ক্লান্ত হয়ে ফিরে এসেছে দু'হাত, বুকের গভীরে জমানো দীর্ঘশ্বাস অবিকল সংক্ষিপ্ত অধ্যায়ের রচিত গল্পগ্রন্থ কিংবা শিশির স্নাত ভোরে লাল, নীল আর সাদা অভিমান! অবেলায় খেয়ালে বেখেয়ালে শূন্যতায় দাঁড়িয়ে গ্রীষ্মের রৌদ্রে বিভোর অন্ধকার বীথির আড়ালে ঘাপটি মেরে তাকিয়ে থাকে এক মহাকাল; ভাবিনি অনায়াসে কেটে যাবে কত দিন, কত রাত অনাদিকাল হৃদয়ের উৎস হতে মোমের আঁচর বেয়ে বেয়ে ভিজিয়ে দিবে নীরবতার শহর!
কিছু অগোছালো রাত ঘুটিয়ে নেয় সানাইয়ের সুর, অধরকোণে জমানো হাসি, আকস্মিক অনুভূতির মায়াজাল; অথচ ভেঙে ছারখার এ হৃদয়ের দিকে তাকিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে গোধূলির শেষ আলো! স্বপ্ন আসে, স্বপ্ন ভাসে; এক অবাক দৃষ্টিতে কামিনী তাকিয়ে থাকে অদ্ভুত রকমে কাঁচ ভাঙে, মিথ্যের অজুহাতে ঝুরঝুর বালির মতন ভেঙে পড়ে ফেরারি প্রলেপ মাখা একফালি স্মৃতিচারণ ছুঁয়ে দেয় অবধারিত শাব্দিক রাজপথ!
মাঝেমাঝে এক একটি উড়ো বার্তা জুড়ে এসে বুকের ভেতরটা মোচড় দিয়ে দেয় ভাবনার সিঁড়ি বেয়ে খুব সহজে কিনে নেয় রক্তিম সূর্যটা; অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকি, আধখাওয়া চাঁদের মতো অভুক্ত হয়ে পড়ে থাকি! বিষণ্ণতার আড়ালে জমাট বাঁধে মৌচাক; যেখানে জমে থাকে ছাই চাপা ইতিহাস আর তীব্র সমালোচনা অথচ কাফন ছাড়া হাজার স্বপ্ন দাফন করে এই র্নিলিপ্ত দু'নয়ন আর একাকী চাঁদ এক অদৃশ্য দেয়াল ভেদ করে তাকিয়ে থাকে!!
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা
ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য
আমাদের সমাজে কিছু মানুষ আছেন, অন্যের ভালো দেখতে পারেন না। আবার এমনো আছেন নিজের অনেককিছু থাকা সত্বেও, কিংবা নিজে অন্যের উপকার করার মত সামথ্য থাকা সত্বেও কারো উপকারে এগিয়ে আসেন না। কিন্তু অন্যে তারকাছে বারবার এসে ক্লান্ত হয়েছেন এবং প্রতিবারই লাল, নীল আর অভিমান নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বিনিময়ে লোকটি তারকাছে অবহেলা আর ঘৃণা পেয়েছেন। কৃপণতা দেখিয়ে তাড়িয়ে দিয়েছেন। যেমন- ক্লান্ত হয়ে ফিরে এসেছে দু'হাত, বুকের গভীরে জমানো দীর্ঘশ্বাস
অবিকল সংক্ষিপ্ত অধ্যায়ের রচিত গল্পগ্রন্থ কিংবা
শিশির স্নাত ভোরে লাল, নীল আর সাদা অভিমান!
অথচ এর ভিতরে কেটে যায় কত দিন, কত রাত; অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে মহাকাল। মাঝেমাঝে বিষণ্নতার রাতগুলো ঘুটিয়ে নেয় সানাইয়ের সুর, অধরকোণে জমানো হাসি, মায়াজাল। তবুও কেউ ফিরে দেখে না, অবলার হৃদয় কতবার ভেঙে হয়েছে ছারখার। অথচ সেই সমাজে তারাই সমালোচনা করতে জানে, উপহাস করতে জানে। কিন্তু সাহায্য করতে জানেনা। অথচ একসময় আমাদের স্বপ্নগুলো ভেঙে যায়, আর এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকে না। যেমন- কাফন ছাড়া হাজার স্বপ্ন দাফন করে এই নির্লিপ্ত দু'নয়ন আর একাকী চাঁদ এক অদৃশ্য দেয়াল ভেদ করে তাকিয়ে থাকে......।। অবশেষে আমাদের অপমৃত্যু হয়।
সুতরাং আমার "অপমৃত্যু" কবিতাটি ব্যাখ্যা করলে "কৃপণতা" বিষয়ের সাথে সম্পূর্ণ সামঞ্জস্যতা পাবে বলে আশা করি।।
২২ ডিসেম্বর - ২০১৬
গল্প/কবিতা:
৬৯ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।