প্রশ্ন

প্রশ্ন (ডিসেম্বর ২০১৭)

Mkchy rana
  • 0
  • ৯৬

ব্যাক্তির নাম দুলাল চৌঃ, বয়স পঞ্চাশর্ধো, এক ছেলে এক মেয়ের সুখের সংসার ছিল। জন্মের ৪৮ বসন্ত পরে শয্যা সঙ্গীনীর বিয়োগ হল, সহিতে পারে না বিয়োগ ব্যথা তবুও সহিতে হয়। মেয়েটাকে পাত্রস্থ করে , আশায় বুক বাঁধিল ছেলের বউয়ের সেবা নিয়ে পরপারে যাওয়া যাবে।
লাল টুকটুকে বউ এনে ঘরময় ঝলমল করছে।
তৃপ্তির হাসি এনে বিয়োগ ব্যাথা ভুলে যেন, নব জীবনের সূচনা হল।
মাস ছয়েক পরে শরীরটা বেশি সেবা প্রত্যাশি হয়ে উঠল।
পুত্র ও পুত্রবধুর বদনে মলিনতার ছাপ ভেসে উঠে।
হঠাৎ একদিন
ছেলে - বাবা অনেক দিন হল তোমার পুত্রবধু বাপের বাড়ীতে যাইনি, তুমি কয়েকটা দিন বৃদ্ধাশ্রমে থাকো, তোমার বউ মা আসলে আবার নিয়ে আসব।
চিন্তার রেখা কপালে ,
দুলাল চৌঃ-- তুই যা ভাল মনে করিস কর বাবা।
পরদিন বাবাকে সযত্নে বৃদ্ধাশ্রমে দিয়ে স্বামী স্ত্রী চলে গেল।
সাত দিন হয়ে গেল,
ফোন করে ছেলে,
বাবা তোমার বউ মা অসুস্থ আর কয়েকটা দিন অপেক্ষা কর,
এদিকে শরীরের অবস্থা খারাপের দিকে ,দ্বীর্ঘশ্বাস ছেড়ে শয়ন আর শয়ন,
কিছুই ভালো লাগে না।
চারদিন পর আশ্রমের কেয়ার টেকার একটা চিঠি নিয়ে দুলাল চৌঃ কে বলল,
কেয়ার টেকার-আপনার ছেলের চিঠি এসেছে।
অসুস্থ দেহে শয়ন ত্যাগ করে মৃদু হাসির অপচেষ্টায় উঠে বসল,
হয়ত বউ আমায় নিতে আসছে।
দুলাল চৌঃ--দাও দাও চিঠিটা দাও ,পড়তে আরম্ভ করল,
বাবা,
প্রণাম তোমার পদতলে, আশা করি তুমি ভাল আছো,
পরর্বাতা-তোমার বউ মা এ বাড়ীতে আসতে চায় না,তাই এখানে ভাড়া বাসা নিয়ে থাকতে হল। তুমি ওখানে থাকো এবং সুখেই থাক।
আর্শিবাদ কর।
ইতি
তোমারই ছেলে।

অজস্র নয়ন বারিতে পিঠটা এলিয়ে দিয়ে শয়ন গ্রহন করল।
কেয়ার টেকার-কি হলো চাচা ?
দুলাল চৌঃ-আমার সুখের র্বাতা এল
কেয়ার টেকার-মানে?
দুলাল চৌঃ-সুখের বিপরীত শব্দ কি যেন?
কেয়ার টেকার-কষ্ট
দুলাল চৌঃ-নাড়িছেড়া ধন এটাই দিল ।
কেয়ার টেকার-কি বলিল
দুলাল চৌঃ-বলিল
সুখে থাক বাপধন
সুখের নিদ্রা যাও
বউ অপারগ তোমার সেবায়
আমায় ভুলে যাও ।
আহারে এ সুখের বার্তার প্রশ্নের উত্তর আমি কোথাই পাই,
এ বলে-----
কাঁশতে কাঁশতে রক্তাত মুখে ,একটি মাত্র প্রশ্ন রেখে,
কষ্টের মরণ করিল বরণ ।

আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
ওয়াহিদ মামুন লাভলু দুলাল চৌঃ স্ত্রীকে হারিয়েছে। মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার পর ছেলেকে বিয়ে করালো সেবা পাওয়ার আশায়। কিন্ত তা তার কপালে জুটলো না। তাকে যেতে হলো বৃদ্ধাশ্রমে। ছেলেও ভাড়া বাসায় চলে গেল। মানুষ বড়ই অকৃতজ্ঞ। পরিশেষে ছেলে কেন তাকে ভুলে যেতে বললো হয়তো এই প্রশ্ন নিয়েই মৃত্যুকে বরণ করতে হলো তাকে। অনেক মানসম্পন্ন গল্প। আমার শ্রদ্ধা গ্রহণ করবেন। অনেক শুভকামনা রইলো। ভালো থাকবেন।
Mkchy rana অনেক শুভেচ্ছা ভাই,শুভ কামনা নিরন্তর ।
মোঃ মোখলেছুর রহমান এমন ফাঁকিতে বেশ কষ্ট জমল,ভাল লেগেছে।
অনেক শুভ কামনা নিরন্তর
শুভেচ্ছা রহিল ।
ভালো লাগেনি ২২ জানুয়ারী, ২০১৮
সুখময় জীবন কামনা করছি

১৩ নভেম্বর - ২০১৭ গল্প/কবিতা: ৪ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“জানুয়ারী ২০২৬” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ জানুয়ারী, ২০২৬ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী