মোহিত স্যার

প্রশ্ন (ডিসেম্বর ২০১৭)

বিশ্বরঞ্জন দত্তগুপ্ত
  • ১৪
সৌম্য চেহারায় ব্যক্তিত্বে ভরা , আমাদের স্কুলের স্যার ,
গণিতে তাঁর প্রখর জ্ঞান , লেখনিতে ক্ষুরধার -
জ্ঞানের ভান্ডারে পরিপূর্ন আমাদের " মোহিত স্যার " ।
গ্রামের স্কুলের গর্ব তিনি , গর্বিত গ্রামবাসী ,
ছাত্র বানাবার কারিগর তিনি , এটা বুঝেছে গ্রামবাসী ।
আজ তাঁর বহু ছাত্র দেশে - বিদেশে ,
প্রত্যেকেই প্রতিষ্ঠিত নিজ - নিজ ক্ষেত্রে ।

ভবিষ্যতে নিজের কথা ভাবেননি কোনদিন ,
যা কিছু নিজের , সবটাই তিনি বিলিয়ে দিতেন দিন-প্রতিদিন ।
পড়ুয়ারা তাঁর ধ্যান-জ্ঞান , তারাই তাঁর সন্তান ,
স্কুলটাই তাঁর ঘর-বাড়ী , ভালোবাসার এক পীঠস্থান ।
জীবনের সব সঞ্চয় - অবসর প্রাক্কালে স্কুলকে করলেন দান ।
ছিলনা কোন অর্থের মোহ , ছিলনা অহংকার ,
তিনি সকলের পরম শ্রদ্ধেয় আমাদের " মোহিত স্যার " ।

বহুদিন পরে ---- এক গ্রীষ্মের দুপুরে ,
ফিরছি আমি " খড়গপুর " থেকে -
কোম্পানীর এক জরুরি " মিটিং " সেরে ।
" এ. সি. " গাড়িতে বেষ্টিত আমি পরিষদদের নিয়ে ,
বাহিরে তখন গরমের গোলা বইছে হু হু করে ।
" পাঁশকুড়াতে " জ্যামে-জটে দাড়িয়ে পরেছে গাড়ি ,
কাঁচের ওপারে তাকিয়ে দেখি ---
ভিক্ষার বাটি হাতে দাঁড়িয়েছে এক হত দরিদ্র মানুষ ,
মুখে তাঁর এক গাল দাড়ি ।

চমকে উঠি , শিহরন জাগে সারাটা শরীর জুড়ে -
এ আমি কি দেখছি !! মাথাটা ঘুরতে থাকে ।
সারাটা জীবন যিনি বানালেন শত শত কৃতী ছাত্র ,
আজ তিনি হলেন আস্তাকুঁড়ের সকলের এক ঘৃন্য উচ্ছিষ্ট !
ইনি কি আমাদের সেই " মোহিত স্যার " --
যিনি ছিলেন আমাদের সকলের পরম শ্রদ্ধেয় !

চোখের জলে দু-পা জড়িয়ে প্রণাম করে বলি -
আমি আছি , সবাই আছে , চলুন আমার সাথে
সারা জীবন থাকবেন আপনি পিতা - মাতার স্থানে ।

দু-গাল ভরে অশ্রু নিয়ে আশীর্বাদ করে বলেন -
আমার জন্য ভাবিস না তোরা , আমি ভালই আছি ,
ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি -- তোরা সবাই সুখে থাকিস ।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মুশফিক রুবেল চমকে উঠি , শিহরন জাগে সারাটা শরীর জুড়ে - এ আমি কি দেখছি !! মাথাটা ঘুরতে থাকে । সারাটা জীবন যিনি বানালেন শত শত কৃতী ছাত্র , আজ তিনি হলেন আস্তাকুঁড়ের সকলের এক ঘৃন্য উচ্ছিষ্ট ! ইনি কি আমাদের সেই " মোহিত স্যার " -- যিনি ছিলেন আমাদের সকলের পরম শ্রদ্ধেয় ! .................................................................. ভাল লাগলো , অনেক অনেক শুভ কামনা রইলো ...
ভালো লাগেনি ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৭
ভাই , অনেক ধন্যবাদ । ভাল থাকবেন ।
ভালো লাগেনি ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৭
মাইনুল ইসলাম আলিফ কবিতায় একটা গভীর কষ্টের গল্প বলে গেলেন।আর যেন কোন মানুষ গড়ার কারিগর কে এভাবে না দেখতে হয়।শুভ কামনা কবি।
ওয়াহিদ মামুন লাভলু যিনি ছিলেন একসময় স্কুলের স্যার, গণিতে যার ছিল প্রখর জ্ঞান, সময়ের চাকা অনেক ঘুরে যাওয়ার পর যদি সেই তাঁকে ভিক্ষার বাটি হাতে দেখা যায় তবে তা অনেক কষ্ট দেয় মনে। অনেক মানসম্পন্ন লেখা। শ্রদ্ধা জানবেন। শুভেচ্ছা রইলো।
ভালো লাগেনি ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৭
ভাই , আপনাকে অনেক ধন্যবাদ । ভালো থাকবেন ।
ভালো লাগেনি ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৭
মিলন বনিক শিক্ষণীয়। ভালো লাগলো নীতি নৈতিকতার পদ্য....
ভালো লাগেনি ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৭
ধন্যবাদ ভাই । ভাল থাকবেন ।
ভালো লাগেনি ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৭
জসীম উদ্দীন মুহম্মদ অন্যপ্রকার এক আবেশ কবিতার গতর জুড়ে।। ভালো লাগা অফুরান।।
ভালো লাগেনি ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৭
ধন্যবাদ । ভাল থাকবেন ।
ভালো লাগেনি ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৭
ম নি র মো হা ম্ম দ অসাধারণ, দাদা!
ভালো লাগেনি ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৭
অনেক ধন্যবাদ ভাই । ভাল থাকবেন ।
ভালো লাগেনি ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৭
ছবি আনসারী জীবনের কঠিন সত্য।
রাকিব মাহমুদ বড়ই করুণ এক গল্প শোনালেন কবিতার আঙ্গিকে। শুভেচ্ছা আর ভোট রেখে গেলাম। আমার পাতায় আমন্ত্রণ রইল।
অনেক ধন্যবাদ । আপনার লেখা নিশ্চয় পড়বো ।
ভালো লাগেনি ১২ ডিসেম্বর, ২০১৭
মনজুরুল ইসলাম ভান্ডারে পরিপূর্ন শিহরন কৃতী ai bannanguli aktu dekhe niben. Bisoybostu oshadharon. abegtarito holam. Valo thakben.
ভাই , ধন্যবাদ । ভাল লাগল । শুভকামনা রইল ।
মোঃ নিজাম উদ্দিন চমৎকার লেখনী। মুগ্ধতা রেখে গেলাম।

১২ আগষ্ট - ২০১৭ গল্প/কবিতা: ৪৭ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪