প্রেমে পড়ার গল্প

ভালোবাসার গল্প (ফেব্রুয়ারী ২০২০)

আহমদ মুসা (স্নিগ্ধ মুগ্ধতা)
  • ৫৯
সৃষ্টিকর্তার একটা নিয়ম আছে বোধহয়—কাউকেই তিনি সবকিছু উজাড় করে দেন না, কোথাও না কোথাও বোধহয় একটুকু ফাঁক রয়ে যায়। এই কারণেই, যতগুলো মার্কা-মারা সুন্দরী আমার চোখে পড়েছে তাদের বেশিরভাগেরই দেখেছি হেঁড়ে গলা!

এই মেয়েটির কথাই ধরুন—নাম ছিল তার বীণা—চেহারাটাও ছিল বীণার ঝঙ্কারের মতো সুন্দর। এবং সৃষ্টিকর্তার নিয়মে যথারীতি তার গলাটাও ছিল একটু পুরুষালি। কিন্তু তবুও আমি তার প্রেমে পড়লাম। বিজ্ঞজনরা বলেন, প্রেম হলো জোয়ারের মতোন—সে তার প্রচণ্ড আঘাতে সবকিছু ভাসিয়ে নিয়ে যায়। কিন্তু, বাস্তবে অনুভব করলাম, প্রেম হলো ভাটার মতো। তীর থেকে সে দূরে সরে যাবে, যাওয়ার সময় প্রেমিককেও টেনে নিয়ে যাবে। সাঁতার না জানলে ঘটবে সলিল সমাধি। আমারও হলো তাই। কিন্তু, ওই যে কথায় আছে, প্রেমের মড়া জলে ডোবে না, আমিও কোনো মতে প্রেমে হাবুডুবু খেতে-খেতে আধমরার মতো ভেসে রইলাম।

সেদিন ছিল বর্ষার প্রথম দিন। জাতীয় দৈনিকের প্রথম পৃষ্ঠাগুলোতে বড়ো বড়ো করে বৃষ্টিস্নাত কদম ফুলের ছবি ছাপা হয়েছে। সেগুলোকে ব্যঙ্গ করতেই বোধহয় আকাশে মেঘের ছিটেফোঁটারও অস্তিত্ব ছিল না। প্রচণ্ড গরমে ঘেমেনেয়ে একাকার হয়ে হাসপাতাল থেকে বাইরে বেরিয়ে গায়ের অ্যাপ্রন খুলে নিয়ে বাতাস খেতে লাগলাম। সেই অবস্থাতেই তার সঙ্গে প্রথম দেখা হয়ে গেল।

আমি দৃষ্টি নত করলাম! এমন অগ্নিময় সূর্যের দিকে কি সরাসরি তাকিয়ে থাকা যায়? কিন্তু, একটু পরেই ভ্যাবাচ্যাকা মেরে গেলাম, যখন দেখলাম স্বয়ং সুয্যিদেবী রিকশা-রূপ আকাশ থেকে নেমে আমার দিকে তাকিয়ে বলল—ভাই, আপনার কাছে দুটো পঞ্চাশ টাকা হবে?

আমি থতমত খেয়ে বললাম—অ্যাঁ?

—দুটো পঞ্চাশ টাকা?

আমি মানিব্যাগ বের করতে করতে কাঁপা কাঁপা গলায় বললাম—দুটো নেই। তিনটে আছে।

চাপা হাসির একটা হিল্লোল উঠল বাতাসে। চতুর্দিকের বিল্ডিংগুলোতে সেই হাসি যেন খানখান হয়ে আছড়ে পড়ল।

কিন্তু মানিব্যাগ তন্নতন্ন করে খুঁজে একটার বেশি পঞ্চাশ টাকার নোট পাওয়া গেল না। সেটা দিয়েই রিকশাওয়ালাকে আপাতত বিদায় করে আমার সামনে এসে দাঁড়িয়ে ও বলল—আপনার মোবাইল নং দেন। আমি হতভম্ব হয়ে বললাম—কে-কেন?

—বা রে! আপনার পঞ্চাশ টাকা আপনাকে ফেরত দিতে হবে না? মোবাইলে ফ্লেক্সিলোড দিয়ে দেব।

আমি মনঃক্ষুন্ন হয়ে বললাম—ও!

সেদিন সন্ধ্যেবেলা অচেনা নাম্বার থেকে মোবাইলে একটা মেসেজ এলো— "আপনার টাকা পাঠিয়ে দিয়েছি। ব্যালান্স চেক করুন।"

ব্যালান্স চেক করব কী! সুয্যিদেবীর মুখ মনে করে আমি নিজেই তখন ইমব্যালান্সড!


দ্বিতীয়বার তার সাথে দেখা হলো সপ্তাহ-দুয়েক পর। কী একটা মেলা চলছে। সেই উপলক্ষ্যে রাস্তার দুপাশে ভুঁইফোঁড়ের মতো কিছু দোকান গজিয়েছে। প্রচণ্ড জ্যাম। রিকশায় বসে থেকে অতিষ্ঠ হয়ে শেষমেষ নেমে পড়ে ভিড়ের ফাঁক গলে এগিয়ে চললাম।

হঠাৎ ডানপাশের একটা দোকানের দিকে চোখ পড়তেই ব্রেক কষে দাঁড়িয়ে গেলাম। দেখলাম একটা মেয়েদের চুড়ির দোকানের সামনে সেদিনের সেই সুয্যিদেবীর মোলায়েম হাতদুটো ধরে কে-একটা ছোঁড়া টানাটানি করছে। ছোঁড়ার চেহারার দিকে একরাশ বিরক্তি আর তারচেয়েও বেশি প্রতিহিংসা নিয়ে তাকালাম—আহা চেহারার কী ছিরি! ব্যাটা নিশ্চয় বিড়িখোর। ঠোঁটদুটো কেমন গাড়ির টায়ারের মতো শক্ত। চোখদুটোও কেমন কুতকুতে। মুখে কেমন একটা শয়তান-শয়তান ভাব! ছোঁ! শেষ পর্যন্ত কিনা এমন একটা ছেলের সাথে সুয্যিদেবী ঝুলে পড়ল! বাঁদরের গলায় মুক্তোর মালা আর কী!

ছেলেটা আরেকবার সুয্যিদেবীর হাত ধরে টান দিতেই ধৈর্য ধরে রাখা শক্ত হলো। মাথার কোথায় কী শটসার্কিট হয়ে গেল কে জানে, দাঁতে দাঁত চেপে সামনে গিয়ে বললাম—মেয়ে মানুষ দেখলে বাহাদুরি দেখাতে ইচ্ছে করে, না? হাত ধরে টানাটানি করতে মন চায়? মারব এক থাপ্পড়। ছেলেটা আমার কথা শুনে থতমত খেয়ে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে হাঁ করে দাঁড়িয়ে থাকল। সুয্যিদেবীরও দেখলাম চোখ কপালে উঠে গেছে। হতভম্ব হয়ে বলল—কী ব্যাপার বলুন তো?

আমি কী বলব বুঝতে না পেরে বললাম—ইয়ে, সেই পঞ্চাশ টাকা—

ও চোখ বড়োবড়ো করে বলল—পঞ্চাশ টাকা কী?

—পেয়েছি। পঞ্চাশ টাকা পেয়েছি!

আমার সাথে আর একটিও কথা না বলে ও সেই টায়ারমুখো শয়তান ছোঁড়ার হাত ধরে হিড়হিড় করে টেনে নিয়ে একটা রিকশায় উঠে পড়ল। তারপর আমার দিকে আগুন দৃষ্টিতে একবার তাকিয়ে রিকশাওয়ালাকে বলল—এই রিকশা, চলো।

সেদিন সন্ধ্যায় মোবাইলে আরেকটা ক্ষুদেবার্তা এল—ওফ! আপনি যে কী! পাগল একটা! আমার সম্পর্কে কিছুই জানেন না, অথচ এসে একটা পার্ট নিয়ে গেলেন। আমি এখন পড়েছি বিপদে। আপনি যাকে থাপ্পড় দিতে চেয়েছেন, জানেন সে কে? ও আমার জমজ ভাই!

আহা! প্রচণ্ড খরার মধ্যেও জানে পানি এলো। ছোকরার চেহারাটা আবার মনে করার চেষ্টা করলাম—হ্যাঁ ঠিকই তো। সুয্যিদেবীর সাথে তার চেহারার যথেষ্ট মিল আছে। ঠোঁটদুটো তখন গাড়ির টায়ারের মতো মনে হলেও এখন চিন্তা করে দেখলাম, মোটেই ওদুটো সেরকম নয়, বেশ একটা কমলার কোয়ার মতো ভাব আছে। চোখদুটোও কেমন ভাসাভাসা। মুখে যে একটা নিষ্পাপ সারল্য ছিল, সেটাও যেন এবার মনে পড়ছে, শয়তান-শয়তান ভাব ছিল না মোটেই।

তার সাথে তৃতীয়বারের মতো দেখা হলো দিন তিনেক পর। হাসপাতালে ডিউটি শেষ করে সবে ইন্টার্ন-হোস্টেলের পথে পা বাড়িয়েছি, হঠাত্ আকাশ ফুঁড়ে নামল ঝুম বৃষ্টি। মাথাটাকে কোনওমতে বৃষ্টির ছাঁট থেকে বাঁচিয়ে একদৌড়ে ফরেনসিকের লাশকাটা ঘরের বারান্দায় গিয়ে উঠলাম। চারদিকে অন্ধকার হয়ে এসেছে। কনকনে বাতাসে শীত-শীত লাগছে। বেশ একটা আরামদায়ক আবেশ। দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে অন্যমনস্ক হয়ে পড়েছিলাম, হঠাত্ পাশ থেকে গলা খাঁকারির শব্দে তটস্থ হয়ে দেখি—জল না চাইতেই মেঘ এবং মেঘ না চাইতেই স্বয়ং সুয্যিদেবী! আমার দিকে তাকিয়ে সুয্যিদেবী তাঁর গলাটাকে মোলায়েম করে বলল—বাব্বা! একেবারে হিমালয়ের সন্ন্যাসী। নিজের মনে আছেন। জ্বলজ্যান্ত মানুষ যে এখানে একজন দাঁড়িয়ে আছে, সেদিকে কোনও ভ্রূক্ষেপই নেই বাবুর।

আমি দাঁত বের করে হেসে মাথার বৃষ্টির ফোঁটাগুলো ঝাড়তে ঝাড়তে বললাম—ইয়ে। অন্ধকার তো!

সুয্যিদেবী ফিক করে হেসে দিল। আমার বুকের মধ্যে কেমন একটা শিহরণ বয়ে গেল।

সুয্যিদেবী বলল—আমি বীণা। বিডিএস ফাইনাল ইয়ার।

আমি মাথা নেড়ে নিচের দিকে তাকিয়ে রইলাম।

সুয্যিদেবী বলল—আহা এতোই যখন লজ্জা, তখন আবার নায়ক সাজার শখ কেন?

আমি আগের মতোই মাথা নিচু করে রইলাম—বীণার দিকে তাকাতে ভয় হলো, কেন জানি রবি ঠাকুরের গানের দুই লাইন মনে পড়ে গেছে—

“গোপন কথাটি রবে না গোপনে
উঠিল ফুটিয়া নীরব নয়নে!”

মাসখানেক পরে মেডিসিন থেকে একটা ট্যুরের আয়োজন ছিল। রাতারগুল না কী-একটা ছাতার-মাথার-গুল যেন। জায়গাটা কাছেই—দু-দশ কিলোমিটারের মধ্যেই। দেশের একমাত্র সোয়াম্প-ফরেস্ট না কী যেন। আমাকেও সবাই পীড়াপীড়ি করতে লাগল যাওয়ার জন্য। কিন্তু আমার বিষণ্ণ মনে তখন বীণার ঝঙ্কার। এইসব হই হুল্লোড় ভালো লাগবে কেন? কিছুতেই রাজি হলাম না।

কিন্তু দুদিন বাদেই কে যেন সংবাদ দিয়ে গেল, আমাদের ট্যুরের দিনটাতেই নাকি আরেকটা ট্যুর আছে বিডিএসের। ফাইনাল ইয়ারের সব ছাত্রীও যাচ্ছে। ট্যুরের জায়গাটাও একই!

যে আমি কিছুতেই ট্যুরে যেতে রাজি হইনি, সেই আমি সকালবেলাতেই ছুটতে ছুটতে হাসপাতালে গিয়ে পৌঁছালাম। বিডিএসের সবাই যেখানে ঘুরঘুর করছে সেখানে গিয়েই কিন্তু আমার আগ্রহ আবার ফিকে হয়ে গেল। সুয্যিদেবীর পাত্তা নেই।

সু্য্যি না-থাকলে যা হয়, তাই হলো। এক নিমেষে আমার পুরো পৃথিবী অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে গেল। তবুও চক্ষুলজ্জার খাতিরে মেডিসিন ডিপার্টমেন্টের গাড়িতে গিয়ে বসলাম। গাড়ি যখন ছাড়ল, জানালা দিয়ে আড়চোখে দেখলাম বিডিএস-বাহিনী তখনও রেডি হচ্ছে। তাদের হই-হুল্লোড়ে চারদিক মাতোয়ারা। কিন্তু হুল্লোড় থাকলেও কোথায় যেন সুর কেটে গেছে। বীণার ঝঙ্কার ছাড়া সুরের খেলা জমে নাকি?

রাতারগুল পৌঁছে মেজাজটা আরও খিঁচড়ে গেল—ছোঁ! এই বনে আসার জন্য এত কিছু? চারদিকে কী সব ছাতামাথা গাছের সারি। সিড়িঙ্গে গুঁড়ির মাথায়-মাথায় দড়কচড়া মেরে যাওয়া খানিকটে করে পাতা। আঁকাবাঁকা কাঠকুটো! ঘ্যাসঘেসে ছাল-বাকল। ধুর! এই আবার সৌন্দর্য! মেজাজটা খাপ্পা হয়ে গেল।

খানিকদূর হেঁটে একটা গাছের নিচে গিয়ে দাঁড়াতেই পাশ থেকে সেই সুপরিচিত মোটা সুরের মেয়েলী গলা ভেসে এল। চোখে চোখ রেখে বলল—জানতাম তুমিও আসবে। তর সয় নি আমার। জানোই তো! অন্য মেয়েদের সাথে আসতে হলে দেরি হয়ে যেত। সাজুগুজু নিয়ে সবার যত কাণ্ড! আগেই এসে তাই বসে আছি!

“তুমিও আসবে!”—আহা! ভাগ্যিস বাংলাতে তুমি আর আপনির পার্থক্যটা আছে। ইংরেজির মতো সব কাজ এক you দিয়ে চালাতে হলে আপনি থেকে তুমিতে নামার এই মাধুর্যটা এমন পষ্ট হয়ে কি ধরা পড়ত কানে?

আমি স্থানুর মতো দাঁড়িয়ে রইলাম। নরম কোমল একটা হাত এসে আমার ডালের মতো নির্জীব হাতকে জড়িয়ে ধরল।

একটু আগে দেখা বনভূমির দিকে নিজের অজান্তেই দৃষ্টি চলে গেল—আহা গাছগুলো কেমন কিশোরির মতো বঙ্কিম ভঙ্গীতে সারি-সারি দাঁড়িয়ে আছে! চিকন সুচারু কাণ্ডগুলোর মাথায় কেমন গোছা-গোছা সতেজ সবুজ পাতার সমারোহ! আঁকাবাঁকা শাখাগুলো দিকেদিকে পল্লবিত হয়ে উঠেছে! সূর্যের সোনারঙা আলো গাছের মসৃণ বাকলগুলোতে এসে পড়ে রঙ ছড়াচ্ছে! আহা! এমন বনে বেড়াতে না এলে জীবন বৃথা!

রবি ঠাকুরের গানের আরও দুলাইন কে যেন মাথার মধ্যে গেয়ে উঠল—

“মধুপ গুঞ্জরিল,
মধুর বেদনায় আলোক-পিয়াসি অশোক মুঞ্জরিল।”


বিয়েটা না-হওয়ার মতো কোনও কারণ ছিল না। এমনকি সেই টায়ারমুখো ছোকরারও দেখলাম বিয়েতে আপত্তি নেই। তিনদিনের মাথায় বীণাকে নিয়ে ঘর বাঁধলাম। কিন্তু হায়! তখন কী জানতাম আমাদের সুখের ঘরটাতে দুবছরের মাথায় ভাঙন ধরবে?

২.

বিসিএস হয়ে যাওয়াতে বছরখানেক পর বীণাকে নিয়ে চলে এলাম এক অজপাড়াগাঁয়ে। দিন কাটতে লাগল হু হু করে। হঠাত্ করে কী একটা জরুরি কাজ পড়ে যাওয়ায় গ্রামের বাড়িতে যেতে হলো। সেদিন রাতেই ঘটে গেল প্রলয়ঙ্করী সেই ব্যাপার। ভূমিকম্প। রিখটার স্কেলে ৮ মাত্রার ভূমিকম্প! নিউজে দেখলাম আমাদের সেই অজপাড়াগাঁয়ের উপজেলাতেই মারা গেছে পাঁচজন। কাঁপা হাতে বীণার নম্বরটা ডায়াল করলাম। ওপ্রান্ত থেকে ভেসে এল মেয়েলি গলা—এই মুহূর্তে মোবাইল সংযোগ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না!

আমার পুরো পৃথিবী একবার দুলে উঠল। সেদিনই কাজটাজ সব ফেলে রেখে চেপে বসলাম বাসে। এরমধ্যে কতোবার যে বীণার নাম্বারে ফোন করেছি! প্রতিবারই মনে হয়েছে এই বুঝি সে ফোন ধরল। কিন্তু না, প্রতিবারই সেই একঘেয়ে যান্ত্রিক আওয়াজ—এই মুহূর্তে মোবাইল সংযোগ...।

বাস থেকে নেমে দেখি চারদিকে থমথমে ভাব। সবাই যেন আমাকে দেখে না দেখার ভান করছে। বাড়ি পৌঁছে দেখি ঘরে ফাটল ধরেছে। ভূমিকম্প তার কম্পনের একটা চিহ্ন রেখে গেছে! আশেপাশে কেউ নেই। আমি বাইরে থেকে আকূল গলায় ডাকলাম—বীণা? বীণা?

কোনও সাড়া নেই। দুরুদুরু বুকে ঘরে ঢুকলাম। আমার পৃথিবী তখন ভূমিকম্পের মতোই দুলছে। ঘরে ঢুকে দেখলাম—বীণা, হ্যাঁ, আমার বীণা মুখে আঁচল চেপে উচ্ছ্বসিত হাসি চেপে রাখার চেষ্টা করছে। আমার মেজাজ খারাপ হয়ে গেল। বজ্রমুষ্ঠিতে তার কোমর চেপে ধরে বললাম—তবেরে! আমি এদিকে...

বীণা মুখে আঁচল চাপা দিয়ে তখনও খিলখিল করে হেসে চলেছে। হাসির দমকে তার পেলব দেহলতা কেঁপে-কেঁপে উঠছে।

পাঠকবৃন্দ নিশ্চয় এবার আমাকে মারতে তেড়ে আসবেন। বলবেন—তবেরে হতভাগা, বীণা তোমার কাছেই এখনও বেঁচেবর্তে আছে, অথচ একটু আগে বললে, দুবছরের মাথায় তোমার সুখের ঘরটাতে ভাঙন ধরল!

আরে থামুন থামুন। ভাঙন তো ধরেছেই। ভূমিকম্পের ঝাঁকুনিতে ঘরে যে ভাঙন ধরেছে সে-কথা তো আগেই বলেছি। তার জন্য বীণাকে আবার আমার থেকে বিচ্ছিন্ন হতে হবে তার কী মানে? “ঘরে ভাঙন ধরবে” বাক্যটাকে ভাবার্থে না ধরে আক্ষরিক অর্থে চিন্তা করলেই তো ল্যাঠা চুকে যায়! যত্তসব!
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
Neerob সুন্দর ভাবনার প্রকাশ লেখায়৷ ভোট রইল।
ভালো লাগেনি ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
আমি ভোটে দাঁড়াইনি। তারপরও ভোট যখন দিলেন, দেখি মেয়র-টেয়র হয়েও যেতে পারি।
ভালো লাগেনি ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
Supti Biswas খুবই ভালো লেগেছে। ভোট রইল। আমার গল্প কবিতায় আমন্ত্রণ আপনাকে।
ভালো লাগেনি ২ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগল।
ভালো লাগেনি ২ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
গোলাপ মিয়া অসাধারণ লাগল প্রিয়। ভোট রইল। আমার গল্প কবিতায় আপনাকে আমন্ত্রণ।
ফয়জুল মহী মনোমুগ্ধকর ভাবনা l
ভালো লাগেনি ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম।
ভালো লাগেনি ২ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

সামঞস্যপূর্ণ।

১৮ নভেম্বর - ২০১৭ গল্প/কবিতা: ৬ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪