জহিরের কথাগুলো দৈববাণী হয়। আরেক ফাল্গুনে দেখো, জনতার স্রোত, সত্যিই দ্বিগুণ হয় - রাজপথে নেমে আসে, গলিত লাভার মত; স্ফুলিঙ্গ অনল হয়ে দাবানল হয়। বাংলার ঘরে ঘরে গাফফার গেয়ে উঠে, আমার ভায়ের রক্তে রাঙ্গানো ........ একুশের গান।
আমাদের অন্তর্গত হৃদয়ের বাণী, ছড়ায় সমগ্র বিশ্বে - গানে গানে, কবিতা কথায়। সুদূর টরেন্টো হয়ে, চেরিদের বনে, পৌছে যায় বাংলার প্রতিবাদী সুর। ঝংকারে মথিত হয়, লাল রং ক্যাঙ্গারুর ভূমি। মাতৃভাষা স্মৃতিসৌধ, মাথা তোলে দেশে দেশে, মায়ের ভাষার দাবী প্রতিষ্ঠিত করে।
শুন হে বরকত শুন, শুন হে সালাম, তোমাদের আত্মত্যাগ ব্যর্থ হয় নাই। তোমরা দিয়েছ প্রাণ, তাই - আমরা মায়ের বোলে, কথা বলি, গান গেয়ে যাই।
জহির রায়হানকে নিবেদিত। তার অমর উপন্যাস, “আরেক ফাল্গুন” অনেক বছর আগে পড়া - ঘটনা মনে নেই। শুধু শেষ লাইনটা মনে আছে – “আসছে ফাল্গুনে আমরা দ্বিগুণ হবো”। একুশের জনতার ঢলকে উদ্দেশ্য করে বলা।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
জাফর পাঠাণ
বাস্তবতার সাগরে হাবু ডুবু খাওয়া একটি সুন্দর কবিতা উপহার দিয়েছেন ।কিন্তু প্রশ্ন হল শুধু জহির রায়হানকে কেন ভাই - জরি রায়হানতো আমাদের মাঝেই বেচে আছে তাই আমাদেরকে কি কিছু শেয়ার করা যায়না ? পয়েন্টের সাথে ধন্যবাদ দিতেও ভুলিনি কিন্তু !
আহমেদ সাবের
গত এক মাসে নানা কারণে আমি অন্যদের লেখা পড়তে এবং মন্তব্য করতে না পারলেও অনেকে আমার সামান্য লেখাটা পড়েছেন এবং মন্তব্য করেছেন। তাদের সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ। চেষ্টা করব, এ মাসে যেন সবার লেখা পড়তে পারি। গত এক মাস সময় এবং কম্পিউটারের অভাবে মার্চ সংখ্যার জন্য কোন লেখা জমা দিতে পারিনি। দোয়া করবেন, এপ্রিল সংখ্যার জন্য যেন লেখা জমা দিতে পারি।
আহমেদ সাবের
দেশে যাব, আত্মীয় স্বজনদের সাথে দেখে হবে। এবার বাড়তি পাওনা, গল্প-কবিতার বর্ষ-পূর্তি অনুষ্ঠানে এক ঝাঁক তরতাজা আত্মার আত্মীয়ের সাথে দেখা হবে এক বছরের ভার্চুয়্যাল দর্শনের পর। কেউ কেউ এয়ারপোর্টে আসতে চেয়েছিলেন। বারণ করেছি। কারণ কদিন পর তো দেখা হচ্ছেই। কম্পিউটারের অভাবে নিয়মিত গল্প-কবিতায় যেতে পারছিনা। সাতই জানুয়ারি এক বন্ধুর মারফত খবর পেলাম, গল্প-কবিতার বর্ষ-পূর্তি অনুষ্ঠান হচ্ছে না। কেন হচ্ছেনা, জিজ্ঞেস করতে রুচিতে বাধল। আজও জানি না, কারণ কি? জানার ইচ্ছেও নেই। গল্প-কবিতার বর্ষ-পূর্তি অনুষ্ঠান নিয়ে কত আশা ভরসা আর পরিকল্পনা ছিল; সবই বৃথা গেল। আমার কথা বাদই দিলাম। যারা এত দিন প্রচুর সময় দিয়েছেন, তাদের সবার জন্য বড্ড কষ্ট হল। এর পরেও দেখা হয়েছে অনেকের সাথে - নৈঃশব্দ্যের শব্দযাত্রার মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে আর ১৭ ফেব্রুয়ারির বন্ধু মেলায়। উচ্ছল নদীর স্বতঃস্ফূর্ততা যেন অনুপস্থিত। সবার মনের কোনেই যেন এক টুকরো বেদনার মেঘ দানা বেধে আছে। যে আশঙ্কা বার বার করেছি, সেটাই অনভিপ্রেত ভাবে সত্য হয়ে উঠল। অনেকে নীরব অভিমানে দূরে সরে গেলেন।
মোঃ শামছুল আরেফিন
চাচা খুব ভাল লাগলো আপনার এই কবিতাটি পড়ে। আমাদের দেশে একুশে ফেব্রুয়ারি এখন অনেকটা উৎসবে পরিণত হয়েছে। শহীদ বেধিতে ফুল দিতে যাওয়া জনতার ঢল বাড়ছে দিনকে দিন। আমাদের একুশের চেতনা উদ্ভাসিত হোক এভাবেই।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।