উড়োচিঠি

পার্থিব (আগষ্ট ২০১৮)

শৈলেন রায়
  • ৩৯
জানিস, গাঙ্গুলি ….....
ভালোবাসা একটা আর্ট, আর আমরা প্রতিটা মানুষ এক একজন আর্টিষ্ট। জানিনা পাগলী তুই মানবি কিনা, আমি কিন্তু তোর রবি ঠাকুরের থেকে প্রেম করতে শিখিনি। তোর শরৎচন্দ্র কিভাবে ভালোবাসতে বলেছিল, সমরেশের কোন কথাটা উর্দ্ধৃতি করে বললে তোর নিউরন গুলো উত্তেজিত হয়ে যাবে কিংবা তোর জয়ীতা, অচলা – এগুলো কখনোই তোকে ইমপ্রেস করবার জন্য পড়িনি। ওদের থেকে খানিকটা জ়ীবনবোধ শিখেছি তবে কিভাবে ভালোবাসতে হয় এটা শিখব ভেবে কখনো ঐ বই গুলো ঘেটে দেখিনি। বারবার মনে হয়েছে আমার মানুষটাকে আমি আমার মত করে, আমার জীবনদর্শন দিয়ে ভালোবাসব। আর আমার ব্যাকরণে “আমি তোমাকে ভালোবাসি” বাক্যটির অর্থ খুবই অপ্রতুল।
তুই জানিস তোকে কখনো কেন বলিনি যে আমি তোকে সত্যিই অনেক ভালোবাসি ? অনেকবার চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু … কিন্তু কি মনে হয়েছিল জানিস ? মনে হয়েছিল এই ৩টি শব্দের বাক্যটি দিয়ে আমি কখনোই তোকে বোঝাতে পারব না যে আমি তোকে কতটা ভালোবাসি। এক রাতে খুব জোরে বৃষ্টি হচ্ছিল, আমি দরজাটা চাপিয়ে দিচ্ছিলাম। কেন জানিনা তোর কথা মনে হল, তুই বৃষ্টিতে ভিজতে অনেক ভালোবাসিস। আমি সেদিন রাতে আমি ভিজেছিলাম রে, হয়ত তুই সর্দির ভয়ে জানালা আটকে বসে ছিলি কিন্তু আমি ভিজেছিলাম। খুব মিস করছিলাম তোকে … তোর অনুমতি না নিয়েই তোকে নিয়ে একটু সপ্ন দেখেফেলেছিলাম, একটা লাল শাড়ী, খোলা চুলে তুই মাথাটা নিচু করে তাকিয়ে আছিস মাটির দিকে, বৃষ্টির ফোটাগুলো অদ্ভুত ভাবে গড়িয়ে পড়ছিল তোর নাক, চুল আর শাড়ীর আচল বেয়ে। আমাকে মাফ করিস, খুব ইচ্ছা হচ্ছিল তোকে যদি জড়িয়ে ধরতে পারতাম। কেননা এতগুলো বৃষ্টির ফোটা আমার মনটাকে একটুও ভিজিয়ে দিয়ে পারছিল না, আমার তোকে দরকার ছিল। না পাগলী… তুই কামনার অনেক উর্ধে, তোকে যে আমি আমার নিজের অদেখা আত্তার চেয়েও বেশি শ্রদ্ধা করি। সেদিন সপ্নের মধ্যেই ইচ্ছে হয়েছিল তোকে বলে দিই যে আমি তোকে ভালোবাসি। কিন্তু পারিনি। খুব অভিমান হচ্ছিল বাংলা ভাষাটার উপরে, বারবার মনে হচ্ছিল তোকে বুঝিয়ে বলবার মত ভাষাজ্ঞান আমার নেই। তারপরো যদি তোকে ঐ সস্তা প্রেম নিবেদন করতাম তাহলে সত্যিই আমার ভালোবাসার অশ্রদ্ধা হতো।
তোর জন্য কত কি করব বলে ভেবে রেখেছিলাম জানিস ? ভেবেছিলাম সৃষ্টিকর্তার কাছে গিয়ে সূর্যের নামে অভিযোগ জানিয়ে আসব, বলব তোর জানালায় যেন বেশি রোদ না দেয়। ভেবেছিলাম তোর মন খারাপ থাকলে মেঘের বাড়ি ছুটে গিয়ে বৃষ্টিনামাতে বলব। তুই যেদিন চাইবি সেদিনই কুয়াশা থাকবে,আবার তুই চাইলেই মিষ্টি রোদে আকাশ ভাসবে। আর তোর সামনের চুল গুলোকেও অনেক বকা দিয়ে দেব ভেবেছিলাম, ওগুলো বার বার তোর চোখের সামনে চলে আসলে তোর খুব বিরক্ত লাগত আমি খেয়াল করেছি। তুই জানতিস না, আরো কতকিছু করব বলে ভেবে রেখেছিলাম তোর জন্য !!! কিন্তু ততদিনে কে নাকি তোকে বলে ফেলেছে “আমি তোমাকে ভালোবাসি”। তুইও নাকি দুম করে ওর ডাকে সাড়া দিয়েছিলি। আচ্ছা ও কি তোকে সত্যিই ভালোবাসে ? আমি জানিনা, তবে এটুকু জানি তুইও ভালোবাসিস। কিন্তু ওর আর আমার মধ্যে একটা পার্থক্য আছে কি জানিস ? তোর রাজপুত্রটা তোকে কতটা ভালবাসে এর সীমানা নির্ধারন করতে পেরেছে, তাই বলেছে “আমি তোমাকে ভালোবাসি” … কিন্তু আমি আজও ভালোবাসার সংজ্ঞাটিকে সীমানাবদ্ধ করতে পারিনি, বুঝে উঠতে পারিনি যে আমি তোকে আসলে কতটা ভালোবাসি। আর নিজেই যখন বুঝিনি, তখন তোকে কিভাবে বোঝাব !!!


ইতি
গৌরাং

পুনশ্চঃ যদি কখনো ভালোবাসা নামক ঘুড়ির সুতোয় টান পড়ে........আমায় স্বরণ করিস.. তোর অমর্যদা হবে না।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
বিশ্বরঞ্জন দত্তগুপ্ত বেশ কয়েকদিন পর আপনার লেখা পেলাম । গল্পটি পড়ে ভাল লাগল । শুভকামনা সহ ভোট রইল ।
মাইনুল ইসলাম আলিফ অসাধারণ ,অসাধারণ গল্প।আমার ভীষণ ভাল লেগেছে।শুভ কামনা আর ভোট রেখে গেলাম সাথে আমার গল্প আর আমার কবিতায় আমন্ত্রণ জানিয়ে গেলাম।

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

এটি একটি প্রেম পত্র যা পার্থিব কিংবা জাগতিক নিয়মের মধ্যেই পড়ে.........

১৪ মে - ২০১৭ গল্প/কবিতা: ১২ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪