শুরুতেই শেষ

প্রশ্ন (ডিসেম্বর ২০১৭)

নাঈম রেজা
  • 0
  • ১৯
৫ম শ্রেনী পাশ করে কিছু দিন হল চন্দন হাইস্কুলে ভর্তি হয়েছে। প্রথম থেকে চন্দন ভাল ছাত্র ছিল। ক্লাস সিক্স-এ তার ভর্তি রোল ৩২ হল, পরের রোল নং মার্জিয়ার, প্রথম বেঞ্চের মাথায় বসে তার পাশে চন্দন। কিছু দিন পর সেমলা চেকুন-চাকান একটা মেয়েকে দেখা গেল। তার নাম রেকসনা। চন্দন মার্জিয়াকে বলল আমি তোর একটা কথা বলব? তুই কাউকে বলবিনা তো? সে কথা দিল ঠিক আছে বলবনা।অামি রেকসনাকে ভালবাসি, ওদের বাড়ি একদিন যাওয়ার দরকার। কিন্তু কোন পথ খুজে পাচ্ছিনা। ঠিক আছে আমি রেকসনাকে বলবানে। তার আগেই মার্জিয়া চন্দনের গ্রামের মেয়ে আম্বিয়াকে বলেছে। আম্বিয়া চন্দনের সম্পর্কে ভাগ্নি হয়। স্কুল ছুটির পর আম্বিয়া বলল মামা কি একটা কথা শুনলাম। কি? রেকসনার ব্যাপারে। না মানে মার্জিয়াকে বললাম আমাদের রোল যেমন পাশা পাশি আছে এমনি রাখতে হবে। ভাল করে পড়া শুনা করিস। যেন রেকসনা আমাদের ভিতর ঢুকে না যায়! তা এত লোক থাকতে না মানে ওদের বাড়ি তেঁতুল আছে সেই কথা মার্জিয়ার সাথে বলতে বলতে এটা উঠে গেল। তার মানে বুঝেছি। ঠিক আছে চল আমরা কয়জন মিলে একদিন রেকসনাদের বাড়ি যাই, ঠিক আছে যাব। হঠাৎ একদিন আম্বিয়া, চন্দন, মেহেদী, ইমরান মিলে রেকসনাদের বাড়ি হাজির হল। স্কুল ছুটির পর রেকসনা সেদিন স্কুলে যাইনি। চন্দন কি ব্যাপার আজ স্কুলে যাওনি । না ও বুঝেছি তেতুঁল নিয়ে ফেরেনি মানে আমাদের খেতে দেবে না তাই। আমরা খাবনা। রেকসনার মা আমাদের দ্বিতীয় কথা বলার আগেই বলল রেকসনা দেখ ঘরে তেতুল আছে। ওনাদের দে। রেকসানা সবাইকে দুইটা করে তেতুল দিল। ভাত খাওয়ার জন্য অনেক খোসামদ করেছিল। কিন্তু তাকি সম্ভাব? চলে এলো পরদিন স্কুলে গেলে আম্বিয়া রেকসনাকে বলল, প্রেম তো ভালই মজল। মানে, মানে যার তেতুল খেকে দিয়েছিলি তার কাছে শুনে নিশ। সবাই তো খেয়েছিলি। আরে যে চেয়েছিল! তার মানে চন্দন। জীবনে কাউকে কষ্ট দিতে চাইনি তাই আজও দেব না। কারণ তার জীবনে কষ্ট মানে আমার জীবনে কষ্ট আস্তে পারে। আমি আজি স্কুলে গিয়ে চন্দনের সাথে দেখা করব। আজ টিপিনের সময় ছেলেরা সবাই মিলে মেয়েদের বেঞ্চির পর পা দিয়েছে। ৫ম ক্লাসে হাসেম স্যার আসলে। সব মেয়ে দাঁড়িয়ে রইল। স্যার জিজ্ঞাসা করল কি ব্যাপার। তোমরা দাঁড়িয়ে। তার আগেই নামের লিস্ট করে রেখেছিল, বলল স্যার দেখেন সমস্ত বেঞ্চির পর জুতো দিয়ে ময়লা করেছে। কে করেছে? তখন নামের লিষ্ট দিল। তাতে চন্দনের নাম ছিল। কিন্তু চন্দন এই বিষয় কিছু যানত না। সে খুব শান্ত ছেলে, দুষ্টমি কি তা বুঝতনা, তবু স্যার হাতে তার মার খেতে হল। তার স্ব-ইচ্ছায় কান ধরে উট বস করল আর বলল আপনার সাথে আমার কিছু বিশেষ কথা আছে। চোখে দেখনা, না কানে শোননা। কাল আমি কান ধরে কি বলে ছিলাম। প্লিজ আমাকে এক মিনিট টাইম দিন না, ঠিক আছে পাঠাগারে গিয়ে বলবে, না মানে নিরিবিলি বলতে চাচ্ছিলাম। ওখানে বললে বলবে না বললে দরকার নেই। ঠিক আছে তাই বলব, দুজনে মিলে পাঠাগারে গিয়ে বসল, কি বলবে তুমি? আপনি যেটা বলেছেন সেটা আমি কি বলেছি? শোন আমার মাথা এমনিতে গরম আছে বেশি কথা বলোনা। রাগ করছেন? আপনি না আমাকে ভালবাসেন। বাসতাম এখন বাসিনা, ঠিক আছে কাল থেকে স্কুলে আসবনা, সত্যি বললে? সত্যি সত্যই বলেছি। এত টুকুই মাত্র কথাহল। তাকে বলে মনে খুব আনন্দ গালছে। কারণ রেকসনা চন্দনকে ভাল বাসতে চেয়েছে। আজ কয়েক দিন রেকসনা স্কুলে আসছেনা মনটা ব্যস্ত হয়ে উঠছে চন্দনের, মার্জিয়া, আম্বিয়া মেহেদী আরও কয়েক জনের বলল চলতা রেকসনাদের বাড়ি যায়। আজ কত দিন স্কুলে আসছেনা, কোন সমস্যা হল কিনা।
সবাই মিলে তার বাড়ি উপস্থিত হল। কিন্তু বাড়িতে রেকসনা নাই ওর মা রান্না ঘরে ছিল। বেরিয়ে এসে বলল বাবা বসো। চনন্দন বলল রেকসনা কোথায়? আজ অনেক দিন স্কুলে যাচ্ছে না। তার মা হাসি মাখা মুখ নিয়ে বলে ফেলল রেকসনার তো শশুর বাড়ি........................!!!!!
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
নাঈম রেজা ওয়াহিদ মামুন লাভলু ভাই সহ সকলকে অসংখ ধন্যবাদ
ওয়াহিদ মামুন লাভলু সুন্দর ও নির্মল মনের মানুষদের গল্প। চরিত্রগুলো খুব সৎ চরিত্রের। চন্দনের মধ্যে রোকসানার প্রতি একটা অনুভুতি জন্ম নিয়েছিল, কিন্তু চন্দনের অজান্তেই একদিন তার বিয়ে হয়ে গেল। চন্দন নিশ্চয়ই খুব দুঃখ পেয়েছিল। চমৎকার লেখা। আমার শ্রদ্ধা গ্রহণ করবেন। অনেক শুভকামনা রইলো। ভালো থাকবেন।
Farhana Shormin ভাল লাগল
মামুনুর রশীদ ভূঁইয়া প্রচেষ্টার জন্য ধন্যবাদ...
নাঈম রেজা উপরের লেখায় কিছু ভুল আছে তাই এটার সংশোধন কপি
নাঈম রেজা ৫ম শ্রেনী পাশ করে কিছু দিন হল চন্দন হাইস্কুলে ভর্তি হয়েছে। প্রথম থেকে চন্দন ভাল ছাত্র ছিল। ক্লাস সিক্স-এ তার ভর্তি রোল ৩২ হল, পরের রোল নং মার্জিয়ার, প্রথম বেঞ্চের মাথায় বসে তার পাশে চন্দন। কিছু দিন পর সেমলা চেকুন-চাকান একটা মেয়েকে দেখা গেল। তার নাম রেকসনা। চন্দন মার্জিয়াকে বলল আমি তোর একটা কথা বলব? তুই কাউকে বলবিনা তো? সে কথা দিল ঠিক আছে বলবনা।অ¦মি রেকসনাকে ভালবাসি, ওদের বাড়ি একদিন যাওয়ার দরকার। কিন্তু কোন পথ খুজে পাচ্ছিনা। ঠিক আছে আমি রেকসনাকে বলবানে। তার আগেই মার্জিয়া চন্দনের গ্রামের মেয়ে আম্বিয়াকে বলেছে। আম্বিয়া চন্দনের সম্পর্কে ভাগ্নি হয়। স্কুল ছুটির পর আম্বিয়া বলল মামা কি একটা কথা শুনলাম। কি? রেকসনার ব্যাপারে। না মানে মার্জিয়াকে বললাম আমাদের রোল যেমন পাশা পাশি আছে এমনি রাখতে হবে। ভাল করে পড়া শুনা করিস। যেন রেকসনা আমাদের ভিতর ঢুকে না যায়! তা এত লোক থাকতে, না মানে ওদের বাড়ি তেঁতুল আছে সেই কথা মার্জিয়ার সাথে বলতে বলতে এটা উঠে গেল। তার মানে বুঝেছি। ঠিক আছে চল আমরা কয়জন মিলে একদিন রেকসনাদের বাড়ি যাই, ঠিক আছে যাব। হঠাৎ একদিন আম্বিয়া, চন্দন, মেহেদী, ইমরান মিলে রেকসনাদের বাড়ি হাজির হল। স্কুল ছুটির পর রেকসনা সেদিন স্কুলে যাইনি। চন্দন কি ব্যাপার আজ স্কুলে যাওনি । না ও বুঝেছি তেতুঁল ছুলছিলে? না, আব্বা আজ এখনও তেঁতুল নিয়ে ফেরেনি, মানে আমাদের খেতে দেবে না তাই। আমরা খাবনা। রেকসনার মা আমাদের দ্বিতীয় কথা বলার আগেই বলল রেকসনা দেখ ঘরে তেতুল আছে। ওনাদের দে। রেকসানা সবাইকে দুইটা করে তেতুল দিল। ভাত খাওয়ার জন্য অনেক খোসামদ করেছিল। কিন্তু তাকি সম্ভব? চলে এলো পরদিন স্কুলে গেলে আম্বিয়া রেকসনাকে বলল, প্রেম তো ভালই মজল। মানে, মানে যার তেতুল খেতে দিয়েছিলি তার কাছে শুনে নিশ। সবাই তো খেয়েছিলি। আরে যে চেয়েছিল! তার মানে চন্দন। জীবনে কাউকে কষ্ট দিতে চাইনি তাই আজও দেব না। কারণ তার জীবনে কষ্ট মানে আমার জীবনে কষ্ট আস্তে পারে। আমি আজি স্কুলে গিয়ে চন্দনের সাথে দেখা করব। আজ টিপিনের সময় ছেলেরা সবাই মিলে মেয়েদের বেঞ্চির পর পা দিয়েছে। ৫ম ক্লাসে হাসেম স্যার আসলে। সব মেয়ে দাঁড়িয়ে রইল। স্যার জিজ্ঞাসা করল কি ব্যাপার। তোমরা দাঁড়িয়ে। তার আগেই নামের লিস্ট করে রেখেছিল, বলল স্যার দেখেন সমস্ত বেঞ্চির পর জুতো দিয়ে ময়লা করেছে। কে করেছে? তখন নামের লিষ্ট দিল। তাতে চন্দনের নাম ছিল। কিন্তু চন্দন এই বিষয় কিছু যানত না। সে খুব শান্ত ছেলে, দুষ্টমি কি তা বুঝতনা, তবু স্যারের হাতে তার মার খেতে হল। তার স্ব-ইচ্ছায় কান ধরে উট বস করল আর বলল আর মেয়েদের সাথে কথা বলবো না। এ কথা বলেই সে ছিটে এসে বসলো। পরদিন রেকসেনা বললো আপনার সাথে আমার কিছু বিশেষ কথা আছে। চোখে দেখনা, না কানে শোননা। কাল আমি কান ধরে কি বলে ছিলাম। প্লিজ আমাকে এক মিনিট টাইম দিন না, ঠিক আছে পাঠাগারে গিয়ে বলবে, না মানে নিরিবিলি বলতে চাচ্ছিলাম। ওখানে বললে বলবে না বললে দরকার নেই। ঠিক আছে তাই বলব, দুজনে মিলে পাঠাগারে গিয়ে বসল, কি বলবে তুমি? আপনি যেটা বলেছেন সেটা আমি কি বলেছি? শোন আমার মাথা এমনিতে গরম আছে বেশি কথা বলোনা। রাগ করছেন? আপনি না আমাকে ভালবাসেন। বাসতাম এখন বাসিনা, ঠিক আছে কাল থেকে স্কুলে আসবনা, সত্যি বললে? সত্যি সত্যই বলেছি। এত টুকুই মাত্র কথাহল। তাকে বলে মনে খুব আনন্দ গালছে। কারণ রেকসনা চন্দনকে ভাল বাসতে চেয়েছে। আজ কয়েক দিন রেকসনা স্কুলে আসছেনা মনটা ব্যস্ত হয়ে উঠছে চন্দনের, মার্জিয়া, আম্বিয়া মেহেদী আরও কয়েক জনের বলল চলতো! রেকসনাদের বাড়ি যাই। আজ কত দিন স্কুলে আসছেনা, কোন সমস্যা হল কিনা। সবাই মিলে তার বাড়ি উপস্থিত হল। কিন্তু বাড়িতে রেকসনা নাই ওর মা রান্না ঘরে ছিল। বেরিয়ে এসে বলল বাবা বসো। চনন্দন বলল রেকসনা কোথায়? আজ অনেক দিন স্কুলে যাচ্ছে না। তার মা হাসি মাখা মুখ নিয়ে বলে ফেলল রেকসনার তো শশুর বাড়ি........................!!!!!

০২ অক্টোবর - ২০১৭ গল্প/কবিতা: ১৫ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪