জাভেদ স্যার

পার্থিব (আগষ্ট ২০১৮)

মিঠুন মণ্ডল
  • ৩১
বড়ো বাবু তাড়া দিলেন। ৪টের মধ্যেই ক্যান্টিনে চলে যাবেন। জাভেদদাকে ফেয়ারওয়েল দেওয়া হবে। গত বছর জানুয়ারি মাসে জাভেদদাই আমার ইন্টার্ভিউ নিয়েছিলেন। আমি একটা বেসরকারী কলেজ থেকে B.SC করেছি লেদার টেকনলজির উপর। সেই দিন জাভেদদা লেদার নিয়ে এমন খুঁটি নাটি প্রশ্ন করেছিল যার বেশির ভাগটাই আমার অজানা ছিল। প্রথমে ভেবেছিলাম যা, চাকরীটা মনে হয় হবে না! একটু তার সাথে সখ্যতা হলে এই কথাটা আমি জাভেদদাকে বলেওছিলাম। তিনি বলেছিলেন, ‘মিঃ রায়, সব জেনে আসলেই মুশকিল। নতুন কিছু জানার আগ্রহ চলে যায়। আর একটু কম জানা মানুষদের হেয় করার প্রবণতা বাড়ে। স্টীভ জবসের মতো হতে হবে বুঝলে “ stay foolish stay hungry”. একবার ভাবো যে নিজে হাতে কোম্পানি তৈরি করে তাকেই কোম্পানি থেকেই বেড়িয়ে যেতে হচ্ছে। তারপর আবার কাম ব্যাক। এটা শুধু ট্যালেন্ট থেকে হয় না।খীদে চাই বুঝলে খীদে! আমি মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনেছিলাম। এরপর কিই বা বলা যায়। অথচ ভদ্রলোক মাধ্যমিক পাস করে এই কোম্পানিতে ঢুকেছিলেন। দত্তদা তাড়া দিলেন, কি যাবেন না? ‘হুম, হাতের কাজটা শেষ করে যাচ্ছি’। ক্যান্টিনে ঢুকলাম তখন ৪.১৫ বাজছে। অফিসেরই একটা বক্স আর একটা মাইক্রোফোন লাগানো হয়েছে। অফিসের যেকোন অনুষ্ঠানে স্বপ্ননীলদাই ঘোষকের ভূমিকা পালন করে। বেশ ভাল বক্তা। যাইহোক স্বপ্ননীলদা শুরু করলেন, ‘ জাভেদদা এই কোম্পানির সাথে ৪০ বছর যুক্ত ছিলেন। ১৯৭৫ সালে মাত্র ৫ জন কর্মী আর তিন লক্ষ টাকার পুঁজি নিয়ে একটা জুতোর কারখানা এখন ১০০০ কোটি টাকার লিমিটেড কোম্পানি। মাত্র দুশো টাকা মাইনের একজন সাধারণ কর্মচারী থেকে কোম্পানির ডাইরেক্টরের পদ। তাঁর উত্থান সত্যি ইর্শনীয়। কাজের প্রতি ডেডিকেশন, প্রতিদিন নিজেকে ছাপিয়ে যাওয়ার চেষ্টা আর তাঁর সততাই এই জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে। দেশের বাইরে ১৫ জায়গায়, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ১৫০টা শোরুম একদিনে তৈরি হয়নি। যদি এর ভিশন মালিকের হয় তবে এটাকে বাস্তবে পরিণত করার পিছনে জাভেদদার হাত কতটা সেটা আজ আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। এই কোম্পানির প্রত্যেকটা কর্মী জাভেদাকে শুধু একজন দক্ষ ম্যানেজার হিসাবে নয়, একজন বড়ো মনের সহকর্মী হিসাবে পেয়েছেন। এই ১০ বছরে যতবারই জাভেদদার কাছে কোন সমস্যা নিয়ে গিয়েছি, কখনই শুন্য হাতে ফিরিনি। বছর দুয়েক আগে কালুদা মারা যান ক্যান্সারে। কালুদা জাভেদদার থেকে ৬ মাস আগে ঢুকেছিলেন। কালুদা প্রায় জাভেদদার কাছে টাকা ধার নিতেন। আমি একদিন জাভেদদাকে বলেছিলাম, কেন দেন? জানেনতো কোন দিন শোধ করবে না, তাছাড়া টাকাটা নিয়ে তো মদ খেয়ে ওড়াবে। জাভেদদা হাসতেন। তিনি বলতেন, ‘জানি স্বপ্ননীল।কিন্তু কিকরব কালুদাকে না বলাটা খুব কষ্টের ব্যপার।কালুদার কাছে আমি কাজ শিখেছি। ধরে নাও গুরুদক্ষিণা দিচ্ছি। জাভেদদা এই রকমই। ভাল কাজের ক্রেডিট নিজে নেন না। বলেন এটা টিম ওয়ার্ক। কোন ভুল হলে বলেন আমার আর একটু স্টাডি করা উচিৎ ছিল। প্রতিদিন নিজেকে গড়তেন। আজ তার কর্ম জীবনের শেষ দিনে ভগবানের কাছে এটাই প্রার্থনা করব তিনি ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন। কোম্পানি হারাল একজন ডেডিকেটেড কর্মীকে আমরা হারালাম একজন বড়ো মনের সহকর্মীকে। জাভেদদাকে অনুরোধ করব তাঁর বর্ণময় জীবনের কিছু অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে ভাগ করে নিতে।
II
বয়স ৬২ হয়ে গেছে কিন্তু দূর থেকে দেখলে ৫০ এর ঘরেই মনে হয়। চুল গুলো কলপ করা। পেটানো শরীর। শরীরে একটুকুও অতিরিক্ত মেদ নেই। জাভেদদা হাতে মাইক্রোফোন নিয়ে কয়েক মুহূর্ত দর্শকদের দিকে চেয়ে রইলেন। একবার চোখ বন্ধ করলেন। আমরা এক দৃষ্টিতে চেয়ে আছি। স্বপ্ননীলদা একবার কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলেন শরীর খারাপ করছে কিনা? জাভেদদা হাত দিয়ে ঈশারা করে বললেন ঠিক আছি। আবার গলা ঝাঁকিয়ে বলতে গিয়ে মাইক্রোফোনটা পরে গেল।স্বপ্ননীলদা দৌড়ে গিয়ে মাইক্রোফোনটা তুলে বললেন, ঠিক আছে শরীর খারাপ লাগলে ছেড়ে দেন, আমরা কিছু উপহার নিয়ে এসেছি, সেগুলো দিয়ে দিই। এবারও জাভেদদা হাত দিয়ে বোঝালেন শরীর ঠিক আছে। পাশে টেবিলে রাখা জলের গ্লাসটা তুলে নিয়ে একটু জল পান করলেন। জাভেদদা এবার বলতে শুরু করলেন। স্বপ্ননীলকে ধন্যবাদ। এতো ভাল উপস্থাপনা আমি খুব কম দেখেছি। মিথ্যা কথা বলব না আমার ৪২ বছরের কেরিয়ারে আজ প্রথম একটু নার্ভাস অনুভব করলাম। কি বলব? কি বলার আছে আমার? চোখ বন্ধ করে ফ্ল্যাশ ব্যাকে নিজের জীবনটাকে দেখে এক অদ্ভুত অনুভূতি হল। সত্যি কথা বলতে এতদিন আমার সম বয়সী বন্ধুদের সাথে নিজের তুলনা করে একটু গর্ববোধ করতাম। বন্ধুদের মধ্যে যারা কাছের তাদের কাছে অনুযোগও করতাম, কিরে জীবনটাকে এই ভাবে কাটিয়ে দিবি? যাত্রা, থিয়েটার, গসিপ আর রাজনীতি নিয়ে। ওরা হাসত। মাঝে মাঝে অবশ্য প্যাঁক মেরে বলত, তোর আজ পয়সা হয়েছে, বাবু হয়েছিস তাই আমাদের সাথে মিসতে খারাপ লাগছে। আজকে না ঠিক মেলাতে পারছি না। কে বেশি খুশি! কে বেশি সফল! সফলতার সংজ্ঞাটা প্রত্যেকের কাছে তো আলাদা। আজ আমার বন্ধুদের আড্ডায় গিয়ে কোন কথা থাকে না। কারণ কয়েক দিন আগে পর্যন্ত আমার মাথায় একটা জিনিসই ঘুরত ‘প্রফিট’। কোম্পানি কোথায় শোরুম করলে সেল বেশি হবে, কোথা থেকে মাল কিনলে নিজেদের প্রোডাক্ট আরও সস্তায় বিক্রি করা যাবে এই নিয়ে। আমার জন্ম খিদিরপুর ডকের কাছে, এক বস্তিতে। চার ভাই বোন। বাবা দর্জির কাজ করতেন। মাধ্যমিক পাশ করে এই ডকের কাছেই এক জুতোর কারখানায় ১৬০ টাকা মাইনে কাজে ঢুকি।একদিন খিদিরপুর ডকে ইসমাইলদার সাথে দেখা। তিনি তখন নতুন জুতোর কারখানা খুলেছেন। তিনি বললেন ‘চলে আই আমার কাছে, ২০০ টাকা মাইনে ঈদে এক মাসের বোনাস সঙ্গে ওভার টাইম করলে ঘণ্টায় ১ টাকা। আজকের দিনে ভিখারীরাও ১ টাকা নিতে চায়না।আমি প্রায় দু-তিন ঘণ্টা ওভার টাইম করতাম। জাভেদদা আবার চোখ বন্ধ করলেন।কয়েক মুহূর্ত থেমে আবার শুরু করলেন। কোম্পানি বড়ো হতে লাগল আমারও কাজের দায়িত্ব বাড়তে থাকল। মিথ্যা কথা বলব না, ইসমাইলদা আমার কাজের মূল্য দিয়েছেন। কোম্পানি আমাকে বেহালায় একটা ফ্ল্যাটের ব্যবস্থা করে দেয়।আমি একটা সময় কাজ ছাড়া কিছুই বুঝতাম না।পরিবারের সদস্যদের সাথে সময় কাটানো আমার কাছে যেন বিলাসিতা। আমার এক মাত্র সন্তান মিরাজ হওয়ার সময় আমি থ্যাইল্যান্ডে ছিলাম।সেই বছরেই আমাদের কোম্পানি লিমিটেড হয়ে গেল। আমার বেতন এক লাফে অনেকটা বেড়ে গেল।কিন্তু আমি মিস করলাম সন্তান ভুমিষ্ট হওয়ার পর তার হাসি কান্না। এরপর ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে আমাদের শো-রুম খোলা শুরু হল।মাসের ১৫-২০ দিন বিভিন্ন রাজ্যেই কেটে যেতে লাগল। এরই মধ্যে একদিন হায়দ্রাবাদে শুনলাম মা-র স্ট্রোক হয়েছে। আমি ফ্লাইটে ফিরে পরের দিন সকালে নার্সিং হোমে গেলাম। ডাক্তার বললেন ঘণ্টা দুয়েক আগে আসলে হয়তো কিছু করা যেত। মা-র কাজ কর্ম শেষ করে ঢাকা গেলাম। ঢাকাতে শো-রুম খোলার অনুমতি পেলাম। আমাদের প্রোডাক্টের চাহিদা খুব দ্রুত গতিতে বাড়তে লাগল। আমরা কিছু জুতো আউট সোর্সিং শুরু করলাম। সেই সময় আমার কাছে দিনের ২৪ ঘণ্টা খুব কম সময় মনে হতো। সারাদিন দৌড়-ঝাপ করে বাড়ী ফিরে শরীর আর দিত না। আয়েশা একরাশ অভিযোগ নিয়ে হাজির হতো। ছেলে এই করেছে, কাল থেকে কাজের লোক আসেনা, বাথরুমের সাওয়ারটা খারাপ হয়ে গেছে। ইত্যাদি ইত্যাদি।বেশির ভাগ সময় কিছু বলতাম না। তারপরেও বেশি ঘ্যানঘ্যান করলে চিৎকার করে উঠতাম। এই ছোট সমস্যা গুলো তুমি সামলাতে পারছ না। আয়েশা আর কিছু বলত না। আমি এই একটা জায়গাতেই চিৎকার করতে পারতাম। বাকী সব জায়গাতেই আমাকে শুনতে হতো। কারো আবদার এবারের বোনাস যেন গতবারের থেকে বেশি হয়। কোন ইউনিট থেকে মাল চুরি হয়ে যাচ্ছে। কোন শো-রুমে কাষ্টমারের সাথে ভাল ব্যবহার করা হচ্ছে না। কারখানার কিছু কর্মী জুতোর গুনমানে নজর দিচ্ছে না। কোন রকমে মাল তৈরি করে দিচ্ছে। কেউ বলছে র-মেটিরিয়াল খারাপ কেউ আবার বলছে মেশিন পুড়নো হয়েগেছে। ১৯৯৮ জার্মানি গেলাম মাস-খানেকের জন্য। একটা মেশিন কেনার সাথে সাথে ওখানে একটা ওয়ার্কশপ অ্যাটেন্ড করলাম। একমাস পর দেশে ফিরলাম খুব খুশি মনে। নতুন মেশিনটা এসে গেলে আমাদের জুতো তৈরি করার খরচ অনেক কমে যাবে। দেশের বিভিন্ন জায়গা বা বিদেশে গেলে আয়েশার জন্য যে সব সময় কিছু কেনা হত তা নয়। কখনও সময় পেতাম না কখনও সেভাবে ইচ্ছেও হতো না। সব কিছুই তো কলকাতায় পাওয়া যায়। সেবার জার্মানি থেকে আয়েশার জন্য একটা ব্যাগ আর নিজের জন্য একটা ডিজিট্যাল কেমেরা এনেছিলাম। আয়েশার ব্যাগটা খুব পছন্দ হয়। আমি বললাম ব্যাগটা নিয়ে দাঁড়াও আমি একটা ছবি তুলি। আয়েশা ব্যাগটা হাতে নিয়েই কাঁদতে লাগল। আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই আয়েশা বলল, ‘দিন ১৫ আগে ভাই আমার ব্লাড টেস্টের রিপোর্ট নিয়ে এসেছে, ডাক্তার সন্দেহ করছে লিউকেমিয়া। মাস তিনেক থেকেই দুর্বল লাগছিল। মাঝে মাঝে ডান চোখটাতে কম দেখতাম’। আমি আবার চিৎকার করলাম তুমি আমাকে বলনি কেন? আয়েশা কাঁদতে কাঁদতে বলেছিল, ‘ভাবলাম ছোট সমস্যা তোমাকে আবার বিরক্ত করব’। আমার কিছু বলার ছিল না। এরপর আয়েশা এক বছর বেঁচে ছিল। কোম্পানি অবশ্য আয়েশার চিকিৎসার খরচ সবটাই দিয়েছিল। কিন্তু বাঁচাতে পারিনি। ছেলেকে হোস্টেলে পাঠিয়ে দিলাম। অনেকে বলেছিল বিয়ে করতে। আমার আর ইচ্ছে হয়নি। এরপর মাঝে মাঝে বাড়িও যেতাম না। কোম্পানির গেস্ট হাউসে থেকে যেতাম। গতবছর ছেলে ইউ.এস.এ তে গ্রীন কার্ড পেয়ে গেছে। এমনি এমনি পায়নি। সেখানকার এক মেমকে বিয়ে করেছে। সেই সব ব্যবস্থা করে দিয়েছে। জাভেদদা একটু থামলেন।পাশে রাখা গ্লাস থেকে জল খেয়ে নিলেন। আমাকে ক্ষমা করবেন আমি অযথা ব্যক্তিগত কথা বলে আপনাদের সময় নষ্ট করছি। আপনারা কোম্পানির সম্পদ। আশাকরি আগামী দিনে আপনারা কোম্পানিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবেন। শুধু যাবার আগে একটা কথা বলে যাই, জীবনে সাফল্য খুব প্রয়োজন, কিন্তু একই সঙ্গে সেই সাফল্যের আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার জন্য দু-চার জন কাছের মানুষেরও প্রয়োজন। আপনার পরিবারকে কিছুটা সময় দেবেন। ভাল থাকবেন। জাভেদদা কে গাড়িতে উঠিয়ে দিতে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম কি করবেন এরপর। তিনি বললেন, ‘ছোট বেলায় ইচ্ছে ছিল ছবি আঁকার, পয়সার জন্য শেখা হয়নি, ভাবছি ছবি আঁকা শিখব। মি. রায় একটা কথা বলি, জীবন মানে শুধু কাজের জায়গায় সাফল্য বা দৈনন্দিন জীবনে ভোগ নয়, কিছুটা উপলব্ধি করারও প্রয়োজন আছে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মাইনুল ইসলাম আলিফ অসাধারণ।শুভ কামনা আর ভোট রইল।আসবেন আমার গল্প আর কবিতায়।
মিঠুন মণ্ডল ধন্যবাদ দাদা...
বিশ্বরঞ্জন দত্তগুপ্ত এককথায় " ফাটাফাটি " । অনেক শুভকামনা আর ভোট রইল ।
মোঃ নুরেআলম সিদ্দিকী আপনার লেখায় একটু মজা পেয়েছি, সেটা হলো একটানে পুরোটা গল্প পড়ে যেতে পেরেছি। দৈনন্দিন জীবনের কিছু বৈশিষ্ট্য এঁকেছেন, বেশ ভালো লেগেছে। অনেক শুভ কামনা ভাই
মিলন বনিক কথকের ভঙ্গিতে গল্পের ধারাবাহিকতা পাঠককে অবশ্যই মুগ্ধ করবে.....শুভকামনা
ফেরদৌস আলম এক কথায় অসাধারণ! মুহুর্তের জন্য গল্পে হারিয়ে গিয়েছলাম। খুব খুব ভালো লাগলো।
জলধারা মোহনা বোকা থেকো, ক্ষুধার্ত থেকো.. উক্তিটি আমারও খুব প্রিয়। কি সাবলীল ধারায় গল্প লেখেন আপনারা, ঈর্ষা হয় কিন্তু... আমি দু'লাইন লিখেই হিমশিম খেয়ে যাই! ভালো লেগেছে পার্থিব জীবনের গল্পটা।

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

এই গল্পটি একজন ব্যক্তির। যিনি তার ফেয়ার ওয়েলের দিন তাঁর ব্যক্তিগত কিছু ঘটনা তুলে ধরেন তাঁর সহকর্মীদের কাছে। জাভেদ বাবু কর্ম জীবনের শেষ দিনে বুঝতে পারেন যে তিনি পার্থিব প্রায় সব কিছু অর্জন করেও তিনি সুখী নন। এই গল্পের মধ্যে দিয়ে বর্তমান সময়ে, মানুষের পার্থিব বস্তুর পেছনে ছুটতে গিয়ে ব্যক্তি জীবনে অসহায় হয়ে পড়াটা তুলে ধরা হয়েছে।

২৬ জুলাই - ২০১৭ গল্প/কবিতা: ১২ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪