হাঙ্গারোয়া

প্রশ্ন (ডিসেম্বর ২০১৭)

দিব্যেন্দু দ্বীপ
  • ৪৪
হাঙ্গারোয়া
এরকম একটা দেশের অস্তিত্ব পৃথিবীতে থাকতে পারে তা আমরা কখনো কল্পনাই করিনি।হাঙ্গারোয়া নামক এ প্রদেশটি যেন দেশের মধ্যে একটি দেশ। মূল রাষ্ট্রের সাথে তাদের সম্পর্কটি অভিনব।
তারা শুধু প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো মূল রাষ্ট্র থেকে আমদানী করে। আবার রপ্তানিও করে। সরকারের সাথে তাদের চুক্তি একশো বছরের।
পঞ্চাশ বছর ইতোমধ্যেই অতিবাহিত হয়েছে।এটি মূলত একটি গবেষণা বলা যায়, সফল হলে পুরো রাষ্ট্রটিই হাঙ্গারোয়ার ব্যবস্থাপনা এবং আদর্শ-দর্শন মেনে নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করবে।
হাঙ্গারোয়া মূলত তিনটি বিষয়ে বাকী পৃথিবী থেকে আলাদা নীতি প্রতিষ্ঠিত করেছে। এগুলো আইন না, তবে চর্চার মাধ্যমে মানুষ মেনে নিয়েছে। ধর্ম বিষয়য়ে হাঙ্গারোয়া গত চল্লিশ বছর ধরে খুবই শান্তিপূর্ণ অবস্থানে আছে। প্রথম দশ বছর কিছু সমস্যা হয়েছিল, এখন সব ঠিক হয়ে গেছে।
অভ্যাসবশত ওয়াশিম মসজিদ খোঁজ করছিল। একজনকে জিজ্ঞেস করতেই সে একটা মুচকি হাসি দিয়ে বলল, প্রতিটি বাড়িই এখানে মসজিদ।
আমরা তাৎক্ষণিক কিছু বুঝতে পারিনি। কৌতুহলী হয়ে এরপর অন্য একজনের কাছে মন্দির খোঁজ করলাম। তিনিও একই উত্তর দিলেন।
এরপর সনেট গীর্জার সন্ধান করেও একই উত্তর পেল। পরিষ্কার কিছু আমরা বুঝতে পারলাম না। তবে নাগরিকেরা সবাই খুব সহিঞ্চুতার সাথে আমাদের প্রশ্নের জবাব দিয়েছে।
মন্দির খুঁজতে গিয়ে আমি পাল্টা প্রশ্ন করেছিলাম- “একথা কেন বলছেন?” উনি বললেন, এটাই আমাদের রাষ্ট্রীয় উত্তর।
হাঙ্গারোয়া মূলত একটি নগর রাষ্ট্র। অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন, টিপটপ একটি নগর রাষ্ট্র। ঠিক স্বাধীন রাষ্ট্র নয়, তবে চুক্তির কারণে তারা এখন স্বাধীন স্বত্ত্বায় আছে।
এখানে প্রতি এক বর্গ কিলোমিটারে একটি বড় পার্ক রয়েছে, প্রতিটি স্কুল কলেজ যথেষ্ট বড় পরিসরের জায়গা নিয়ে প্রতিষ্ঠিত।
প্রচুর বইয়ের দোকান রয়েছে, দোকানগুলো অভিনব, প্রতিটি দোকানে দশ-বারো জন বসে পড়তে পারে এরূপ ব্যবস্থা রয়েছে। লেখা রয়েছে, সর্বোচ্চ তিন ঘণ্টা দোকান থেকে যেকোনো বই নিয়ে এখানে বসে পড়া যাবে।
অভিজ্ঞতার জন্য আমরা তিনজন এরকম একটি দোকানে বসে পড়তে লাগলাম। দেশের উল্লেখযোগ্য সকল ভাষার কিছু না কিছু বই এখানে আছে। রবীন্দ্রনাথের প্রায় সব বই তাদের কাছে পেলাম। বাংলা এবং ইংরেজি উভয় ভাষাতেই পেলাম। তারা গুরুত্বপূর্ণ লেখকদের বইগুলো মূল ভাষায় রেখেছে আবার অুনবাদও রেখেছে।
খোঁজ নিয়ে জানলাম, সরকারের একটি প্রজেক্টের আওতায় গোটা শহরে এরকম এক হাজার একটি মডেল লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বিশ বছর আগে। উদ্যোগটি খুব সফল বলতে হবে। কারণ, দেখতে পাচ্ছি- আমরা অনেক্ষণ জায়গা দখল করে থাকায় অনেকে ঘরেফিরে চলে যাচ্ছে।
বই বিক্রি হচ্ছে, আবার ক্রেতারা পড়ছেও। অনেকে শুধু পড়ে চলে যাচ্ছে। বিক্রেতা ওকনাটোক আমাদের জানালেন, উদ্যোগটির কারণে মানুষের পাঠ্যভ্যাস তৈরি হয়েছে। তাছাড়া লেখকদেরও আমরা যথেষ্ট সাহায্য করতে পারি।
দোকানের মধ্যে একটি বক্স রয়েছে। আমাদের দেশের মসজিদ-মন্দিরের দান বাক্সের মত। ওখানে চাইলে কেউ টাকা ফেলতে পারে। বাক্সটির উপর সরকারি সিল রয়েছে। অথ্যাৎ টাকাটার মালিক সরকার।
ওখানে যা টাকা জমে, তা দিয়ে স্কুল/কলেজের লাইব্রেরির জন্য নতুন বই কেনা হয়। আর্থিকভাবে কেউ দুর্বল হয়ে পড়লে তাকে বই কিনতে সহযোগিতা করা হয়।
হাঙ্গারোয়ার লোকেদের দেখে বুঝলে তারা খুব স্বাস্থ্য সচেতন, বেশ পরিপাটিও। সবাই সুস্বাস্থ্যের অধিকারী, খুব বেশি স্থুল নয় কেউই।
আমরা দুপুরে খেতে ঢুকলাম একটি রেস্টুরেন্টে। বইয়ের দোকানের মত রেস্টুরেন্টগুলো এখানে সব একই নামের। শুধু একটি কোড নম্বর রয়েছে। আমরা ঢুকেছি কেইয়ান-২৭ নামে রেস্টুরেন্টটিতে। এর আগে সকালে আমরা নাস্তা সেরেছিলাম কেইয়ান-৭৫ এ।
প্রতিটি রেস্টুরেন্টের মালিক ভিন্ন। একই মালিকের দুটি রেস্টুরেন্ট নেই। মেনু প্রায় একই, তবে কোনো রেস্টুরেন্টে বেশি মেনু রয়েছে। এলাকা বিশেষ।
রেস্টুরেন্টের মধ্যে ঘড়ির মত একটি ডিজিটাল বোর্ডে নম্বর উঠছে। আমরা ঢুকে দেখতে পাচ্ছি ওখানে নম্বর পরিবর্তন হল। তিন বেড়ে ৮৮ হল। নিচে লেখা রয়েছে, দুপুরে সর্বোচ্চ ৩৫০ জনকে সার্ভ করা হয়।
টেবিলগুলো বেশ প্রসস্ত। প্রতিটি টেবিলে চারজন বসা যায়। দুই জনের টেবিলও রয়েছে। নারী-পুরুষের জন্য একই ব্যব্যস্থা। তবে মায়েদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা রয়েছে। ব্রেস্ট ফিডিং-এর জন্য আলাদা একটি টেবিলে রয়েছে।
পিছনে যেখানে খাবার তৈরি হয় সেখানে যাবার ব্যবস্থা রয়েছে। অর্থাৎ চাইলে খাবার প্রস্তুত প্রক্রিয়া দেখা যায়।
আমরা খেলাম রাইজাত নামে এক প্রকার খাবার। অনেকটা আমাদের দেশের খিচুড়ির মত। সাথে এক প্রকার সবজি দেওয়া হল। বেশ সুস্বাদু খাবার রাইজাত। খাবারের মেনুটি বেশ লম্বা। সকল প্রকারের খাবার পাওয়া যায়।
জানলাম, রেস্টুরেন্টগুলোর মধ্যে আন্তঃযোগাযোগ রয়েছে। একটু খাবার বেশি হলে বা কম পড়লে অর্ডার দিলে সাথে সাথে চলে আসে। প্রতি ৫০০ মিটারের মধ্যে হাঙ্গারোয়ায় এরকম রেস্টুরেন্ট আছে। প্রচুর মানুষ রেস্টুরেন্টে খায়। সরকার চাইছে যাতে মানুষ বাসায় রান্না করে সময় নষ্ট না করে, তাই ন্যায্য মূল্যে স্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশন করা হয় কেইয়ানে।
এই রেস্টুরেন্টগুলো প্রতিটি দুইতলা। বেশি সময় রেস্টুরেন্টে কাটাতে চাইলে দোতালায় বসা নিয়ম। ওখানে এক বেলায় একশো জনকে খাবার পরিবেশন করা হয়। দোতালায় উঠে চমকে গেলাম। রীতিমত বাড়ির মত সকল সুযোগ সুবিধা রয়েছে। কম্পিউটার রয়েছে, বাচ্চাদের খেলার জন্য টয় রয়েছে। এবং রয়েছে চারটি কাপল রুম।
ম্যানেজারের কাছে খোঁজ নিয়ে জানলাম, দুটি কাপল রুম বুক রয়েছে। আমরা অভিজ্ঞতার জন্য একটি নিলাম। ম্যানেজার নির্বিকারভাবে আমাদের তিনটি কনডম এবং আরো কিছু প্রয়োজনীয় রসদ সরবরাহ করলেন। জানিয়ে দিলেন, কাপল রুম সর্বোচ্চ দুই ঘণ্টার জন্য বরাদ্দ নেওয়া যায়।
কাপল রুম বরাদ্দ নিতে হলে ছেলেদের বয়স ষোলো এবং মেয়েদের বয়স হতে হয় চৌদ্দ। তবে দেশটিতে বিবাহের বয়স সরকারিভাবে ছেলেদের জন্য বাইশ এবং মেয়েদের জন্য আঠারো। এর আগে বিয়ে করা আইনত দণ্ডনীয়।
যেকোন দম্পতির সর্বোচ্চ দুটি বাচ্চা থাকতে পারে। গর্ভপাত নিরুৎসাহিত করা হয়। বিয়ে না করেও বাচ্চা নেওয়া যায় হাঙ্গারোয়ায়।
দেশে পূর্ণবয়ষ্ক প্রত্যেক নাগরিকের জন্য ডিজিটাল ডাটাবেজ আছে, সেখানে তার সকল তথ্য জমা থাকে। সরকারের যেকোনো বিভাগ চাইলেই তা দেখে নিতে পারে।
রেস্টুরেন্টের ব্যবস্থাপন আমাদের জানালেন, পর্যটকদের আমরা শুধু তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করি, তবে দেশের নাগরকিদের বেলায় কড়াকড়ি রয়েছে।
যেমন, কাপল রুম ভাড়া নেওয়ার ক্ষেত্রে উভয়ের নাগরিক সনদ দেখে ডাটাবেজ চেক করা হয়। কারো কোনো যৌন রোগ বা জোরপূর্বক কারো সাথে যৌমিলনের তথ্য থাকলে একে অপরকে জানিয়ে দেওয়া হয়।
আমাদের সামনে দেখতে পেলাম, প্রতারক বলে সতেরো আঠারো বছরের একটি মেয়ে মধ্য বয়সী একজন পুরুষকে ত্যাগ করে চলে গেল। তাদের আলোচনা শুনে বুঝলাম, ট্রেনে তাদের দেখা হয়েছে। দু’জনের মধ্যে গল্পে গল্পে সম্পর্ক হয়েছে।
তবে মেয়েটিকে কেইয়ান রেস্টুরেন্টের ব্যবস্থাপক পুরুষটির নাগরিক সনদ দেখে ডাটাবেজ চেক করে জানিয়েছে যে লোকটির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। ব্যবস্থাপক শুধু তথ্য দেয়, এরপরও কেউ কারো সাথে রুমে যেতে চাইলে সেটি তাদের ব্যাপার।
মেয়েটি প্রতারক বলে বিদায় নিয়েছে। আমরা রুমে প্রবেশ করলাম। খুব পরিপাটি পরিচ্ছন্ন সুন্দর রুম। রুমের সাথেই একটি ওয়াশরুম রয়েছে। আলমিরাতে কয়েক রং-এর বিছানার চাদর রয়েছে। একটি ফুলদানিতে তাজা ফুল রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের যৌন সচেতনতা মূলক বই রয়েছে। ইন্টারকম রয়েছে এবং সেখানে একটি হেল্প নম্বর আছে। চাইলে ফোন করা যায়।
ব্যবস্থাপকের কাছে আমরা জানতে চাইলাম, কল গার্ল আছে কিনা। ব্যবস্থাপক আমাদের জানালেন যে হাঙ্গারোয়াতে টাকার বিনিময়ে যৌনকর্ম অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়। উনি আমাদের জানালেন যে আমরা ভদ্রভাবে যে কাউকে অফার করে দেখতে পারি। তবে প্রস্তাব করতে হবে একাকী, কাউকে সাথে নিয়ে না।
আমি একটু ট্রাই করতে চাইলাম। উপরে আসার সময় নিচে এক ভদ্রমহিলাকে খুব ভালো লেগেছিল। নিচে গিয়ে প্রস্তাব দিলাম। সামান্য ভাষা এই কয়দিনে রপ্ত করেছি।
উনি যা বললেন, তার বাংলা করলে দাঁড়ায়- আমিও তোমায় দেখেছি, ভালো লেগেছে, তবে আমি এই মুহূর্তে ইচ্ছুক নই। তোমকে ধন্যবাদ। উনি ব্যাগ থেকে বের করে আমাকে সুন্দর একটি চাবি রিং গিফট করলেন।
আমরা উঠেছি আলভিক হোটেলে। এরকম বিশটি হোটেলে আছে শহরে। পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় অতিথিশালা আছে তিনটি।
হোটেলগুলো একই মানের, তবে ভেতরে গ্রেড রয়েছে। সুযোগ সুবিধার ভিত্তিতে মোট দশটি গ্রেড রয়েছে। আমরা পঞ্চম ধাপের একটি ডাবল কেবিনে উঠেছি।
প্রতিটি হোটেলে ছোটখাট হাসপাতাল এবং ডাক্তার রয়েছে। হোটেলে ওঠার সময় ব্লাড স্যাম্পল দিতে হয়। বারো ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট দিয়ে যায়। রিপোর্টের উপরে তাদের নিজস্ব ভাষায় এবং ইংরেজিতে লেখা থাকে- যেকোনো পরিস্থিতে ঘাবড়াবেন না, আমরা আপনার পাশে আছি।
ব্লাডে কারো রক্তবাহিত কোনো রোগের নমূনা পাওয়া গেলে জানিয়ে দেওয়া হল, এবং বলা হয়, শর্তসাপেক্ষে সে হাঙ্গারোয়ায় থাকতে পারবে। অন্যথায় সরকার তাকে ফিরে যেতে বাধ্য করে।
আমরা গত এক সপ্তাহ ধরে ভনভন করে ঘুরছি। দেখলাম, হাঙ্গারোয়ায় কোনো পাবলিক গড নেই, সত্যিই কোনো মসজিদ-মন্দির-গীর্জা-প্যাগোডা বা এমন কিছু নেই।
আজ হোটেলে একটি সঙ্গীত সন্ধ্যায় অংশগ্রহণের জন্য টিকিট কেটেছি। গানের কথা বুঝতে না পারলে সুর আমাদের মোহীত করছে। হঠাৎ ইংরেজিতে বলা হল, এখন কিছু তত্ত্ব আলোচনা করা হবে। জানলাম পর্যটকদের জন্য তারা এই ব্যবস্থাটি রেখেছে। আধ্যাত্মিকতা এবং প্রার্থনা সম্পর্কে লম্বা বর্ক্ততা শুনলাম, কিন্তু সময় কেটে গেল মুহূর্তে। চমৎকার আলোচনা।
আরো একটি বিষয় জানলাম, হাঙ্গারোয়ার মানুষ কোনোভাবেই তাদের নিজেদের অপ্রমাণযোগ্য বিশ্বাস নিয়ে কোনো কথা বলে। দেখলাম, সৃষ্টিতত্ত্ব এবং মৃত্যু নিয়ে তাদের গভীর পর্যালোচনা রয়েছে। তবে কোনোভাবেই তারা কোনো স্থির সিদ্ধান্তে উপনীত হয় না।
এরকম একটি আড্ডায় ছিলাম কাল। একটি পার্কে কথা হচ্ছিল স্থানীয় কয়েকজন যুবকের সাথে। তারা রাইটান বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। স্থানীয় ভাষার পাশাপাশি তারা খুব ভালো ইংরেজিও বলতে পারে। অনেকক্ষণ প্রাণবন্ত আলোচনা হল। আলোচনা করতে করতে দিগ্বিদিক হয়ে যাই আমরা। মহাবিশ্বের কোনো কূল কিনারা হয় না।
আমরা শেষ পর্যন্ত একটি গান ধরলাম সকলে মিলে-
উই কান্ট ডিসাইড, উই কান্ট ডিকোড,
উই লাভ,
উই কান লাভ ওয়ান এনাদার অনলি।
উই আর হিউম্যান বিং,
উই হ্যাভ অ্যা ভেরি স্ট্রং হেড,
এন্ড উই হ্যাভ অ্যা কাইন্ড হার্ট,
দাজ উই আর হিউম্যান বিং,
উই ক্যান লাভ অয়ান এনাদার অনলি।
দিজ ইজ আওয়ার গড,
আওয়ার লাভ ইজ আওয়ার গড।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
ওয়াহিদ মামুন লাভলু হাঙ্গারোয়া নামক যে প্রদেশটি নিয়ে গল্প লেখা হয়েছে সে প্রদেশটির সব কিছুই আমার কাছে রহস্যময় মনে হলো। তবে গল্পটির মধ্যে একটা আকর্ষণ শক্তি আছে। মসজিদ খুঁজতে গিয়ে যে উত্তর পাওয়া গেল, গির্জা খুঁজতে গিয়েও সেই উত্তরই পাওয়া গেল, এমনকি মন্দিরের ব্যাপারেও বোধ হয় একই উত্তর। গল্পটাকে ঘিরে অনেক পশ্ন উত্থাপিত হয় মনের মধ্যে। মানসম্পন্ন লেখা। শ্রদ্ধা জানবেন। শুভকামনা রইলো।
মোঃ নুরেআলম সিদ্দিকী দারুণ একটি ভ্রমণকাহিনী। হাঙ্গোরিয়ার কাহিনী গুলো বেশ চমৎকার ভাবে ফুটে তুলেছেন। এখানকার যৌনপল্লী এলাকার কাহিনী গুলো খুব চমকে দিছে। যেমন, বিয়ে না করেও সন্তান নেওয়া যাবে, আটার/বাইশের আগে বিয়ে গ্রহণযোগ্য নয়, কিন্তু যৌনপল্লী গ্রহণযোগ্য। হাঙ্গোরিয়ার হোটেল সম্পর্কে বেশ ধারনা পেলাম, তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও অনেক কিছু পেয়েছি.... শেষে বলবো চমৎকার গল্প, শুভকামনা সহ শুভেচ্ছা রইল কবি
সাইয়িদ রফিকুল হক চমৎকার ভ্রমণকাহিনী। আর বন্ধু, হাঙ্গারোয়ার লোকেশনটি বললে খুশি হবো। শুভকামনা। আর ভোট দিয়ে গেলাম।
%3C%21-- %3C%21-- moja pelam pore. jodio bishoy er shonge mil khuje paini. jai hok, bhaloi laglo. vote rekhe gelam. shomoy pele amar golpoti pore dekhben
মাইনুল ইসলাম আলিফ প্রশ্ন নিয়ে গল্প ছিল বিষয়।যাই হোক ভ্রমণ গল্প হলো।শুভ কামনা।আমার গল্পে আমন্ত্রণ।
মিলন বনিক হাঙ্গরোয়া সম্পর্কে অনেক তত্ব, তথ্য সমৃদ্ধ ভ্রমন কাহিনী, পড়ে ঋদ্ধ হলাম...আমার গল্পে আমন্ত্রণ থাকলো...শুভকামনা....

১০ অক্টোবর - ২০১৭ গল্প/কবিতা: ৩ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "ছোটবেলা”
কবিতার বিষয় "ছোটবেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪