হে সুখ???

প্রশ্ন (ডিসেম্বর ২০১৭)

অবাক হাওয়া prosenjit
  • ৫১
হে সুখ,,,
তুমি জানো না হাসি মুখ নিয়ে প্রতি মাসের শেষে,
অপেক্ষার প্রহর গুনি টিউশনির বেতনের,
বেতনের তারিখটা ১ তারিখ থেকে ৫ তারিখ আবার কখনও ৫ থেকে ১০ বা অনন্ত অপেক্ষায় রাখে,
হাসি মুখটাও মলিন হতে হতে মরভূমির বুকের এক ফোঁটা পানির মত লাগে,
টিক সময়ে অর্থ লক্ষি প্রাপ্তির অভাবে অনেক প্রাপ্তি গুলোকেও দূরে ঠেলে দিতে হয় হাসি মুখে ,,হয়ত বা কখনও তুমি সময় মত সকল প্রাপ্তিগুলো পূরণ করবে এ আশায় সপ্ন বুনে!!

হে সুখ,,,
তুমি জানো না চাকুরী পরীক্ষার ফলাফল টা যখন ব্যর্থ হয়,
বড় অন্যায মনে হয় এই পরীক্ষাটাকে মনে হয় ভালো রেজাল্ট করা সব সার্টিফিকেটগুলো ছিঁড়ে ফেলি,
তবুও করি না তুমারই ভরসায় পরম যতনে ফাইল বন্ধ করি সার্টিফিকেটগুলোর সাথে মনঃকষ্টটকেও!!
তখন আর কোন অনূভুতি কাজ করে না ঘুষের টাকায় চাকুরী জীবনে সফল শিক্ষা জীবনে ব্যর্থ বন্ধুটা কে দেখেও!!

হে সুখ,,,
তুমি জানো না কখনও যদি আঘাত পেয়ে রক্ত ঝরে শরীরে,
হাসি মুখে তাতে লাগাই গেন্ডা ফুলের পাতা এই আশায় কখনও বা তুমি লাগিয়ে দিবে ডেটল,স্যাভলন,ব্যান্ডেজ পরম আদরে!!
যদি কখনও জ্বর আসে দেহে,তবে ভেজা তেনাটাকে বারবার ভিজিয়ে মাথায় দেই উত্তাপ কমাতে হাসি মুখে,
তুমারই ভরসায় কখনও বা তুমি আমায় ডাক্তার দেখিয়ে ওষধ খাওয়াবে!!

হে সুখ,,,
তুমি জানো না তুমার ই ভরসায় রিক্সা ভাইয়ের আকুল আবদেন ফিরিয়ে দিয়ে হাঁটতে থাকি মাইলের পর মাইল খুশি মন নিয়ে,
হয়ত বা কখন তুমি পৌঁছে দিবে বাড়ি গাড়ি দিয়ে!!

হে সুখ,,,
তুমি জানো না পূজোয় আনন্দে আসে তুমি আসো না,
প্রতিবার পূজোয় আশায় দিন গুনি সামনের বার আসবে তুমি,
পুজোর মার্কেটে ঘুরে আসি বৃথাই তুমারই অভাবে কিছু না কিনেই বাড়ি ফিরি,,
পুরোনো কাপড়গুলো ইস্ত্রি করে চাহিদা পূরণ করি সঙ্গে মুখে থাকে এক বিদ্রুপের হাসি!!

হে সুখ,,,
তুমি জানো না কখনও বা হবে শার্টর সমাহার,এই আশায় একমাত্র সার্টের ছেড়া বুতামগুলো সেলাই করি বারংবার,
শার্ট টা সন্ধ্যায় ভিজিয়ে করি ধৌত,,গ্যাসের পাশে বসে শুকাই নিশি রাত্র,, সকালে আবার পরিধান করি পরিধানের চাহিদা দূর করে!!

হে সুখ,,,
তুমি জানো না কখনও বা নতুন জুতা হবে অনেক জোড়,,
এই ভাবনায় খুশি মনে পুরোনো একমাত্র ভরসার জুতাটাকে সেলাই করাই বারংবার,,
কখনও আবার সেলাই এর টাকার অভাবে তোমার আশায় খুশি মনে ব্যবহার করি বেড়া বাঁধার তার!!!

হে সুখ,,,
তুমি জানো না তুমি কখনও বা ধরা দিবে এই আশায় সপ্ন বুনি,
হাজারো কষ্টে হাসির অভিনয় করি,
পানতা ভাত নুন মাখিয়ে অর্ধপেট ভরে খেতে খেতে পরম তৃপ্তিতে দু চোখ ভরে মাংস ,পোলাও,রোস্ট খাবার সপ্ন দেখার সাহস করি!!

হে সুখ,,,
তুমি কি সত্যিই ধরা দিবে কখনও ওই সাহেব পাড়া ছেড়ে এসে?????????
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
ওয়াহিদ মামুন লাভলু হাসিটা যদি আপনা আপনিই মনের ভিতর থেকে উঠে আসে তবে সে অবস্থা সুখের কথাই বলে। কিন্তু যদি হাসিটা হয় অভিনয় তবে তা খুবই বেদনাদায়ক ও কষ্টের। অনেক ভাল লেখা। শ্রদ্ধা জানবেন। শুভেচ্ছা।
ভালো লাগেনি ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৭
অসংখ্য ধন্যবাদ
ভালো লাগেনি ২০ জানুয়ারী, ২০১৮
মাইনুল ইসলাম আলিফ সত্যিই আপনি একেবারে দারিদ্রের সূতোটা টেনে ধরে একের পর এক বাস্তবতা তুলে ধরেছেন।শব্দের কারুকাজ আর লাইনের সীমারেখাটা আরেকটু নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে আরো সুন্দর হতো।শুভ কামনা আর ভোট রইল । আমার পাতায় আমন্ত্রণ।
ভালো লাগেনি ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৭
ধন্যবাদ ভাই
ভালো লাগেনি ২০ জানুয়ারী, ২০১৮
মোঃ নুরেআলম সিদ্দিকী ভিন্ন একটা কষ্ট তুলে ধরেছেন, খুব ভালো লেগেছে.... শুভকামনা রইল
ভালো লাগেনি ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৭
ধন্যবাদ ভাই
ভালো লাগেনি ২০ জানুয়ারী, ২০১৮
সাইয়িদ রফিকুল হক সুখের বিদ্রুপচিত্র। সুখ আছে, কষ্টও আছে। আর এই কষ্টের মাঝেই আমাদের সুখ খুঁজে নিতে হবে। শুভকামনা রইলো।

১৫ এপ্রিল - ২০১৬ গল্প/কবিতা: ১৮ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪