মনোয়ারা কুমু । ঐ যে দেখো, নদীর তীর ঘেঁষে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা অশ্বথ ছায়া তলে যে নারী অপলক তাকিয়ে ধীর স্থির স্বচ্ছ নদীর জলে, একদিন তার চঞ্চলতায় মুখরিত হতো গ্রামের মেঠো পথ; হেসে উঠতো হলদে সর্ষে ফুল আম আমলকি জলপাই;হেসে উঠতো ছোট্ট শুভ্র বকুল। আজ সে নির্বাক, তার হৃদয় উঠোনে রাজ্যের নীরবতা। আজ আর আলতা চরণে রিনিঝিনি সুর তোলে না রূপোর প্রিয় নূপুর বসন্ত এলেও কোকিলের ডাকহীন কেটে যায় তার শান্ত দুপুর। হরিণী চোখে এক আকাশ স্বপ্ন ছিলো পৌষ পার্বন নব্বানের সাধ ছিলো নির্ভরতায় বিশ্বাস ছিলো, আজ তার কিচ্ছু নেই; কিচ্ছু না, অবিশ্বাসের নগ্নতায় উবে গেছে সব থেমে গেছে;ছিলো যত কলরব। তবু বেঁচে থাকে--- সমাজ ধিক্কার উপেক্ষা করে, কলঙ্ক কালিমায় কলুষিত আঁধারে অধীর অপেক্ষা তার, আপন সত্ত্বায় নিজের ভেতর বেড়ে ওঠা পৃথিবী দেখবার। ঐ যে দেখো, নদীর তীর ঘেঁষে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা অশ্বথের ছায়া তলে যে নারী অপলক তাকিয়ে ধীর স্থির স্বচ্ছ নদীর জলে, সে আজ বাস্তুভিটাহীন উদ্বাস্তু এক রমণী নিরেট আঁধারে তার নিঃসঙ্গ ধরণী।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
ওয়াহিদ মামুন লাভলু
যার চঞ্চলতায় একদিন মুখরিত হতো গ্রামের মেঠো পথ, আজ সে বাস্তুভিটাহীন উদ্বাস্তু এক রমণী। তাই তার মনে এখন রাজ্যের নিরবতা। তার দুঃখ ঘুচিয়ে দেওয়ার কেউ নেই। এরকম রমণীর পাশে দাঁড়ানো প্রয়োজন, যাতে তার নির্বাক ও অসহায় অবস্থা দূর হয়ে যায়। অনেক মানসম্পন্ন কবিতা। আমার শ্রদ্ধা গ্রহণ করবেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো। ভাল থাকবেন।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।