তুমি বৃষ্টি চেয়েছিলে ঝুম বৃষ্টি, আষাঢ় ধারা শ্রাবণের মতো সৃষ্টি। যদিও আমি চেয়েছিলাম অনাধারুন দৃষ্টি, পারলামনা, তবু তোমার চাওয়াটা পূর্ণ করে দিতে! মাঠঘাট, পথ, নদী-নালা ভরে দিতে স্রোতস্বিনী হয়ে।
কারণ, আমি দেখেছি তখন প্রকৃতির ঋতু থুত্থুরে বুড়ির, হাড় কাঁপন বহিছে হিমধারা। তাই, তোমার কথা রাখতে পারিনি ভারি বৃষ্টির ধারা। তবে এসেছিলাম আমি ধূসর মেঘ হয়ে কুয়াশার ছদ্মবেশে তোমাকে ছুঁয়ে দেবো বলে অপেক্ষায় থেকেছি; জেগেছি রাত! তোমার জানালার কপাট ধরে, দরোজায় তখন লাগানো ছিল হিল। তোমার বাগানের বেলী, কামেনী, হাসনেহেনা ফুল গুলো বেশ সমাদর করে সুবাস দানে। তোমার কথা বারবার পড়েছিল মনে, কত ফুল গুজে দিয়েছি তোমার কেশে। দূর্বাঘাস গুলো, বসার মতো ঠাঁই দিয়েছিল পরম যত্নে, আর আমি অপেক্ষায় ছিলাম সুন্দর একটি প্রভাতের।
প্রভাত ঠিকি এসেছিল, তুমিও এসেছিলে সূর্য রাঙ্গা ভোরে। যখন আমি চিকচিক মুক্তোর মতো হেসেছিলাম ভেবেছিলাম তোমার কোমল হাতে, ছুঁয়ে দিবে আমায়। আর আমি হেসে ওঠবো তোমার স্পর্শ পেয়ে, সত্যিকার রাজকুমার হয়ে। শিশির বিন্দু থেকে মুক্তি নিয়ে চিরদিন তোমার হবো। কিন্তু এ আমি কি দেখলাম প্রভাত রাঙা ভোরে! সত্যি-সত্যি তুমি এতোটা বদলে গেছো? যা আমি ভাবতে পারিনি এই তুমি! যাকে আমি চিনি আমার হৃদয়ের চির সবুজ মালঞ্চে ভেবেছিলাম না, না স্বপ্ন দেখছি! কিন্তু, পরক্ষণে আমার ভ্রম কাটলো, তোমার আর তোমার হাতে হাত রাখা জীবন সঙ্গী নিয়ে শিশির মারিয়ে যাওয়া ভূতলে আমি মাটির সাতে মিশে।
জানি আমাকে আর পড়বেনা মনে তোমার আলিঙ্গনে। তবে মনে রেখো, আমি এসেছিলাম কুয়াশা হয়ে শিশির ঝড়া মুক্তো হয়ে প্রভাত জাগা ভোরে অপেক্ষায় ছিলাম...
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
ওয়াহিদ মামুন লাভলু
কবিতাটা অনেক মানসম্পন্ন এবং এর অর্থও বুঝতে পারা দুরূহ। আমার পক্ষে পুরোপুরি বুঝতে পারা অসম্ভব। তবে আমার মনে হলো, ব্যর্থ হওয়া একজন প্রেমিকের জবান এটা। প্রেমিকের প্রেমাস্পদ যখন অন্যের বাহুবন্দী তখন প্রেমিক তা দেখে যে কিরূপ কষ্টে কষ্টে জ্বলে পুড়ে মৃত্যুর কাছাকাছি পৌঁছে যায় আমার মনে হয় সেটাই এখানে তুলে ধরা হয়েছে। মারাত্মক ভাল একটা কবিতা বলেই মনে হলো। অনেক শ্রদ্ধা রইলো। ভাল থাকবেন।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
বিজ্ঞপ্তি
“ডিসেম্বর ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ ডিসেম্বর, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।