অধরা

স্বপ্ন (জানুয়ারী ২০১৮)

মোঃ নুরেআলম সিদ্দিকী
  • ২৪
  • ১৩
প্রিয় অধরা, নৈঃশব্দের বাক্যে পড়ে থাকা কিছু অঙ্কিত ছায়াচিত্রে কুঁড়িয়ে পাওয়া
অরুণোপলক অশ্রু থেকে জানতে পেরেছি;
কোনো এক বসন্তের দ্বিপ্রহরের কুয়াশা ত্যাগ করে আসার কথা ছিল তোমার
শত অভিমানকে ঝেড়ে ফেলে কথা ছিল একটি পড়ন্ত বিকেল উপহার দেওয়ার,
রোদে পোড়ে ছাই হওয়া প্রেমের কিছু গল্প শুনানোর
নিকোটিনের ধ্রুপদী নিশ্বাস ফেরাবার...!

অথচ কত বিকেলের কোল ঘেঁষে সন্ধ্যা ফিরে পেয়েছে তার নীরব রাত্রি
মেঘলা আকাশ দূরে সরে গিয়ে ধরণীর বুকে ঢেলে দিয়েছে পূর্ণিমার চাঁদনি,
শিউলি, রজনীগন্ধা, কৃষ্ণচূড়া, গোলাপ, হাসনাহেনা পৃথিবীকে দিয়ে গেছে সৌরভের মহল।
আর তুমি বরষার মৌসুম দিয়ে গেলে অবধি আজও...!!

ভেবেছি হয় তো কোন একদিন ফিরবে তুমি;
প্রাসাদের জ্বলন্ত বুকে ঢেলে দিবে এক চিমটে কার্বন ডাই-অক্সাইড
অনাবিল মিষ্টি স্বপ্ন নিয়ে তৃষ্ণার পাথুরে জড়িয়ে দিবে তৃপ্ত ভালোবাসা।
কিন্তু আজও ফেরা হল না তোমার,
আজও স্রোতের প্লাবনে ভেসে যায় যুগান্তর
বিষাদের নীল ঘাম বুকে নিয়ে কেটে যায় রাত্রি- দিন।

এই রাতের নিস্তব্ধ প্রহর জুড়ে আমি হাট বসাই অভিমানের
হাজার রাত্রি জেগে ইনসমনিয়ার
মরীচিকার বিভ্রমে পোড়ে ছাই হয়ে আবার বেঁচে থাকার।
এভাবে নিঃসঙ্গ কাকতাড়–য়ার মত আমি বোধ করি জীবনের মূল্য
সমুদ্রের তলদেশে নীল তিমি আর অক্টোপাসের রাজত্ব,
গহীন অরণ্যে আলো আঁধারীর ভিড়ে নক্ষত্রের ঘুম
চোখের পলকে নিখোঁজ হয়ে ফিরে না পাওয়ার অস্তিত্ব।

কিন্তু অধরা কখনও ভেবে দ্যাখোনি, মুঠো মুঠো ছাই ছাড়িয়েছি বিতৃষ্ণার আগুনে
মধ্যরাতের নিস্তব্ধতায় হারিয়ে ফেলেছি কত মায়াবী স্বর্গ
ধূসর চিত্রলিপির ক্যানভাসে ঢেউ তুলেছে বিষাক্ত সীসার
এক জীবনের পুরোটা আকাশ আজ দখলে নিয়েছে দুরন্ত মেঘেরা।

জানো অধরা, শেকলহীন মুক্ত আকাশের নীচে আর থাকার ইচ্ছা জাগে না,
ইচ্ছা জাগে না সাজিয়ে নিতে দূরগামী নীলিমা।
তবুও তোমার স্মৃতি এঁকে যায় এ হৃদয়ের অতল গহ্বরে, ধ্রুপদী জোৎস্নার বুকে
দু’চোখের ঢেউয়ে আঁকি নিশি- চন্দ্রিমার স্বপ্নের চাষাবাদ কিংবা অস্তাগামী সূর্যের অস্তাচল
আর আশা বেধে রাখি- সব পালাভেঙ্গে একদিন তুমি ফিরবে...!!
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
রীতা রায় মিঠু অনেক অনেক ভাল লাগলো কবিতা, তুমি অনেক শক্তিমান লেখক হয়ে উঠবে একদিন প্রিয় নূরে আলম সিদ্দিকী।
ভালো লাগেনি ৩০ জানুয়ারী, ২০১৮
দিদি আপনার এমন মনকড়া মন্তব্যে আমাকে আরও একধাপ এগিয়ে যেতে চেষ্টা করবে। আর্শিবাদ করবেন, শুভকামনা রইল, ভালো থাকুন যেন....
ভালো লাগেনি ৩১ জানুয়ারী, ২০১৮
ছবি আনসারী mone hocche high thought er kobita . poRte valo lage . bujhte kosto hoy sarkotha . shuvechchha roilo kobi .
ভালো লাগেনি ২২ জানুয়ারী, ২০১৮
অনেক ধন্যবাদ আপু। এরচেয়ে সহজ দিতে গেলে সেটা কবিতা হয় কি না জানা নেই! দেখুন, ৩০০০ শব্দের একটি গল্পকে ২০ লাইনের ভাবনায় একটি কবিতা বানাতে হয়; সেখানেও যদি গল্পের মত সব সহজ প্রেক্ষাপট তুলে নিয়ে আসি, তাহলে সেটা কবিতা হল কিভাবে? কবিতাতে থাকবে মূল জিনিস, আর গল্পতে থাকবে ধারাবাহিকতা। মূল জিনিসটাকে ব্যাখ্যা করতে হয়, আর ধারাবাহিকতাকে কি বুঝাতে চেয়েছে তার মূল ভাব বুঝে নিতে হয়। আমার মতে এটাই গল্প/ কবিতার নিয়ম। তবুও সহজ করে লেখার চেষ্টা করেছি, আপনাদের সমালোচনা মাথায় রেখে সামনে আরও সহজ করবো ইনশাআল্লাহ। ভালো থাকবেন, শুভকামনা রইল।
ভালো লাগেনি ৩১ জানুয়ারী, ২০১৮
দ্বিতীয়বার পড়ে আপনার সহজ ব্যঞ্জনার কবিতাই মনে হয়েছে ।কঠিন কিছু নেই । হয়ত প্রথমবার কবিতা বোঝার জন্য আমিই তৈরি ছিলাম না । আগের মন্তব্য ভুল জায়গায় পড়েছে ।সেজন্য দুঃখিত কবি । এগিয়ে যান ,আপনার পথচলা মসৃণ হউক ,এই কামনা রইল।
ভালো লাগেনি ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮
অনেক ধন্যবাদ আপু, ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল.....
ভালো লাগেনি ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮
বালোক মুসাফির কবিতাটি পড়েছি সেই প্রথম সপ্তাহে কিন্তু মন্তব্য জানালাম আজ। কবিতাটি দারুন, ভাব গম্ভীর দীর্ঘ কবিতা। গবীরতা এবং শব্দের ব্যপ্তি একটু বেশী হওয়ায় সারমর্ম বুঝতে একটু কষ্ট হচ্ছে। তবু শুভ কামনা এবং ধন্যবাদ।
ভালো লাগেনি ১৫ জানুয়ারী, ২০১৮
অনেক ধন্যবাদ ভাই.... এ মাসে ভোটিং বন্ধ, তাই একটু বড় করে-ই লিখেছি।
ভালো লাগেনি ১৫ জানুয়ারী, ২০১৮
ভোটিং বন্ধ কেন ভাই? একটু জানাবেন?
ভালো লাগেনি ১৫ জানুয়ারী, ২০১৮
এক মাসে বিজয় হলে পরের দু'মাস ভোটিং বন্ধ থাকে.....
ভালো লাগেনি ২২ জানুয়ারী, ২০১৮
ম নি র মো হা ম্ম দ বিষাদের নীল ঘাম বুকে নিয়ে কেটে যায় রাত্রি- দিন। সুন্দর! শুভকামনা রহিল।
ভালো লাগেনি ১২ জানুয়ারী, ২০১৮
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই
ভালো লাগেনি ১৫ জানুয়ারী, ২০১৮
আর কে মুন্না বেশ দারুন, ভালো লাগল।
জসীম উদ্দীন মুহম্মদ অসাধারণ একটি কবিতা ; তবে শব্দের ভারে কিছুটা নুজ্য। মেদ কবিতা ছেঁটে ফেলা চাই কবি। প্রকাশ আরো সহজ এবং সাবলীল হউক, কিন্তু শৈল্পিক।। শুভ কা ম না অশেষ।।
ভালো লাগেনি ৫ জানুয়ারী, ২০১৮
অফুরান কৃতজ্ঞতা দাদা ভাই....
ভালো লাগেনি ১৫ জানুয়ারী, ২০১৮
সেলিনা ইসলাম চমৎকার উপমা সমৃদ্ধ কবিতা। ভালো লাগা রইল। শুভকামনা সতত।
ভালো লাগেনি ৪ জানুয়ারী, ২০১৮
অসংখ্য ধন্যবা আপু। আপনাদের গঠনমূলক মন্তব্যে আমার এগিয়ে যাওয়ার পাথেয়! চেষ্টা করেছি ভালো করার জন্য, তবুও না হওয়ার মত যেন..... শুভকামনা রইল।
ভালো লাগেনি ১৫ জানুয়ারী, ২০১৮
মোঃ মোশফিকুর রহমান অসাধারণ কবিতা, আপনার জন্য শুভকামনা
ভালো লাগেনি ৪ জানুয়ারী, ২০১৮
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই.....
ভালো লাগেনি ১৫ জানুয়ারী, ২০১৮
ওয়াহিদ মামুন লাভলু যদি জানতে পারা যায় যে অধরা আসবে তবে তার জন্য আশা বেধে রাখাটাই তো স্বাভাবিক। কবিতার ভাষা খুব মানসম্পন্ন। তাই অর্থ বোঝা খুব কঠিন। লেখাটির মধ্যে দারুন একটা আকর্ষণ আছে। রোমান্টিকতা, প্রেম, অপেক্ষার আবেগ, সবকিছুর ছোঁয়া পেলাম। তবে একটা জায়গায় একটু খটকা লাগলো। আকাশ দূরে সরে যাওয়ার ব্যাপারটা। আকাশ তো স্থির বলেই মনে হয়। তাই আকাশ কিভাবে দূরে সরে গেল এটা বুঝলাম না। মেঘ দূরে সরে যেতে পারে কিংবা আকাশ মেঘকে দূরে সরিয়ে দিয়ে ধরণীর বুকে ঢেলে দিতে পারে পূর্ণিমার চাঁদনি। অবশ্য আমার এই খটকা লাগাটা আমার ভুল চিন্তাও হতে পারে। ভাই, যদি আমার ভুল হয় তবে আমাকে ক্ষমা করবেন। কিন্তু আপনার কবিতাটা অনেক মানসম্পন্ন। আমার শ্রদ্ধা গ্রহণ করবেন। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইলো। ভাল থাকবেন।
ভালো লাগেনি ৪ জানুয়ারী, ২০১৮
গঠনমূলক মন্তব্য পেয়ে অত্যাধিক খুশি হয়েছি প্রিয় কবি। এখানে আপনার ব্যাখ্যাও ঠিক আছে, আমি মনে করি আমারটাও ঠিক আছে। আকাশের অনেক গুলো স্তর আছে। বৈজ্ঞানিক মতে সাতটি স্তর। তার মধ্যে মেঘমালাও একটা স্তরের অন্তর্ভুক্ত (যে কোন একটা স্তরের ভিতরে পড়ে)। যদি মেঘমালা আকাশের একটা স্থরের ভিতরে পারে, তাহলে তাকে মেঘলা আকাশ বলা যাবে না কেন?? মেঘলা আকাশ দুরে সরে গিয়ে ধরণীর বুকে ঢেলে দিয়েছে পূর্ণিমার চাঁদনি; এটা আমি আপনার মতও দিতে পারতাম, কিন্তু দিই নাই। কারণ পাঠকের খোরাক জোগাড় করা। সব যদি লেখকে-ই বলে দেন- তাহলে পাঠক কি শিখবে কিংবা লেখকের লেখা থেকে কি বের করবে....? তাই আমি চাইছি, পাঠকও কিছু লেখা থেকে বের করুক, কিছু শিখুক, লেখক যেমন আবার অন্যের লেখা থেকে শিখে এবং টুকরো টুকরো করে অন্যের লেখা থেকে অনেক কিছু বের করে.....!! আশা করি, যথেষ্ট পরিমাণ উত্তর দিতে পেরেছি এবং আপনার কঠিন জিনিসটাকে সহজ করে দিতে পেরেছি......অসংখ্য ধন্যবাদ। আমার সালাম নিবেন এবং আমারও শ্রদ্ধা গ্রহণ করবেন। শুভকামনা রইল কবি। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন নিরন্তর.....
ভালো লাগেনি ৪ জানুয়ারী, ২০১৮
আর একটা প্রশ্ন আসে→ পৃথিবী যদি প্রতিনিয়ত ঘুরতে থাকে, সূর্য যদি চাঁদকে প্রদক্ষিণ করতে পারে, চাঁদ যদি আবার সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে পারে, চাঁদ, সূর্য আর পৃথিবী একই অক্ষরেখা এসে চন্দ্রগ্রহণ ও সূর্যগ্রহণ সৃষ্টি করতে পারে তাহলে আকাশও কিভাবে স্তির থাকলো? চাঁদ ও সূর্য তাও তো আকাশে নাকি? আমি মনে করি, আকাশের মাঝেও অবয়ব কিছু একটা ঘটনা ঘটে থাকে..... বাকীটক মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তা'আলা-ই জানেন.....
ভালো লাগেনি ৪ জানুয়ারী, ২০১৮
ভাই, অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শ্রদ্ধা এত বড় উত্তর দেওয়ার জন্য। আমি শুধু একটি কথা এখানে লিখবো। আশা করি আপনি সেটা একটু ভেবে দেখবেন, এটা আমার একান্ত অনুরোধ। কথাটা হলো, মেঘমালা কখনোই আকাশের স্তরের মধ্যে পড়ে না, মেঘমালা মেঘমালাই এবং আকাশ আকাশই। আর একটা কথা, আকাশের স্তরের কথা শুধু বিজ্ঞানেই বলা নেই, আকাশ বা আসমানের স্তরের কথা পবিত্র আল কুরআনেও আছে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো। যদি আপনাকে কষ্ট দিয়ে থাকি তবে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। প্লিজ আমাকে ক্ষমা করবেন। সব সময় ভাল থাকবেন। নতুন বছরের অনেক অনেক শুভেচ্ছা নিবেন।
ভালো লাগেনি ৪ জানুয়ারী, ২০১৮
কবি আপনাকে আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ সহ অফুরান ভালোবাসা রইল। আমি আপনার অনুরোধটুকু অবশ্যই বিশ্লেষণ করে দেখার চেষ্টা করবো। বিচার বিশ্লেষণে যদি আমার এইটুকু ভুল হয় তাহলে পরিবর্তন করার চেষ্টা করবো এবং সেই প্রেক্ষাপটে→ আকাশ মেঘকে দুরে সরে দিয়ে ধরণীর বুকে.... এই অনুরোধটুকু রাখবো। আর এমন কিছু ধরে দেওয়ার জন্য আপনাকে আবারও অসংখ্য ধন্যবাদ...... (আল কুরআন এ সম্পর্কে যা বলা আছে : সুরা আল মুলক এর ৩ নং আয়াত : তিনি সপ্ত আকাশ স্তরে স্তরে সৃষ্টি করেছেন। তুমি করুনাময় আল্লাহ তা'আলার সৃষ্টিতে কোন তফাৎ দেখতে পাবে না। আবার দৃষ্টি ফেরাও, কোন ফাটল দেখতে পাও কি? আবার সুরা আল মুমিনে বলেছেন : তুমি পর্বতমালাকে দেখে অচল মনে কর, অথচ সেদিন এগুলো মেঘমালার মত চলমান হবে। এটা আল্লাহর কারিগরি, তিনি সবকিছুকে করেছেন সুসংহত..... এ ছাড়া আরও অনেক জায়গা অনেক রকমে বলা আছে...)
ভালো লাগেনি ৫ জানুয়ারী, ২০১৮
কবি আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ সহ অফুরান ভালোবাসা রইল। আমি আপনার অনুরোধটুকু অবশ্যই বিশ্লেষণ করে দেখার চেষ্টা করবো। বিচার বিশ্লেষণে যদি আমার এইটুকু ভুল হয় তাহলে পরিবর্তন করার চেষ্টা করবো এবং সেই প্রেক্ষাপটে→ আকাশ মেঘকে দুরে সরে দিয়ে ধরণীর বুকে.... এই অনুরোধটুকু রাখবো। আর এমন কিছু ধরে দেওয়ার জন্য আপনাকে আবারও অসংখ্য ধন্যবাদ...... (আল কুরআন এ সম্পর্কে যা বলা আছে : সুরা আল মুলক এর ৩ নং আয়াত : তিনি সপ্ত আকাশ স্তরে স্তরে সৃষ্টি করেছেন। তুমি করুনাময় আল্লাহ তা'আলার সৃষ্টিতে কোন তফাৎ দেখতে পাবে না। আবার দৃষ্টি ফেরাও, কোন ফাটল দেখতে পাও কি? আবার সুরা আল মুমিনে বলেছেন : তুমি পর্বতমালাকে দেখে অচল মনে কর, অথচ সেদিন এগুলো মেঘমালার মত চলমান হবে। এটা আল্লাহর কারিগরি, তিনি সবকিছুকে করেছেন সুসংহত..... এ ছাড়া আরও অনেক জায়গা অনেক রকমে বলা আছে...)
ভালো লাগেনি ৫ জানুয়ারী, ২০১৮
ভাইজান, শ্রদ্ধা ও সম্মানসহ আরো কয়েকটা কথা লিখছি। অনুগ্রহপূর্বক আপনিও একটু ভেবে দেখবেন। আপনার ২য় উত্তরে আপনি লিখেছেন, 'সূর্য যদি চাঁদকে প্রদক্ষিণ করতে পারে---'। আমার মনে হয়, কথাটার মধ্যে চরম ভুল আছে। কারণ সূর্য কখনোই চাঁদকে প্রদক্ষিণ করে না, চাঁদ প্রদক্ষিণ করে পৃথিবীকে আর পৃথিবী প্রদক্ষিণ করে সূর্যকে। সূর্য হলো নক্ষত্র, পৃথিবী হলো গ্রহ এবং চাঁদ হলো উপগ্রহ। আরো একটা কথা। আপনি লিখেছেন, "চাঁদ ও সূর্য তাও তো আকাশে নাকি?" এই কথাটার মধ্যেও হয়ত চরম একটা অজ্ঞতার প্রমাণ আছে। কারণ আপনার কথা অনুযায়ী, আপনার ধারণা এরকম, আকাশটা হলো কোনো বিয়ে বা অন্য কোনো অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের আপ্যায়নের কাজে ব্যবহৃত বা টানানো একটা সামিয়ানা আর চাঁদ ও সূর্য হলো সামিয়ানার নীচে সামিয়ানার সঙ্গে ঝুলানো বাল্ব বা লাইট। কিন্তু প্রকৃত অবস্থা একদমই এরকম নয়। আকাশের সাথে সূর্য ও চাঁদ বাঁধা বা সংযুক্ত বা ঝুলানো অবস্থায় নেই। চাঁদ ও সূর্য আকাশ থেকে মুক্ত অবস্থায় আছে, অর্থাৎ ওগুলো শুন্যে আছে। ভাই, আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইলো। আমার ভুল হলে আমাকে প্লিজ ক্ষমা করবেন। অনুগ্রহপূর্বক আমার জন্য দোয়া করবেন। সবসময় ভাল থাকবেন।
ভালো লাগেনি ৭ জানুয়ারী, ২০১৮
কবি আপনাকে আবারো অনেক অনেক ধন্যবাদ। আমি কিন্তু তেমন কিছু বুঝাতে চাইনি। যা হোক, অফুরান কৃতজ্ঞতা সহ শুভকামনা রইল। ভালো থাকুন নিরন্তর.....
আপনার ২য় উত্তরের পর আপনি যা উল্লেখ করেছেন তার পরিপ্রেক্ষিতে বাধ্য হয়ে আমাকে কিছু লিখতে হলো ভাই। এতে আমার অপরাধ হলে আমাকে ক্ষমা করবেন প্লিজ। যে দুটো বিষয় নিয়ে আপনি এবং আমি উত্তর ও মন্তব্য দিয়ে যাচ্ছি তা হলো, আমার মতে, আকাশ দূরে সরে যায় না এবং মেঘমালা আকাশের কোনো স্তর নয়। আর আপনার মতামত আমার মতের পুরোপুরি বিপরীত। আপনি পবিত্র আল কুরআনের উদ্ধৃতি দিয়েছেন। কিন্তু যে দুটো বিষয়ে আমাদের মধ্যে উত্তর ও মন্তব্য লেখালেখি চলছে আপনিই বলুন, সেই দুটি বিষয় কি উদ্ধৃতির মধ্যে আছে? আশা করি নেই। ভাই, আমার অপরাধ ও ভুল হলে প্লিজ আমাকে ক্ষমা করবেন। আমার শ্রদ্ধা গ্রহণ করবেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো। সব সময় ভালো থাকবেন। নতুন বছরের অনেক অনেক শুভেচ্ছা গ্রহণ করবেন।
ধন্যবাদ অফুরান কবি। পরিবর্তন করার চেষ্টা করবো.....
ভালো লাগেনি ৩১ জানুয়ারী, ২০১৮
ইমরানুল হক বেলাল এক কথাই অসাধারণ কবিতা।

২২ ডিসেম্বর - ২০১৬ গল্প/কবিতা: ৬৯ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪