'ধপ' ভরদুপুর!সজনে গাছের মগডাল পনেরো বছরের কিশোরীর ভার সইতে পারে নি। রীতিমতো আছাড় দিয়ে ছুড়ে ফেলেছে পায়ের কাছে। রওশন আরা নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছেন না। ভয়ে কলজেটা বুকের খাঁচা ছেড়ে বেরিয়ে আসার উপক্রম হলোর যেনো। বিস্ফারিত দৃষ্টিতে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে দুই সেকেন্ড তাকিয়ে লেবু কাঁটার খোঁচা খেয়েই লাউয়ের মাচার নিচ দিয়ে দৌড় লাগালেন পানি আনতে। বুক ধড়ফড় করছে। মেয়েটা মরে যাবে না তো? গাছে চড়ার ওস্তাদ জেনেই ওকে বলেছিলেন গাছ থেকে ক'টা সজনে পেড়ে দিতে। ছেলেটা ক’দিনের জন্যে ছুটিতে এসেছে। ওকে সজনে ডাল খাওয়াতেই সুলতিকে বলেছিলেন গাছ থেকে সজনে পাড়তে। কে জানতো যে এমন লক্ষীছাড়া কাণ্ড ঘটে যাবে। আড়াইঘর চাল দিয়ে ঘোড়াটাকে সবেমাত্র যুতসই একটা ছকে বসিয়েছে অমনি উপর থেকে মন খানেক ওজনের কিছু একটা ভূপতিত হওয়ার শব্দে চমকে হাত থেমে গেল দাবার বোর্ড থেকে। ঘর থেকে বেড়িয়ে চোখ পড়লো মা পানির বালতি নিয়ে লাউয়ের মাচার নিচ দিয়ে তড়িঘড়ি এগুচ্ছেন সজনে গাছের দিকে। মা খুব ঠান্ডা মাথার বিবেচক মানুষ। কাজেই এই ভরদুপুরে তিনি নিশ্চয়ই গাছে পানি দিতে যাচ্ছেন না। কাহিনি দেখতে মার পিছু নিল তন্ময়। সুলতি মরার মতো সজনে গাছের নিচে পড়ে আছে। এমন দস্যি মেয়ে! কখন যে কোন নাটকের মহড়া দেয় বোঝা মুশকিল। রওশন আরা তন্ময়কে দেখে নিচু গলায় বললেন, 'জলদি মাথায় পানি ঢাল, হুঁশ আনা জরুরি।‘ দু’হাতে আজলা ভরে জল নিয়ে ঝুপ করে মুখের উপর দুইবার ছেড়ে দিতেই হুঁশ ফিরে এলো। মুখের উপর তন্ময়ের মুখটা ঝুকে আছে। হাতে আরেক আজলা জল। 'ও মা রে!' বলে ককিয়ে উঠে সুলতি আবার চোখ বন্ধ করে ফেললো। কয়েক সেকেন্ড পার হলো এর মধ্যে। সুলতি উঠে কোন কথা না বলে দুলতে দুলতে চোখের সামনে দিয়ে চলে গেল। বোঝাই যাচ্ছে বেচারীর হাঁটতে যথেষ্ট কষ্ট হচ্ছে। মা ছেলে অবাক হয়ে মুখ চাওয়া চাওয়ি করলো। 'দেখলি হতচ্ছারির কাণ্ড! বসে একটু দম নিবে তা না এই শরীর নিয়েই রওনা দিয়েছে ।' তন্ময় কী বলবে বুঝে না পেয়ে ঘরে গিয়ে আবার দাবায় মনোযোগ ঘটালো। বিকেল বেলা বই বুকে চেপে মুখ নিচু করে সুলতি এলো । বাবার নির্দেশ তন্ময় যে কয়দিন ছুটিতে বাড়ি থাকবে সে কয়দিন বিকেল বেলা টইটই না করে তন্ময়ের কাছে পাটিগণিত আর ইংরেজি গ্রামার পড়তে। সুলতি পাটিগণিতে বেশ ভালো। এই ব্যাপারটা তন্ময়ের বেশ লাগে। যারা খাতায় অঙ্ক ভালো মেলাতে পারে জীবনের হিসেবও তারা বেশ দক্ষতার সাথে মেলাতে পারে। কিন্তু সমস্যা হয় কোন পড়া মুখস্ত ধরলে আর বলতে পারে না। তন্ময় খেয়াল করেছে বেশ করে বোঝানোর পরও সুলতি মুখস্ত বলতে পারে না। কিন্তু লিখতে দিলে অবলীলায় পেরে যায়। রওশন আরা সুলতির বাবার কাছে বলে তন্ময়ের ছুটির দিনগুলোতে সুলতিকে নিজের কাছেই রেখে দিলেন। তাতে ওর পড়ার বেশ সুবিধে হবে। মা মরা মেয়েটা বাসায় তো এমনিতেও থাকে না সারাদিন। তারচেয়ে ছেলে যে ক’দিন আছে এ ক'দিন বাসায় খাবারের আয়োজনটা একটু বেশিই ভালো হয় আর লক্ষীছাড়া মেয়েটাও ভালমন্দ কিছু খেতে পারুক। টইটই করা অভ্যস্থ জীবনে আটকে পড়ে সুলতি একটু বিপাকেই পড়েছে। এখানে চাইলেই পুকুরে ঝাঁপিয়ে পড়া যায় না। গোমড়ামুখোর সামনে মুখ তুলে তাকাতেও ভয় লাগে আরতো পুকুরে নামা। দিনেরবেলা পুকুরে নামতে পারেনি। তাই সুলতি তক্কে তক্কে থাকলো ওই গোমড়ামুখো সন্ধ্যার পরে কখন বাসার বাইরে যায়। মোড়ের চায়ের দোকানে প্রাইমারি স্কুলে পড়ুয়া সহপাঠিরা কেউ কেউ আসে। সন্ধ্যার পর তাই তন্ময় একটা টর্চ সাথে নিয়ে ওদের সাথে গেল দেখা করতে। তন্ময়দের এই গ্রুপের সবাই প্রাইমারির গণ্ডি পেরিয়ে ভালো স্কুলগুলোতে চান্স পেয়েছিল। তাদের মধ্যে তন্ময় নতুন হাই স্কুলে পুরোনো বন্ধুদের সাথে ভর্তি হলেও একবছর পরেই চলে যায় মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজে। জীবন সেখানেই ভালো মন্দে কেটে যাচ্ছে। আর কেবল কয়েকটা মাস। তারপর ক্যাডেট জীবন থেকে আবার নিজের মতো করে চলতে পারার জীবন। ফিরে আসার পথে কোজাগরী চাঁদের আলোয় তন্ময়ের ভেতর কাব্য তৃষা জেগে উঠে। ফিসফিস করে রবি বাবুর কোল ঘেষে যেনো আবৃত্তি করতে লাগলো- কত জনরব কত কলরব উঠিছে আকাশমাঝে। পথিকেরা এসে তাহারে শুধায়, 'কে তুমি কাঁদিছ বসি।' সে কেবল বলে নয়নের জলে, 'হাতে পাই নাই শশী।'
‘ঝপাৎ!’ শব্দটা শুনে চমকে বাড়ির কাছের পুকুরের দিকে তাকাল। মগ্ন হয়ে কবিতা আউড়াচ্ছিল বলে আশেপাশে চোখ পড়েনি। এবার মাছগুলো মনে হচ্ছে বেশ পুষ্ট হয়েছে। মাকে বলতে হবে জাল ফেলার ব্যবস্থা করতে। কিন্তু একি! চাঁদের আলোয় তো মাছ না বরং মানুষ দেখা যাচ্ছে! এই রাতে পানিতে নেমেছে কে! হয়তো সারাদিনে সুযোগ পায়নি কাজের চাপে...মনে মনে নিজেকে প্রবোধ দেয় তন্ময়। কে? ‘হুপপ’ করে পানির নিচে কেউ ডুব দিল। তন্ময় তাকিয়ে আছে কখন উঠে দেখতে। কিন্তু নাহ দেখা যাচ্ছেনা। তবে পানিতে বুদবুদ দেখে বোঝা যাচ্ছে ঝোপের দিকে এগুচ্ছে। ‘ভুউস’ করে কেউ একজন ঝোপের মধ্যে ভেসে উঠলো। তন্ময় একটু চিন্তিত হয়ে টর্চের আলো ফেললো সেখানে। সুলতি! ‘এ্যাই! ওঠ, সাপে কাটবে’ তন্ময় টর্চটা ধরেই রাখে সুলতির দিকে। খুব জড়সড়ো হয়ে পানি থেকে উঠে বাসায় ঢুকে পড়ে সুলতি। আজব একটা মেয়ে! তন্ময় একটু সমঝে কথা বলে ওর সাথে। লাই দিলেই নির্ঘাত কাঁধে চড়ে বসবে। কিন্তু প্রকৃতির সাথে কি অদ্ভুত সখ্যতা ওর! তন্ময়ের এই ব্যাপারটা দারুণ লাগে। মনে হয় প্রকৃতির মাঝেই সুলতিকে মানায় বেশি। যখন ক্ষেতের আইল বরাবর এলোচুল উড়িয়ে দৌড়ায় সেই প্রকৃতি কন্যাকে দেখে তন্ময়ের ভেতর কাব্য তৃষা জেগে উঠে । পরদিন আগাছা পরিষ্কারের জন্যে লোক রাখা হয় সারাদিনের চুক্তিতে। সুলতি স্কুল থেকে এসেই দা নিয়ে সেই ’কামলা’দের সাথে কাজে নেমে পড়ে। তন্ময় ওর সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় খেয়াল করে সুলতি দায়ের মাথা দিয়ে চোখ চুলকোচ্ছে। সভয়ে ধমকে ওঠে- আরে চোখ কেটে যাবে তো! কিছুদুর যেতেই পেছন থেকে কারো দৌড়ে আসার শব্দ শুনে তাকিয়ে দেখে সুলতি দা নিয়ে তেড়ে আসছে! ও মাগো! বলে তন্ময় দৌঁড় লাগায়। পায়ের ধাক্কায় নেড়ি কুকুর কুঁওও করে উঠে। সুলতি আসলে সেই নেড়িকে তাড়াতেই দৌঁড় লাগিয়েছিল।
২. এইচএসসির ফলাফল বেড়িয়েছে। তন্ময় ঢাকাবোর্ডে ৬ষ্ঠ স্থান লাভ করেছে। এবার মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার পালা। এর মধ্যেই তন্ময়ের প্রাইমারি স্কুলের সহপাঠী মিজান টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়ে মরোমরো অবস্থা। বন্ধুর জন্যে সাধ্যমতো যা করার তাই করলো তন্ময়। এদিকে সে নিজেও জ্বরে পড়লো। পুরো সপ্তাহ জুড়ে জ্বর ১০৩-১০৪ ডিগ্রি। কমার কোন লক্ষণ নেই। রওশন আরা নিজে লো প্রেশারের রোগী। এতো ধকল নিতে পারছেন না। শেষ পর্যন্ত সুলতি হাল ধরলো। দুই সপ্তাহ পরে জ্বরের সাথে যুদ্ধ করার পর ধরা পড়লো তন্ময়ের টাইফয়েড হয়েছে। স্কুল কোনমতে করার পরের পুরো সময়টুকু সুলতি তন্ময়ের কাছ থেকে নড়ে না। ক্লাসে কখনো কখনো ঝিমুনি চলে আসে। এজন্যে বিজ্ঞান স্যারের বেতের ঘাও সইতে হয়েছে একদিন। কিন্তু সুলতি নীরবে সেই ঘা হজম করেছে। এদিকে তন্ময়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুস্তি যথেষ্ট পরিমাণে নেয়া হচ্ছে না। বিছানার পাশে বসে সুলতি জোরে জোরে তন্ময়কে বই থেকে পড়া বলতো সেগুলো শুনে তন্ময় পড়ার কাজ চালাতো। এভাবেই প্রায় মাসখানেক কেটে গেল। এখন তন্ময় বিছানা ছেড়ে বাইরের ঘরে বসে দাবায় চাল দিতে পারে বা নিজের পরীক্ষার প্রস্তুতি নিজেই এগিয়ে নিতে পারে। রওশন আরা এই অবস্থায় ছেলের মেডিকেলে চান্স পাওয়ার আশা ছেড়ে দিলেন। জীবন কখন কার সাথে উপহাস করে তা আগে থেকে বলা মুশকিল। রওশন আরাও তাই ভাগ্যকে মেনে নিয়ে দূর্দান্ত রকমের মেধাবী পুত্রকে বোঝাতে লাগলেন জীবন বাজি রেখে চেষ্টা করার দরকার নেই। আগে শরীরটা সুস্থ থাকুক। সৃষ্টিকর্তা সুলতির পরিশ্রমকে মূল্যায়ন করেছেন নাকি তন্ময়কে করুণা করেছেন বোঝা গেল না। তন্ময় ঠিক ঠিক ঢাকা মেডিকেলেই চান্স পেয়ে গেল। নিজের গ্রাম ছেড়ে পড়তে যাবার দিন সবাইকে বিদেয় জানিয়ে কেমন অদ্ভুত শূন্যতার ভেতর পড়ে গেল! গত দুদিন থেকে কী যেনো নাই নাই মনে হচ্ছে! দু’দিন পর এই বিদেয় বেলায় মলিন মুখের সুলতিকে দেখে তন্ময়ের বুকের ভেতরে ধড়াস করে উঠলো! পড়ার ঘর থেকে সুলতিকে কী একটা জিনিস আনতে বলে পেছন পেছন নিজেই গেল। সেখানে কেউ নেই। শুধু তন্ময় আর সুলতি। পেছন থেকে তন্ময়ের কন্ঠে খুব চাপা স্বরে ” হাতটা দে” শুনে সুলতি কেঁপে উঠলো। মুখোমুখি এই প্রথম আবিষ্কার করলো সুলতির চোখ জলে ছলছল করছে। আমার জন্যে অপেক্ষা করিস...বলে হাতে একটা আলতো চাপ দিয়ে তন্ময় বিদায় নিল।
৩. তন্ময়ের বিদায়ের পরপরই' সুলতির বাবা টাইফয়েডে আক্রান্ত হলেন। সুলতি বাবার সুস্থতার জন্যে কোন ত্রুটি না করার পরও এবার বিধাতা আর মুখ তুলে চাইলেন না। মেয়েকে পাথারে ভাসিয়ে বাবা বিদেয় নিলেন। শুধু ইহধাম ত্যাগ করার আগে রওশন আরার কাছে মেয়ের দায়িত্ব দিয়ে গেলেন। বাপ মরা ষোড়শী, চপলা হরিণীকে সহজেই বিয়ের পাত্রী হিসেবে নজরে পড়তে লাগলো অনেকের। এতিম মেয়ের জন্যে সামাজিকভাবেই খুব আহামরি পাত্র জুটে না সাধারণত। পাত্ররা বেশি বয়েসি হওয়ায় রওশন আরা সবাইকে বিদেয় করে দিচ্ছেন। কিন্তু সুলতি জানে যদি কাউকে রওশন আরার মনে ধরে তবে অবশ্যই সুলতির আর করার কিছুই থাকবে না। এসব কথা তন্ময়কে জানানোর কোন উপায় নেই। গ্রামে ফোন করবার কোন ব্যবস্থা নেই কোথাও। চিঠিই একমাত্র ভরসা। একটা চিঠি সুলতি অনেক কষ্টে তন্ময়ের কাছে ডাকে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছিল। কিন্তু জবাব আসেনি কেন জানে না। গ্রামের মানুষজন অন্যদেরকে নিয়ে ব্যস্ত থাকতে খুব পছন্দ করে। আর যদি শিশুকাল পেরুনো কোন পাত্রী থাকে তার উপর বাপ-মা মরা তবেতো সহানুভূতি দেখানোর মানুষের অভাব থাকে না। কানা, খোঁড়া, বুড়ো কোন পাত্রেরই অভাব থাকছে না সুলতির মতো এতিমের একটা গতি করার জন্যে। আর সুলতিকেও সব মেনে সেজেগুজে সামনে এসে হাজিরা দিতে হচ্ছে মুখ বুজে। মানসিক চাপ নিতে নিতে সুলতির চোখের নিচে কালশিট পড়ে যাচ্ছে। শুকিয়ে কণ্ঠার হাড় বেড়িয়ে পড়ছে। এসব কারণে দিনের পর দিন দেখতে আসা পাত্রের গুণগত মান কমতে থাকলো। শীতের ছুটিতে এর মধ্যেই তন্ময় এসে হাজির হলো বাড়িতে এমন দিনে যেদিন টাইফয়েডে পা বেঁকে যাওয়া পাত্র দেখতে এসেছে সুলতিকে। সব শুনে সারাজীবনের ধীরস্থির তন্ময় আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলো না। মায়ের কাছে গিয়ে সোজা কথা পাড়লো- মা, সুলতিকে এখন বিয়ে দেয়াটা কি খুব জরুরী? রওশন আরা ব্যথিত দৃষ্টিতে ছেলের দিকে তাকিয়ে বললেন, এতিম মেয়ে! এখন থেকে যদি চেষ্টা না করি তবেতো বয়স বেড়ে গেলে মোটেও পাত্র পাবো না! তন্ময় ঢোক গিলে নেয়। তারপর সোজা হয়ে মায়ের সামনে দাঁড়ায়... এই যে পাত্র এসেছে এরকম খোঁড়া হওয়ার হাত থেকে আপনার ছেলেকে যে বাঁচিয়েছে, মেডিকেলে পড়ার সুযোগ যে তৈরি করে দিয়েছে তার ঋণ বুঝি এভাবেই শোধ করতে চাইছেন!? রওশন আরা থ’ বনে গেলেন ছেলের কথায়। তিনি ভালো জায়গায় পাত্রস্থ করতে কোন ত্রুটি করছেন না। আর ছেলে তাঁকে এভাবে ভুল বুঝলো! চোখ ছলছল করে উঠলো রওশন আরার। এবার তন্ময় সাহস নিয়ে বলেই ফেললো, সুলতিকে কি এ বাড়িতেই রেখে দিতে পারেন না? রওশন আরা চমকে উঠলেন! তিনি সুলতিকে খুব স্নেহ করেন। হয়তো নিজের মেয়ে থাকলে এমন স্নেহই করতেন। অবাক করা কন্ঠে বললেন, সুলতিকে নিজের কাছে রাখতে পারলে আমি কি কম স্বস্তি পেতাম! কিন্তু কৈ তুইতো কোনদিন ওর কথা বলিসনি আমায়!
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
শাহ আজিজ
লেখায় একটা অদ্ভুত গতিময়তা আছে । গাছ থেকে পড়ে শুরু আর সুলতির সম্পৃক্ততা দিয়ে শেষ । তবুও জানতে চাই সুলতি কি যুক্ত হয়েছিল। পাঠকের এই আকুতি গল্প বিনির্মাণের শ্রেষ্ঠতা প্রমান করে।
শ্রদ্ধেয় পাঠক, আপনার মন্তব্য আমার কাছে অনেক আকাঙ্ক্ষিত, প্রত্যাশিত। খুব কড়া কিন্তু গঠনমূলক সমালোচনা করতেও আপনি কুণ্ঠাবোধ করেন না। যা থেকে আমি প্রতিনিয়ত শিখতে পারি, নিজেকে যাচাই করতে পারি।
তাই আমার এই লেখার প্রতি আপনার প্রশংসায় সত্যিই পুলক অনুভব করছি।
অনেক কৃতজ্ঞতা জানবেন।
খন্দকার আনিসুর রহমান জ্যোতি
কিন্তু প্রকৃতির সাথে কি অদ্ভুত সখ্যতা ওর! তন্ময়ের এই ব্যাপারটা দারুণ লাগে। মনে হয় প্রকৃতির মাঝেই সুলতিকে মানায় বেশি। যখন ক্ষেতের আইল বরাবর এলোচুল উড়িয়ে দৌড়ায় সেই প্রকৃতি কন্যাকে দেখে তন্ময়ের ভেতর কাব্য তৃষা জেগে উঠে । বিছানার পাশে বসে সুলতি জোরে জোরে তন্ময়কে বই থেকে পড়া বলতো সেগুলো শুনে তন্ময় পড়ার কাজ চালাতো। এভাবেই প্রায় মাসখানেক কেটে গেল। এখন তন্ময় বিছানা ছেড়ে বাইরের ঘরে বসে দাবায় চাল দিতে পারে বা নিজের পরীক্ষার প্রস্তুতি নিজেই এগিয়ে নিতে পারে।..../// খুব ভাল গল্প...শুরু থেকে শেষটা প্রকৃতই ছোট গল্পের রুপায়ন....অনেক শুভ কামনা রইল কেতকী মন্ডলের জন্য...
আমার প্রায় সব লেখাই মন খারাপ করা। এতো অন্ধকারে নিজেকে রাখতে গিয়ে ভাবলাম এবার একটু সুখ সুখ কিছু লেখার চেষ্টা করি। এই লেখাটা পড়লে আমার নিজেরও মন ভালো হয়ে যায়। সুলতি চরিত্রটাকে অনুভব করতে পারি।
পাঠে এবং মন্তব্যে অনেক কৃতজ্ঞতা রইল।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।