কীরে পরাণ, ঢেউ দেইখা ডরাছ নাকি?-ফিরোজ মিয়ার প্রশ্ন। “না, ডরাইনা। দেহেন না চায়া চায়া ঢেউ দেখতাছি। আমার খুব মজা লাগতাছে। মেশিনের ভটভট শব্দ, বাতাসের পতপতানি আর ঢেউয়ের শনশনানি- এই তিনডা মিইল্ল্যা আমার ঝিমঝিম লাগতাছে।“ “ঘুমে ধরছে? ঘুমে ধরলে নিচে নাইম্ম্যা ঘুমা।“ “না, ঘুমানি লাগবো না।“
“আমাগো আরও একঘণ্টা লাগবো। বুজ্জছ পরাণ? আরে, সামনে তো দেহি আন্ধাইর রে। হাওড়ে এইরম অয়। বিরাট আন্ধাইর! ওই জীবন, ঝড়ের মাঝে পড়তে অইবো রে। আল্লাহ্ আল্লাহ্ কর পরাণ।“-ফিরোজ মিয়া চিন্তায় পড়ে গেলো। শেষপর্যন্ত ঝড়ের মাঝেই পড়লো ট্রলারের সবাই। মারাত্মক ঝড়। চোখ খুলতে পারছিলো না কেউ। ফিরোজ মিয়া দেখে তার পাশে ঘাপটি মেরে বসে থাকা পরাণ নেই। কি করবে সে, নিজেকেই তো রক্ষা করতে পারছে না।
প্রায় আধাঘণ্টা পর ঝড় থামলো। জীবন গুরুতর আহত হয়। ফিরোজ মিয়া অল্প আঘাত পেয়েছে, তবে কাপড়চোপড় ছিঁড়ে গেছে। ট্রলারের আর সবার অবস্থা একেকজনের একেকরকম। কোনক্রমে ট্রলারটা তীরে পৌঁছে। ফিরোজ মিয়া হঠাৎ দেখে হাওড়ের পাড়ে অনেকটা দূরে একটু ঢেউ লাগে লাগে শুকনো জায়গায় পরাণের শার্টের রঙের মতো কি যেন দেখা যাচ্ছে। কাছে গিয়ে দেখে পরাণের লাশ। ফিরোজ মিয়া কান্নাকাটি শুরু করে দিলো। জীবন হতবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। যেন তার দম শেষ। বেড়াতে এসে একি হলো! পরাণের লাশ দাফন হলো।
কতো প্রত্যাশায় ডুবে থেকে কতো মানুষের আশা ভঙ্গ হয়। পরাণের মৃত্যু মেনে নেবার মতো নয়।
ফিরোজ মিয়া পরাণের কথা মনে করে প্রায়ই কেঁদে উঠে। ডুকরে উঠা কান্না খুব বেশি আবেগের।
ফিরোজ মিয়া শেষপর্যন্ত দেশে ফিরে যায়। আবার সংসার দেখার দায়িত্ব কাঁধে নেয়। নিয়তির খেলায় ফিরোজ মিয়ার স্বপ্নটা বেওয়ারিশ হয়ে গেলো।
লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা
ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য
বন্ধুর প্রতি বন্ধুর প্রত্যাশা থাকে অনেক ক্ষেত্রে খুব বেশি। ছোট মানুষের সাথেও বয়সে বড় মানুষের বন্ধুত্ব হয়ে যায় অনেক সময়। এই গল্পে পরাণ আর ফিরোজ মিয়া তার প্রমাণ। প্রত্যাশার মানচিত্রে থাকে প্রাপ্তির যোগাযোগ। মানুষ একদিন মারা যায়। থেকে যায় স্মৃতির বহর। পরাণ তার ফিরোজ ভাইয়ের প্রত্যাশা কিভাবে পূরণ করবে? তার আগেই তো সে শেষ। আবার হতে পারতো পরাণের আগে ফিরোজ মিয়া শেষ। শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত মানুষের বেঁচে থাকার প্রত্যাশা বুকে বাসা বেধে থাকে।
২৪ জুলাই - ২০১৮
গল্প/কবিতা:
২২ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪