স্বাধীনতা তোমাকে নিয়ে

স্বাধীনতা (মার্চ ২০১১)

Md. Mizanur Rahman
  • 0
  • ১৩৪২
স্বাধীনতা সে তো বাধ ভাঙ্গা জোয়ার সম পুলকিত স্বাদ- অমর, অম্লান।
স্মৃতি কাব্যে দোলা দিয়ে যাওয়া বন্দিত্বের অবসান।
এক বিভীষিকাময় জীবন-
ছিল নির্মমতার দেয়ালে ঘেরা।
সে তো হুকুম-শাসন-শোষণের দেয়াল
ভিতরে মোরা চাপা পরা।

স্বাধীনতা, স্বাধীনতা-- স্বাধীনতার সংগ্রাম
যেন অনলে পতঙ্গ আহবান।
ঝাঁপিয়ে পড়ি মোরা মানুষরূপী পতঙ্গ!
মুষ্টিবদ্ধ হাতে প্রাণ।

স্বাধীনতা তুমি তো এক রঙিন শব্দ-- মুক্ত জীবনের গল্পকথা,
অর্জনে তুমি ছিলে নও সরল-- দু:খ-যন্ত্রণার আধিক্যটা।
দুইশত বছরের ব্রিটিশ শাসন-- নত মুখ, নত মাথা,
পরাধীন জীবনে পরাজিত স্বাতন্ত্র্য-- হতাশা ও বিষণ্ণতা।
তারপর একদিন ১৯৪৭-- ব্রিটিশ রাজ্যের অবসান,
পেয়েও মোরা পেলাম না হায়, স্বাধীন জাতির সম্মান।
শুরু হলো এবার পাঞ্জাবী শাসন-- বৈষম্যমূলক আচরণ,
সেই একই চিত্রে এবার পাকিস্তানি পদচারণ।
শাসক পাল্টাল কিন্তু শোষণ অটুট-- নত শিরে সেই চলা,
ফুটন্ত কড়াইয়ের বিভীষিকা পার-- কিন্তু এ যে জ্বলন্ত চুলা।

আমরা কি মানুষ? নাকি ডানা কাটা পতঙ্গ?
নেই উড়বার ক্ষমতা।
নাকি মোরা নরকের কীট?
নেই বাক স্বাধীনতা!

ক্রমে ক্রমে অসন্তোষ, জন্ম নেয় আকুতি--
মা, মাগো; ওরা কারা আমার বাংলা কেড়ে নিতে চায়?
কেন এই শোণিত আঘাত সবুজ-শ্যামল-সোনার বাংলায়?
জিজ্ঞাসা আছে, অসংখ্য জিজ্ঞাসা-- উত্তর শুধু নীরবতা।
নীরবতা; অসহ্য নীরবতা!
কোলাহল চাই, বাংলায় কোলাহল,
আমরা শ্রমিক-কৃষাণ-ছাত্রদল।

১৯৫২-এর ভাষা আন্দোলন-- দাবী
ওরে পশু ভাষার উপর থেকে কামড় ছাড়!
ওমা একি! ওরা যে আমার জীবনে দিল মরণ কামড়!
সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার মৃত
স্বাধীনতা, অ স্বাধীনতা!
এরাতো তোমার জন্যই উৎসর্গীকৃত!
অস্তিত্বের অধিকারে সংগ্রামী বাঙ্গালী-- ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান,
আপস-মীমাংসা সব ব্যর্থ-- চেষ্টা অকারণ।
রক্ত পিপাসায় পিপাসার্ত হায়েনা-- উদ্ধত, দুর্বিনীত।
বাঙ্গালীর রক্তে মিটাবে পিপাসা--
২৫-শে মার্চ অঙ্কিত হলো দৃষ্টান্ত।

২৫-শে মার্চ কাল রাত্রি; না.. না.. রাত্রিতো কাল নয়
কালো-কলুষিত তো ঐ অন্তর, ঐ পাঞ্জাবী মন!
যারা পিপাসা মিটাতে করল শুরু,
অসহায়-অবলার প্রাণ হরণ।

২৬-শে মার্চ--
এমনি ক্ষণে ডাকল স্বাধীনতা
ওরে... তোরা ঝাঁপিয়ে পর।
দেশের তরে ঝাপ দিলাম আমরা সব পোকা-মাকড়!

পোকা? নয়ত কি? আমরা কি মানুষ ছিলাম?
মানুষের কি অধিকার আমাদের ছিল?
আমরা কি মাতৃভাষার মর্যাদা দিতে পারতাম?
পারতাম মুক্ত হাওয়ায় ভেসে বেড়াতে?
মাথা উঁচু করে চলতে?

যখন স্বাধীনতার ডাক এলো, স্বাধীনতার আগুনের ডাক
আমরা তখন ঝাঁপিয়ে পড়লাম।
হয় সে আগুনে আলোকিত হবো, নয়তো......
নয়তো কি?
না... না... নয়তো বলতে কিছু নেই
স্বাধীনতার প্রদীপ--
বাংলার ঘরে ঘরে জ্বলবেই।

দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম--
হাহাকার... আর্তনাদ... আর্ত চিৎকার...
হর্ষ... আনন্দ... বিজয় উল্লাস... তীক্ষ্ণ রণহুংকার।
জয় বাংলা, বাংলার জয়.... হবে হবে নিশ্চয়।

১৬-ই ডিসেম্বর-
না.. না.. না.. বাংলার জয় হবে নিশ্চয় নয়,
হয়ে গেছে নিশ্চয়।

ঐ তো শোনা যায় বিজয়ী ধ্বনি,বিজয়ী মিছিলের আওয়াজ
আকাশে-বাতাসে উড়িতেছে তাই
মুক্ত বাংলার পতাকা আজ।
নতুন নিশান উড়িয়ে, দামামা বাজিয়ে দিগ্বিদিক
পরল বাংলা স্বাধীনতার তাজ।
১৬-ই ডিসেম্বর আনলে বিজয়,
তাইতো আজও তোমায় স্মরণ করি
ওগো ও ২৬-শে মার্চ।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
বিন আরফান. বন্ধু মিজানুর , আলহামদুলিল্লাহ অপূর্ব লিখেছেন.আমি অভিভূত. দুয়া রইল. আরো ভালো লিখুন. আমার লেখা বঙ্গলিপি পড়ার আমন্ত্রণ রইল. http://www.golpokobita.com/golpokobita/article/736/372
বিষণ্ন সুমন ওই নতুনের কেতন ওড়ে.....তরা সব জয়ধনী কর ...আপনার জয় হবেই হবে.
সূর্য ভালইত লিখেছ ...... ছন্ধে লিখতে হলে আরও মনোযোগ দাও, নয়তো গদ্য কবিতা ........
বিষণ্ন সুমন শুভকামনা রইলো

১৯ জানুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৯ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "অবহেলা”
কবিতার বিষয় "অবহেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল,২০২৪