আলোর মেলাতে ক্রিকেট খেলা নিয়ে সারা দিন সে কি হৈচৈ। কারা জিতবে কারা হারবে সে নিয়েই বিভিন্ন প¶ের সমর্থকদের মধ্যে কথার যুদ্ধ চলতে চলতে এক ফাকে কেউ একজন ঢিল ছুড়ে মারলো। আর তখনই শুর“ হয়েগেল দুই প¶ের মারামারি । যে যা হাতের কাছে পেল তাই দিয়েই তাড়া করলো অন্য প¶কে। এই দাঙ্গায় অল্প একটুর জন্য মাথা ফাটা থেকে র¶া পেল মুনিম। সেই নিয়ে এলাকার বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন মনোভাব দেখা গেল। অদ্ভুত সেই মনোভাব যা ভাবতে গেলে যে কারো মাথা ঘুরতে থাকবে। এলাকার ডাক্তার হাতেম আলী এম বি বি এস। আসল এম বি বি এস নাকি নকল তা কেউ জানেনা। তার পরও সবাই তার কাছেই ধারনা দেয়। সে চিকিৎসাও দেয় ভাল। তবে ফি নেয়ার সময় কসাই চামার। রোগীর পকেট ফাকা করতে সে দিধা করেনা। মুনিমের মাথা একটুর জন্য ফাটেনি এ নিয়ে সবার মনের মধ্যেই কম বেশি চিš—া ছিল। হাতেম আলীর চিš—া ইস কেন যে মাথাটা ফাটলোনা! ফাটলে আমার কাছে আসতো। আমি চিকিৎসা করে হাজার খানেক টাকা কামিয়ে নিতাম। শালা রজব আলী বাড়ি মারবি একটু জোরে মার যাতে মাথা ফেটে যায় তা না যেন না খেয়ে এসে বাড়ি মেরেছে। একটু থেতলেও যায়নি। এতো গেল ডাক্তার হাতেম আলীর চিš—া। এবার আসা যাক ওষুধের দোকানদার করিম শেখের চিš—ায়। তারও একই চিš—া ইস একটু জোরে মারলেইতো মাথাটা ফেটে যেত। আর আমি শ তিনেক টাকার ওষুধ বিক্রি করতে পরতাম। তাতে অš—ত লাভ থাকতো একশো বিশ টাকা। একই চিš—া আলেয়া প্যাথলজি সেন্টারের কামাল উদ্দিনের। মাথাটা না ফাটায় তারও যে লস হয়ে গেল। কয়েকটা টেষ্ট করাতে পারলেই কেলা ফতে হয়ে যেত। টুপাইস কামাই করা যেত কিন্তু তার আর হল কই। একজন মানুষের মাথাটা একটুর জন্য ফাটেনি এটা হওয়া উচিৎ সবার জন্য আনন্দের। কিন্তু তা না হয়ে এখানে ঘটেছে তার সম্পূর্ণ উল্টো। ডাক্তার ওষুধের দোকানদার এবং প্যাথলজি সেন্টারের মালিকের পরে আরও একজন আছে যার কাছে মাথা না ফাটাটা চরম ¶তি বলে বিবেচিত। আর সে হলো সেকেন্দার আলী। সে নতুন একটা ভ্যান কিনেছে। এই এলাকায় তার ভ্যান ছাড়া আর কারো কোন ভ্যান নেই। মুনিমের মাথা ফাটলে ডাক্তারের চেম্বারে নেয়ার জন্য নিশ্চই তার ভ্যান লাগতো। তারও কিছু ইনকাম হতো। কিন্তু মাথাটা না ফাটায় তার অনেক লস হয়ে গেল। এ জন্য বেচারার চিš—ায় এবং রাগে এক প্যাকেট আকিজ বিড়ি শেষ করতে হয়েছে। বার বার নিজেই নিজেকে বলছিল বেটা রজব আলী আরেকটু জোরে মারতে পারলিনা! এত কিছুর পরও কিন্তু লোকের প্রত্যাশা কমেনি। মুনিমের বাবা মায়েরও মাথা ফাটা নিয়ে অনেক চিš—া। তারা নামাজ পড়ে প্রার্থনা করলো আলাহ তোমার অনেক দয়া। আমাদের সš—ানকে বিপদের হাত থেকে বাচিঁয়েছ। এমনিতে আমাদের হাতে তেমন টাকা কড়ি ছিলনা। ছেলেটা ভাল আছে বলে অনেক বাঁচা বেঁেচ গেছি। এই হল একজনের বিপদের দিনে অন্য জনের চিš—া ভাবনা।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মোহাম্মদ ওয়াহিদ হুসাইন
.........................চিন্তা নিয়ে চিন্তার চমতকার একটা গল্প চিন্তা করে লিখেছেন। ভাল লাগল। প্যারা করে লিখলে দেখতে আর পড়তেও সুবিধা হয়। সুভেচ্ছা রইল।
স্বাধীন
বিধাতার হয়েছে যত বিপদ, কার আবেদন রেখে যে কারটা পুরণ করবেন! এ জন্যই হয়তো প্রবাদটা এসেছে "কারো সর্বনাশ/কারো পৌষ মাস" ছোট কিন্তু সুন্দর মজার..
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।