বরুনের মনে হয় হঠাৎ করে যেন যুদ্ধটা শেষ হয়ে গেল। কারন প্রিয় জন্মভূমির মুক্তি ছিনিয়ে আনার জন্য সারাটি জীবনও যদি যুদ্ধের মাঠে কাটাতে হয়, সে কাটাবে; এমন সিদ্ধান্ত নিয়েই বরুন চিরতরে বাড়ি ছেড়েছিল। সেনাবাহিনীর সাজে এক হানাদার বাহিনী এই দেশের নরম মাটিতে খুব সুবিধা করতে না পেরে, বাঙালীর জীবনক্ষয়ী বীরত্বের কাছে হার মানল অল্প সময়ের মধ্যেই। মেহেরপুরের কলাবাড়ী ক্যাম্পে ছোট একটা বিজয়ানুষ্ঠান শেষে বরুন গ্রামে ফিরছে বুক ভরা গর্ব নিয়ে। এখন সে গর্বিত একজন মুক্তিযোদ্ধা। শহরের মোড়ে এসে সে দাড়ায় বাস ধরবে বলে। নীরব শহর। মাঝে মাঝে শুধু বিভিন্ন দিক থেকে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান ভেসে আসছে। চারদিকে যুদ্ধের ফেলে যাওয়া ধবংসের ক্ষতচিহ্ন। যুদ্ধের দামামা শেষ হয়েছে, তবে সবকিছু স্বাভাবিক হতে একটু সময় লাগবে। দুএকটি টেম্পু আর কিছু মিনিবাস ছাড়া রাস্তায় কোন যানবাহন নেই। সামনে দিয়ে একটা বিজয় মিছিল চলে যায় ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিতে দিতে। বরুন আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ে। দুঘন্টা অপেক্ষা করার পর তার নিজ জেলাগামী একটা লক্করঝক্কর মিনিবাস আসে। বরুন কিছুটা ত্রস্ত হয়ে মিনিবাসটিতে চড়ে বসে। বুকের মধ্যে স্বাধীনতা পাওয়ার এক চরম সুখ আর বাড়িতে ফেরার তীব্র বাসনা তার মধ্যে অন্যরকম অনূভূতির সঞ্চার করেছে। বাসের গায়ে গুলি লাগার অনেক ক্ষতচিহ্ন। ওরাও যেন সগর্বে বিজয় ঘোষনা করছে। বাসে অল্প কয়েকজন যাত্রী। মুক্তি পাওয়ার উত্তেজনা সবার চোখেমুখে। বাস চলছে। জানালা দিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে বরুন। অনেক দিন আকাশ দেখা হয় নি। কি সুন্দর নীল আকাশটা! হঠাৎ করে অনেক স্মৃতি উঁকি দিয়ে যায় তার মনের মধ্যে। টুকরো-টুকরো স্মৃতি। রোদ্রোজ্জল স্মৃতি। আর গাছের আড়ালে লুকানো বিড়াল ছানার ছায়ার মত দোল খাওয়া স্মৃতি। বাবা অরুন চৌধুরীর মতে দেশে গন্ডগোল লেগেছে একটা খারাপ সময় চলছে। বাবা চেয়েছিলেন তার একমাত্র ছেলে বরুন চোধুরী যেন এই গন্ডগোলের সাথে কোনভাবেই না জড়ায়। কিন্তু তার পিতৃতের দায়ভার থেকে নেওয়া সব সতর্কতা এড়িয়ে বরুন যখন বাবার অমতে মুক্তিবাহিনীর সাথে যোগ দিতে প্রস্তুত, তখন বাবা শেষ চেষ্টা হিসেবে তাকে ত্যায্যপুত্র করার নিস্ফল হুমকি দিলেন। হুমকি দেয়ার সময় ক্রোধে লাল হয়ে যাওয়া বাবার সেদিনকার চেহারা বরুনের চোখে স্পষ্ট ভেসে ওঠে। বরুনকে আনমনা করে দেয়। বাবার জন্য কেমন মায়া লাগে বুকের মধ্যে খচ্খচ্ করে ওঠে। মনে পড়ে সেদিন অর্ধজ্যোৎন্সালোকিত রাতে চিতই নদী সাঁতরে পাড়ি দেওয়ার সময় একবার মনে হয়েছিলো ফিরে যায় বাবার বাধ্য সন্তান হয়ে থাকি। মা মারা যাওয়ার পর থেকে সেই বাবার সবেধন নীলমণি। বাবা একাই মা ও বাবা এ দুটো ভূমিকা পালন করেছে। কিছুটা নিচু পরিবারের সুন্দরী কুমারী মেয়ের পিতার নিয়োগকৃত নাছোড়বান্দা ঘটকের নাটুকী আবদার যে বাবাকে দ্বিতীয় বিয়েটা করতেই হবে নিষ্ঠুরভাবে পায়ে পিষেছে বাবা। ‘সৎ মা কখনো ভাল হয়না’ এই সভাবসিদ্ধ সমাজনির্মিত ধারনা বাবা পাশ কাটিয়ে যাননি; পাছে সৎ মায়ের কোন হঠকারী আচরনে তার কোন কষ্ট হয়। মায়ের খুব বেশি স্মৃতি তার ছিল না। দেশের জন্য যুদ্ধ করতে যেয়ে মায়ের জন্য তার মধ্যে নতুন অনুভূতি নতুন আকুতি সৃষ্টি হয়েছে। ‘রানু’ নামটা হঠাৎ করে তার মনের মধ্যে ঝিলিক দিয়ে যায়। রানুর সাথে আবার দেখা হবে এটা ভাবতেই একটা ঝাঁকুনি দিয়ে তার সারা শরীর অবশ হয়ে আসে। স্বপ্নাতুর হয়ে ওঠে চোখ দুটো । যুদ্ধের সমস্ত ক্লান্তি আচমকা উবে যায়। এ নামটি যপে যপেই তো সে এই মৃত্যকন্টকিত পথ পাড়ি দিতে পেরেছে! রানু আর বরুন একই ক্লাসে পড়ত। কত না স্মৃতি! একদিন একটু দেরি করে আসায় খুব কড়া রনজিত স্যার রানুকে দাড় করিয়ে রাখে। একটু পর হঠাৎ করে বরুনও নিজের বেঞ্চে দাড়িয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে থাকে। স্যার খুব বেশি অবাক হয়না; বোধ হয় কিছু বোঝেনি কি হতে যাচ্ছে। স্বাভাবিকভাবে স্যার জিঞ্জাসা করে, ‘কি হল ছোকরা, তুই আবার দাড়িয়ে কেন?’ এরপর সে যা বলেছিল তা ভাবতেই বরুন ফিক করে হেসে ফেলে। নিজের হাসি শুনে আচমকা নিজেরই লজ্জা লাগে। চারপাশে তাকিয়ে দেখে কেউ খেয়াল করল কিনা। না কেউ খেয়াল করেনি। সবাই আগত স্বাধীনতা নিয়ে আলোচনায় মশগুল। বরুনের স্পষ্ট মনে পড়ে-ঐদিন এক অদ্ভুত ঘোর লাগা কন্ঠে সে বলে উঠেছিল, ‘রানুকে বসতে না দিলে আমি বসব না, স্যার’। ক্লাসের সবাই হো হো করে হেসে উঠেছিল। সেদিন স্যারের চেহারা নাকি দেখার মত হয়েছিল। এমন পাগলামি কেন সেদিন সে করেছিল? তখনো তো কিশোর বয়স তার; ভালবাসা কি তা সে বুঝত না। বাজারমোড়ে পৌছে বাস থেকে নামে বরুন। গায়ের পায়ে-চলা পথ ধরে। আকাশে মেঘ জমতে শুরু করেছে। সন্ধ্যা নামবে একটু পর। নীড়ে ফেরা পাখির ডানা ঝাপটানোর শব্দ একটু অন্যরকম লাগে। বিশৃঙ্খল বাতাস আর হঠাৎ-জমে-ওঠা অল্প-অল্প কালো মেঘ। দুর্ভাগ্যের কোন এক অশুভ ইঙ্গিত কিনা কে জানে! বাবার জন্য বরুনের ভয় লাগে। রাজাকার, তবুও তো তার বাবা সে। ঘৃণা করলেও পিতৃত্বকে তো সে অস্বীকার করতে পারে না। রাস্তার দুধারে কলা গাছের ঝাড়ে মোঁচা ধরেছে। সেখানে দুটি বাদুড় তীক্ষ্ণ স্বরে চিঁ চিঁ করে ওঠে। দূরে তালগাছে কতোগুলো শকুন একটু পর পর ডানা ঝাপটায়। মায়ের সম্পর্কে বাবার বলা স্মৃতিগল্পটা মনে পড়ে যায়। মা তার মৃত্যুর আগের রাতে বাড়ির পাশের অনেক পুরোনো কড়ই গাছের উঠানের দিকে ছড়ানো ডালটায় একটা পেঁচা দেখে শিউরে উঠেছিল। মায়ের কাছে ঐ পেঁচাটা ছিলো নাকি একটা সঙ্গীহারা পেঁচা। একটা অজানা আশঙ্কায় হলুদ টিঁপ-পরা মায়ের আশ্চর্য সুন্দর মুখটি কেমন কালো হয়ে গিয়েছিলো। এর কিছুদিন পরই মা মারা যান। বাবা কোনদিন মায়ের ঐ বেদনাহত মুখচ্ছবিটি ভুলতে পারেননি। সময়ের দাবিতে কৈশোরের পর বাবার সাথে তার দুরত্ব তৈরি হয়েছিল। বাবা পাকিস্তানের নামে কোন বদনাম শুনতে রাজি ছিলেন না । ‘জয় বাংলা’, ‘বাংলাদেশ স্বাধীন কর’, এই সব স্লোগান ও মন্ত্রে যারা বিশ্বাস করত, বাবার কাছে তারা ছিল ¯স্রেফে গন্ডগোলকারী-ভারতের চর। কলেজপড়ুয়া বরুনের সেখানে ছিল ঘোর আপত্তি। তাই বাবার সাথে তার দুরত্ব তৈরি হতে থাকে ধীরে ধীরে। একসময় সে দুরত্ব ¯স্নায়ুযুদ্ধে রূপ লাভ করেছিল। কিন্তু বাবার প্রতি তার শ্রদ্ধামিশ্রিত ভয় থেকে সে বের হতে না পারায় গণঅভ্যুথান ও সত্তরের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সারা পূর্ববাংলায় যে প্রতিবাদকর্ম শুরু হয়ে গিয়েছিল বরুন সেখানে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহন করতে পারেনি। সেসময় একটা অস্থিরতার মধ্যে তার দিন কেটেছিল। বাবার প্রতি অসুস্থ একটা ঘৃনাবোধও জন্মেছিল মাঝে মধ্যে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ভাষণের পর সে মনস্থির করে ফেলে আর ঘরে বসে থাকা নয়। পঁচিশে মার্চের গণহত্যার খবর ছড়িয়ে পড়লে দেশের সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের সাথে তার মনও বারুদের মত ফুঁসে ফুঁসে জ্বলে উঠেছিল। বাবার সাথে একপ্রকার সম্পর্কচ্ছেদ করেই সে যুদ্ধে যোগ দিয়েছিল। বাংলাদেল স্বাধীন হয়েছে; পাকি দস্যু দলের সবাই মাথা নিচু করে কোমরের বেল্ট খুলে বাঙালীর স্বাধীন হওয়ার স্পর্ধার কাছে হার মেনে নিয়েছে। সবসময় নিজ বিশ্বাসে অটল বাবা নিশ্চয় আজ পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ অনুভব করছে। সারা জীবন ধরে যে বিশ্বাস বাবা লালন করেছে, তা নির্লজ্জভাবে ধ্বসে গেছে। পরাজিত-রিক্ত বাবার সামনে বিজয়ের ঝান্ডা হাতে বীর সন্তান মুখোমুখি দাড়ানোর এমন ঘটনা ইতিহাসে বোধ হয় এই প্রথম ঘটতে যাচ্ছে। অনিশ্চিত এরূপ সাক্ষাতে বরুনের কি করা উচিত তা সে স্থির করতে পারে না। একটু চঞ্চল হয়ে ওঠে। নিজের অজান্তে দ্রুত পা চালায় সে। ক্যাম্পে থাকতেই সে জানতে পেরেছিলো তার বাবা স্থানীয় চেয়ারম্যান হওয়ার সুবাদে রাজাকার নেতা বনে গেছে। স্থানীয় ক্যাম্প কমান্ডারের সাথে বাবার নাকি খুব সখ্যতা। গ্রামে ঢুকেই সে টের পাই যথার্থ নেতার মত তার বাবা গ্রামকে আগলে রেখেছে। কিন্তু তা কিসের বিনিময়ে সে প্রশ্ন তার মনে উঁকি দেয় না। বাড়িতে ঢুকতেই বাবাকে বাহির ঘরে চেয়ারে হেলান দিয়ে বসে থাকতে দেখে। ভীতসন্তোস্ত; কিছুটা বীকারগ্রসÍ। মৃতবৎ বসে আছে। বরুন জানে, যুদ্ধ শেষ হওয়ার সাথে সাথে মুক্তিযোদ্ধারা রাজাকার আলবদর সদস্যদের ধরে ধরে মেরে ফেলছে। বরুনের মত একজন মুক্তিযোদ্ধার বাবাকে, রাজাকার হওয়া সত্ত্বেও, হত্যা করতে হয়ত অন্য মুক্তিযোদ্ধাদের মন সায় দেয়নি। কিন্তু ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত দাগি আসামীর মত মৃত্যু-আতঙ্ক তার চোখে মুখে স্পষ্ট হয়ে আছে। বরুনকে দেখে সে উঠে আসেনা। যেমনি বসে ছিল তেমনি বসে থাকে। শুধু চোখ দুটো উজ্জ্বল হয়ে উঠে। ঠোঁট দুটো তিরতির করে কেঁপে উঠে কি একটা অপরাধবোধে! ভেতর ঘরে ঢুকেই রানুর খোজ নেওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠে বরুন। ছলিম চাচা কই? ছলিম চাচা বাড়ির কাজের লোক। কিন্তু ছলিম চাচাই তার সবচেয়ে আপনজন। সে জানে সবকিছু। রানুর সাথে তার প্রেম- যুদ্ধ থেকে ফিরে রানুকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি-সবকিছু। খানিকপর হন্তদন্ত হয়ে ছুটে আসে ছলিম চাচা। ছলিম চাচা শুধু জানায় রানু ও তার পরিবারের সবাই ইন্ডিয়া চলে গেছে। এটুকু জানিয়ে আবার তড়িঘড়ি করে ঘর থেকে বের হয়ে যায়। ছলিম চাচা কিছু লুকাচ্ছে না তো? ঘরের সবকিছু ঠিক আগের মতই আছে। যুদ্ধের কোন চিহ্ণ বাড়িতে পড়ে নি। বরুনের মনটা বিষন্ন হয়ে যায়। তার জন্য রানু অপেক্ষা করবে বলেছিল। তবে যুদ্ধের বাস্তবতায় রানুর উপর রাগ করতে পারে না সে। যুদ্ধ শেষ হয়েছে; তার রানু হয়ত এখন ফিরে আসবে। মাঝরাতে হঠাৎ করে ঘুম ভেঙ্গে যায় বরুনের। বুকের মধ্যে দপ্ দপ্ করতে থাকে। গলা শুকিয়ে যেন কাঠ হয়ে গেছে। রানুকে নিয়ে একি স্বপ্ন দেখলো সে! কালো হয়ে আসা আকাশের উপর থেকে রানু দুহাত মেলে তাকে ডাকছে ভয়ার্ত অসহায় আর্তিমাখা সে ডাক। কালো ঘন চুল তার বিশৃঙ্খলভাবে ছড়িয়ে গেছে অনেক দূর পর্যন্ত। কি যেন বলতে চায় সে! রক্তমাখা একটা খোরগোশ ছানা দৌড়ে পালিয়ে যায়। লোমশ অদ্ভুৎদর্শন সরীসৃপের মত একটা অতিকায় প্রাণী রানুর পিছনে সুড়সুড় করে ভেসে ওঠে। কুৎসিত প্রাণীটার মুখচ্ছবিতে বাবার চেহারা ভেসে ওঠে ক্ষনিকের জন্য। দাঁতগুলো লাল রক্তমাখা। ভয়ংকর সে দৃশ্য। কম্পিত হাতে কুপিটা জ্বালায় সে। ধিক্ করে ভীত মনের মধ্যে একটা অশুভ ইঙ্গিত উঁকি দিয়ে যায়। মায়ের সেই পেঁচা দেখার মত অশুভ। শঙ্কা আর ঘৃণার তীব্র বিক্রিয়া তার ভিতরটা এসিডের মত ঝলসে দিয়ে যায়। কি করতে হবে সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয় সে। এতরাতেও জোরে কড়া নাড়ার শব্দেও কিছুমাত্র বিচলিত না হয়ে সাথে সাথে অরুন চৌধুরী দরজা খুলে দেয় নির্বিকারচিত্তে; তবে কিছুটা অসহায়ভরে। যেন এরকম একটা পরিস্থিতির জন্য সে আগেই প্রস্তুত ছিল। কোন ভূমিকা-ভণিতা ছাড়াই বরুন বাবাকে প্রশ্নটা ছুড়ে দেয়, ‘রানুকে বাঁচানোর কোন চেষ্টাই করোনি তুমি, বাবা? নাকি তুমি নিজেই তাকে ওদের ক্যাম্পে.....???!!!’ শেষ করতে পারেনা সে প্রশ্নটা। গলা জড়িয়ে যায়, শুকিয়ে আসে কন্ঠনালী। বরুন অনুভব করে মহাশূন্যের অসীম শূন্যতায় সে তলিয়ে যাচ্ছে। তার চারপাশে ছবিহীন অন্ধকারের গভীর শূন্যতা। সেই অতল শূন্যতার ভিতর তলিয়ে যেতে যেতে সে শুধু দেখতে পায় বাবার কালো হয়ে যাওয়া মুখটা কপালে বিন্দু বিন্দু জমে ওঠা দুফোটা ঘাম আর চোখের কোণায় দুফোটা অশ্রু; তা ভয়ের না লজ্জার বরুনের বোঝা হল না। নাকি দুবিন্দু ভয়ের আর দুবিন্দু লজ্জ্বার-ভীষণ লজ্জ্বার! বরুনের মনে হল সে অতিকায় কুৎসিত সরীসৃপ প্রাণীটির মত তার বাবার কন্ঠনালী ছিড়ে নিল রক্তচোষা হিংস্রতায়।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মাইনুল ইসলাম আলিফ
অসাধারণ।সুন্দর গল্প।শুভ কামনা আর ভোট রইল।আসবেন আমার গল্প আর কবিতার পাতায়।
লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা
ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য
পরাজিত রাজাকার পিতার সাথে যখন মুক্তিযোদ্ধা ছেলে- একমাত্র প্রিয় ছেলের সাথে দেখা হয় তখন কি ভীষণ লজ্জাকর অনুভূতি তৈরি হয় ঔ পিতার মধ্যে তা নিয়ে লেখা গল্পটি। অপরাধবোধ নাকি লজ্জার সে অনুভূতি তাই বোঝার চেষ্টা করা হয়েছে এখানে।
০১ ডিসেম্বর - ২০১৭
গল্প/কবিতা:
৯ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
বিজ্ঞপ্তি
“জানুয়ারী ২০২৫” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ জানুয়ারী, ২০২৫ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।