কুয়াশা

প্রশ্ন (ডিসেম্বর ২০১৭)

মৌরি হক দোলা
  • ১০
  • ১৬
সকালের মিষ্টি রোদ আর হালকা শীতের আমেজ। আসি আসি করে শীতটা প্রায় চলেই এল। এ বছর বোধ হয় একটু তাড়াতাড়ি-ই শীত শুরু হতে চলল। অন্যান্য বছর তো এত তাড়াতাড়ি শীতের দেখা পাওয়া যায় না। শুনেছি নভেম্বরের শেষের দিকটায় গ্রাম এলাকায় শীত শীত আমেজটা শুরু হয়। আর আমাদের রাজধানীতে তো তা হয় আরও পরে। কিন্তু এ বছর যেন নভেম্বর মাস আসতে না আসতেই একেবারে শীতের ধুম পড়ে গেল। আমরা রাজধানীতেই সিলিং ফ্যান চালানো বন্ধ করে দিয়েছি আরও আগে, না জানি গ্রামের দিকটায় কী অবস্থা।

আচ্ছা, দেশের জলবায়ুর কী পরিবর্তন হচ্ছে ? কারণ, এখন তো শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা- কেবল এ তিনটি ঋতুই বেশ ভালোভাবে অনুভব করা যায়। শহরে থাকার কারণে তো বাকি তিনটির আমেজ একেবারেই বুঝতে পারি না। জানি না, গ্রামে ঐ তিনটি ঋতু ভিন্ন কোনো বার্তা নিয়ে আসে কি না। হয়তো বা আসে, হয়তো বা না। আর যদি না-ই আসে তবে তো বলতেই হবে যে, বাংলাদেশ তিন ঋতুর দেশ !

সে যাক গে, এখন আর বাংলাদেশের ঋতুবৈচিত্র্য নিয়ে গবেষনা করে লাভ নেই। আজ এমনিতেই ঘুম থেকে উঠতে খুব দেরী করে ফেলেছি। এখন তাড়াতাড়ি গোসল সেরে, তৈরি হয়ে অফিসের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়তে হবে। নইলে আজ কপালে বসের ঝাড়ি একেবারে শতভাগ নিশ্চিত!

আমি হলাম দেশে বহুল প্রচলিত একটি সংবাদপত্রের রিপোর্টার। সংবাদপত্রের তালিকায় আমাদেরটার নাম একেবারে প্রথম সারির প্রথম দিকে। ছেলেবেলা থেকে ভীষণ শখ ছিল টেলিভিশনে সংবাদ পড়ার। কিন্তু সে সৌভাগ্য এখনও হয়ে উঠে নি। তবুও এ পেশার যেকোনো একটা দিকের সাথে তো যুক্ত আছি। নিজের স্বপ্নের পেশার সাথে যুক্ত থাকবার আনন্দটাই আলাদা।

স্কুলে পড়াকালীন সময়ে কেন যেন এ পেশার প্রতি আমার অদ্ভুত এক ভালোলাগা, শ্রদ্ধাবোধ জন্ম নিল। কেন যেন মনে হচ্ছিল যে এটাই আমার জীবন পরিচালনার মাধ্যম। অন্য কোনো পেশার প্রতি আর কখনও কোনোরকম আগ্রহ এলই না। বাবা-মায়ের থেকেও সবসময় নিজের স্বপ্ন পূরণের জন্য উৎসাহ পেয়েছি। আর তাই হয়তো বা মেয়ে হয়েও আজ এই রকম একটা পেশার সাথে যুক্ত আছি, যেখানে সবাই জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে ভয় পায়।

আজ অফিসে যেতেই বস একটি দায়িত্ব দিয়ে দিলেন। বিজয় দিবস আসতে খুব বেশি দেরী নেই। আর এই বিশ দিনের মতো বাকি। এবার বিজয় দিবস উপলক্ষে একটি বিশেষ সংখ্যা বের করা হবে। সেখানে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বসবাসকারি পাঁচজন মুক্তিযোদ্ধার সাক্ষাৎকার ছাপানো হবে। এই সাক্ষৎকার নেবার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে পাঁচজনকে, তার মধ্যে আমি একজন। আমি যাঁর সাক্ষৎকার নেব, তাঁর বাড়ি দক্ষিণান্ঞ্চলের এক গ্রামে। তবে রাজধানী থেকে খুব বেশি দূরে নয়, কাছাকাছিই।

আমি পুরোপুরি শহরের মেয়ে, শহরে জন্ম আর এই শহরেই বেড়ে ওঠা। গ্রামে তো স্বপ্নের মধ্যেও কখনো যাই নি। ফিল্মে, ফটোতে যা দেখেছি আর সবার কাছ থেকে গ্রামের যে মোহনীয় বর্ণনা শুনেছি, তার থেকে মনে হয়েছে আমাদের দেশের গ্রামগুলো স্বর্গের চেয়েও সুন্দর। বর্ণনা শুনে আমি আমার মনের মানসপটে গ্রামের এক স্নিগ্ধ, শীতল ছবি একেঁছি। ওহ্, সে তো অপরূপ! অসাধারণ! শুনেছি গ্রামের পরিবেশ, প্রকৃতি, মানুষ- সমস্তকিছুই সরল, স্বচ্ছ। প্রকৃতির মতো ওখানকার মানুষগুলোর মনগুলোও না কি সতেজ।

অন্যান্য বারের তুলনায় এবার কাজটার প্রতি একটু বেশিই আগ্রহ বোধ করছি। কারণ এবার কাজটার মাধ্যমে এমন একজনের সাথে কথা বলা হবে যিনি দেশ রক্ষার জন্য জীবনবাজি রেখেছিলেন, যিনি কখনো হেরে যাবার ভয় করেন নি। আবার একই সাথে আমাদের দেশের প্রকৃত রূপও স্বচক্ষে দেখা হয়ে যাবে। এক ধরনের যান্ত্রিক পরিবেশের মধ্য দিয়ে বেড়ে ওঠা একটি মেয়ের কাছে এর চেয়ে পাওয়া আর কী হতে পারে ?

মনে মনে যেমনটা কল্পনা করেছিলাম ঠিক তার চেয়ে হাজার গুন বেশি সুন্দর আমাদের এই গ্রামবাংলার প্রকৃতি, যেন ভাবনার বাইরে! কী সুন্দর গ্রামের আঁকাবাঁকা মেঠোপথ আর তার দু’পাশের মাঠের ফসলের সারি। যতদূর চোখ যায় সবুজের সমারোহ। কোথাও কোথাও স্বচ্ছ পানির জলাশয়- কোনোটা বড়, কোনোটা ছোট, কোনোটা আবার মাঝারি। কোনো কোনো জলাশয়ে আবার জাল পেতে রাখা, নিশ্চয়ই মাছ ধরবার জন্য রাখা হয়েছিল ? সত্যি, লাখো শহীদের রক্তে কেনা বাংলাদেশ বোধ হয় এটাই, যেখানে সমস্তকিছুই খাঁটি, একেবারে নির্ভেজাল।

মুক্তিযোদ্ধা মো: হাশেম মিয়ার বাড়ির উত্তর দিকটায় আমাদের বসবার জন্য ব্যবস্থা করা হল। ও দিকটায় রোদ আসে ভালো। শীতের দিনে রোদ পোহাবার জন্য ওটাই না কি উনাদের বাড়ির সবচেয়ে ভালো স্থান। তাই এরকম ঠান্ডা ঠান্ডা আবহাওয়ায় আমাদের বসার জন্য তারা ঐ জায়গাটাতেই ব্যবস্থা করলেন। বেশ সুন্দর বাড়িটা। আমি বেশ কিছুক্ষণ বাড়ির চারপাশে ঘুরাঘুরি করে কয়েকটা সুন্দর ছবি তুলে নিলাম। এরপর শুরু করলাম আমার মুখ্য কাজ। আমাদের শ্রদ্ধেয় বীর মুক্তিযোদ্ধা হাশেম মিয়ার সাক্ষাৎকার নিতে শুরু করে দিলাম।

সাক্ষাৎকার নিতে নিতে তাঁর কাছ থেকে জানতে পারলাম তাঁর স্বচক্ষে দেখা মুক্তিযুদ্ধের কথা, তাঁর মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করবার গল্প আর পাক-হানাদার বাহিনীর নৃশংসতম হত্যাকান্ডের ইতিহাস। তাঁর সাথে কথা বলার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের নানা অজানা বিষয় জানতে পারলাম। তিনি বেশ উৎসাহ নিয়ে আমার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিলেন।

সাক্ষাৎকারের সবশেষে আমি তাঁকে অনুরোধ করলাম বাংলাদেশের স্বাধীনতা সম্পর্কে তার অনুভূতি ব্যক্ত করার জন্য। তখন তিনি আমায় অবাক করে দিয়ে একটু মুচকি হেসে বললেন, ‘ দেখুন, বাংলাদেশ আমার দেশ, আমাদের দেশ। আমরা জীবন বাজি রেখে, রক্ত দিয়ে এ দেশকে শত্রুমুক্ত করেছিলাম। বিজয়ের পতাকা ঐ নীল আকাশে উড়িয়েছিলাম। কিন্তু স্বাধীনতা ? হ্যাঁ, বাংলাদেশ আজ সত্যি স্বাধীন, তবে তা শুধুমাত্র খাতাকলমে, বাস্তবে নয়। আমার কথা শুনে অবাক হচ্ছেন ? হ্যাঁ, তা আপনি হতেই পারেন। কিন্তু একটাবার ভেবে দেখুন তো, জাতির পিতা যে আমাদের দেশকে স্বাধীন করবার জন্য অনুপ্রানিত করেছিলেন, সেটা কিসের জন্য ? ত্রিশ লক্ষ মানুষ যে নিজেদের শরীরের রক্ত দিয়েছিলেন সেটা কিসের জন্য ? শুধুমাত্র পাকসেনাদের দেশ থেকে তাড়াবার জন্য ?

না! আমরা সবাই দেশের জন্য লড়াই করেছিলাম এমন একটি দেশের আশায়, যেখানে প্রতিটি মানুষ স্বাধীনভাবে বাঁচতে পারবে, যে দেশের মাটিতে সবসময় ন্যায় বিচার হবে আর যেখানে কেউ তার প্রাপ্য অধিকার থেকে বন্ঞ্চিত হবে না। কিন্তু... কোথায়!’

কথা বলবার এই সময়টাতে এসে তিনি একটু থামলেন। চোখেমুখে নিরাশায় ভরা হাসির ভাব এনে তিনি আবার বলতে শুরু করলেন, ‘রোজই তো পত্রপত্রিকা পড়ি। খুন, ধর্ষন- প্রতিদিন, প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। কিন্তু এর কোনো সঠিক বিচার হচ্ছে কি ? না কি এসব অন্যায় অত্যাচার বন্ধ হচ্ছে ? আর সবচেয়ে বড় বিষয় যেটি সেটি হল এই দেশকে যিনি স্বাধীন করে দিয়ে গেলেন, তাঁকেই তাঁর নিজের দেশের মাটিতে নির্মমভাবে হত্যার শিকার হতে হল। তাহলে আপনিই বলুন, বাংলাদেশ কী সত্যিই স্বাধীন হয়েছে ?

না, বাংলাদেশের স্বাধীনতা আজও অর্জিত হয় নি। আমাদের এই দেশ কেবলমাত্র একটি পৃথক রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। এছাড়া আর কিছই না! বাংলাদেশ স্বাধীন হতে এখনও বহুপথ বাকি।’

আমাদের শ্রদ্ধেয় মুক্তিযোদ্ধার কাছ থেকে এ কথাগুলো শুনবার পর আমি যেন আর আমিতে ছিলাম না, অনেক বড় একটি সত্যির ভিড়ে হারিয়ে গিয়েছিলাম। তাঁর প্রতি আমার শ্রদ্ধাবোধ যেন আগের চেয়ে অনেক বেশি বেড়ে গেল। সাক্ষাৎকার শেষ করে আমি তাঁর থেকে বিদায় নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পরলাম। ফিরতে ফিরতে প্রায় সন্ধ্যে হয়ে এল। কি জানি, সন্ধ্যের গ্রামটা কেমন দেখতে!

সকাল বেলা ঘুম থেকে জেগেই আগে খবরের কাজটা হাতে নিলাম। আজ ডিসেম্বরের ১৬ তারিখ, বিজয় দিবস। আজ আমাদের পত্রিকার বিশেষ সংখ্যা বের হয়েছে। সেখানে আমাদের সবার নেয়া সাক্ষাৎকারগুলো ছাপা হয়েছে, আমারটা প্রথম পাতাতেই। আমি পত্রিকাটা হাতে নিয়ে অন্যদের নেয়া সাক্ষাৎকারগুলো পড়তে শুরু করলাম। পড়ার সময় আমার ফোনে হঠাৎ একটি কল এল। কলটা রিসিভ করতেই শুনতে পেলাম, ‘মিস্ সুলতানা, গত রাতে সেগুন বাগিচার এক রোডে একটি মেয়ে গণধর্ষনের শিকার হয়েছে। আমাদের এখুনি ওখানে রিপোর্ট করবার জন্য যেতে হবে। আপনি এখুনি অফিসে চলে আসুন।’

ওহ্, আবার খুন, আবার ধর্ষণ। মুক্তিযোদ্ধা মো: হাশেম মিয়ার বলা কথাগুলো আবার মনে পড়ে গেল। তাহলে বাংলাদেশ সত্যিই স্বাধীন হয় নি, তাই না ?

কী জানি! প্রশ্নটার উত্তর আমি বুঝতে পারছি না। প্রশ্নটার চারপাশে ঘন কুয়াশা জমাট বেঁধে রয়েছে। সেই কুয়াশা কবে কাটবে কে জানে! আচ্ছা, বাংলা মায়ের কোলে কী আবার এমন কেউ জন্ম নিতে পারে না, যে এই সমস্ত কুয়াশার জাল ছিড়ে ফেলবে ?

কয়েক দিন ধরে শীতটাও তো বেড়েই চলেছে। বাইরে এখন ঘন কুয়াশাও হয়, দূর হতে কিছুই পরিষ্কার দেখা যায় না। পৃথিবীর সবকিছুকেই যেন ঘনকুয়াশা আচ্ছাদিত করে রেখেছে, যাকে ভেদ করে আলোর রেখা আসতে পারছে না!!
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
Farhana Shormin শীতের দিনে গল্পটি ভালই লেগেছে
ভালো লাগেনি ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৭
ধন্যবাদ...
ভালো লাগেনি ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৭
ওয়াহিদ মামুন লাভলু দেশের স্বাধীনতার জন্য যারা সংগ্রাম করেছিলেন তারা তো আশা করেছিলেন সবাই প্রাপ্য অধিকার পাবে, কিন্তু কোথায় সেই অধিকার? মানুষ যেখানে অনাকাংখিতভাবে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করছে সেখানে আদৌ কি দেশ স্বাধীন হয়েছে? এই প্রশ্ন সবার। বিষয়ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ মানসম্পন্ন একটি সুন্দর গল্প। শ্রদ্ধা জানবেন লেখক। অনেক শুভকামনা রইলো। ভাল থাকবেন।
ভালো লাগেনি ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৭
ধন্যবাদ...শুভকামনা ও শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্যও...
ভালো লাগেনি ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৭
মামুনুর রশীদ ভূঁইয়া বাষ্প ও কুয়াশা একই রকম... দু’টির উৎসও এক... তবে একটি তপ্ত অন্যটি শীতল... প্রতিদিনের ভয়াবহতা রক্তকে শীতল করে দেয়...আবার প্রতিবাদী লেখনি সে রক্তকেই টগবগিয়ে দেয়...লেখাটি ভালো লেগেছে.. ধন্যবাদ
লেখাটি ভালো লেগেছে জেনে খুব ভালো লাগল...আপনাকেও জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ...
ভালো লাগেনি ২২ ডিসেম্বর, ২০১৭
মাইনুল ইসলাম আলিফ স্বাধীনতার অতি আধুনিক একটা গল্প।শুভ কামনা।আমার পাতায় আমন্ত্রণ।
ভালো লাগেনি ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৭
ধন্যবাদ।
ভালো লাগেনি ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৭
সাদিক ইসলাম মা এর বেদনা চিরন্তন। ভালো লাগলো। আমার গল্পে আমন্ত্রণ।
ভালো লাগেনি ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৭
ধন্যবাদ।
ভালো লাগেনি ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৭
%3C%21-- %3C%21-- Khub bhalo laglo. Vote rekhe gelam :)
ভালো লাগেনি ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৭
ধন্যবাদ।
ভালো লাগেনি ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৭
মোঃ নুরেআলম সিদ্দিকী গল্পের ধারাবাহিকতা খুব ভালো লেগেছে, কিন্তু ব্যাপার হলো→ হয় তো সে সন্তান জন্মগ্রহণ করেছে, কিংবা মানুষ হয়ে উঠেছে, কিন্তু দেশের অরাজনৈতিক অবস্থা দেখে সেও চুপসে গেছে..... যাক গে, শেষে বলবো অসাধারণ গল্প। অনেক অনেক শুভকামনা ও ভোট রইল.....
ভালো লাগেনি ১২ ডিসেম্বর, ২০১৭
ধন্যবাদ। কিন্তু ভাইয়া ‘সন্তান জন্মগ্রহণ করেছে কিংবা মানুষ হয়ে উঠেছে...’ কথাগুলোর অর্থ বুঝতে পারলাম না, দুঃখিত!
ভালো লাগেনি ১২ ডিসেম্বর, ২০১৭
আপনি শেষে একটি প্রশ্ন রেখেছেন→ আচ্ছা বাংলা মায়ের কোলে কি আবার এমন কেউ জন্ম নিতে পারে না, যে এই সমস্ত কুয়াশার জাল ছিড়ে ফেলবে? এই জন্য আমি বলেছি যে, হয় তো এমন কেউ জন্ম নিয়েছে, কিংবা একদিন মানুষ হয়েও উঠেছে। কিন্তু দেশের অরাজনৈতিক অবস্থা দেখে সেও চুপসে গেছে.... আশা করি, বুঝতে পেরেছেন।
ভালো লাগেনি ১২ ডিসেম্বর, ২০১৭
হুমম... বুঝতে পেরেছি...সুন্দর বলেছেন। ধন্যবাদ আর অনেক অনেক শুভকামনা।
ভালো লাগেনি ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৭
মুশফিক রুবেল দোলা আপনার চিন্তার সাথে সহমত , ভাল লাগলো , অল্প কথায় অনেক সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন , শুভ কামনা রইলো , সময় পেলে আমার গল্পটি পড়ার অনুরোধ রইলো
ভালো লাগেনি ১১ ডিসেম্বর, ২০১৭
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ... শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
ভালো লাগেনি ১১ ডিসেম্বর, ২০১৭
সেলিনা ইসলাম সন্তান জন্ম দিতে প্রসব বেদনার কষ্ট কেবল একজন মা-ই জানে। তেমনি দেশকে শত্রুমুক্ত করার কষ্ট কেবল একজন যোদ্ধাই জানে। আর তাই বাংলাদেশের বর্তমান সময়ে যে অবস্থা তাতে একজন মুক্তিযোদ্ধার ক্ষোভ প্রকাশ পাওয়াটা খুবই স্বাভাবিক মনে হয়। কুয়াশা আবৃত দেশপ্রেম যেদিন স্বচ্ছ হবে এবং নৈতিকতা আলোর মুখ দেখবে সেদিন আর কোন হাশেম মিয়ার ক্ষোভ প্রকাশ পাবে না। চমৎকার থিমে সুন্দর গল্প। অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
ভালো লাগেনি ১০ ডিসেম্বর, ২০১৭
ধন্যবাদ। আপনার জন্যও রইল অনেক অনেক শুভকামনা।
ভালো লাগেনি ১১ ডিসেম্বর, ২০১৭
সাইয়িদ রফিকুল হক আমাদের স্বাধীনতা চিরবহমান। হাশেম মিয়া চরিত্রটি ভালো লাগেনি।
ভালো না লাগার কারণ ?
একজন মুক্তিযোদ্ধা কখনওই দেশের স্বাধীনতাকে অবজ্ঞা করতে পারেন না। আমাদের হাজারো সমস্যা থাকতে পারে। কিন্তু বহু রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীনতা কখনও প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে না। আমাদের স্বাধীনতা অমূল্য। আমাদের দেশে নানান সমস্যা আছে বলে আমরা কখনও বলতে পারি না “দেশে এখন স্বাধীনতা নাই! আমাদের স্বাধীনতা নাই! আমরা এখনও স্বাধীন হইনি! ইত্যাদি।” কিংবা আপনার গল্পের অন্যতম কেন্দ্রীয় চরিত্র হাশেম মিয়া যেমন বলেছেন, “হ্যাঁ, বাংলাদেশ আজ সত্যি স্বাধীন, তবে তা শুধুমাত্র খাতাকলমে, বাস্তবে নয়।” আবার গল্পের প্রধান কেন্দ্রীয় চরিত্র মিস্ সুলতানা বলেছেন, “তাহলে বাংলাদেশ সত্যিই স্বাধীন হয় নি, তাই না ?” এগুলো গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্রের মুখ থেকে উচ্চারিত হতে পারে না। সাধারণ কোনো চরিত্র বললে সমস্যা হতো না। সাহিত্যের একজন ছাত্র ও সমালোচক হিসাবে কথাগুলো ইতিবাচদৃষ্টিভঙ্গি থেকে বলেছি। আপনি মনে কষ্ট নিবেন না। বন্ধু হিসাবে বলছি, আপনার গল্পের অন্যান্য দিক ভালো হয়েছে। আর সমালোচনা করেছি, আপনার ভবিষ্যৎ আরও সুন্দর করার জন্য। ভুল বুঝবেন না বন্ধু। নিয়মিত লিখুন। আপনার পাঠক হলাম। ভালো থাকুন। শুভকামনা। আর বন্ধুত্বের অনুরোধ পাঠালাম।
পাঠকের আলোচনা-সমালোচনাই একজন লেখকের লেখার অনুপ্রেরণা। তাই প্রথমত এটিকে আমি ইতিবাচক দিক হিসেবেই সবসময় নেই। আর কেন যেন সবসময় যেটা লিখতে চাই, লিখি, পরে দেখি সেটা অন্য অর্থে চলে গিয়েছে। হয়তোবা লেখালখিতে নতুন বলেই এ ধরনের সমস্যা হয়। তবে আপনাদের অনুপ্রেরণা থাকলে অবশ্যই হয়তোবা একসময় এ সমস্যার সমাধান করতে পারব। তাই আশা করব সবসময় পাশে থাকবেন, অনুপ্রেরণা দিবেন। আর আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ...শুভেচ্ছা জানবেন।

২৮ এপ্রিল - ২০১৭ গল্প/কবিতা: ১৪ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪