চেয়ে দেখ দেবী,
আমিই তো, সেই কখন থেকে মণ্ডপের সামনে এসে ডাকছি।
চেয়ে দেখ, আমাকে, তোমার প্রেমে ডুবে যাওয়া এই অসুরকে,
দেবী, তুমি ভয় পেয়ো না ভয়ানক চেহারার এই আমাকে।
দেবী, ছাড় আমার ভয়, এখনি সময়,
এই এই হাহাকার শোনার, এই মাতালের কৈলাশ ভাঙার।
সেই কবে! আমি, গেলাম গঙ্গা পাড়ে,
খুব পিপাসায় ছিলাম, গেলাম স্রোতের ধারে,
ওপাড় দৃষ্টি গেল,
ঘাটে সাড়ি ছাড়ে,
স্নানের সফেদ তোমায় পেল।
জলের পরেই আমায়, ঐ রূপের তৃষ্ণায় পেল।
আমি খানিক শব্দ করেছিলাম,
তোমার চোখে আটকে ছিলাম।
তুমি জোড়া চোখের পাতা বুজিয়ে দিয়ে লাজে,
সাড়ি খানা সেই কোন মত নিয়ে অদৃশ্য কৈলাশে।
কত বছর কেটে গেল দেবী,
সেদিনের ঐ বন্ধ দুচোখ,
নাকি আজো তুমি খুল নি!
দেবী, কিসের এতো লাজ?
এই অসুরের চোখে পড়ার আগে,
তুমি কি ছিলে কুমারী?
মহাদেব যখন সৃষ্টি পিতা, তুমি কৈলাশ মাতা,
বল দেবী, এই গোটা সৃষ্টিকে কি জন্মায়নি ঐ যোনী?
এই কৈলাশে এসে, নিজের পাতালপুরী ছেড়ে,
সেই বছর বছর ধরে,
শুনো, এই যে আমি ডাকছি তোমায় কতই না জোড়ে।
তোমার কোন হদিস কোথাও না পেয়ে,
দেখ ওখানে মহাদেবের সেই তাণ্ডাব নাচন চলে।
দেখ কাঁপছে কৈলাশ, পৃথিবী, পাতাল
স্বর্গ-মর্ত সবই, আর কিছুক্ষন নাচলে দেবী ধ্বংস হবে সবই।
এই অসুর আমি, স্নানের সমে, তোমায় দেখে, হ্যাঁ, ভুল করেছি আমিই,
জগৎ তবে এই পাপীর পাপের তরে, কেন হতে যাবে দায়ী?
মহিষাসুরের বক্ষে তুমি যেমন দেয়েছিলে ত্রিশূল বাঁধি,
দেখ, পেতেছে এ বুক কৈলাশে
এই পাপী,এসে তুমি ঐ ত্রিশূল খানি
হেনে দাও চিত্তমাঝি।
মুছে ফেল তুমি লাজের কারণ,
সৃষ্টিকে তাই বাচাতে আজি নিজেকে মুছতেও রাজি।
লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা
ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য
এই কবিতার মূল চরিত্র হচ্ছে একজন অসুর, যে গঙ্গা পাড়ে দেবী পার্বতীকে স্নানের সময় কাপড় ছাড়া দেখে ফেলে। এতে দেবী তার শালীনতায় আঘাত লেগেছে ভেবে চোখ বন্ধ করে নিজেকে অদৃশ্য করে ফেলেন। অনেক বছর পরেও দেবীর লাজ না কাটায় তিনি অদৃশ্যই থাকেন, এদিকে তাকে না পেয়ে শিব তার তাণ্ডব নাচ শুরু করে দেয় যা সৃষ্টিকে ধ্বংস করে দেবে। তাই সৃষ্টিকে বাচাতে অসুর দেবীকে তার লাজ কাটিয়ে প্রকট হতে ডাক দিতে থাকে। প্রয়োজনে নিজের প্রাণ দেবীর হাতে তুলে দিতে চায়।
০৯ মে - ২০১৮
গল্প/কবিতা:
৩ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪