নব উত্থান

উচ্ছ্বাস (জুন ২০১৪)

ধ্রুব সরকার
  • ১৮
আরে অবোধ,
তোর মাঝে কি কখনও বোধের জাগরণ ঘটবে না? তুই কি কখনও বুঝবি না? বুঝতে চেষ্টা করবি না? তোর দৃষ্টি কি চারপাশের আলোক ঝলমল ভাবনাতীত অতীতের বাস্তব প্রতিচ্ছবিদেখে না? সেগুলো ভাবায় না? তোর মনে কি কখনও প্রশ্নের উদয় হবে না? নির্বোধের বেঁচে থাকার সময় এটা নয়। বিস্ময়কর সাগরে এখন বুদ্ধিমানের তরী ভাসে। তোর কি ইচ্ছে হয় না, সাজিয়ে গুছিয়ে তরী বাইতে আর তা অক্ষত অবস্তায় কূলে ফেরাতে? তোর কি সম্মান আর কৃতিত্ব ভালো লাগে না? তুই কি তোর নিজের মাঝেই জীবনের অবসান ঘটাতে ব্যস্ত? তবে ওটা তোর জীবন নয় ;- পশুত্ব।

ওরে নিস্তেজ,
তুই কি দাঁড়াবি না? বৃক্ষের মত সতেজ, সবল হয়ে যার অগ্রযাত্রা কেবল ঊর্ধ্বমুখী। তুই কি দেখিসনি রাজপথে পরে থাকা, তোর জয়োদীপ্ত ভাইয়ের লাশ? শক্ত মূষ্ঠীতে বক্ষে জড়ায়ে ধরিয়াছে লাল ফেস্টুন, যাতে লেখা আছে-‘ আমাদের অধিকার চাই দিতে হবে’।তোর মন কি শক্ত হয় নি? তোর রক্ত কি শিরায়- উপশিরায় পৌঁছে, তোর লোম জাগ্রত করেনি? যে অধিকারের দাবি উত্থাপিত হয়েছিল তা প্রতিষ্ঠিত করার কঠিন ব্রতীতে বদ্ধ হসনি? তবে তুই পড় লেখকের লেখায় উত্থাপিত বিদ্রোহী বাণী............
‘আমি চির বিদ্রোহী বীর
বিশ্ব ছাড়িয়া উঠিয়াছি একা চির উন্নত শীর’
পড় সহস্র সাহিত্যিকের জাগরণের মন্ত্র। লক্ষ্য কর পতনের গোড়া থেকে ঊর্ধ্বতনে উঠার ধরন। মনীষীদের সাফল্য আর সাফল্যের কারন। তোর উতলে ওঠা যৌবনের অসীম সাহস,দুরন্তপনা আর বিজয়ের কৌতূহল তোকে কি সাফল্যের দিক নির্দেশ করে না? সব প্রতিকূলতা অবসানে নতুনের কেতন উল্লাসে জয়ধ্বনি শোনায় না?
ওরে অজ্ঞ,
অজ্ঞতা দূর কর। বিজ্ঞের স্নেহে বেড়ে ওঠ। কালের আবহাওয়া গায়ে লাগা,কালের চেতনায় উজ্জীবিত হ। তোর উদয়ন হবে উজ্জ্বল, জাগরণ হবে জনগনের কল্যাণ।

ওরে দুর্বল,
জেগে ওঠ, শক্ত- কঠিন পর্বতের মত। প্রতিরোধ গড়ে তোল সকল অন্যায় আর হঠকারিতার বিরুদ্ধে। তুই ধ্বংস, জলন্ত আগুনের ফুলকি। তুই জ্বালাবি, পারবি তোর মাঝে প্রতিভার অভাব নেই। শুধু চেষ্টা কর আর জাগা। সবাই নির্বোধ হয়েই জন্ম নেয়।
চোখ তুলে তাকা, দেখ সমাজ তোর দিকে তাকিয়ে আছে হতাসাগ্রস্থ হয়ে, অপরাধীর মত। যেন নির্জীব সারা নেই, আকুতি করার সাহস পাচ্ছেনা। মানুষ আর মানুষে নেই। অন্য জীবে ভর করছে। তারা আর ভাল বোঝেনা, ন্যায় মানেনা- অন্যায় করে। নিজেকে চিনতে পারে না, কৃতজ্ঞতা ভুলে গেছে। প্রকৃতি তাই এখন মনুষ্য জীবে ভর করে নিজেকে সাঁজাতে ব্যর্থ। তাই সে নির্বাক দৃষ্টিতে চেয়ে আছে, ভাবছে- চাইছে হোক একটা ঝড়, জ্বেলে উঠুক আগুন, ফুলে উঠুক পানি,জন্মুক,আসুক- ‘নব উত্থান’।আবার প্রকৃতি সাজবে নতুন সাঁজে, এ যেন তার সপ্ন। তার নিরব দৃষ্টি যেন এই বোঝাতে চাচ্ছে। তুই নব উত্থানের ঝড়। আমি দেখেছি তোকে, তোর গতিবেগ। তুই রক্ত রাঙা ঘুমন্ত- জ্বলন্ত লাল শিখা। তুই জেগে ওঠ, ওঠ জেগে, তুই পারবি আনতে- ‘নব উত্থান’।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
ওয়াহিদ মামুন লাভলু অনুপ্রেরণা জাগানিয়া চমৎকার লেখা। শ্রদ্ধা জানবেন।
দীপঙ্কর বেরা বেশ । ভাল লাগল । শুভেচ্ছা
এফ, আই , জুয়েল # গভীর ভাবনার অনেক সুন্দর একটি গল্প ।।

০৫ ফেব্রুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ১৪ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪