সবার জীবনে প্রথম ভালবাসার স্ফূরণ ঘটে যে মেয়েটিকে কেন্দ্র করে তার স্পর্শ, পলকহীন প্রেমাভায় চেয়ে থাকা আর ভালবাসার প্রতিটি মুহূর্ত জীবš— থাকে প্রতিটি মানুষ অš—রে।সুয়োগ পেলেই তা স্মৃতির আয়নায় স্পষ্ট হয়ে ওঠে।চোখের জলে ভাসে চোখ,না হয় আনন্দের স্ফূরণ ঘটে সুন্দর উপলব্ধিতে।আজ আমার স্মৃতিস্পটে ভেসে উঠেছ তুমি।আজ এই ভালবাসা দিবসে সবটুকো ভালবাসাই তোমার জন্যে।চির সুন্দর,অফুরš— প্রশাšি— আর সুখ আচ্ছন্ন করে রাখুক তোমাকে।
তোমার অনুমতি না নিয়েই আমাদের ভালবাসার গোছানো ডাইরীটাকে উন্মুক্ত করার সাহস করছি।যদি প্রকাশিত হয় তবে অš—র সত্তায় সুপ্ত ভালবাসাকে জাগ্রত করে আমার প্রতি একটু দয়া দেখাইও।আমার এই দুঃসাহসের জন্য তোমার মনে জাগ্রত সব অভিসাপ থেকে আমাকে মুক্ত করে তা কোন পানির আধারে ফেলে দিও।
আজ খুব মনে পরছে তোমাকে।জানতে ইচ্ছা করছে কেমন আছ তুমি? তুমি আমার দৃষ্টি আর স্পর্শের এতো বাইরে আছ যে তুমি বিহনে নিজের জীবনটাকে বাজি রাখলেও দৃষ্টিতে যেমন মিলন ঘটবে না তেমনি স্পর্শে আর শিহরিতও হব না।তাই নিশ্চিত ব্যর্থ হব যেনে সে চেষ্টাও করিনা।এই জন্য তুমি আবার আমাকে দোষ দিওনা। আমি এখনো কাঁদি আবার সুখের স্মৃতিতে হাসি, এ সবই আমার তোমাকে ঘিরে। আচ্ছা তোমার মনে আছে, প্রথম যেদিন আমাদের দেখা হয়েছিল? আমি অবাক বিস্ময়ে তাকিয়েছিলাম তোমার দিকে।আমার ভাললাগা পূর্ণতা পেয়েছিল সেদিন তোমায় দেখে।তোমার সব কার্যকলাপ এতো বেশি মুগ্ধ করেছিল আমাকে যে তুমি জ্ঞান ছাড়া অন্য কোন জ্ঞান কাজ করছিলনা।তুমি আমাকে ল¶্য না করলেও তোমার হাত ধরে থাকা ছোট্ট মিষ্টি মেয়েটা বেশ কৌতুহল নিয়েই আমাকে দেখছিল। মেয়েটা যখন হাত উচুঁ করে আমাকে দেখাচ্ছিল,আমি ল¶্য করলাম শুধু তুমি না আমার চারপাশের আরও অনেকে আমার দিকে তাকাচ্ছে।তোমার প্রতি প্রচÊ আকর্ষণ থাকার পরও নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলাম সেদিন।তবে তোমাকে সরাতে পারিনি মন থেকে।অবশ্য সেরকম ইচ্ছও আমার হয়নি কখনো। তোমাকে এমনভাবে মিশে নিয়েছিলাম আমার সাথে যেন কল্পনাতেও যদি তোমার দুঃখ ভাবতাম তবে চোখে জল এসে যেত।বেশ কদিন আর তোমার দেখা পাইনি।অবশ্য এর মধ্যে তোমাকে বলার জন্য অনেক কিছু মুখস্থ করে ফেলেছিলাম।দেখা হওয়া মাত্রই বলব।সাহসও যুগিয়েছি অনেক।ওরা বলেছে ‘ ভাললাগার কথা বলতে ভয় নেই’।তাছাড়া নাকি “ভালবাসার কথা ভাললাগার মানুষকে খুব তাড়াতাড়ি বলতে হয়।” আমি হন্যে হয়ে তোমাকে খুঁজে বেড়াচ্ছিলাম,তোমাকে পাওয়ার বিশ্বাস নিয়ে।একদিন ঠিকই তোমার দেখা মিলল ভিক্টোরিয়া স্কুলের সামনে।তুমি শিমুর সাথে হেটে যাচ্ছিলে মহিলা কলেজের দিকে।শিমু আমার চাচাতো বোন তাই তোমার সান্নিধ্যে আসাটা অনেক সহজ হয়েছিল আমার জন্যে।সেদিনই জানলাম তোমার সম্পর্কে অনেক কিছু।তোমার নাম ‘মিতু’, তুমি শিমুর সাথেই মহিলা কলেজে পড়।এরপর থেকে আমি আর অপ্রাপ্তি খুঁজে পাচ্ছিলামনা আমার জীবনে। তোমার চেয়ে থাকা,কথা বলা,তোমার আচরণ খুব দুর্বল করতো আমাকে তোমার প্রতি।আমার চেতনায় উজ্জীবিত থাকতে তুমি সর্ব¶ণ।তাইতো কলেজ ছুটির পর তোমার কলেজের সামনে দাড়িয়ে থাকতাম,অš—ত একবার তোমাকে দেখব বলে।কি এক অদ্ভূত সুখ অনুভূত হত ভিতরে এক পলক দেখতে পেলে তোমাকে। সত্যি বলতে কি তখন আমি তোমাকে দেবীর আসনে বসিয়েছিলাম আর দিব্যি পূজা করতাম।কিন্তু এর কোন কিছুই তুমি জানতেনা।আমি অবশ্য শিমুকে ধার করেছি আমার এ খুন হয়ে যাওয়ার গল্প তোমাকে শোনাতে।আমি কিন্তু তোমার গল্প অন্য কেউ নয়, তোমার মুখ থেকেই শুনব।পাশাপাশি বসে হাতে হাত আর অদূরে সবুজ মাঠ কিংবা নীল আকাশে দৃষ্টি রেখে। সেই বিকেল,খোলা মাঠ আর নীল আকাশের অপে¶ায় আমার দিনগুলো খুব অস্থিরভাবে কাটছিল।আমার মনে মনে একটু রাগ হচ্ছিলএই ভেবে যে, আমি প্রতিনিয়ত পূজার আসনে বসে তোমায় যে এতো কথা বলি এর কিছুই কি তুমি শুনতে পাওনা।আমি কি তোমার মনকে নাড়াতে পারছিনা,পারছিনা তোমার মনে আমার প্রতি ভালবাসা জন্মাতে।আমার এই সব চিš—ার অবসান ঘটিয়ে ঠিকই একদিন তোমার চিঠি আমার হাতে এসে পৌঁছালো, ‘আমি তোমার সাথে দেখা করতে চাই।আমার কিছু কথা আছে তোমাকে বলার।কাল কলেজ ছুটির পর ভিক্টোরিয়া স্কুলের পিছনে আমি থাকবো।তুমি অবশ্যই আসবে।’প্রাপ্তির আনন্দ,প্রশাšি—র তৃপ্তি আমাকে আতœহারা করে দিয়েছিল, তোমার দেওয়া ছোট্ট চিরকুট।আমি কলেজ ছুটির পর নয় শুর“ থেকেই বসে ছিলাম ভিক্টোরিয়া স্কুলের পিছনে,তুমি আসবে বলে।সময় যতই এগিয়ে আসছিল অমি যেন ততই আবল-তাবল হয়ে যাচ্ছিলাম।তোমাকে যা যা বলব বলে ভেবেছি সব ভুলে যাচ্ছি,কেমন এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে সব।আমি আবার সেগুলো গোছাতে থাকি ।কিছু লোকজন চিলাতে চিলাতে রা¯—াদিয়ে দৌড়াচ্ছিল আমি সেটা ল¶্য করলাম।তুমি এ¶–নি আসতে পার তাই আবার মনোযোগ দিলাম কি বলব তোমায় তা গোছাতে। গভীর মনোযোগ ছিল বলে বুঝতেই পারিনি কলেজ ছুটির এক ঘন্টা পেরিয়েগেছে।কিন্তু মিতু কই! কলেজে গিয়ে দেখলাম কলেজ বন্ধ, কেউ নেই সেখানে।আমি আর কিছু ভাবতে পারছিলাম না,চলে গেলাম যমুনার তীরে।মন খুব খারাপ অথবা খুব ভাল থাকলে আমি এখানে আসি।যমুনার সাথে আমি শেয়ার করি আমার সব অনুভূতি।আজ পারছিনা ! চাপা অস্থিরতা ভিতরে। ভাঙ্গতে পারছিনা সেটাকে, পারছিনা প্রকাশ করতেও।তবে আপনা আপনি জল ঝরছিল চোখ থেকে অবিরত।একটা প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছিল বারবার “মিতু কেন এলোনা? কেন এলোনা? কেন?”আমি খুব আনমনে বাড়ি ফিরছিলাম তখন সন্ধ্যা।শিমুর সাথে দেখা হল ভিক্টোরিয়া স্কুলের সামনে।ও আমার দিকে তাকিয়েই কেঁদে ফেলল।আমি এর কিছুই বুঝলামনা।শিমু কাঁদতে কাঁদতে বলতে থাকলো মিতুর দুর্ঘটনার কথা তারপর হাসপাতাল এবং শেষে মৃত্যু ।আমি আমাকে সামলাতে পারিনি।অস্থিরভাবে কেটে যাওয়া দিনগুলোর সঠিক বর্ণনা আমি করতে পারবনা।যখন ¯^াভাবিক হলাম, বা¯—ব বোঝার নিষ্ঠুর জ্ঞান দৃঢ় করলাম তখন কিছুটা শাš— হয়েছিলাম।তবে এখনো কলেজ ছুটির পর দাঁড়িয়ে থাকি মিতুর কলেজের সামনে।ওকে পাইনা।জলে ভেজে চোখ।মুছতে মুছতে চলে যাই আবার পরদিন আসার অপে¶ায় ...........
০৫ ফেব্রুয়ারী - ২০১১
গল্প/কবিতা:
১৪ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪