কোনো এক উদাসীনতা ভাব নিয়ে হাঁটতেছি। হাঁটতেছি কোনো এক মন খারাপের বেশে। যেখানে হাজারো প্রকৃতির বিচিত্রময় জগতের মাঝে ছেলেটি যেনো এক আলাদা জগতের আলদা প্রকৃতির মানুষের মতো। চলা-ফেলা যেনো এক অগোছালো। ছেলেটির নাম সবুজ। যেনো প্রকৃতির সবুজ রঙের সাথে মিশে যাওয়া কোনো এক সবুজ। ছোট-বেলা থেকেই তার জীবন ছিলো একটু অন্যরকম। অন্যরকম কোনো এক মন মানুষিকতা নিয়ে সে দিন দিন বড় হতে লাগলো। বাবা-মায়ের অভাবের সংসারে সে যেনো ছিলো কোনো আলোর প্রদীপ। চাওয়া-পাওয়ার আকাঙ্খা তার মনে প্রতিনিয়তই জাগতো,কিন্তু বাস্তবতা তাকে গরিব করে জন্ম দিয়েছে। তারপরেও গরিব নয়,মনের রাজ্যে যেনো এক ধনী ব্যাক্তি। মন ছিলো তার উদারময়। ছোট-কাল থেকেই সে দু-মুঠো ভাত পেটে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন রকম কাজ-কর্ম করতো। কখনো খেতে খামারে,কখনো বাজার করা,কখনি কুলি-মজুরির মতো কাজ করা এগুলি যেনো ছিলো তার প্রতিনিয়ত জীবন সংগ্রামে বেঁচে থাকার লড়াই। পেটে দু-মুঠো ভাত দিয়ে বেঁচে থাকার জন্য তাকে অনেক কিছুই করতে হতো। পাশাপাশি পড়াশুনাও করতো। কিন্তু এতো কিছুর মাঝে খুব কম মানুষই পড়াশুনা করতে পারে। বাস্তবতার আঘাত তাকে প্রতিনিয়তই এভাবে জ্বালায়। এমন কোনো এক বাস্তবতার মাঝ সে জীবন কাঁটাবে এটা ছিলো তার পুরাই কল্পনিবিহীন। কখনো তার দিন কেঁটে যায় পথের ধারে কুলি-মজুরি করে। কখনো কেঁটে যায় রাত তার খোলা আকাশ নিচে শুয়ে থেকে আকাশ দেখে। কারণ,তার ঘরে তার মাথার উপরের চালটা ছিলো ভাঙা-চুরা এক ছিদ্রযুক্ত। ছিদ্রগুলোর মধ্য দিয়ে সে দেখতো ঐ রাতের আকাশ। সে আকাশের দিকে তাকিয়ে প্রতিনিয়তই ভাবতো জীবন নিয়ে। সে ভাবতো তার এভাবে বেঁচে থাকার কঠিন বাস্তবতা নিয়ে। সে ভাবতো কোনো এক গরীব হয়ে জন্ম নেওয়া ছেলের আর্তনাদ নিয়ে। কখনো কখনো তার মনে এভাবে বিরাজ করতো হাজার হাজার অজানা প্রশ্ন? যে প্রশ্নগুলোর কোনো উত্তর তার জানা নেই। জানা নেই তার এভাবে মানুষের মানুষের বেঁচে থাকার দোষ! সে জানতে চায় কি দোষের কারণে মানুষের জীবন এমন হয়? সে জানতে চায় পথের দ্বারে পড়ে থাকা মানুষটার জীবন নিয়ে। সে জানতে চায় টোকাই নামক কোনো ছেলের আর্তনাদ নিয়ে! এভাবে মানুষের জীবন নিয়ে তার মনে বিরাজ করে অনেক প্রশ্ন? সে জানতে চায় ঐ পথের দ্বারে পড়ে থাকা ছেলেটি কি মানুষ না? যদি মানুষই হয় তাহলে তার জীবন কেনো এমন? নাকি সে কোনো এক অন্য জগতের অন্যরকমের মানুষ। এভাবে তার মনে বিরাজ করে জীবনের কঠিন বাস্তবতা নিয়ে হাজারো জমাট বাঁধা প্রশ্ন। যে প্রশ্নগুলোর উত্তর মেলে না। যে প্রশ্নগুলো একমাত্র এভাবেই জমাটবদ্ধ হয়েই বাস্তবতার জগতে বিরাজ করে। মাঝে মাঝে জগতের এমন কিছু অজানা প্রশ্ন মাথায় এসে ভিড় করে। আর আমরা ঐ প্রশ্নগুলোকে জীবনের কঠিন বাস্তবতা হিসেবে মেনে নিই।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
ওয়াহিদ মামুন লাভলু
পথের ধারে পড়ে থাকা ছেলেটি মানুষ কিনা এই প্রশ্নটা সত্যিই যথার্থ। প্রশ্ন মানুষের জীবনের সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। অনেক প্রশ্ন আমাদের জীবনের বাস্তবতা হিসাবে মেনে নিই, কিন্তু সেই প্রশ্নের উত্তর আমরা খোঁজার চেষ্টা করিনা। চেষ্টা করলে হয়তো কিছু প্রশ্নের উত্তর পাওয়াও যেতে পারে। অনেক মানসম্পন্ন লেখা। শ্রদ্ধা জানবেন। ভাল থাকবেন।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।