জীবন থেমে থাকে না। সময়ের স্রোতে বয়ে চলে। কখনো কখনো গ্রীষ্মের ঝড়ো বাতাসে ধূলোর ঘূর্র্ণিপাকের মত পাক খায়। অজানা-অনিন্দ্য গন্তব্যে ধেয়ে চলে এভাবে। খরস্রোতা নদীর মত ভাঙা- গড়ার খেলায় মত্ত হয়ে বাক নেয় যথা-তথা। জীবনের এ অমোঘ নিয়মে নিয়তির আঁচলে বাধা মনসুরার জীবন। নিয়তির কষাঘাতে জীবন-স্বপ্নের রঙগুলো সেই কবে হয়ে গেছে কালচে-বিবর্ণ। দ্ইু দুইবার সংসার ভেঙেছে। তৃতীয় স্বামীর ঘরে নয় মাসের ছেলে সন্তান নিয়ে তার বর্তমান সংসার। স্বামী মতিয়ারের মধ্যপ্রাচ্যে যাবার টাকা যোগাড় না করতে পারলে এঘরও বালুচরে তলিয়ে যাবে। সেই সাথে সলিল সমাধি হবে মনসুরার স্বপ্ন পোড় খাওয়া জীবন নিয়ে বেঁচে থাকার শেষ ইচ্ছেটুকু। গ্রীষ্মের প্রচন্ড রোদ। দাবদাহ। মনসুরা ঘুমন্ত ছেলেকে দুহাতে বুকের সাথে আগলে ধরে জোর পায়ে হেটে চলেছে। পাশাপাশি দুটি গা। উত্তরে ভবানীপুর আর দক্ষিনের গায়ের নাম দরিয়ারপাড়। মনসুরার শেষবার বিয়ে হয়েছে তার পাশের গা ভবানীপুরে । দু’গায়ের মাঝে বিস্তৃন ফসলের মাঠ। তার বুক চিরে দুটি গা কে মিলিয়ে দিয়েছে সরু একটা কাচা রাস্তা। গ্রীষ্মে রাস্তা তপ্ত ধূলা মরুভূমির বালুর মত চিক চিক করে। বর্ষায় জমে একহাটু কাদা । ঘূর্ণি বাতাসে হঠাৎ হঠাৎ তেড়ে আসা ধুলা থেকে বাঁচতে মনসুরা বিবর্ণ শাড়ির ছেড়া আঁচলটা টেনে নাক-মুখ ঢাকার চেষ্টা করে। তীব্র গরম আর রাস্তার ধূলিময় বাতাসে তার শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। তৃতীয় ঘরটাও ভেঙে যাওয়ার তীব্র শঙ্কায় তার দম আটকে আসে। বুকের মধ্যে হাসফাস করে। এক মুহূর্তের জন্য মনসুরার মনে হয় কেয়ামত বুঝি শুরু হয়ে গেছে। কেয়ামতের দিন সূর্য থাকবে মাথার উপর আর পায়ের নিচের মাটি হবে আগুন। ক্ষেতে কাজ করা গায়ের চেনা মানুষগুলো মনসুরার দিকে তাকিয়ে খাকে। মনার হন্তদন্ত পদক্ষেপ তাদের মনেও শঙ্কা জাগায় ঘর পোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলেই ভয় পাই কিনা! গায়ের মানুষ মনসুরাকে মনা বলেই ডাকে। মনা তার ডাকনাম। গায়ের মানুষ সুন্দরী মেয়ে বলতে সর্বদাই হারুন সর্দারের মেয়ে মনার উদাহারন টানে। কৈশোর পেরুতে না পেরুতেই চার গাঁ থেকে বিয়ের প্রস্তাব আসা শুরু হয়ে যায়। অনেক ভাল ভাল ঘর থেকেও প্রস্তাব আসে। বাবা হারুন সর্দার সকলকে বিনয়ের সাথে বুঝাই। মেয়েকে সে পড়ালেখা শেখাবে। শহরে চাকরি করাবে। মনা বলে, সে জেলা কলেজের শিক্ষক হবে। এভাবে চলতে থাকে সময়। কিন্ত অপ্রসন্ন নিয়তি খেয়ালের বশে বুঝি ঘুরিয়ে দেয় সময়ের মোড়। মনসুরার বিয়ে হয়ে যায় হঠাৎ করে । ছেলে দেখতে অনেক সুন্দর। প্রতিষ্ঠিতও বটে। জেলা সদরে সরকারী চাকরি। ছেলের বাবা ঐ গায়ের মধ্যে সবচেয়ে ধনী। তাদের জোরাজুরি, মনসুরাকে পড়ালেখা শেখাবে তাদের এই প্রতিশ্রুতি আর অদৃষ্টের ইশারায় হারুন সর্দার রাজি হয়ে যায়। মনসুরা শুরু করে নতুন জীবন। সুুখেই কাটছিলো মনসুরার বিয়ের প্রথম কয়েকটা মাস। হঠাৎ একদিন সে টের পেল তার স্বামী মতিন চৌধুরীর পূর্ব প্রেমের কথা। ভোরবেলা ঝিলের শান্ত জলে ফুটে থাকা হাস্যোজ্জ্বল শাপলার মত তার কোমল ও সরল মনে মতিনের মন নেই। মতিন তার গায়ের মেয়ে যাত্রাপালার নায়িকা কাজলির প্রেমে আসকÍ। সমাজ ও সম্মানের দোহাই দিয়ে শমশের চৌধুরী ছেলের প্রেমাসক্তি দুর করার জন্য মনসুরার সাথে বিয়ে দিয়েছেন অনেকটা তড়িঘড়ি করেই। সমাজ ও সংসারের কুটিল ও জটিল হিসেব-নিকেশ বোঝার অনেক আগেই মনসুরার প্রজাপতির রঙিন পাখার মত স্বপ্নময় নাজুক মনটা ভেঙ্গে গেল। কেও টের পেলনা। তারও কয়েক মাস পর মতিন কাজলিকে নিয়ে হলো দেশান্তরি। বাড়ির উঠানে ঢুকতেই জালাল ভাইয়ের মুখোমুখি হয় মনসুরা। চমকে উঠে বুকের ভেতরটা। জালাল ভাই মনসুরাকে হৃদয় দিয়ে ভালবাসত। বিয়ের আলাপও হয়েছিল তাদের। জালাল তার বড় মামার একমাত্র ছেলে। মামার আদেশ অমান্য করে মনসুরার মা অল্প বেতনের পোস্ট অফিসের কেরাণীর ছোট চাকুরী নেওয়া হারুন সর্দারের সাথে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছিল। সে থেকে তাদের মামার সাথে মায়ের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কোন যোগাযোগ ছিল না। শুধু জালাল ভাই বাড়িতে আসত মাঝে মাঝে; হয়ত মনসুরার টানে, কে জানে? মনসুরার তখনও অতশত বোঝার বয়স হয়নি। সে ডালিম কুমারের গল্প পড়ত। মাঝে মাঝে জালাল ভাইকে ডালিম কুমার হিসেবে স্বপ্ন দেখত। কৈশোরের খেয়ালীপনায় অন্তরের ঐ না বোঝা অনুভূতিগুলো সকালের শিশীরবিন্দুর মত হারিয়ে গিয়েছিলো। ভালবাসার বরফে তা পরিনত হওয়ার সময় পায়নি । জালাল ভাই মনসুরার চেয়ে বয়সে সাত-আট বছর বড়। জালাল মনসুরার মাকে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলেও পারিবারিক টানাপোড়নে তা বেশিদুর এগোয় নি। একদিন জালালের বিয়ে হয়ে যায়। মনসুরা ঐ দিন খুব কেদে ছিল। কেন? সে জানত না। শুধু জালাল ভাইয়ের জন্য তার মনে খুব মায়া লেগেছিল। এই বুঝি কেউ জালাল ভাইকে তার কাছ থেকে চুরি করে নিয়ে গেল চিরদিনের জন্য! এরপর তাদের আর দেখা হয়নি। জালাল নিজেই এগিয়ে আসে। কৈফিয়ত দেওয়ার ভঙ্গিতে বলে, ‘ফুফাকে দেখতে এসেছিলাম।’ মনসুরার মুখে কথা নেই। ঘুমন্ত ছেলে জেগেছে এইমাত্র। জালাল কাছে এসে কোলের সন্তানের কাছে মুখ নিয়ে জিজ্ঞাসা করে ‘বাবু, কেমন আছ?’ বাচ্চাটি পিট্ পিট্ করে তাকায় । মনসুরা আনমনা হয়ে যায়। জালাল ভাইয়ের নিঃশ্বাস তার গায়ে পড়ছে। অুনভব করতে পারছে তার হৃদয় উষ্ণতা। কৈশোরের ঐ না-বোঝা অনুভূতিগুলো সময়ের পারদে জ্বলে পুড়ে নিঁখাদ হয়েছে। ভালবাসময় দুচোখে চোখ রাখার আকুতি তার মনের মধ্যে হয়েছে তীব্রতর। সে চোখ জালাল ভাই ছাড়া আর কোথাও দেখেনি সে। ‘আমি কেমন আছি, জিজ্গাসা করবা না, জালাল ভাই?’, মনসুরা কন্ঠ আবেগঘন হয়ে আসে । জালাল তার ভালবাসাপূর্ণ চোখতুলে তাকায় তার চোখের দিকে। মনসুরার জীবনে ঘটে যওয়া দুর্ভাগ্যের যন্ত্রনা-ক্লিষ্ট ছায়া লেপ্টে আছে সেখানে । করুণ মায়াবী চোখ দুটো অপার্থিব গল্পময়। জালাল কি বলবে বুঝতে পারে না। শুধু মনে মনে বলে আমি যদি পারতাম তোমাকে লুকিয়ে রাখতাম। আকাশ থেকে ছুটে আসা নিয়তির দূতেরা যেন তোমাকে কোনদিন খুজে না পায়। জালাল মনসুরাদের সব খোজখবর রাখত। সে সব জনে। প্রথম সংসার ভেঙ্গে যাওয়ার দুবছর পর মনসুরার দ্বিতীয় বিয়ে হয়। নিন্ম মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলে। কিছু জমিজমা আছে। আর গন্জের হাটে কাপড়ের ছোটখাটো একটা ব্যবসা। একবার বিবাহিত মেয়ের পাত্র হিসেবে খারাপ নয়। কারণ এ সমাজে মেয়েদের একবার বিয়ে হওয়া মানে অচল মুদ্রা। বিয়ের প্রথম রাতেই মনসুরা অন্যরকম একট ধাক্কা খায়। মনসুরা সে ধাক্কা সামলেও নেয়। একটা মানুষের সাথে সে পাশাপাশি ঘুমাবে; শুধু তার পাশে একটু আশ্রয় পবে, এটাকেই নিয়তি মেনে সুখী হওয়ার চেষ্টা করে । কিন্তু মনসুরার দ্বিতীয় স্বামী হেলাল গাজী দিন দিন মনমরা হয়ে য়ায়। একটা কঠিন হীনমন্যতা তাকে কাঠঠোকরা হয়ে ঠুকরে ঠুকরে খায় সারাক্ষন। বিয়ের কয়েক মাসের মধ্যে এক কান-দুকান করে সবাই জেনে যায় হেলাল গাজী অকম্মা-খোঁজা। সমাজে তাকে নিয়ে কানাঘুষা হেলাল গাজীকে নিজের কাছে নিজেকে অসহ্য করে তোলে। এক রাতে মনসুরাকে সে জিজ্ঞাসা করে‘বউ, তুই আমাকে বড্ড ভালবাসিস তাই না।’ মনসুরা বলে, ‘হ্যা, বাসি। তবে হঠাৎ করে এ কথা কেন?’ সে বলে, ‘আমি তোকে কোন সুখ দিতে পারি না? তুই এইখানে পড়ে আছিস কেন?’ মনসুরা সহজ ভঙ্গিতে জবাব দেয়, ‘আমি শুধু তোর পাশে শুয়ে থাকায় সুখ পাই। আমার আর কিছু চাই না। শুধু নায়ক- নায়িকার মত আমাকে একটু ভালবাসো।’ হেলাল গাজী কোন কথা বলেনা। কিছুদিন পর নিজের ব্যবসার দোকানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্বহত্যা করে। মনসুরার চাওয়া শুধু একটু ভালবাসা একজন মানুষের উপস্থিতি নিয়তির তাও সহ্য হল না। কেড়ে নিতে হল! মনসুরার দ্বিতীয় সংসারে এই নির্মম পরিণতি তার মা সইতে পারল না। আদরের মেয়ের জন্য দুশ্চিন্তায়-শোঁকে মূহ্যমান হয়ে মৃত্যুবরণ করল পরের বছর। বাবাও বিছানা নিলেন। অবসর কালীন সরকারী ভাতা দিয়ে কোনমতে দুজনের টিকে থাকা। মনসুরা আর কখনো বিয়ে করবে না বলে নিজেকে শক্ত করে নিল। নিয়তির তাও সহ্য হল না। দ্বিতীয় স্বামী হেলাল গাজীর মৃত্যুর দুবছরের মাথায় পাশের গায়ে মনসুরার তৃতীয় বিয়ে হয়ে গেল। বাবার শীর্ণ-কাতর মুখের দিকে চেয়ে বিয়েতে সম্মতি দিল সে। আর তৃতীয় ঘরে একটু ভালবাসার ক্ষীণ আশায়। চোখদুটো জলে চিক্চিক্ করে উঠতেই নিজেকে সামলে নিয়ে ঘরের দিকে এগোয় মনসুরা। আর কিছু বলতে পারে না। ঘরে ঢুকে বাবাকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কেঁদে ওঠে। ‘আমি আর কোথাও যাবনা, বাবা! এক্কেবারে চলে এসেছি। তোমাকে ছেড়ে আর কোথাও যাব না বাবা। কোথাও না।’ মনসুরার চোখের পানি যদি তার জমানো সব কষ্ঠ ধুয়ে নিয়ে যেত! মনসুরা গভীর খর¯্রােতা নদীতে তলিয়ে যেতে যেতেও খড়কুটা ধরে বাঁচার মত একটা ক্ষীণ আশা নিয়ে দিন কাটাই বাচ্চাটির কথা চিন্তা করেও হয়ত তার বাবা আসবে মনসুরাকে নিতে। দিন যেতে থাকে আপনমনে। তার তো কোন দায় নেই, শুধু চলতে থাকা। দায় মনসুরার। পিছনের ঐ দিনগুলোর ফেলে যাওয়া কষ্টগুলো বহন করতে হবে যে তাকেই। কয়েক মাস পর খবর আসে মতিয়ার তাকে তালাক দিয়েছে। বেঁচে থাকার শেষ শক্তিটুকু ফুরিয়ে যায় মনসুরার। কি করবে সে? সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়। নক্ষত্রবিহীন রাত। একটি দুটি তারা আকাশে। ঘরের জানালাগুলো খোলা। বাইরের হালকা আলো ঢুকে ঘরের মধ্যে ভৌতিক অন্ধকার সৃষ্টি করেছে। মনসুরা নিঃশব্দে উঠে বসে। নমাসের ছেলেকে শেষ চুমু খায়। আদর করে। নিঃশব্দে কাঁদে। সাত রাজার ধন সন্তানকে আলতো করে শুইয়ে দিয়ে মনসুরা শাড়ির আচল দিয়ে ফাঁস তৈরি করে। সেটি ঝুলিয়ে দেয় ফ্যানের আংটার সঙ্গে। এখন শুধু ঝুলে পড়ার মুহূর্ত। নিয়তির অদৃষ্ট নির্দেশে কে জানে, নমাসের বাচ্চা ‘মা’, ‘মা’ কলে কেঁদে উঠে। এই প্রথম ‘মা’ বলে ডাকল সে। স্পষ্ট স্বরে। পৃথিবীর সব মায়া-ভালবাসা যেন ঐ স্বরে ভেসে এল। মনসুরা বাচ্চাকে কোলে নিয়ে করে কেঁদে উঠল চিৎকার করে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মোঃ মোখলেছুর রহমান
বিদেশ যাবার টাকা বৌকে যোগার করে দেয়ার ঘটনা নিত্যই ঘটছে,ভাল লাগল আপনার গল্প।
মামুনুর রশীদ ভূঁইয়া
দুঃখিত বন্ধু। একটু দেরী হয়ে গেলো আপনার পাতায় আসতে। রাতে একটু ফুসরত পেলাম-এই ফাঁকে গল্পটি পড়লাম। আমার মনে হয় ঠিকই আছে। চরিত্রগুলো সব চেনাজানা চরিত্রের মতো আচরণ নাও করতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে লেখককেই ভূমিকা নিতে হবে চরিত্রগুলো চিত্রিত করার। সেক্ষেত্রে মোস্তফা ভাই ভালই করেছেন। দু’একটা ভুল সম্পাদনের টেবিলে ছুরি চালিয়ে লেখার মৌলিকত্ব নষ্ট না করাই ভালো। ভুল গুলো হয়তঃ অনিচ্ছাকৃত। আমার ভালো লেগেছে ভাই। পছন্দ, ভোট ও শুভকামনা রইল। আমার কথায় মন খারাপ হলে একবার ঘুরে আসুন আমার ‘অন্ধ প্রদেশ’। মন ভালো হয়ে যাবে.. হা.. হা.. হা.. ভালো থাকবেন।
দুঃখিত, মামুন ভাই একটু দেরি করে প্রত্যুত্তর দেওয়ার জন্য। অবশ্য আপনার গল্প ‘অন্ধ প্রদেশ’ অনেক আগেই পড়েছি। আপনার গল্পের আইডিয়া খুব অভিনব। অসাধারণ লাগে। সময় নিয়ে আমার গল্পটি পড়ে মন্তব্য লেখার জন্য ধন্যবাদ।
মোস্তফা হাসান
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য। প্রথম ্রথম লিখছি, তাই হয়ত অনেককিছু চোখ এড়িয়ে যায়। ভাল লাগল যে আপনি বিষয়গুলো ধরিয়ে দিলেন। আপনাকে শুভকামনা। আর হ্যা,আপনিও অনেক ভাল লেখেন। ভাল থাকবেন।
মোঃ নুরেআলম সিদ্দিকী
সুন্দর ভাবনার পরিনত একটি গল্প। গল্পের চরিত্রগুলো ভালো লেগেছে। আচ্ছা মনা যেহেতু নারী, সেহেতু শিক্ষিকা হবে কিন্তু আপনি শিক্ষক দিয়েছেন। গল্পের এক পর্যায়ে মনসুরার দ্বিতীয় স্বামী হেলাল গাজী কেন দোকানের ভিতর ফাঁস দিলেন? সেইটুকু গল্পতে আসলো না। এমন আরও কিছু ঘটনা গল্পতে বিস্তারিত আসে নাই। হঠাৎ কাহিনী, হঠাৎ পরিণতি, হঠাৎ সমাপ্ত। তবে গল্প বেশ জমে উঠেছিল। শুভকামনা নিরন্তর, ভালো থাকুন ভাই...
সাদিক ইসলাম
শেষটা ভালো হয়েছে। কিন্তু মনসুরার দ্বিতীয় বিয়ে বা বিয়েগুলো ভাঙ্গার পর কেন জালাল ভাই বিয়ে করলোনা? ব্যাপারটা পরিষ্কার করলে আরো ভালো হতো। শুভ কামনা। আমার গল্পে আমন্ত্রণ।
নিজের লেখা নিয়ে আপনার এত সংশয় কেন? বিনয়? এই যে গল্পে বললেন জালাল বিবাহিত, সেটা জালালের বিয়ে না করার কারণ নয় কি?
আমার অবশ্য প্রশ্ন ছিল হেলাল গাজী কেন বিয়ে করলো। এমনিতে গল্পের শুরু থেকে শেষ সবটাই ভালো লেগেছে। নিয়তি বুঝি এমনই হয়। কলেজের শিক্ষক হতে পারেনি হয়তো তবে সন্তানের কাছে আদর্শ শিক্ষক হয়ে উঠুক মনসুরা
আপনি অনেক লেখেন সেটি দেখলাম। আশা করি আস্তে আস্তে আপনার লেখাগুলো পড়ব। সাহস দেওয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনি ঠিকই ধরেছেন। আমার লেখা নিয়ে আমার অনেক সংশয়।আশা করি লিখতে লিখতে ঠিক হয়ে যাবে। শুভকামনা।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
বিজ্ঞপ্তি
“জানুয়ারী ২০২৫” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ জানুয়ারী, ২০২৫ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।