কতো নির্মেঘ সময় কাটছে লাবণ্যর! সময়ে অসময়ে মনের নীড়ে কতো ভালোবাসার প্রতিচিত্র যে উঁকি দেয় তার কোন ইয়ত্তা নেই। লাবণ্য খুব হাসিখুশি একজন মানুষ। ভালো ছাত্রী। সাহসীপনার সবটুকু যেন ওর মাঝে। কিছু মানুষ জেদি হয়। কারও থাকে ঋণাত্মক জেদ। কারও থাকে ধনাত্মক জেদ। ওর হলো ধনাত্মক জেদ। কিছু জেদ মানুষকে বিপথে চালিত করে। ওর বেলায় তা নয়। সময়ের পাঁচফোড়নে বেলা অবেলার কতো গল্পই না মুখরোচক হয়। লাবণ্য একটি সুখী মেয়ের নাম। ভোরের সূর্যের দিকে চেয়ে থেকে ও কি যেন ভাবে। ভাবে, এই পৃথিবীটা টিকে আছে কীভাবে? সৃষ্টিকর্তার কতো অকৃপণ উজালা উদ্ভাবের উদ্ভাসে বিরচিত এ পৃথিবী। কিছু মানুষ সব কিছুই পেতে চায়, আর কিছু মানুষ পেতে চেয়ে গিয়ে ভাবে আমার তো এটা আছে তো ওটার দরকার নেই। এমন ভাবনা সবুর করে নেয়ার মতো। ভাবনার বেড়াজাল থাকে। কিছু ভাবনা আমাদের মানুষদেরকে বিচলিত করে। কিছু আমাদের শাসন করে। বাদবাকি সব অমায়িক মনোলোভায় আনন্দে ভাসায়। সুখের সাগরে ভাসতে গেলে রুচিশীল হতে হয়। লাবণ্য খুব রুচিশীল। লাবণ্য বৌদ্ধ। ছোটবেলা থেকেই মানুষের ভালোবাসা পেয়ে বড় হয়েছে সে। জেলা শহরে বড় হয়েছে। ওর যখন চার বছর বয়স তখন ওর মা মারা যায়। আহা, মায়ের কাছে আবদার করার, মায়ের যত্নশীল ভালোবাসার কি পরিমাপ তা যে ভালোবাসা পেয়ে থাকে সে-ই জানে। লাবণ্যর মা না থাকায় ওর বাবাই ওকে বড় করেছে। একান্নভুক্ত পরিবার থাকায় সবার অনিন্দ্য ভরপুর আদরে বেড়ে উঠার আবেগটাকে এখনো মনে গেথে রেখেছে ও। পৃথিবীতে ‘মা’ শব্দটির মর্মার্থ খুব গভীর আর অস্থির আবেগে ঠাসা। একজন মা যদি পতিতাও হয়, তারপরও সে মা। সন্তানের জন্য তার ভালোবাসার জায়গাটি শীতল, শান্ত আর শ্রান্তির।
লাবণ্যর আজ কেন যেন মন খারাপ। মা-কে ভীষণভাবে মনে পড়ছে। লাবণ্য এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। ওর একটা ছেলে বন্ধু আছে। ভাবছে ওকে ফোন করবে বাসায় আসতে। আজ শুক্রবার। ওর বাবা বাসায়। ভাবছে ওর বাবা, ও আর সময় এই তিনজন মিলে দুপুরের খাবার একসাথে খাবে। সময় মুসলমান। সময়ও খুব হাসিখুশি স্বভাবের একজন মানুষ। দু’জনের সাথে দু’জনের কিছু মিল না থাকলে তো বন্ধুত্ব হয়না। মনের মিল হয় না। প্রেম হয় না, ভালোবাসাও হয় না। পৃথিবীতে কিছু আশ্চর্যের ব্যাপারগুলোর অন্যতম হলো মানুষের সাথে মানুষের বিশেষত্বের মিল। সবাই যেমন এক হতে পারে না, তেমনি যখন একি তুলির আঁচরের সৃষ্টিতে খুঁজে পাওয়া যায় নির্নিমেষে আরেকজনের প্রায় কাছাকাছি প্রতিকৃতি কিংবা সমবৈশিষ্ট্যর মানুষ তখন চিন্তা করতে কিন্তু খুবই ভালো লাগে। সময় পড়াশুনা কম করে। তবে যতক্ষণ পড়ে পাশে বোমা ফুটলেও ওর খবর নেই এই হলো অবস্থা। এটা খুব আশ্চর্যের বিষয়। আসলে ভালো ছাত্র বা ছাত্রীর মানেটা কি? মানে হলো একেবারেই তাত্ত্বিক বিষয়গুলো ছাড়া সৃষ্টিশীল বিষয়গুলোতে নিজের সৃষ্টিশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটানো। এমন বিষয় অনেক আছে যেখানে বই থেকে পড়ে বুঝে নিজের ভাষায় ফুটিয়ে তোলার নামই তো সৃষ্টিশীলতা আর সাথে নিজের বিশেষত্ব।
সময় যথারীতি ফোন পেয়ে বাইকে করে লাবণ্যর ওখানে চলে আসলো। লাবণ্যর বাবা আজ সময়ের সাথে পরিচিত হলেন। তিনি বড় সরকারি কর্মকর্তা, আমুদে আর উদার মানসিকতার। ঢাকা শহরের চাকরি জীবনের সবচেয়ে খারাপ লাগে তাঁর যে বিষয়টি তা হলো রাস্তার যানজট। আসলে একটি সত্যি কথা হলো আমরা যতোই রাস্তা বানাইনা কেন যতো রাস্তা হবে সেই পরিধিতে ততো যানবাহন হবে। যানজট নিরসনে যা করা যায় তা হলো শুধু নগরকেন্দ্রিক কিছু জনব্যবস্থাকে বিকেন্দ্রিকরন করা। তাহলে এই অসহনীয় প্রায় প্রতিদিনকার দুর্ভোগ কমে আসবে। উত্তরা থেকে অবশ্য লেকসিটি কনকর্ডে আসতে সময়ের আজ তেমন সময় লাগলো না। জুমার নামাজ লেকসিটি জামে মসজিদেই সেরে নিলো ও। বাসা থেকে পরিপাটি হয়ে পাঞ্জাবি-পায়জামা পড়েই লাবণ্যর বাসায় হাজির সময়।
লাবণ্য সময়কে খুব পছন্দ করে। সময় লাবণ্যকে খুব ভালো বন্ধু হিসেবে দেখে। জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ একটি কথা বলেছিলেন। কথাটা প্রায় এরকম, “ছেলে-মেয়ের মাঝে কখনো বন্ধুত্ব হয় না, হয় প্রেম।“ কথাটা খুব বাস্তবসম্মত ও বস্তুনিষ্ঠ। যে যতোই যাকে বন্ধু ভাবুক না কেন, একসময় তা প্রেমেই রূপান্তরিত হয়, হবেই। বন্ধুত্ব দিয়ে পরিচয়ের দ্বার খুলে, তারপর আস্তে আস্তে তা ভালোলাগা, ভালোবাসা পরে প্রেম আর পরিণয়ের খাতিরে বিয়েতে গড়ায় সবকিছু।
দুপুরের খাবারে ছিল সরষে ইলিশ, ইলিশের ডিম ভাজা, খাসির রেজালা, দেশি মোরগের রোস্ট, মুগডাল ভুনা আর সাথে বাসমতী চালের সুবাসিত ভাত। লাবণ্যর হাত খুব পাকা। কাজের মেয়েটাকে সাথে নিয়ে সব সে নিজেই রান্না করেছে। ইলিশ মাছের ডিম ভাজা আর মুগডাল ভুনা করেছে ঘি দিয়ে। পুরো বাসা খাবারের গন্ধে ভরে গেছে।
সময়ের আর-ফিফটিন ইয়ামাহা বাইকে চড়ে আজ ওরা দু’জন তিনশো-ফুট রাস্তায় ঘুরে বিকেলে নীলাবাজারে নদীর পাড়ে গিয়ে বসে আড্ডা দেবে-এই হলো ওদের আজকের পরিকল্পনা। লাবণ্যর বাবা ওদের এই মেলামেশাতে কোন আপত্তি করেননি, তবে সময়কে বলে দিয়েছেন, “বাবা, সাবধানে বাইক চালিয়ো।“ এই কথাটা একটি সতর্কসুলভ ভালোবাসার পরিচয়।
ধর্ম কি? ধর্ম হলো একটি অনুশাসন। ভিন্ন ভিন্ন ধর্মের মানুষের রক্তের রং কি ভিন্ন? আমরা সবাই মানুষ এটাই হলো আমাদের সবচেয়ে বড় পরিচয়। তারপরও ধর্মে গোঁড়ামি থাকে, থাকে অনেক বিধিনিষেধ। যার কারণে অনেক সময় ভালোলাগা, ভালোবাসাও মিথ্যেতে পর্যবসিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাঝে মাঝে সময়ের বাইকে করে বাসায় ফেরে লাবণ্য। বাইকে চড়তে ওর খুব ভালো লাগে। ওর ভালো লাগে বেল্কনিতে ফোটা বিভিন্ন ফুলের মাঝে বসে থাকতে। পৃথিবীতে কেন যেন সবচেয়ে অপূর্ব দৃশ্যের একটি এটি। আহা, সবাই যদি এমন হতো! পৃথিবীটা একার্থে স্বর্গরূপ ধারণ করতো। সময় একদিন ওকে শাহবাগ থেকে বিভিন্ন মিশেলের একতোরা ফুল এনে দিলো। খুবই খুশি হলো লাবণ্য।
ফুল সবাই পছন্দ করে, করে না এমন কাউকেই খুঁজে পাওয়া যাবে না। ফুল উপহার পেলে কে খুশি না হয়? ফুল উপহার পৃথিবীর সবচেয়ে দামী উপহারের একটি। আরেকটি হলো বই উপহার। এই মিলে দু’টি। টাকা ছাড়া পৃথিবীতে চলা যায় না। তবে টাকাই সবকিছু নয়। আবার যে অভুক্ত আছে, কিছু টাকা পেলে খেয়ে ক্ষুধা নিবারণ করবে তার কাছে দশটা টাকাও অনেক কিছু।
আজ কেন যেন একটা অদ্ভুত আবেগের মোহাবিষ্ট ভালোলাগা সময়ের মনে কাজ করছে। এ ভালোলাগা ভালোবাসার মতো গাঢ়। ও যেন কারও প্রেমে পড়ে গেছে সত্যি সত্যি। যেদিন লাবণ্য নিজের হাতে রেঁধে ওকে খাইয়েছিল সেদিন ও তেমন কিছু বুঝতে পারেনি, ওর অনুধাবনে বিষয়টি আসেনি। আজ বুঝতে পারছে গভীরভাবে। আসলে মানুষ অনেক সময় দেরীতে হলেও সময়ের মাপঝোঁক বুঝতে পারে। কিছুদিন পরে হলেও ক্ষতি তো কোন নেই কিছু। সময় বুঝতে পারছে ও লাবণ্যর প্রতি দুর্বল হয়ে পড়েছে। এ দুর্বলতা আসতেই পারে, হতেই পারে। যাকে সে খুব ভালো বন্ধু ভাবতো সে আজ ভালোলাগার মানুষে পরিণত হয়েছে। এ বিষয়টি বিস্ময়ের। সময় যেন সময়কে বুঝতে শেখালো।
সেদিন রাস্তায় এক ভিখেরি সময়ের রাস্তা আটকালো। মাথায় চুলে জট। এক বুড়ি ভিখেরি। সময় পকেট থেকে বিশটা টাকা বের করে ধরিয়ে দিলো। মাথায় কাপড় টানতে টানতে ভিখেরি বুড়ি বলে বলে যেতে লাগলো, “তুই আমাকে বিষ দিলি!” সময় চিন্তায় পড়ে গেলো। এমন ঘটনা কোনদিন ঘটেনি।
সময় এই ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে আলাপচারিতার মাঝখানে লাবণ্যকে খুলে বললো। লাবণ্য বললো ও কিছু নয়। পাগল বুড়ি। বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সবাই ওদের দু’জনের রসায়ন দেখে ঈর্ষান্বিত। ঈর্ষা করতেই পারে। না করার কিছু নেই। লাবণ্য উজ্জ্বল শ্যামলা মাঝারি গড়নের। আর সময়ও বেশ চঞ্চল প্রাণখোলা একটি ছেলে। দু’জনকে বেশ মানায়। সমস্যা যা একটাই তা হলো ধর্মের ভিন্নতা। সমাজের প্রসঙ্গ টানলে হয়তো এ নিয়ে মানুষ রসবোধ করবে, কিন্তু এক সময় একেও সিদ্ধ করে নেবে, মেনে নেবেই।
আজ বেশ শীত পড়েছে। বাইরে কনকনে ঠাণ্ডা বাতাস বইছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ঠিক করলো এই শীতে বান্দরবন শিক্ষাসফরে যাবে। লাবণ্য আর সময়ও যাবে বলে ঠিক করলো। বান্দরবন খুব সুন্দর একটি এলাকা। বাংলাদেশের পর্যটন-শিল্প বিকাশে সরকারের সদিচ্ছা রয়েছে ঢের। হয়তো কিছুটা সময় লাগবে, কিন্তু একবার যদি এই খাত বিকশিত হয় দেশের আমূল চেহারাই বদলে যাবে।
আগামী পরশু রাতে সবাই বান্দরবন রওনা দেবে। আন্তঃনগর ট্রেনের একটি পুরো বগির টিকিট কাটলো কর্তৃপক্ষ। বান্দরবনে একটাই সমস্যা কিছু জায়গা দেখতে গিয়ে উঁচুতে উঠতে হয়। চারপাশের মেঘের ভেলায় যেন বাতাস নেচে যায়। মনে হয় এই বুঝি মেঘ ধরতে যাচ্ছি। সবাই প্রথম বান্দরবন যাচ্ছে। যান্ত্রিক এই নগর-জীবনের অনেকের পক্ষেই নানান কারণে বের হবার ইচ্ছে থাকলেও কোথাও যে একছুট ঘুরে আসবে সেই সুযোগ কমই। সবার মাঝেই এক ধরণের রোমাঞ্চকর অনুভূতি কাজ করছে। সারারাত অনেকেই ঘুমায়নি। আড্ডা দিয়ে মজা করেই সময় পার করে দিলো। এই ফাঁকে পাশাপাশি বসা সিটে লাবণ্য মাথা হেলিয়ে দিয়ে সময়ের কাঁধে বেশ কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে নিলো। অনিন্দ্য এক দৃশ্য এটি। সকাল সাতটায় ট্রেন চট্টগ্রাম পৌঁছলো। যার যার ব্যাগ নিয়ে সবাই ছুটলো বান্দরবন যাবার বাস ধরতে। পর্যটন মোটেলে দুপুর দুইটায় সবাই গিয়ে দেখল এ যেন এক অনন্যসুন্দর চারদিক। দুপুরে সেইরকম আয়োজনের আতিশয্যে খেয়ে দেয়ে সবাই বিশ্রামে চলে গেলো।
সন্ধ্যের ঠিক আগে আগে সবাই মিলে ঘুরতে বেরুলো। এখানে শিক্ষকরা সবাইকে দেখভাল করছে। সবাইকে নিয়ন্ত্রণ করছে। তারপরও মনের আনন্দে এদিক ওদিক অনেকেই ঢুঁ মারছে। বান্দরবনের প্রতিটি জায়গা সুন্দর। নীলাচল তো অদ্ভুত এক জায়গা। মনে হবে যেন স্বর্গের এক টুকরো, হাত ভিজে যেতে চায় যেন মেঘের পরশে।
নীলাচল যাবার আগের দিন, সবাই ছোট্ট একটা টিলায় উঠতে যাচ্ছে। সিঁড়ি ভেঙ্গে ভেঙ্গে উঠতে হচ্ছে। বেশ উপরে উঠে গেছে লাবণ্য। সবাই খুব সাবধানে সিঁড়ি ভাঙছে। কারণ বৃষ্টি হয়েছে, পথ পিচ্ছিল। সময় লাবণ্যর একটু পেছনে কয়েকজনের পরে ছিল। হঠাৎ পা পিছলে লাবণ্য ওর পেছনে থাকা ওরই এক বন্ধুকে সাথে পেঁচিয়ে কঙ্কর-পাথর-মাটির টিলার একেবারে নিচে গিয়ে পড়লো। লাবণ্য সংজ্ঞাহীন, আর বন্ধুটি গোঁঙরাচ্ছে। ছেলে হওয়াতে আঘাতটা সয়ে নিতে পেরেছে। কিন্তু লাবণ্যর অবস্থা সুবিধাজনক নয়। সারা শরীরে অনেক আঘাত পেয়েছে, মাথায় বেশি আঘাত পেয়েছে। খুব দ্রুত স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেয়া হয় ওকে। ডাক্তাররা সাথে সাথে ওকে আইসিইউতে নিয়ে নেয়। দেখতে দেখতে দু’দিন চলে গেছে, কিন্তু লাবণ্যর সংজ্ঞা ফেরেনি। ডাক্তাররা খুব গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে তাকে। শেষ পর্যন্ত বাহাত্তর ঘণ্টা পেরিয়ে গেলো কিছুতেই কিছু হলো না।
আল্লাহ্র কি ইচ্ছে লাবণ্যকে আর বাঁচানো গেলো না। সময় সহ ওর শিক্ষক-সহপাঠীরা কান্নার রোলে ভেঙ্গে পড়ে। প্রকৃতির ফাঁদে পড়ে লাবণ্যর জীবন এতো অল্পতেই শেষ হয়ে গেলো। শেষ হয়ে গেলো সময়ের ভালোবাসা, হৃদয়ের অপার আকর্ষণ। ভালোবাসারা মাঝে মাঝে এভাবেই কেন যেন হঠাৎ চলে যায়। সময় কোনদিনই লাবণ্যর স্মৃতি ভুলতে পারবে না। সময়ের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত এ ভালোবাসা অটুট থাকবে, থাকবে অমলিন, অবিনশ্বর হয়ে। ভালোবাসারা চিরদিন বেঁচে থাকে।
লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা
ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য
এই গল্পে আমি তুলে ধরেছি তরুণ মনের ভালোবাসাকে। তরুণ-তরুণীরা প্রাণবন্ত স্বভাবের। এই বয়সে যে কেউ যে কাউকে ভালবাসতে শেখে নিজের মতো করে। মুখ ফুটে ভালোবাসি বলার সময় এটা। কিন্তু অনেক ঘটনা-দুর্ঘটনা সেই প্রকাশে অন্তরায় সৃষ্টি করে, বাধা হয়ে দাঁড়ায়। আমি এই গল্পে মৃত্যুতে উপসংহার টেনেছি। শেষ পর্যন্ত ‘ভালোবাসি’ আর বলা হলো না। এটি এক অপরিপূর্ণ আবেগের ছোটাছুটিতে পর্যবসিত হলো শেষ অংকে। তারপরও এটি ভালোবাসার গল্প। কিছু কথ্য-দৃশ্য কি মনে দাগ কাটার মতো যোগ্যতা রাখেনা?
২৪ জুলাই - ২০১৮
গল্প/কবিতা:
২২ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ মে,২০২৫